তাই সৎসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে একজন সৎসঙ্গী হ'য়ে বলি,
হিন্দু মুসলমানের পারস্পরিক এই সমস্যা চিরকাল ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। বাংলাদেশেও বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আর, এর জন্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি সবাই দায়ী। আর, যে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে সেখানে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। নিজেরা মারামারি ক'রে সবাই একদিন মরবে। প্রথমে এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই ক'রে মরবে, পরে যে সম্প্রদায় যেখানে থেকে যাবে এককভাবে সেখানে সেই সম্প্রদায়ের লোক নিজেদের মধ্যে মারামারি ক'রে অবশেষে মরবে। এর জন্যে কেউ কাউকে দায়ী করার আগে নিজের কোথায় কোথায় ত্রুটি ছিল, কোথায় কোথায় ভুল, কোথায় কোথায় অসম্পূর্ণতা ছিল তা' খুঁজে দেখে তা দূর করার দরকার, নিজেকে শুধরে নেবার দরকার।
পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এ সম্পর্কে পরিষ্কার সাবধান ক'রে দিয়ে বলেছেন, "তুমি ঠিক ঠিক জেনো যে তুমি তোমার নিজের, নিজ পরিবারের, দশের ও দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।"
তাই সৎসঙ্গীরা আগে নিজেদের শুধরে নিক সে হিন্দু হ'ক আর মুসলমান হ'ক আর যে যেই সম্প্রদায়ের হ'ক। ভুলে যাবেন না বাংলাদেশে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন চরম অপমানিত হয়েছেন ঠিক তেমনি শেখ মুজিবর রহমানও হয়েছেন। এদের একজন হিন্দু ছিলেন আর একজন ছিলেন মুসলমান। এছাড়াও বহু হিন্দুও যেমন অত্যাচারিত হয়েছে তেমনি বহু মুসলমানও অত্যাচারিত হয়েছে। আর, বর্তমান বাংলাদেশের ঘটনায় উভয়ের উপর অত্যাচারের মুখ মুসলমান। এরকম একই মুখ হিন্দুদেরও দেখা যায় আবার অন্যান্য সমস্ত দেশে দেশে অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও এরকম মুখ দেখা যায়।
সৎসঙ্গী অর্থাৎ সৎ-এর সঙ্গী। সৎ অর্থাৎ অস্তিত্ব। অস্তিত্বের সঙ্গী সৎসঙ্গী। অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্বের সঙ্গী। যারই অস্তিত্ব আছে সেই সৎ। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ইত্যাদি পৃথিবীতে যত ধর্মমত আছে, আছে সম্প্রদায় সমস্ত ধর্মমতের, সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রায় মোট ৮০০ কোটি মানুষ সবারই অস্তিত্ব আছে, অস্তিত্ব রক্ষার ও বৃদ্ধি পাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাই সে যে যে ধর্মমতের হ'ক না কেন যে অস্তিত্বকে ভালোবাসে, যে অস্তিত্বের পূজারী, যে অস্তিত্বের পৃষ্ঠপোষক সে বা তারাই সৎসঙ্গী। আর যে সৎসঙ্গী অর্থাৎ অস্তিত্বের সঙ্গী সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম যে অস্তিত্ব, অস্তিত্বের যে কারণ, কারণের কারণ, পরম যে কারণ অর্থাৎ সেই পরম অস্তিত্ব, পরম কারণের পূজারী।
