বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বললেন, বর্তমান সময়ে কোনও দেশকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হ'য়ে থাকে তবে সেই দেশের নাম ভারত। ভারতকে যারা এর আগে নীচা দেখিয়েছিল সেই দেশ এখন ভারতের কাছে মাথ নত করে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশের মধ্যে একটি দেশ ইজরায়েল। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত কোনও ছোটো দেশ নয়। ভারত বিশ্বশক্তিতে পরিণত হ'তে যাচ্ছে। ইজরায়েলের এই কথা শুনে কিছু দেশ বিরক্ত। এদের মধ্যে পাকিস্তান, চিন, আমেরিকার মত দেশ আছে। ইজরায়েল জানে বিশ্বে বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের ওপর ভারতের প্রভাব সবচেয়ে বেশী। বিশ্বে যেখানেই যুদ্ধ হয় প্রথমে ভারতের কথা সবার আগে মনে পড়ে। ইজরায়েলের কট্টর প্রতিদ্বন্ধি দেশ ইরাণ ভারতের কথা মানে। দুনিয়ার যেখানে মিটিং হয় সেখানেই ভারতের আমন্ত্রন হয় এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করা হয়।
চীন চেষ্টা করে ভারতের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে। ভারত তার কাউন্টার রিপ্লাই করে। বিশ্বের কোনও দেশ যদি চীনের সঙ্গে হেড টু হেড মোকাবিলা করছে তা'হ'লো ভারত। দুনিয়ায় চীনের সঙ্গে মোকাবিলায় চোখে চোখ রেখে লড়াই যদি কেউ ক'রে তা হ'লো ভারত।---জয়শঙ্কর।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর কথায় মনে পড়ে গেল আজ থেকে ৮৩বছর আগে ভারত ভাগের আগে ১৯৪১ সালে বলা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা। কথাপ্রসঙ্গে একদিন শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন, "ভারতকে একসময় পৃথিবীর লোকে দেবভূমি বলতো। তাঁর মানে ভারতবর্ষে আগে যে-সব লোক বাস করতো, তাদের বেশীরভাগ লোকের চরিত্রই ছিল দেবোপম। এই ভারতবর্ষই আবার দেবভূমি, দেবলোক হ'তে পারে যদি তোমরা আর্য্যাচারে চল। বৈশিষ্ট্যপালী আপূরয়মান পুরুষোত্তমের অনুবর্ত্তন অর্থাৎ অনুসরণ, বর্ণাশ্রম, দশবিধ-সংস্কার, নিত্য পঞ্চমহাযজ্ঞ, আদর্শ বিবাহ, আদর্শ শিক্ষা, অনুলোম অসবর্ণ বিবাহ, দৈনন্দিন জীবনে যজন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপনা, দান, প্রতিগ্রহ, পারিপার্শ্বিকের সেবা, সদাচার পালন, ব্রত ও তীর্থের অনুসেবন---এই সবগুলি হ'লো আর্য্যাচারের অঙ্গীভূত। এইগুলির অনুসেবনে মানুষ ধীরে ধীরে বংশপরম্পরায় দেবতুল্য হ'য়ে ওঠে। এবং সে শুধু এক আধজন নয়, গোটে গোটে হ'তে থাকে, ঘরে ঘরে হ'তে থাকে।
তোমরা কতকগুলি মানুষ যদি দাঁড়িয়ে যাও, তাহ'লে আমি সারা দেশ, এমনকি দুনিয়া সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হ'তে পারি। স্ফুর্তিযুক্তভাবে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, যাবার আগে আমাকে একটু সুখ ক'রে যেতে দাও তোমরা, আমি দেখে যাই যে ভারতের ঘরে ঘরে আবার নারায়ণ জন্মাচ্ছে, ভারতের তেত্রিশ কোটি লোক আবার দেবতা হ'য়ে উঠছে, আর সারা দুনিয়া তাদের দেখে শিক্ষা লাভ করছে, তাদের দেখে শ্রদ্ধা ক'রে বর্ত্তে যাচ্ছে।
ভারতের প্রতি লুব্ধ দৃষ্টি সবারই আছে। ফলকথা India হ'লো Key to the world ( জগতের চাবিকাঠি)। যেমন যেমন বলেছি তেমনি ক'রে যদি সবাইকে organise ও integrate (সংগঠিত ও সংহত) করতে পার ধর্ম্ম ও কৃষ্টির ভিত্তিতে ---পারস্পরিক সেবা-সহযোগিতা ও সর্ব্বতোমুখী গঠনমূলক কর্ম্মের সুপ্রসারণায়---তাহ'লে সারা ভারতের স্বরাজ আসতে আর বেশী দেরী লাগবে না। স্বাধীনতার সে রূপ দুনিয়াকেও সত্যিকার স্বাধীনতার পথ দেখাবে। ভারত আবার জগতের গুরু হবে।
