ঠিক এরকম একটা আনন্দের সময়ও সেই রাজনীতি আর কুৎসাকে টেনে আনতে হ'লো! ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা ক'রে এক বাঙ্গালীর প্রতিবেদন চোখে পড়লো। একজন বাঙ্গালী সমালোচককে প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর ইসরো গঠনের দূরদর্শিতার প্রমাণ দিতে গিয়ে ও প্রশংসা করতে গিয়ে আর একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুৎসা করতে হ'লো! দু'জনেই তো দেশের প্রধানমন্ত্রী আর সমালোচকও এই দেশেরই নাগরিক! সমালোচক যার প্রশংসা করলেন তার অনুগামীরা সমালোচককে বাহবা দেবে আর যার নিন্দা, কুৎসা, অপমান, অশ্রদ্ধা করলেন তার অনুগামীরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অসম্মান ও অপমানজনক কুৎসা প্রচারের জন্য কি সমালোচককে বাহবা দেবে? আজকের এই সফলতা আর আনন্দের দিনেও এই ব্যবহার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলেন না সমালোচকরা? আজকের দিনেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে হ'লো? এই যে ইসরো আজ এতবড় সাফল্য অর্জন করলো এই সাফল্য অর্জন করার পিছনে দেশের বর্তমান সরকারের কোনও অবদান নেই!? সবটাই ইসরোর? সবটাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর? বিজ্ঞান সাধনাকে যদি বর্তমান সরকার মদদ না দিতো, উৎসাহ না দিতো তাহ'লে ইসরো এগোতে পারতো? কাজ করতে পারতো? গত চন্দ্রযান ২ মিশন ব্যর্থতার সময় যখন ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তখন সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইসরোর কন্ট্রোলরুমে নরেন্দ্র মোদী্র বুকে কান্নায় ভেঙে পড়া ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভানকে তিনি আশ্বাস দিয়ে সেদিন বলেছিলেন, "এটা জীবনের উত্থান, পতন। কম কৃতিত্ব নয় এটা। আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি । আপনারা সবাই দেশ, বিজ্ঞান ও মানুষের জন্য দারুণ কাজ করেছেন। আমি সবরকমভাবে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। এগিয়ে চলুন সাহসের সঙ্গে।"
সেদিনের কথা রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীজী। তিনি যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিতেন তাহ'লে এৎ অল্প সময় ৪ বছরের মধ্যেই এই আশ্চর্য সফলতা কি সম্ভব হ'তো? হে সমালোচক! আপনার চোখ সমালোচনার বিষ বাস্পে ঝাপসা হ'য়ে আছে আপনি বুঝতে পারবেন না বা দেখতে পারবেন না আপনার ঘোলা ঘিলু আর সমালোচনার ঘোলা চোখে এই উত্থান।
আর, এই ঈশ্বর আরাধনা আর বিজ্ঞানের মহামিলনও ভালো লাগেনি ঈশ্বর ও ধর্ম্ম অবিশ্বাসীদের। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদেরও এক হাত নিয়েছেন। ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচিত দেশের ভালোমন্দের ভার তো এদের হাতে আছেই সঙ্গে এই সবজান্তা সমালোচকদের হাতে ইসরোর দায়িত্বও ছেড়ে দেওয়া।
২০১৯-এর পর ৪ বছর যেতে না যেতেই ২০২৩-এ এই সাফল্য! সেদিন ব্যর্থতার সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? আর আজ ৪বছর পরে কে প্রধানমন্ত্রী?
সমালোচকের মহামূল্যবান কথাঃ "বেচারী মোদীজি সাব্। অশিক্ষিত, অকর্মণ্য, ফ্যাসিস্ট, হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠা করতে না পারা, দেশের সম্পত্তি বেচে খাওয়া প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।"
আজকের আনন্দের দিনেও সমালোচক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চরম অপমান ক'রে ব্যঙ্গ ক'রে আরও বললেন "তাঁকে অসম্মান করাটা অনুচিত, কারণ, সেই সংবিধানই অপদার্থকেও প্রধানমন্ত্রী কোথাও বা মূখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেয়। আপনি এও লিখলেন "এই জন্যই দেশের অভিভাবক'কে শিক্ষিত হওয়া দরকার যারা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পথ দেখাতে পারবে।"
আপনাকে আমাদের এই আনন্দের দিনে একজন নাগরিক হিসেবে জিজ্ঞাস্য।
১) আপনি দেশে শিক্ষিত অভিভাবকের প্রয়োজনের কথা বলেছেন সেই শিক্ষিত অভিভাবক কে?
২) কে সেই শিক্ষিত অভিভাবক যার আপনার মত অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করার কোনও সমালোচক দেশবাসী নেই?
৩) সব দলের সবাই তো একে অপরকে এই আনন্দের দিনেও আপনার কাঁকড়া মানসিকতার মতো নির্লজ্জভাবে পিছনে টেনে চলেছে, আক্রমণ ক'রে চলেছে।
৪) তা কোন দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পথ দেখাবে সেই শিক্ষিত অভিভাবক? আপনাদের মতো দেশবাসীদের নিয়ে?
৫) কে সেই শিক্ষিত অভিভাবক? আপনি ও আপনারা?
৬) বুক ভরা হিংসা দিয়ে কি ভারতের বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষার উৎকর্ষতাকে উদযাপন করা যায়?
৭) প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করাটা অনুচিত ব'লে ব্যঙ্গ ক'রে তাঁকে অপদার্থ আখ্যা দিয়ে নিজেকে কি পদার্থ ব'লে প্রমাণ করলেন? প্রধানমন্ত্রী না হয় অপদার্থ আপনি? আপনার এই ভাষা সভ্য জগতের মূল্যবান রত্ন পদার্থের ভাষা? নিজেকে নিজের ছোট করা কি নয় এই মানসিকতা?
যাই হ'ক, আনন্দই হ'ক আর নিরানন্দের দিনই হ'ক আমাদের সমালোচনা, কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি, অশ্রদ্ধা, অপমান করার ঘৃণ্য স্বভাব যাবে না ম'লে। আজকের দিনেও মুখ দিয়ে গু বের করতে হ'লো! আর বাঙ্গালী এতে সিদ্ধহস্ত।-
( রচনাঃ ২৪শে আগষ্ট' ২০২৩)
No comments:
Post a Comment