আর, সৎসঙ্গ হ'লো সমস্ত অস্তিত্বের মিলন স্থল। সৎ মানে অস্তিত্ব আর সঙ্গ মানে মিলন, মিলনের স্থল। তাই যে স্থানে সমস্ত অস্তিত্বের পূজারীরা মিলিত হয় সেই স্থানই সৎসঙ্গ। সেই স্থানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি পৃথিবীতে প্রায় ৫০০০ হাজার ধর্মমতের মানুষ আছে আর প্রত্যেকের অস্তিত্ব অর্থাৎ Existence আছে, তারা সবাই যে স্থানে, যে পতাকার তলায় সমবেত হয়, মিলিত হয় সেই স্থানই সৎসঙ্গ আর সবাই মিলিত হয় এক ও অদ্বিতীয়ের আহ্বানে।
তাই প্রথমে আমি অস্তিত্বের পূজারী তাই প্রথমে আমি সৎসঙ্গী তারপরে আমি হিন্দু, বা মুসলমান বা খ্রীষ্টান ইত্যাদি ৫০০০ ধর্মমতের বা সম্প্রদায়ের। তাই আমি, আমরা হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ইত্যাদি প্রতিটি মানুষ ৮০০ কোটি মানুষ নিজের নিজের ধর্মমত বা সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও অস্তিত্বকে ধ'রে রাখার কারণে, অস্তিত্বকে রক্ষা করা ও বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবার কারণেই আমরা প্রত্যেকেই সৎসঙ্গী।
আর, সূর্যকে কেন্দ্র ক'রে যেমন গ্রহরা নিজের নিজের অরবিটে সুশৃংখল ও স্বাধীনভাবে স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে ঘোরে ঠিক তেমনি আমরাও পুরুষোত্তমকে কেন্দ্র ক'রে স্বাধীনভাবে সুশৃংখল ভাবে সমস্ত জাতের, সমস্ত বর্ণের, সমস্ত ধর্মমতের ৮০০ কোটি মানুষ নিজের নিজের ধর্মমতকে বজায় রেখেই, পালন করেই, কনভারশানের মত ঘৃণ্য পথ অবলম্বন না করেই আমরা সবাই বাঁচা ও বাড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারি প্রত্যেকে প্রত্যেকের হাত ধ'রে ঈশ্বর, আল্লা বা গড-এর সাকার রূপ সদ্গুরু, পরমপুরুষ, পুরুষোত্তম, পরমপিতা, সৃষ্টিকর্তা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকএর সর্বশেষ রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে জীবনের কেন্দ্রে রেখে রচনা করতে পারি স্বর্গ। এইজন্যে কোনও ধর্মমত বা কোনও পুরুষোত্তমকে ত্যাগ করতে হয় না। যে প্রকৃতই অস্তিত্বের পূজারী সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরমঅস্তিত্বের পূজারী, যে প্রকৃতই অস্তিত্বকে ভালোবাসে সে পরম অস্তিত্বের যুগানুযায়ী প্রতিটি পরম অতিত্বের রূপকে ভালোবাসবেই বাসবে। কারণ আমি হিন্দু আমার মধ্যে যিনি আছেন সেই 'তিনি' মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি পৃথিবীর ৮০০কোটি মানুষের বুকের মধ্যে আছেন। আমরা সবাই সেই এক ও অদ্বিতীয় পরমপিতার সন্তান। আমরা প্রত্যেকেই সেই আত্মার আত্মা পরমাত্মার থেকে এসেছি। সেই তিনি পরময়াত্মা প্রাণ স্বরূপ আমার তোমার সবার মধ্যে বিরাজমান। আবার তিনিই মানুষ রূপে যুগে যুগে আসেন বারবার আমাদের মাঝে যখনই তাঁর ভাব ম্লান হ'য়ে যায়, উবে যাবার মতন হয় তখনি তিনি ঈশী স্পর্শে আবার সবাইকে সঞ্জীবিত ক'রে তুলবার জন্য।
এবার তাই তিনি সেই একজনই শ্রীশ্রীঠাকুর অন্নুকূলচন্দ্র রূপে এসে আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গী আখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আমরা যে যে ধর্মমতের হ'ই না কেন, যাঁরই অনুগামী হ'ই না কেন আমরা সেই একজন পরম অস্তিত্ব রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ-এর অস্তিত্বের সঙ্গী।