আবার বললেন, কি বিজ্ঞানের দিক দিয়ে, কি যন্ত্রপাতির দিক দিয়ে---কোন দিক দিয়ে আমাদের দেশের খাঁকতি থাকে তা' আমার ভালো লাগে না। ধর্ম্মের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা সব ব্যাপারে অদ্বিতীয় হ'য়ে ওঠেন, এই আমার ইচ্ছা। এই বাস্তব দক্ষতা যদি না ফোটে, তবে ধর্ম্ম হ'য়ে দাঁড়ায় শুধু কথার কথা। শিক্ষা কা'কে বলে, সভ্যতা কা'কে বলে, কৃষ্টি কা'কে বলে, দেবদক্ষ চৌকস মানুষ কা'কে বলে, আমার বড় সাধ হয় তার নমুনা দেখাতে।
আমরা ভারতবর্ষ দু'টুকরো হওয়ার মধ্যে দিয়ে তথাকথিত স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ ৭৭ বছর আমরা দেখেছি বিশ্বে ভারতের অবস্থান কি ছিল, কি অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে ও বর্তমানে ভারতের অবস্থা কি ও কোথায়। ধর্ম্ম ও কৃষ্টির দেশ ভারত কোন ধর্ম ও কৃষ্টির ওপর দিয়ে দীর্ঘ ৭৭বছর পার হয়েছে তা' আমরা দেখেছি ও দেখছি। আজ ভয়ংকর রণক্ষেত্র হ'য়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে আজ হানাহানি, কাটাকাটি, ঘৃণা এই যদি ধর্ম্মের ভিত্তি হয়, রাম প্রেমী, রসুল প্রেমী, খ্রীষ্ট প্রেমী, বুদ্ধ প্রেমীর মধ্যে মারামারি কাটাকাটি গালিগালাজ যদি কৃষ্টির ভিত্তি হয়, পারস্পরিক দোষ দেখা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা করা, আঘাত ও ক্ষতি করা, কষ্ট, যন্ত্রণা দেওয়া যদি কৃষ্টির ভিত্তি হয় তবে এক ভয়ংকর ভয়াবহ অকল্পনীয় ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে মানুষের সামনে। মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পেয়ে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার ফিরে যাবে মানুষ আদিম যুগে। কিংবা বিলুপ্ত হ'য়ে যাবে মানব জাতী।
তাই, বৈশিষ্ট্যপালী আপূরয়মান যুগ-পুরুষোত্তমকে ধ'রে চলার রীতি যদি থাকে, তাহ'লে বিভিন্ন সম্প্রদায় থাকলেও সাম্প্রদায়িকতা থাকে না, প্রত্যেকে প্রত্যেককে মনে করে আমারই একজন। কারণ যুগপুরুষোত্তমের মধ্যে পূর্বতন প্রত্যেকটি অবতার মহাপুরুষই জীয়ন্ত থাকেন। তাঁকে ভালোবাসলে আমরা পূর্বতন কাউকেই অবজ্ঞা করতে পারি না। রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রত্যেককেই মনে করি আমার ঠাকুর। তাই গুরুভাইয়ের প্রতি যে প্রীতি সেই প্রীতিরই জাগরণ হয় হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি পরস্পর পরস্পরের প্রতি, সকলের প্রতি। তখন সেখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকে না। শ্রীশ্রীঠাকূর বললেন, সাম্প্রদায়িকতা সেখানে আসবে কোথা থেকে? যুগপুরুষোত্তম যিনি তিনিই গুরু, আর গুরুই সব। তাঁকে ভালোবাসলে আর কাউকে ছাড়তে ইচ্ছা করে না। তাই সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে ভালোবাসে বলেই তারা রামকে ভালোবাসে, কৃষ্ণকে ভালোবাসে, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ, মহাপ্রভু ও ঠাকুর রামকৃষ্ণকে ভালোবাসে। এই একজনই যুগে যুগে বারবার যুগের প্রয়োজনে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, এই ভালোবাসাই হ'লো Magnetic pull অর্থাৎ চুম্বক সংক্রান্ত আকর্ষণ বল। ভারতের যত মানুষ আছে তারা এরকমভাবে লেগে যাক ইষ্টের সাথে। India হবে magnetic pull (চৌম্বক টান)। তখন ইউরোপও এসে গুচ্ছ হ'য়ে ভারতের সাথে যোগসূত্র রচনা করবে। তারপর আরো একটা গুচ্ছ। এভাবে Whole world (সমগ্র পৃথিবী) একায়িত হবে। তাই-ই United world (একায়িত পৃথিবী)।
