Powered By Blogger

Sunday, December 31, 2023

দূর্গাপূজা ২০২৩ঃ পঞ্চমীর নিবেদন।

এই ভিডিও তৈরীর রূপকার ভিডিও দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ঠান্ডা মাথায় ভিডিওর বিষয় ভাবতে ও নকল ডিম খাওয়ার হাত থেকে সাবধান থাকতে। ভিডিওকারীকে ধন্যবাদ এই ভিডিও দেখানো ও সাবধান করার জন্য।

এই ভিডিও রূপকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি তাঁকে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে বলি, কোন জিনিস আর বাকী আছে নকল বানানোর? সত্যি মিথ্যে কিনা জানি না চাল, ডাল, তেল, মাংস, বাঁধাকপি, দুধ, ছানা, পনির ইত্যাদি ইত্যাদি সব জিনিস নকল বানানো হচ্ছে দেখা যায় আপনার মতো করা ভিডিওতে। যে কেউ এইসব ভিডিও দেখতে পায় নেট সার্চ করলেই।

তাই নকল ডিম তৈরী এ আর এমন আশ্চর্যের কি? মানুষ নকল তৈরী ক'রে ফেলছে বিজ্ঞানীরা ক্লোন পদ্ধতিতে। পুরুষের পশ্চাদ্দেশে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি আবিস্কারে রত বিজ্ঞানীরা! মানুষের সব কাজ এমনকি মানুষের অসাধ্য কাজও ক'রে ফেলবে এমন উন্নত প্রায় মানুষ এমন নকল রোবট মানুষ তৈরী ক'রে ফেলেছে মানুষ। একশভাগ পুরোপুরি যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ তৈরী ক'রে ফেলেছে একেবারে নিখুঁত উন্নত প্রচন্ড অনুভূতি সম্পন্ন পুতুল নারীপুরুষ! তাও নেট সার্চ করলেই দেখা যায়। সেখানে নকল ডিম এ আর এমন কি কথা?

যাই হ'ক, এই নকল ডিম তৈরীর ভিডিও এখানে তুলে ধরলাম পঞ্চমীর সকালে কারণ হাজার হাজার পুজো প্যান্ডেলে লক্ষ লক্ষ ডিম বিক্রি হবে পুজোর এই কয়দিন। যদিও শুরু হ'য়ে গেছে পথেঘাটে বিক্রি ডিমের নানা রেসিপি নিত্যদিনের মতো; তবে ডিম বিক্রি হবে নিত্যদিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশী। কারণ এই কয়দিন পথে হাজার লক্ষ লোকের ঢল।

তাই, আমার আবেদন ভিডিও মেকারদের কাছে এই ভিডিও মানুষের কাছে পাঠানোর সাথে সাথে এই সমস্ত তথ্য সঙ্গে যেখানে তৈরী হচ্ছে এই ডিম সেই ছবি ও সেখানকার ঠিকানা পাঠিয়ে দিন না সরকার, পুলিশ প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন, কোর্ট ইত্যাদি জায়গায় যেখানে এর প্রতিকার হ'লেও হ'তে পারে। সরকারী ভাবে সাবধান করছে না কেন জনসাধারণকে সচেতন করতে সরকার? কেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সংবাদ মাধ্যম টিভিতে, কাগজে, হাটেবাজারে, মাঠেঘাটে প্রচার করছে না এই ভয়ংকর কর্মকান্ড সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে? কতক্ষণ লাগে এগুলি বন্ধ করতে? সাধারণ মানুষের কি ক্ষমতা আছে মাফিয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার? ডিম তৈরীর যে প্রক্রিয়া দেখাচ্ছেন সেটা যেখান থেকে ভিডিও করেছেন সেই জায়গা ও কারখানার ছবি এবং লোকজনের ছবি এবং যারা জড়িত তাদের ছবি ফাঁস করুন না প্রকাশ্যে। তুলে দিন তথ্যপ্রমাণ অপরাধ দমন শাখার হাতে। এইসব ভিডিও ক'রে এখনও পর্যন্ত 3.1k লাইক ও 1.1k শেয়ার হ'য়ে কি লাভ হয়েছে? এই অপরাধ বন্ধ হয়েছে? মানুষ সচেতন হয়েছে? মানুষের পক্ষে সম্ভব তফাৎ ধরতে পারা? যেটা সহজ সরকারী কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে এই মারণযজ্ঞের জন্য মৃত্যুদন্ড দেওয়া তা না ক'রে গোড়া কেটে আগায় জল দিয়ে কি হবে? যত্তসব লোকদেখানো বকোয়াস।

