Powered By Blogger

Friday, January 3, 2025

প্রবন্ধঃ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ও সময়। (পর্ব ৪)

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশীদের অদ্ভুত যুক্তি!!! একটা অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। অদ্ভুত যুক্তিটা পরে বলছি। এখন আমার ভারতের দর্শক ও শ্রোতা বন্ধুরা ও সৎসঙ্গীরা বলতেই পারেন, একটা অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে আমাদের কি মাথাব্যথা? কি সমস্যা? আপনারা বলতে পারেন ওদের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তনের ব্যাপারে আমরা কি ক'রে অদ্ভুত সময়ে মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি?

প্রশ্নটা হচ্ছে, আমার পাশের ঘরে আগুন লাগলে আমি কি নিশ্চিন্তে থাকতে পারি? বাংলাদেশ তো আমার পড়শী। পড়শীদের যদি কিছু বিপদ হয় তখন আমাদের তো তার আঁচ লাগবেই, কম হ'ক আর বেশী হ'ক। আর, The greatest phenomenon, the greatest wonder of the world SriSriThakur Anukulchandra বলেছিলেন,

"পড়শীরা তোর নিপাত যাবে তুই বসে সুখ খাবি বুঝি,
যা ছুটে যা তাদের বাঁচা, তারাই যে তোর বাঁচার পুঁজি।"

একটা দেশের মাথারা যখন পায়ে অবস্থান করে বা পায়ের কাজ করে আর পায়েরা যখন মাথায় অবস্থান করে, মাথার কাজ করে তখন যা হবার তাই হয়। ঐ বিশ্বস্ত বাঁদরকে পাহারাদার হিসেবে নিযুক্ত ক'রে রাজার গভীর নিদ্রায় চলে যাবার ম্রত। আপনারা সকলে গল্পটা জানেন। তবুও আর একবার বলছি।

রাজার বিশ্বস্ত অনুচর ছিল একটা বাঁদর। ঐ বাদরকে ছাড়া রাজা আর কাউকেই বিশ্বাস করতো না। তাই রাজা ঘুমোনোর সময় তাঁর পাহারায় রাখতেন ঐ বাঁদরকে, যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।

একদিন রাজা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পাশে মাথার সামনে বসে পাহারা দিচ্ছে ঐ বিশ্বস্ত বাঁদর। বাঁদর দেখতে পেল একট মাছি রাজার নাকে উপরে বসে আছে। বাঁদর তাঁকে তাড়িয়ে দিল। কিন্তু মাছিটি আবার এসে রাজার নাকের ওপর এসে বসলো। এইভাবে বাঁদর মাছিটিকে দিয়ে হাত দিয়ে যতবার তাড়াতে যায় ততবার মাছিটি ঘুরে ঘুরে উড়ে এসে সেই রাজার নাকের ওপরে এসে বসতে লাগলো। তখন বাঁদর বিরক্ত হ'য়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগল। চারিদিকে দেখতে দেখতে বাদরটি দেওয়ালে টাঙ্গানো একটি তরবারি দেখতে পেল। বাদরটি দেওয়াল থেকে তরবারিটি নামিয়ে এনে দুই হাতে ধরে রাজার মাথার সামনে এসে বসলো আর প্রেক্ষা করতে লাগলো কখন মাছিটি এসে রাজার নাকের ওপর বসে।, অবশেষে মাছিটি উড়ে এসে রাজার নাকে এসে যেই না বসলো সঙ্গে সঙ্গে কালবিলম্ব না ক'রে সোজা তরবারি দিয়ে এক কোপ বসিয়ে দিল রাজার নাকের ওপরে আর মাছিটি এবারও ফুড়ুৎ ক'রে উড়ে চলে গেল। কিন্তু --------।

পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বাকীটা।
তাই, দেশের মূর্খ রাজার দ্বারা নিয়োজিত মূর্খ বাঁদরের হাত থেকে দেশকে ও জনগণকে বাঁচানো প্রতিটি সচেতন ভদ্র জ্ঞানী দরদী দেশপ্রেমিক, বিশ্বপ্রেমিক, ঈশ্বরবিশ্বাসী, জীবন্ত ঈশ্বর অনুগামী ইষ্টপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য যে যেমনভাবে পারে তেমনভাবে জীবন্ত ইষ্টের কথা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়া। তাই, আমি ঐ কথা বলেছিলাম যে, একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। অস্থির সময় দেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বকে গ্রাস করতে সময় লাগে না। কারণ শয়তান কিল্বিস ওঁত পেতে বসে আছে কখন বিষাক্ত ছোবলটা মারবে। আর, মারবে মারবে একেবারে ব্রহ্মতালুতে মারবে। তখন আর উপায় থাকবে না। তাই, আমার রাজ্যের তথা দেশের অন্যান্য রাজ্যের সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা আমার সমস্যা বলেই মনে হয়। একাত্মতা অনুভব করি। তাই, আপনাদের সঙ্গে আমার বক্তব্য শেয়ার করি মাত্র।

যাই হ'ক, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের পক্ষে বাংলাদেশী পরিবর্তনকামীদের জোরালো অদ্ভুত যুক্তি হ'লো, আমার সোনার বাংলা গান পশ্চিমবঙ্গের গান, গানে পশ্চিমবঙ্গ আছে।

এবার যখনি তাদের বলা হ'লো গানের কোথায় পশ্চিমবঙ্গ শব্দ আছে? অমনি সেই 'তুই জল ঘোলা করিসনি, তোর ঠাকুর্দা জল ঘোলা করেছিল' সেই যে প্রবাদ, সেই প্রবাদের নোতুন মোড়কে নোতুন রূপ 'আমার সোনার বাংলা গানের শব্দে পশ্চিমবঙ্গ নেই, আছে আকারে ইংগিতে।' একেবারে ১৮০ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে অদ্ভুত, আশ্চর্য যুক্তি!
বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল, দলের সমর্থক, বর্তমান দেশের কেয়ার টেকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতেই পারেন। সেটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রকৃত স্বাধীন হওয়ার পর 'পূর্ব পাকিস্তান' নাম বদলে 'বাংলাদেশ' রাখা হয়েছিল। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের প্রয়োজন হয়েছিল। ফলে 'আমার সোনার বাংলা' হয়েছিল জাতীয় সঙ্গীত।
এখন বাংলাদেশের বর্তমান পট পরিবর্তনের নায়কেরা আভ্যন্তরীণ কলহে অবৈধ উপায়ে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত স্বৈরাচারী শাসককে উৎখাত করেছে। আর, এখন জাতীয় সংগীতকে উৎখাত করতে চাইছে। সেটা বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু জনগণ যেটা চাইবেন সেটা হ'তেই পারে। আবার বলছি, সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

কিন্তু, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের পক্ষে যে কথাগুলি উঠে আসছে, তার মধ্যে অন্যতম আর একটা বিষয় হ'লো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু। পরমুহুর্তে এই কথা নিয়ে বিবাদ হতেই প্রসঙ্গ পাল্টে বলা হচ্ছে, "জাতীয় সংগীতের রচিয়তা হিন্দু না মুসলিম এটা দেখার বিষয় না। বিষয় হল এই সংগীত দ্বারা আমার দেশকে সুন্দর ভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করা এবং জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা এবং গৌরবের প্রতিফলন ঘটানো যায়নি।"

এই বিষয়ে পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানকারীদের কাছে আমার জিজ্ঞাস্যঃ
১) এই গানের কোথায় কোথায় বাংলাদেশকে সুন্দর ভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি?