শ্রীশ্রীঠাকুরের এই স্বপ্ন আমরা সৎসঙ্গীরা কি পূর্ণ করতে পারি না? নিশ্চয়ই পারি। আর পারবোও। তাই আসুন আমরা সবাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নিখুঁত ভালোবাসাময় দেখানো পথে চলে শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্নকে পূরণ করি।
আমরা ভারতবর্ষ দু'টুকরো হওয়ার মধ্যে দিয়ে তথাকথিত স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ ৭৭ বছর আমরা দেখেছি বিশ্বে ভারতের অবস্থান কি ছিল, কি অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে ও বর্তমানে ভারতের অবস্থা কি ও কোথায়। ধর্ম্ম ও কৃষ্টির দেশ ভারত কোন ধর্ম ও কৃষ্টির ওপর দিয়ে দীর্ঘ ৭৭বছর পার হয়েছে তা' আমরা দেখেছি ও দেখছি। আজ ভয়ংকর রণক্ষেত্র হ'য়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে আজ হানাহানি, কাটাকাটি, ঘৃণা এই যদি ধর্ম্মের ভিত্তি হয়, রাম প্রেমী, রসুল প্রেমী, খ্রীষ্ট প্রেমী, বুদ্ধ প্রেমীর মধ্যে মারামারি কাটাকাটি গালিগালাজ যদি কৃষ্টির ভিত্তি হয়, পারস্পরিক দোষ দেখা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা করা, আঘাত ও ক্ষতি করা, কষ্ট, যন্ত্রণা দেওয়া যদি কৃষ্টির ভিত্তি হয় তবে এক ভয়ংকর ভয়াবহ অকল্পনীয় ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে মানুষের সামনে। মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পেয়ে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার ফিরে যাবে মানুষ আদিম যুগে। কিংবা বিলুপ্ত হ'য়ে যাবে মানব জাতী।
তাই, বৈশিষ্ট্যপালী আপূরয়মান যুগ-পুরুষোত্তমকে ধ'রে চলার রীতি যদি থাকে, তাহ'লে বিভিন্ন সম্প্রদায় থাকলেও সাম্প্রদায়িকতা থাকে না, প্রত্যেকে প্রত্যেককে মনে করে আমারই একজন। কারণ যুগপুরুষোত্তমের মধ্যে পূর্বতন প্রত্যেকটি অবতার মহাপুরুষই জীয়ন্ত থাকেন। তাঁকে ভালোবাসলে আমরা পূর্বতন কাউকেই অবজ্ঞা করতে পারি না। রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রত্যেককেই মনে করি আমার ঠাকুর। তাই গুরুভাইয়ের প্রতি যে প্রীতি সেই প্রীতিরই জাগরণ হয় হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি পরস্পর পরস্পরের প্রতি, সকলের প্রতি। তখন সেখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকে না। শ্রীশ্রীঠাকূর বললেন, সাম্প্রদায়িকতা সেখানে আসবে কোথা থেকে? যুগপুরুষোত্তম যিনি তিনিই গুরু, আর গুরুই সব। তাঁকে ভালোবাসলে আর কাউকে ছাড়তে ইচ্ছা করে না। তাই সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে ভালোবাসে বলেই তারা রামকে ভালোবাসে, কৃষ্ণকে ভালোবাসে, বুদ্ধ, যীশু, হজরত মহম্মদ, মহাপ্রভু ও ঠাকুর রামকৃষ্ণকে ভালোবাসে। এই একজনই যুগে যুগে বারবার যুগের প্রয়োজনে এসেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, এই ভালোবাসাই হ'লো Magnetic pull অর্থাৎ চুম্বক সংক্রান্ত আকর্ষণ বল। ভারতের যত মানুষ আছে তারা এরকমভাবে লেগে যাক ইষ্টের সাথে। India হবে magnetic pull (চৌম্বক টান)। তখন ইউরোপও এসে গুচ্ছ হ'য়ে ভারতের সাথে যোগসূত্র রচনা করবে। তারপর আরো একটা গুচ্ছ। এভাবে Whole world (সমগ্র পৃথিবী) একায়িত হবে। তাই-ই United world (একায়িত পৃথিবী)।
শ্রীশ্রীঠাকুরের এই স্বপ্ন আমরা সৎসঙ্গীরা কি পূর্ণ করতে পারি না? নিশ্চয়ই পারি। আর পারবোও। তাই আসুন আমরা সবাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবের নিখুঁত ভালোবাসাময় দেখানো পথে চলে শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্নকে পূরণ করি।
No comments:
Post a Comment