হে ছাত্র সমাজ,
লড়াই, আন্দোলন হ'ক,
লড়াইটা হ'ক আগে নিজের সঙ্গে নিজের আমার।
লড়াই হ'ক, আন্দোলন হ'ক,
লড়াইটা হ'ক আগে
নিজের নীচ, নোংরা চরিত্রের বিরুদ্ধে নিজের আমার।
লড়াইটা হ'ক নিজের ঘৃণ্য চরিত্রকে ঘৃণা করার।
লড়াইটা হ'ক হিংসাকে হিংসা করার।
লড়াইটা জাত নিয়ে নয়, ভাত নিয়েও নয়,
লড়াইটা বজ্জাতদের বজ্জাতি নিয়ে হ'ক।
লড়াইটা ক্ষমতা দখল নিয়ে, বদল নিয়ে নয়,
লড়াইটা হ'ক নীতিকথার মুখোশের আড়ালে
ক্ষমতা লোভীদের মুখোস খুলে দিতে।
লড়াইটা হ'ক নাগিনীদের বিষাক্ত নিশ্বাসের বিরুদ্ধে
অসহায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বাঁচাতে।
লড়াইটা বাবরি নিয়ে নয়, চাকরী নিয়েও নয়,
লড়াইটা ধর্ম ও রাজনীতি বেওসায়ীদের
নোংরা বেওসা নিয়ে হ'ক।
লড়াইটা দীক্ষা নিয়ে নয়, শিক্ষা নিয়েও নয়,
লড়াইটা দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য হ'ক,
হ'ক এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
লড়াইটা অস্ত্র নিয়ে নয়, বস্ত্র নিয়েও নয়,
লড়াইটা হ'ক ভুল ও ত্রস্ত শাস্ত্র নিয়ে।
লড়াইটা শশ্মান কবরস্থান নিয়ে নয়,
বাসস্থান নিয়েও নয়।
লড়াইটা হ'ক শ্রদ্ধার মাথায় শিরস্ত্রাণ পরানো নিয়ে।
লড়াই গোস্ত নিয়ে নয়, স্বাস্থ্য নিয়েও নয়,
লড়াইটা ফেরেস্তার অপমান নিয়ে হ'ক।
লড়াইটা মন্দির নিয়ে নয়, মসজিদ নিয়ে নয়,
নয় জাতপাত সম্প্রদায় নিয়েও!
লড়াইটা শ্রেষ্ঠজনের সম্মান, মর্যাদা রক্ষার্থে
মন মন্দির গড়া নিয়ে হ'ক।
লড়াইটা হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে নয়,
লড়াইটা হ'ক জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তমের প্রতিষ্ঠা নিয়ে।
লড়াইটা রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু কিংবা
মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ, অনুকূল নিয়ে নয়।
লড়াইটা হ'ক তিনি জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তম আর
তিনি যে একজনই আসেন বারবার
ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য অধর্মকে খতম করতে
আর, দুষ্কৃতীদের হাত থেকে সাধুদের রক্ষা করতে
এই জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বময় করতে দূর অন্ধকার।
লড়াইটা হ'ক অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করার।
লড়াইটা হ'ক উচ্ছৃঙ্খল বৃত্তি-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে,
রিপু তাড়িত অস্থির উত্তপ্ত বিশৃঙ্খল জীবনের বিরুদ্ধে;
লড়াইটা হ'ক নিজের সঙ্গে নিজের আমার;
হে ছাত্র সমাজ।
( রচনা ৭ই আগষ্ট'২৪)
No comments:
Post a Comment