২) এই গানের কোন অংশে জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা এবং গৌরবের প্রতিফলন না ঘটিয়ে অন্য কিছুর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে?
বরং এই গানের মাধ্যমে সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে, জানে ও সহজ সরল গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অপরূপ সুন্দর একটি মিষ্টি দেশ ব'লে জানে। যা, পশ্চিমবঙ্গকে চেনে যা, জানে না। অথচ এই পশ্চিমবঙ্গেও সেই একইরকম সহজ সরল গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অপরূপ সুন্দর একটি মিষ্টি প্রতিফলন আছে, কিন্তু বিশ্ববাসী তা' জানে না, কারণ ভারতের অন্তর্ভুক্ত একটি রাজ্য বলে। বাংলাদেশ একটা দেশ আর সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' বিশ্বের কাছে পরিচিত হ'য়ে উঠতে কোনও অসুবিধা হয় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ দেশ নয় আর এই গান পশ্চিমবঙ্গকে রিপ্রেজেন্ট করে না। দেশ আর রাজ্যে মূলত একটা ফারাক থাকে সেটা সম্ভবত যারা উত্তেজিত মস্তিষ্ক ও বৃথা আড়ম্বর যুক্ত চিন্তার অধিকারী বাংলাদেশী তাদের জানা জানা নেই।
যাই হ'ক বাংলাদেশী যারা এই ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার পতনের ষড়যন্ত্রকে সমর্থন করেন ও উপদেষ্টামন্ডলীদের দ্বারা পরিচালিত বর্তমান অস্থায়ী কেয়ার টেকার সরকারের পক্ষে তারা 'গানের কোথায় পশ্চিমবঙ্গ শব্দ আছে, এই গানের কোথায় কোথায় বাংলাদেশকে সুন্দর ভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি? এই গানের কোন অংশে জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা এবং গৌরবের প্রতিফলন না ঘটিয়ে অন্য কিছুর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে' ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরে আপনি একটা জোরালো যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্ব সমৃদ্ধ প্রবন্ধ লিখে উপহার বিশ্ববাসীকে দিন। যাতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে জোরালো যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্ব বিশ্ববাসী জানতে পারে। অপেক্ষায় থাকবো।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মুহিব খানের "ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি---" এই গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বাংলাদেশীরা বিবেচনা করছেন। এই বিবেচনা প্রসঙ্গে মনে হ'লো এই গানে দুটো লাইন আছে,

"অনেক দামের দেশ রক্ত ঘামের দেশ মায়ার বাঁধন বড় বেশি
হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান, বাঙালি পাহাড়ি এক দেশি।।"

------ এই লাইনের কথাগুলির মধ্যে হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বাস্তবে এক দেশী মনোভাব নিয়ে আছে? বাস্তবে হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি আছে?
এই গানের দ্বিতীয় যে লাইন
"শান্ত মাটির নিচে এখনো ঘুমিয়ে আছে তিনশত ষাট আউলিয়া
সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা, ভাসানী, আছে মুজিব, ওসমানী ও জিয়া।।"
তা' মুজিবের মূর্তি ভাঙ্গা, মাথার ওপর দাঁড়িয়ে পেচ্ছাপ করা, মুখে পেচ্ছাপ, জুতো দিয়ে মারা, মাথা ভেঙে নিয়ে খেলা করা, তাঁর বাসভবন তছনছ ক'রে দেওয়া ইত্যাদি লজ্জাজনক ঘৃণ্য নোংরা ক্ষমাহীন ঘটনা এবং মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার শায়া, অন্তর্বাস নিয়ে প্রকাশ্যে যে অশ্লীল আচরণ এবং শেখ হাসিনার নামে যে নোংরা অশ্লীল যৌন শ্লোগান তুললো বাংলাদেশের প্রকাশ্য মিছিলে ছাত্রীরা, নারী হ'য়ে নারীর বিরুদ্ধে যে কানে গরম সীসা ঢেলে দেবার মত শ্লোগান শুনলো বিশ্ববাসী তারপরও বাংলাদেশ গঠনের নেতা ও জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমান কি শান্ত মাটির নীচে ঘুমিয়ে থাকতে পারে? এই গানের লাইনগুলি এবং শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধেই যেখানে বিদ্রোহ সেখানে তো বাংলাদেশের বর্তমান যে চরিত্র বিশ্ববাসী দেখলো, সেই চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত কথা সমৃদ্ধ গান। কি ক'রে এই গান জাতীয় সঙ্গীত হবে? মেনে নেবে বর্তমান বাংলাদেশের সদ্য স্বাধীন হওয়া ছাত্র আন্দোলনকারীরা, সমন্বয়কারী ৬ ছাত্র ও ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনকারী নাগরিক সমাজ এবং সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীরা ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উপদেষ্টা মন্ডলীর প্রধান?