কার দোষ? অসৎ ব্যবসায়ীদের? জনগণের? সংবাদ পরিবেষণ কারীর? সংবাদ মাধ্যমের? জনপ্রতিনিধির? রাজনৈতিক দলের? পুলিশ প্রশাসনের? অপরাধ দমন শাখার? নাকি সরকার ও সামাজিক সুরক্ষা যোজনা বিভাগ? অপরাধ দমন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও আধিকারিক? খাদ্য দপ্তর? কে? কে দায়ী? কার দায়িত্ব এই খাদ্যে ভেজাল যা মৃত্যুদন্ডনীয় অপরাধ সেই অপরাধের ভয়ংকর ক্ষতি থেকে সাধারণ গরীব জনগণকে বাঁচাবার? কেউ আছে? কেউ নেই। এ তোমার আমার ভাগ্য। যা কিছু কষ্ট, যা কিছু যন্ত্রণা সব ভাগ্যদোষে। ভাগ্যদোষে আজ আমাদের এই অবস্থা।

তবে হ্যাঁ উপায় একটা আছে। আছে বাঁচার উপায়। হয় খেয়ো না এইসমস্ত পথেঘাটে, হোটেলে রেষ্টুরেন্টে খাবার (এই কিছুদিন আগেও দেখেছো রেষ্টুরেন্টে, হোটলে ভাগারের সব জীবের মাংসের কারবার। বিচার কি হয়েছে? কিছু হয়েছে? হয়নি)।

নতুবা খাও, বিন্দাস খাও, আনন্দে খাও, খেতে খেতে চারপাশের পুজোর ঝাঁ চকচকে সিচুয়েশন এনজয় করো। আর খেয়ে বিপদে পড়লেই চলে যাও ধর্মজগতে। সেখানে আছে বাঁচার উপায়। তা হ'লো ধর্ম, ঈশ্বর, ভগবান তথা হাজারো দেবদেবীর মন্দির, পুজোপাট নানা ধর্মীয় আচরণ।

খেয়ে বিপদে পড়লেই চলে যাও কোনও মন্দিরে। চড়াও ভোগ। যজ্ঞ, পুজোপাট-এর আয়োজন করো। চলে যাও কোনও সাধুবাবা, বাবাজী, মাতাজী, ধর্মাত্মার কাছে। ধর্মকথা শোনো। শোনো প্রবচন। এ তোমার কর্মফল। এ তোমার পাপের বিচার। দুধ, ঘি খাওয়াতে হবে না শিশুদের পরিবর্তে দুধ, ঘি, ফুল, বেলপাতা, চন্দন চড়াও দেবতার মাথার ওপর। এ তোমার গ্রহের ফের। আকাশের ভগবান ও গ্রহ দেবতাদের সন্তুষ্ট করো। নানা রঙের পাথর ও আংটি, তাবিজ, মাদুলি, লাল সুতো কালো সুতো, লোহা ধারণ করো হাতে ও কোমরে। ধূপ ধুনো ইত্যাদি ইত্যাদি নানারকম দ্রব্য ঘরে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সেই ধোঁয়ায় বাস্তু দোষ খন্ডন করো, অশুভ আত্মা তাড়াও। বিশ্বজুড়ে ধর্মজগতে আরও অনেক অনেক নানা বিভিন্ন উপায় আছে। সেগুলি জেনে নাও। পাগলের মতো, উন্মাদের মতো, অন্ধের মতো সেগুলি অনুসরণ করো। অভীষ্ট ফল পাবেই। মনোকামনা, বাসনা পূর্ণ হবেই সেইসব কর্মকান্ডের চমৎকারিত্বে। শরীর, মন সুস্থ হ'য়ে যাবে। খাদ্যে ভেজালের মধ্যে দিয়ে শরীরের নষ্ট হ'য়ে যাওয়া লিভার, কিডনি ইত্যাদি অঙ্গ সব ভালো হয়ে যাবে ধর্মজগতের আঙিনায় ধর্মীয় জগতের মানুষের কল্যানে, তাঁদের কর্মকান্ডের ও আকাশের ঈশ্বর, অমূর্ত ও বোবা ভগবান ইত্যাদির চরণপূজার অলৌকিক চমৎকারিত্বে। রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধিবিপর্যয় ও দরিদ্রতা থেকে মিলবে নিশ্চিত মুক্তি। কোনও চিন্তা নেই। মা এসেছেন! মায়ের কাছে প্রার্থনা করো, আবেদন করো, সমস্ত বিপদ থেকে মা দশ হাতে রক্ষা করবেন, উদ্ধার করবেন তোমাদের। মাভৈ!!!!!!!!!

এছাড়া জানি না আর কোনও পন্থা আছে কিনা খাদ্যে ভেজালকারী মাফিয়াদের হাত থেকে বাঁচার।

No comments:

Post a Comment