চন্দন ভট্টাচার্যের লেখা পড়ে অনেকদিন ধ'রে অপেক্ষার অবসান হ'লো। খুব ভালো লাগলো এই খবর পড়ে। চন্দন ভট্টাচার্যদাদাকে এই খবর পরিবেশন করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
প্রত্যেকবছর আপনাদের স্নান উৎসবের সঙ্গে আমাদের এখানে সম্ভবত মতুয়াদের বারুণী মহামেলার মিল আছে। আপনারা যেমন গঙ্গা স্নান উৎসব কমিটির পরিচালনায় পাবনা জলাধারে স্নান করেন ঠিক তেমনি মতুয়াদের ঠাকুরনগরে অনুষ্ঠিত বারুণী মেলার সময় নির্দিষ্ট জলাশয়ে স্নান করার ব্যবস্থা আছে। এই দুই জায়গায় ভক্তরা স্নান ক'রে পূণ্য অর্জন করেন।
আবার, বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার ওড়াকান্দিতেও মতুয়াদের এই উৎসব হয়। মতুয়াদের এই নির্দিষ্ট স্নানের জলাশয়কে কামনা সাগর ও বাসনা সাগর বলা হয়।
এইসময় প্রচুর মানুষের একই সঙ্গে ঐ কামনা পুকুরে স্নান করার ফলে জল ঘোলা ও নোংরা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি পাবনার জলাধারের একই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
এই যে পাবনার জলাধারে স্নান উৎসবের আয়োজন ও জলাধারে স্নান এই উৎসব ও স্নানের ব্যবস্থা কে চালু করেছিলেন? শ্রীশ্রীঠাকুর? শ্রীশ্রীবড়দা? শ্রীশ্রীদাদা? কে? নাকি নিজেরা উৎসাহী ভক্তরা?
শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বাস্থ্য ও সদাচার সম্পর্কিত বাণী ও নানা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ কথামৃত কি এই অস্বাস্থ্যকর নোংরা দূষিত জলে স্নান করাকে সমর্থন করে? আমরা The greatest phenomenon of the world SriSriThakur AnukulChanra-এর বিজ্ঞানসম্মত বাণী ও কথামৃতের পরও ভক্তির নামে এই কাজ ক'রে চলেছি বছরের পর বছর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ ছাড়াই। এর থেকে প্রমাণ হয় ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির নামে কোনও কিছু একবার চারিয়ে দিলেই তা ভক্তির আবেগে মানুষ ভেসে যায় কোনও কিছু আগুপিছু ভালোমন্দ না ভেবেই। এইজন্যই প্রয়োজন যুগাবতারের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অবর্তমানে তঁনিষ্ঠ, তঁত্তপা আচার্য্য শরণীয় ও আচার্য ও আচার্যের সঙ্গ এবং পরামর্শ, আদেশ, নির্দেশ, নিদেশ পালন প্রয়োজন। নইলে চলনায় আসে বিকৃতি। ঠাকুরের বাণী "খেয়াল মাফিক ভজলি গুরু, হ'তে মানুষ হ'লি গরু" একদিন প্রমাণ হয়। আর আমরা তা দেখলাম শ্রদ্ধেয় পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবিংকিদাদার হস্তক্ষেপে এই অস্বাস্থ্যকর নোংরা দূষিত জলে স্নান করা সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক মূল্যায়ন।
এই বিষয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম বহুপূর্বে। অপেক্ষায় ছিলাম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত মূল প্রতিষ্ঠান দেওঘরের 'সৎসঙ্গ'-এর হস্তক্ষেপে একদিন বাংলাদেশের সৎসঙ্গীদের জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন হবে।
আজ এই খবরে যারপরনাই আনন্দিত যে আবার প্রমাণ হ'লো শ্রীশ্রীঠাকুর প্রতিষ্ঠিত দেওঘরের মূল প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' বিশ্বজুড়ে ঠাকুরের কোটি কোটি সৎসঙ্গীকে সঠিক দিশায় পরিচালনা করে চলেছে দূরদর্শী শ্রীশ্রীআচার্যদেবের যোগ্য নেতৃত্বে। ভারতের রাজ্য ঝাড়খন্ডের দেওঘরের 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের শ্রীশ্রীআচার্যদেবের বাঁচা-বাড়ার নিখুঁত নির্দেশ পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বত্র সৎসঙ্গ কেন্দ্র, মন্দির ও ঘরে ঘরে শ্রীশ্রীঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গী ঈশ্বরকোটি পুরুষদের হাত ধ'রে।
আবার প্রমাণ হ'লো কেন পুরুষোত্তমের অবর্তমানে তঁনিষ্ঠ, তঁত্তপা, তদনুবর্ত্তী আচার্য্যই শরণীয়, আচার্যের প্রয়োজন।
( লেখা ৭ই আগষ্ট'২০২৩)
No comments:
Post a Comment