শ্রী প্রফুল্ল কুমার দাসদা এই কথাগুলি 'আলোচনা প্রসঙ্গ'-র মধ্যে লিখেছেন? তিনি ঠাকুরের নারায়ণী কেরানী ছিলেন। তিনি ঠাকুরের সমস্ত কথা আলোচনা প্রসঙ্গে ধ'রে রাখার জন্য স্বয়ং ঠাকুরের দ্বারা নিযুক্ত হ'য়েছিলেন। তাহ'লে এই কথাগুলি তিনি নিশ্চয়ই আলোচনা প্রসঙ্গের ২৩ খন্ডের কোনও না কোনও খন্ডে তুলে ধরেছেন? সমস্ত কিছুই তাঁর ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ থাকতো। আর সেই ডায়েরি থেকেই ধীরে ধীরে ঠাকুর থাকতেই ছাপিয়ে বের হয়েছে ঠাকুরের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে শ্রীশ্রীবড়দার তত্ত্বাবধানে 'আলোচনা প্রসঙ্গে' খন্ডের পর খন্ড 'সৎসঙ্গ প্রকাশনার' দ্বারা। আপনারা তো গবেষণা করেন, আর গবেষণা করেন কোনও একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই। খুব সুকৌশলে একটা বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান আপনাদের পেজের মাধ্যমে পরম বন্ধু সেজে আফজল খাঁর মত আস্তিনের তলায় খঞ্জর লুকিয়ে রেখে। স্লো পয়েজন করতে চান স্টাডি না করা সৎসঙ্গীদের। এর আগেও আপনাদের লেখা চোখে পড়েছে। শ্রীশ্রীবড়দাকে নিয়েও লেখা চোখে পড়েছে। যখন যা চোখে পড়েছে আর মনে প্রশ্ন জেগেছে তখনই জানতে চেয়ে আপনাদের কমেন্ট করেছি। কিনতি কোনোবারই উত্তর পাইনি। এবারও এই বিষয়ের উপর জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। তাই এই খোলা চিঠি।
আলোচনা প্রসঙ্গের ২৩ খন্ডে প্রফুল্লদা যদি এই বিষয়ে লিখে গিয়ে থাকেন দয়া ক'রে তার রেফারেন্স সহ তুলে ধরলে সত্যি সত্যিই উপকৃত হ'ই। কথাগুলি তো ঠাকুরেরই। তাড়াতাড়ি আলোচনা প্রসঙ্গের কোন হন্ডে আছে রেফারেন্স পেলে তাড়াতাড়ি খুঁজে পাবো। সংশয়, দ্বিধাদ্বন্ধ কেটে যাবে। আর যদি 'আলোচনা প্রসঙ্গে'-র কোনও খন্ডে থেকে থাকে তাহ'লে এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলি তিনি কেন আলাদা ক'রে 'স্মৃতি তীর্থে' গ্রন্থে লিখে রেখে গেলেন? কি দরকার ছিল তার আলাদা ক'রে কথাগুলি লিখে যাওয়ার? নাকি আলোচনা প্রসেঙ্গের খন্ডে খন্ডেও আছে আবার 'স্মৃতি তীর্থে'ও আছে? আর কখন লিখেছেন স্মৃতি থেকে বের ক'রে 'স্মৃতি তীর্থে'? ১৯৯১ সালে প্রথম প্রকাশ হয় এই গ্রন্থের। তখনও তো শ্রীশ্রীবড়দা বেঁচে ছিলেন। তিনি কি এই গ্রন্থ শ্রীশ্রীবড়দাকে দেখিয়েছিলেন? ঠাকুরের এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটা শ্রীশ্রীবড়দা জানতেন? তাঁর এই গ্রন্থ তপোবন প্রকাশন থেকে কেন প্রকাশ হ'লো? এত অমূল্য গ্রন্থ কেন সৎসঙ্গ প্রকাশন থেকে প্রকাশ হ'লো না? এই গ্রন্থের সমস্ত কথাগুলি কখন শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন? আলোচনা প্রসঙ্গের ২৩ খন্ডে কি স্মৃতি তীর্থে'-বলা কথাগুলি স্থান পেয়েছে? না পেলে কেন পায়নি? কে দেবে উত্তর? শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রফুল্লদা তো এখন বেঁচে নেই। তাহ'লে কেন, কি উদ্দেশ্যে তিনি শেষ বয়সে এই কথাগুলি লিখলেন? এই কথাগুলি লিখে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?
সমঝদার কে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়, তাই না বন্ধু (সাত্বত কথা)?
( লেখা ১৫ই আগষ্ট'২৩_
No comments:
Post a Comment