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "আমার সোনার বাংলা গান"-এর পরিবর্তে কবি মুহিব খানের লেখা কবিতা 'ইঞ্চি ইঞ্চি খাঁটি' কবিতার এই লাইন "হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান, বাঙালি পাহাড়ি এক দেশি" এই লাইনের সত্যতা কি সত্যি সত্যি বাংলাদেশে আছে, আগে ছিল? যদি দেখতে হয় তাহ'লে ভারত ভাগের সময় থেকে শুরু ক'রে ভারত ভাগের কারণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ৭১-এ পাকিস্তান ভাগ, তারপরে ২০২৪ বর্তমান বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ঘটনাবলী বিশ্লেষণ ক'রে দেখুক আর তার সঙ্গে দেখুক বাংলাদেশে ভারত ভাগের আগে ও পরে এবং ৭১-এর আগে ও পরে হিন্দু জনসংখ্যার শতকরা হার কত ছিল ও কত আছে। আর, এর ঠিক উল্টোটাও দেখে নিক পশ্চিমবঙ্গে ও ভারতে মুসলমান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার শতকরা হার ভারত ভাগের আগে ও পরে এবং ৭১ এর সময়ে ও পরে অর্থাৎ বর্তমানে কত ছিল ও কত আছে।

আর, হামলা বা দাঙ্গা যারা করে তাদের কোনও জাত বা ধর্ম নেই তা সে জাতের বা ধর্মের হ'ক। কিন্তু দাঙ্গা ও দাংগাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠোর মোকাবিলা বা তাদের প্রশ্রয়, ধর্ম বা সম্প্রদায়কে নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য ব্যবহার করা বা ধর্ম ও সম্প্রদায়কে রক্ষা করার আন্তরিক মানসিকতা, ধর্মীয় নেতাদের প্রকৃত ধর্ম ব্যাখ্যা বা উস্কানিমূলক প্রচার, সমস্ত সম্প্রদায় ও সম্প্রদায়ের লোকেদের সমদৃষ্টি ও পক্ষপাতশূন্য মনোভাব বা অসমদৃষ্টি ও পক্ষপাতিত্ব মনোভাব ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা সংঘাত। যদি ভালো ক'রে গবেষণা করে বাংলাদেশী তাহ'লে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি সত্য দেখতে পাবেন।
যাই হ'ক আজ এই পর্যন্ত। পরবর্তী ভিডিওতে আবার আসবো শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক নোংরা মানসিকতার মানুষ ও তাদের প্রশ্রয়দাতার জন্য মিথ্যে, সাম্প্রদায়িক প্রচার ও কবির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ, মিথ্যে অভিযোগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে নষ্ট ক'রে দিচ্ছে, গুলিয়ে দিচ্ছে, বিষাক্ত ক'রে দিচ্ছে মাথা আর তাই দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মা আজ গুমরে গুমরে কাঁদছে। আর ভেসে আসছে কানে তাঁর ক্রন্দন ধ্বনি তাঁর লেখা গানের মধ্যে দিয়ে,
"আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥" 
( লেখা ১৪ই সেওপ্টেম্বর'২৪)

No comments:

Post a Comment