আর যারা মূর্ত অর্থাৎ রক্তমাংসের জীবন্ত ঈশ্বর বা ভগবানে বিশ্বাস করে তারা তাঁর কথা বিশ্বাস করে না। ঈশ্বর যে আবার আসবেন ব'লে বারবার বলে যান সে কথা তারা জানে না, আর যারা জানে তারা মানে না তাঁর আবার আসা নোতুন রূপকে। হিন্দুধর্মের ইশ্বরবিশ্বাসীরা অমূর্ত ভগবান বা আকশের ঈশ্বরকে বেশী মানে, বিশ্বাস করে। আর ঈশ্বর বিশ্বাসীদের ঈশ্বর বিশ্বাস ভয় বা দুর্বলতাকে আশ্রয় ক'রে। তাদের ভক্তি ভয়ে ভক্তি। হিন্দুধর্মাবলম্বী ঈশ্বর বিশ্বাসীরা রক্তমাংসের ঈশ্বরে ভয় বা বিশ্বাস করে না বা রাখে না। আবার অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের জীবন্ত ঈশ্বরকে ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বরের মেসেঞ্জার ইত্যাদি ব'লে মনে করে স্বয়ং ঈশ্বর মনে করে না আর মনে করে সেখানেই তাদের আসা শেষ আর আসবে না। রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ, অনুকূল রূপে আট আটবার আসা সত্ত্বেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ও হচ্ছেন বোঝাতে ঈশ্বরবিশ্বাসীদের যে তিনি একজনই বারবার এসেছেন আর বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন তাঁর অনুগামীদের দ্বারাই। ঈশ্বরের বর্তমান জীবন্ত রূপ বারবার তাঁর পূর্বরূপকে স্বীকার করার কথা বা মানবার কথা বলে গেছেন। ব'লে গেছেন তাঁর পূর্বপূর্ব রূপকে মাথায় নিয়ে বর্তমান রূপকে গ্রহণ করার কথা। কিন্তু কে মানে কার কথা? অনেক ঈশ্বর ভক্ত আছেন যারা নিজেরাই ঈশ্বর সেজে ঈশ্বরের আসনে বসে গেছেন। অনেক সাধক আছেন যারা বুঝেও না বোঝার মতো থাকেন। ঈশ্বরকে, ঈশ্বরের কথাকেই বালখিল্য বানিয়ে দিয়ে ঈশ্বর বিশ্বাসী ভক্তমণ্ডলী নিজেরাই সর্বজ্ঞ সেজে বসে গেছে।
কেন এমন হ'লো? এর কারণ কি?
এমন হ'লো কারণ এই যুগ হ'লো ঘোর কলি যুগ। এ যুগে ধর্ম এক ভাগ আর অধর্ম তিন ভাগ। তাই প্রকৃত ধর্মজ্ঞানীরা ও প্রকৃত ঈশ্বরবিশ্বাসীরা এ যুগে সংখ্যালঘু। আর নাস্তিক বা ধর্ম ও ঈশ্বর অবিশ্বাসী বা অধর্মাচারীরা এবং তথাকথিত ভীরু ও মানসিক দুর্বল, ঈশ্বরে ভয়ে ভক্তি ও ঈশ্বরের কাছে নিতেই লেলিহান অজ্ঞানী মূর্খ ভক্তের দল সংখ্যাগুরু। আর এই দ্বিতীয় শ্রেণীর সংখ্যাগুরুর জন্য প্রথম শ্রেণীর সংখ্যাগুরুর দল আরও সুযোগ পেয়ে যায় তাদের অধর্মের রথ ভয়ংকর তীব্র গতিতে চালাতে। তাই কলি যুগের তিন ভাগ অধর্মের কাছে এক ভাগ ধর্মের দমবন্ধ অবস্থা। আর তার ফলে তখনি নেবে আসে মহা বিপর্যয়, ধ্বংসের মহাপ্রলয়। যা আসন্ন।
(৩১শে ডিসেম্বর'২০২২)
No comments:
Post a Comment