এরকম কয়েকটা বিরাশী সিক্কার সপাটে থাপ্পড় আবার দরকার তাদের জন্য যারা শ্রীশ্রীবড়দাকে ও বড়দার পরিবারকে অশ্রদ্ধা, অপমান, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, সমালোচনা করেছে ও ক'রে চলেছে উত্তরাধিকার সূত্রে সেই শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর থেকে অদ্যাবধি। কিন্তু মারবে কে? সেই শিক্ষা তো শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীদাদা দিয়ে যাননি ও বর্তমান আচার্যদেবও তা কখনো দেননি, দেননা। তাই বিরাশী সিক্কার থাপ্পড়ের ভার পরম দয়ালের হাতেই থাকুক। শুধু দুঃখ হয় যাদের জন্য শ্রীশ্রীবড়দা এত কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েছিলেন তারা সবাই সেদিন সৎসঙ্গী(?) ছিল ও বর্তমানে আছে!!!!! যদি এত কষ্ট, যন্ত্রণা না পেতেন তাহ'লে তিনি আরো বহুদিন আমাদের মাঝে থাকতেন। শ্রীশ্রীরাঙা মা একবার আমাকে বলেছিলেন, "তোদের বড়দা আরও অনেকদিন থাকতো যদি এত নিদারুণ কষ্ট, যন্ত্রণা না পেতেন।" সেই কষ্ট, যন্ত্রণার ট্রাডিশান এখনো সমানে চলেছে ব'য়ে চলেছে অপমানকারীদের উত্তরসূরীদের দ্বারা বংশপরম্পরায় শ্রীশ্রীবড়দার পরিবারের প্রতি।
আর, এই পোষ্টের এখন আর কোনও মূল্য নেই। মূল কেন্দ্রের কোটি কোটি সৎসঙ্গী শ্রীশ্রীবড়দাকে তাদের আদরের বড়ভাই ও শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রধান ও পরম ভক্ত ব'লেই জানে। সেই শিক্ষা সৎসঙ্গীরা পেয়ে গেছে। এছাড়া শ্রীশ্রীঠাকুর ছাড়া ঠাকুর যে আর কেউ নয় এটা অতি মূর্খও এখন জানে; প্রচারকারী ষড়যন্ত্রীরা এখন আর সফল হয় না তাদের উদ্দেশ্যমূলক নোংরা বিষাক্ত প্রচারে।
আর সেদিন ঐ ভক্তকে থাপ্পড় মারার পিছনেও কারণ ছিল। শ্রীশ্রীবড়দার বারবার বারণ করা ও বিরক্ত হওয়া সত্ত্বেও যখন সে বারণ শোনেনি উপরন্ত লক্ষ লক্ষ সৎসঙ্গীদের মাঝে ঐ ফেস্টুন লাগিয়ে এনেছিলেন তা কি প্রমাণ করে? প্রমাণ করে না কি তার পিছনে ভালোবাসার নামে ছিল ঐ গুরুভাইয়ের বদ উদ্দেশ্য ও চক্রান্ত? সে ইচ্ছে করেই পরিকল্পনামাফিক সর্বসমক্ষে শ্রীশ্রীবড়দাকে হেয় করার জন্য, ছোটো করার জন্য, অপদস্ত, অপমান, বদনাম করার জন্যেই ঐ ভালোবাসার নাটক রচনা করার চক্রান্ত করেছিল যে নাটক শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ও প্রধান ভক্ত দূরদৃষ্টির অধিকারী অন্তর্যামী শ্রীশ্রীবড়দার সতর্ক চোখ এড়ায়নি। তিনি ধ'রে ফেলেছিলেন সেই ভক্তের নোংরা বিষাক্ত চক্রান্ত।
আর, আজও সেই শ্রীশ্রীবড়দাকে ভালোবাসার নামে একই নাটকের ট্রাডিশান ব'য়ে চলেছে। মূল কেন্দ্রের বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গীদের এখন আর কাউকে শেখাতে হয় না, 'ঠাকুর কেউ হ'তে পারে না আর শ্রীশ্রীবড়দা কে?' শেখাবার জন্য আমাদের শ্রীশ্রীআচার্যদেব আছেন, আছে আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরা। আর কাউকে দরকার নেই। 'সাত্বত কথা'-র এই পোষ্টের নোতুন ক'রে কোনও প্রয়োজন নেই।
কি বলেন সৎসঙ্গীরা?
( লেখা ২৬শে জুলাই;' ২০২৩)
_______________________________________________________
ফেসবুকে 'সাত্বত কথা' পেজে প্রকাশিত।
তারিখঃ ২৬শে জুলাই' ২০২৩
ঠাকুর কেউ হতে পারে না। ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
নাটমণ্ডপে বসে বিভিন্ন মানুষের সাথে তাঁর কথোপকথন, উপদেশ -নির্দেশগুলো শুনতাম। এগুলো থেকে পরবর্তীকালে বুঝতে পেরেছি তাঁর দূরদর্শিতা ছিল কত গভীর, প্রতিভা কত বহুমুখী।...তাঁর প্রবল ক্রোধের প্রকটও নিজের চোখে দেখেছি অনেকবার। একবারের ঘটনা, এক বহু চর্চিত গুরুভাই ফিল্ডে নানা ভাবে শ্রীশ্রীবড়দার মাহাত্ম্য প্রচার করা শুরু করেন। তাতে তিনি বেশ বিরক্ত ছিলেন, তাকে ডেকে কয়েকবার বারণও করেছিলেন। সেই গুরুভাই বারণ তো শোনেনই নি, উল্টে একবার উৎসবে আগত গুরুভাইদের জন্য যে বাস নিয়ে এসেছিলেন, সেই বাসে টাঙানো কাপড়ের ফেস্টুনে একজায়গায় লিখিয়েছিলেন ‘শ্রীশ্রীঠাকুর অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী'। খবরটা বড়দার কানে গেল। কি প্রচণ্ড রেগে গেছিলেন সেটা একটু পরেই বুঝতে পারলাম। নাটমণ্ডপ থেকে উঠে বাড়ি যাওয়ার সময় জেনারেটর ঘরের সামনে রাস্তায় সেই গুরুভাই সামনাসামনি হতেই সপাটে কয়েকটা থাপ্পড়। রাগে হাঁফাতে হাঁফাতে বলেছিলেন— "আমার ওপর খুব ভক্তি দেখাচ্ছিস, ঠাকুর কেউ হতে পারে না, ঠাকুর একজনই, এটাই যদি না বুঝলি তবে তুই কিসের সৎসঙ্গী?"
শ্রীগুরুদেবন মিত্র
আলোচনা পত্রিকা, আষাঢ় ১৪২৯
No comments:
Post a Comment