তাই, আমরা সবাই, সব ধর্মমতের সবাই সৎসঙ্গী, পরম অস্তিত্ব পরমপিতার সন্তান সৎসঙ্গী ভাইবোন।
হিন্দু মুসলমানের পারস্পরিক এই সমস্যা চিরকাল ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। বাংলাদেশেও বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আর, এর জন্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি সবাই দায়ী। আর, যে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে সেখানে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। নিজেরা মারামারি ক'রে সবাই একদিন মরবে। প্রথমে এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়াই ক'রে মরবে, পরে যে সম্প্রদায় যেখানে থেকে যাবে এককভাবে সেখানে সেই সম্প্রদায়ের লোক নিজেদের মধ্যে মারামারি ক'রে অবশেষে মরবে। এর জন্যে কেউ কাউকে দায়ী করার আগে নিজের কোথায় কোথায় ত্রুটি ছিল, কোথায় কোথায় ভুল, কোথায় কোথায় অসম্পূর্ণতা ছিল তা' খুঁজে দেখে তা দূর করার দরকার, নিজেকে শুধরে নেবার দরকার।
পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এ সম্পর্কে পরিষ্কার সাবধান ক'রে দিয়ে বলেছেন, "তুমি ঠিক ঠিক জেনো যে তুমি তোমার নিজের, নিজ পরিবারের, দশের ও দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।"
তাই সৎসঙ্গীরা আগে নিজেদের শুধরে নিক সে হিন্দু হ'ক আর মুসলমান হ'ক আর যে যেই সম্প্রদায়ের হ'ক। ভুলে যাবেন না বাংলাদেশে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন চরম অপমানিত হয়েছেন ঠিক তেমনি শেখ মুজিবর রহমানও হয়েছেন। এদের একজন হিন্দু ছিলেন আর একজন ছিলেন মুসলমান। এছাড়াও বহু হিন্দুও যেমন অত্যাচারিত হয়েছে তেমনি বহু মুসলমানও অত্যাচারিত হয়েছে। আর, বর্তমান বাংলাদেশের ঘটনায় উভয়ের উপর অত্যাচারের মুখ মুসলমান। এরকম একই মুখ হিন্দুদেরও দেখা যায় আবার অন্যান্য সমস্ত দেশে দেশে অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও এরকম মুখ দেখা যায়।
তাই ভুলে যাবেন না আপনি একজন সৎসঙ্গী।
একজন সৎসঙ্গী হ'য়ে সৎসঙ্গীর মতন কথা বলুন।
ভুলে যাবেন না আপনি একজন সৎসঙ্গী, আপনি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শিষ্য। আপনি যদি সৎসঙ্গী পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করাতে চান তাহ'লে সৎসঙ্গীর মতন কথা বলুন। সৎসঙ্গীর মত আচরন করুন। আর যদি নিজেকে হিন্দু মনে করেন তাহ'লে হিন্দুর মত কথা বলুন। হিন্দুর মত আচরণ করুন। এটা মনে করবেন না হিন্দু অধ্যুষিত হলেই আপনি ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন, সন্ত্রাসমুক্ত ও অপরাধমুক্ত এলাকায় মুক্ত খোলা আকাশের তলায় অক্সিজেন ভরপুর সবুজায়নে থাকবেন। এর থেকে অজ্ঞানতা, মুর্খামি আর কিছুই নেই। আর এই অজ্ঞানতা, মুর্খামির ফল পেতেই হবে।
