কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি বিল তিন ধরনের বাজার সৃষ্টি করলো।
১) মান্ডি ( কিষাণ মান্ডি বা কৃষক বাজার, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ফসল কেনাবেচা করতে পারে। এমন একটা বাজার যেখানে ফড়েরা ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে দৌরাত্ম করতে পারে না। এর ফলে চাষিরা হয় স্বাবলম্বী ও ফসলের ন্যায্য দর পায় এবং ক্রেতারাও ন্যায্য মূল্যে ফসল কিনতে পারে ফড়েদের এড়িয়ে।)
২) চুক্তি চাষ ( এই কৃষি বিল আইনেই চুক্তি চাষের কথা বলা হয়েছে। আইনে কী ভাবে কৃষক ও ক্রেতার মধ্যে চুক্তি হবে তার একটা রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কৃষকরা চুক্তি মেনে চাষ শুরু করার আগেই ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে দাম নির্ধারণ করবে। কী ভাবে সরবরাহ করা হবে, গুণমান ইত্যাদির কথা থাকবে সেই চুক্তিতে। ওই চুক্তির ভিত্তিতেই দু’পক্ষ লেনদেন করতে বাধ্য থাকবে।) ও
৩) মান্ডির বাইরের বাজার। ( মান্ডি অর্থাৎ কৃষক বাজার থাকছে কিন্তু কৃষকের দায় থাকবে না তার পণ্যকে মান্ডিতেই অর্থাৎ কৃষক বাজারেই বিক্রি করার। কৃষি পণ্য চলাচলের উপর রাজ্যের আর কোনও অধিকার থাকবে না। মান্ডির বাইরে কৃষিপণ্য লেনদেনের উপর কোনও সেস বা কর বসানোর অধিকারও আর থাকবে না রাজ্যগুলির।)
মান্ডি তৈরি হয়েছিল ফড়েরা যাতে কৃষকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে না পারে। বিক্রেতা অর্থাৎ কৃষক আর ক্রেতার মাঝে বাধা হ'য়ে দাঁড়াতে না পারে। কৃষকদের বাধ্য করতে না পারে যাতে ফসল সরাসরি বিক্রেতাকে বিক্রি না ক'রে ফড়ের মাধ্যমে বিক্রি করে। প্রশ্ন জাগেঃ
১) কিন্তু তা কি বাস্তবে সত্যি সত্যিই পুরণ হয়েছিল?
২) নানান আইন থাকা সত্ত্বেও কি ফড়েরা ছোটো কৃষকদের শিকার
করেনি?
২) কিন্তু এই বিল কি এই গ্যারান্টি দিতে পারবে যে কোনও অবস্থাতেই
ফড়েরা ছোটো চাষিদের ভবিষ্যতে বাধ্য করতে পারবে না? শিকার
করতে পারবে না?
৩) আর যদি কোনভাবে ফড়েরাই সেই দিনের শেষে ছোট চাষীদের ব্ল্যাক
মেল করার মূল কারিগর হ'য়ে ওঠে, সমস্ত কিছুর মূল নিয়ন্ত্রক হ'য়ে
ওঠে তাহ'লে সেই ছোটো চাষিদের রক্ষার জন্য সরকার ঢাল হ'য়ে
দাঁড়িয়ে ফড়েদের কঠোর কঠিন নির্মম সাজা দিতে পারবে তো?
৪) এর জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি?
৫) বড় ধনী কৃষকরাই ছোটো কৃষকদের গিলে খাবের জন্য পরোক্ষে ফড়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবে না তো?
স্বাধীনতার ৭৩ বছর ধ'রে যে গাদ্দা জমে আছে দেশের ট্যাঙ্কিতে তা সাফ হওয়ার নয়।
গাদ্দা! গাদ্দা!! বহুত গাদ্দা!!!
(লেখা ১০ই অক্টোবর'২০২০)
১) মান্ডি ( কিষাণ মান্ডি বা কৃষক বাজার, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ফসল কেনাবেচা করতে পারে। এমন একটা বাজার যেখানে ফড়েরা ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে দৌরাত্ম করতে পারে না। এর ফলে চাষিরা হয় স্বাবলম্বী ও ফসলের ন্যায্য দর পায় এবং ক্রেতারাও ন্যায্য মূল্যে ফসল কিনতে পারে ফড়েদের এড়িয়ে।)
২) চুক্তি চাষ ( এই কৃষি বিল আইনেই চুক্তি চাষের কথা বলা হয়েছে। আইনে কী ভাবে কৃষক ও ক্রেতার মধ্যে চুক্তি হবে তার একটা রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কৃষকরা চুক্তি মেনে চাষ শুরু করার আগেই ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে দাম নির্ধারণ করবে। কী ভাবে সরবরাহ করা হবে, গুণমান ইত্যাদির কথা থাকবে সেই চুক্তিতে। ওই চুক্তির ভিত্তিতেই দু’পক্ষ লেনদেন করতে বাধ্য থাকবে।) ও
৩) মান্ডির বাইরের বাজার। ( মান্ডি অর্থাৎ কৃষক বাজার থাকছে কিন্তু কৃষকের দায় থাকবে না তার পণ্যকে মান্ডিতেই অর্থাৎ কৃষক বাজারেই বিক্রি করার। কৃষি পণ্য চলাচলের উপর রাজ্যের আর কোনও অধিকার থাকবে না। মান্ডির বাইরে কৃষিপণ্য লেনদেনের উপর কোনও সেস বা কর বসানোর অধিকারও আর থাকবে না রাজ্যগুলির।)
মান্ডি তৈরি হয়েছিল ফড়েরা যাতে কৃষকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে না পারে। বিক্রেতা অর্থাৎ কৃষক আর ক্রেতার মাঝে বাধা হ'য়ে দাঁড়াতে না পারে। কৃষকদের বাধ্য করতে না পারে যাতে ফসল সরাসরি বিক্রেতাকে বিক্রি না ক'রে ফড়ের মাধ্যমে বিক্রি করে। প্রশ্ন জাগেঃ
১) কিন্তু তা কি বাস্তবে সত্যি সত্যিই পুরণ হয়েছিল?
২) নানান আইন থাকা সত্ত্বেও কি ফড়েরা ছোটো কৃষকদের শিকার
করেনি?
২) কিন্তু এই বিল কি এই গ্যারান্টি দিতে পারবে যে কোনও অবস্থাতেই
ফড়েরা ছোটো চাষিদের ভবিষ্যতে বাধ্য করতে পারবে না? শিকার
করতে পারবে না?
৩) আর যদি কোনভাবে ফড়েরাই সেই দিনের শেষে ছোট চাষীদের ব্ল্যাক
মেল করার মূল কারিগর হ'য়ে ওঠে, সমস্ত কিছুর মূল নিয়ন্ত্রক হ'য়ে
ওঠে তাহ'লে সেই ছোটো চাষিদের রক্ষার জন্য সরকার ঢাল হ'য়ে
দাঁড়িয়ে ফড়েদের কঠোর কঠিন নির্মম সাজা দিতে পারবে তো?
৪) এর জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি?
৫) বড় ধনী কৃষকরাই ছোটো কৃষকদের গিলে খাবের জন্য পরোক্ষে ফড়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবে না তো?
স্বাধীনতার ৭৩ বছর ধ'রে যে গাদ্দা জমে আছে দেশের ট্যাঙ্কিতে তা সাফ হওয়ার নয়।
গাদ্দা! গাদ্দা!! বহুত গাদ্দা!!!
(লেখা ১০ই অক্টোবর'২০২০)
No comments:
Post a Comment