আমরা সৎসঙ্গীরা যেন ভুলে না যাই বা জানার যেন চেষ্টা করি যে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আমাদের কিরকম দেখতে চেয়েছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম 'সৎসঙ্গ' দেওয়ার পর বলেছিলেন, এটা আমার 'সৎসঙ্গ'। আর, তাঁর দীক্ষিত মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, এরা আমার সোনার সৎসঙ্গী। প্রায় ১০ কোটি লক্ষ্যে ছুটে চলা সৎসঙ্গীরা একথা হয় জানেই না, জানলেও ভুলে গেছে কিংবা বোঝেই না। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে আর তা' ব্যতিক্রম।
একজন সৎসঙ্গী হ'য়ে সৎসঙ্গীর মতন কথা বলুন।
ভুলে যাবেন না আপনি একজন সৎসঙ্গী, আপনি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শিষ্য। আপনি যদি সৎসঙ্গী পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করাতে চান তাহ'লে সৎসঙ্গীর মতন কথা বলুন। সৎসঙ্গীর মত আচরন করুন। আর যদি নিজেকে হিন্দু মনে করেন তাহ'লে হিন্দুর মত কথা বলুন। হিন্দুর মত আচরণ করুন। এটা মনে করবেন না হিন্দু অধ্যুষিত হলেই আপনি ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন, সন্ত্রাসমুক্ত ও অপরাধমুক্ত এলাকায় মুক্ত খোলা আকাশের তলায় অক্সিজেন ভরপুর সবুজায়নে থাকবেন। এর থেকে অজ্ঞানতা, মুর্খামি আর কিছুই নেই। আর এই অজ্ঞানতা, মুর্খামির ফল পেতেই হবে।
আমরা সৎসঙ্গীরা যেন ভুলে না যাই বা জানার যেন চেষ্টা করি যে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আমাদের কিরকম দেখতে চেয়েছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম 'সৎসঙ্গ' দেওয়ার পর বলেছিলেন, এটা আমার 'সৎসঙ্গ'। আর, তাঁর দীক্ষিত মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, এরা আমার সোনার সৎসঙ্গী। প্রায় ১০ কোটি লক্ষ্যে ছুটে চলা সৎসঙ্গীরা একথা হয় জানেই না, জানলেও ভুলে গেছে কিংবা বোঝেই না। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে আর তা' ব্যতিক্রম।
সৎসঙ্গী অর্থাৎ সৎ-এর সঙ্গী। সৎ অর্থাৎ অস্তিত্ব। অস্তিত্বের সঙ্গী সৎসঙ্গী। অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্বের সঙ্গী। যারই অস্তিত্ব আছে সেই সৎ। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ইত্যাদি পৃথিবীতে যত ধর্মমত আছে, আছে সম্প্রদায় সমস্ত ধর্মমতের, সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রায় মোট ৮০০ কোটি মানুষ সবারই অস্তিত্ব আছে, অস্তিত্ব রক্ষার ও বৃদ্ধি পাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাই সে যে যে ধর্মমতের হ'ক না কেন যে অস্তিত্বকে ভালোবাসে, যে অস্তিত্বের পূজারী, যে অস্তিত্বের পৃষ্ঠপোষক সে বা তারাই সৎসঙ্গী। আর যে সৎসঙ্গী অর্থাৎ অস্তিত্বের সঙ্গী সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম যে অস্তিত্ব, অস্তিত্বের যে কারণ, কারণের কারণ, পরম যে কারণ অর্থাৎ সেই পরম অস্তিত্ব, পরম কারণের পূজারী।
আর, সৎসঙ্গ হ'লো সমস্ত অস্তিত্বের মিলন স্থল। সৎ মানে অস্তিত্ব আর সঙ্গ মানে মিলন, মিলনের স্থল। তাই যে স্থানে সমস্ত অস্তিত্বের পূজারীরা মিলিত হয় সেই স্থানই সৎসঙ্গ। সেই স্থানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি পৃথিবীতে প্রায় ৫০০০ হাজার ধর্মমতের মানুষ আছে আর প্রত্যেকের অস্তিত্ব অর্থাৎ Existence আছে, তারা সবাই যে স্থানে, যে পতাকার তলায় সমবেত হয়, মিলিত হয় সেই স্থানই সৎসঙ্গ আর সবাই মিলিত হয় এক ও অদ্বিতীয়ের আহ্বানে।
তাই প্রথমে আমি অস্তিত্বের পূজারী তাই প্রথমে আমি সৎসঙ্গী তারপরে আমি হিন্দু, বা মুসলমান বা খ্রীষ্টান ইত্যাদি ৫০০০ ধর্মমতের বা সম্প্রদায়ের। তাই আমি, আমরা হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ইত্যাদি প্রতিটি মানুষ ৮০০ কোটি মানুষ নিজের নিজের ধর্মমত বা সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও অস্তিত্বকে ধ'রে রাখার কারণে, অস্তিত্বকে রক্ষা করা ও বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবার কারণেই আমরা প্রত্যেকেই সৎসঙ্গী।
আর, সূর্যকে কেন্দ্র ক'রে যেমন গ্রহরা নিজের নিজের অরবিটে সুশৃংখল ও স্বাধীনভাবে স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে ঘোরে ঠিক তেমনি আমরাও পুরুষোত্তমকে কেন্দ্র ক'রে স্বাধীনভাবে সুশৃংখল ভাবে সমস্ত জাতের, সমস্ত বর্ণের, সমস্ত ধর্মমতের ৮০০ কোটি মানুষ নিজের নিজের ধর্মমতকে বজায় রেখেই, পালন করেই, কনভারশানের মত ঘৃণ্য পথ অবলম্বন না করেই আমরা সবাই বাঁচা ও বাড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারি প্রত্যেকে প্রত্যেকের হাত ধ'রে ঈশ্বর, আল্লা বা গড-এর সাকার রূপ সদ্গুরু, পরমপুরুষ, পুরুষোত্তম, পরমপিতা, সৃষ্টিকর্তা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকএর সর্বশেষ রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে জীবনের কেন্দ্রে রেখে রচনা করতে পারি স্বর্গ। এইজন্যে কোনও ধর্মমত বা কোনও পুরুষোত্তমকে ত্যাগ করতে হয় না। যে প্রকৃতই অস্তিত্বের পূজারী সে অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরমঅস্তিত্বের পূজারী, যে প্রকৃতই অস্তিত্বকে ভালোবাসে সে পরম অস্তিত্বের যুগানুযায়ী প্রতিটি পরম অতিত্বের রূপকে ভালোবাসবেই বাসবে। কারণ আমি হিন্দু আমার মধ্যে যিনি আছেন সেই 'তিনি' মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি পৃথিবীর ৮০০কোটি মানুষের বুকের মধ্যে আছেন। আমরা সবাই সেই এক ও অদ্বিতীয় পরমপিতার সন্তান। আমরা প্রত্যেকেই সেই আত্মার আত্মা পরমাত্মার থেকে এসেছি। সেই তিনি পরময়াত্মা প্রাণ স্বরূপ আমার তোমার সবার মধ্যে বিরাজমান। আবার তিনিই মানুষ রূপে যুগে যুগে আসেন বারবার আমাদের মাঝে যখনই তাঁর ভাব ম্লান হ'য়ে যায়, উবে যাবার মতন হয় তখনি তিনি ঈশী স্পর্শে আবার সবাইকে সঞ্জীবিত ক'রে তুলবার জন্য।
এবার তাই তিনি সেই একজনই শ্রীশ্রীঠাকুর অন্নুকূলচন্দ্র রূপে এসে আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গী আখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আমরা যে যে ধর্মমতের হ'ই না কেন, যাঁরই অনুগামী হ'ই না কেন আমরা সেই একজন পরম অস্তিত্ব রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ-এর অস্তিত্বের সঙ্গী।
তাই, আমরা সবাই, সব ধর্মমতের সবাই সৎসঙ্গী, পরম অস্তিত্ব পরমপিতার সন্তান সৎসঙ্গী ভাইবোন।
No comments:
Post a Comment