ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি!
হায়দ্রাবাদ বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কের ধারে তোমার পোড়া শরীর পাওয়া যায়! তন্দুপল্লী টোল প্লাজা এরিয়ায় পার্ক করা ট্রাকের মধ্যে তোমায় রেপ করা হয়। তারপর তোমার শরীরে নির্ম্মম ভাবে আগুন লাগিয়ে তোমায় পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়।
শোনা যায় অপরাধী দরিন্দাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন চলবে বিচার। কতদিন চলবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সূর্য উঠবে, সূর্য অস্ত যাবে। দিন হবে! দিন কেটে রাত হবে, রাত কেটে আবার দিন হবে! সময় এগিয়ে যাবে তার নিয়মে। কারও বাধা, অনুরোধ-উপরোধ সে মানে না, মানবে না। সব চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। মাঝে মাঝে অতি বিপ্লবীর স্লোগান উঠবে, একটু-আধটু বিদ্রোহের গান হবে, আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে হঠাৎ জেগে উঠবে প্রতিবাদের ঝড়! তারপর সব চুপচাপ!
তোমার কি হবে প্রিয়াংকা!? তুমি তো আর ফিরে আসবে না। কেউ তোমার খোঁজ রাখবেও না, নামও মনে রাখবে না। তোমার শরীরের উপর দরিন্দাদের নির্ম্মম ভাবে অত্যাচার, যন্ত্রনায় ক্ষতবিক্ষত শরীর কেউ মনে রাখবে না। মনে রাখবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম, আলোচিত হবে চ্যানেলে চ্যানেলে তার বিয়ের একবছরের মাথায় সন্তান জন্মের কাহানি! কিন্তু রাস্তায় নেবে কেউ বিস্ফোরক আগুন ঝরা প্রতিবাদ করবে না। যে প্রতিবাদী চরিত্রগুলি দু'দিন আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তান্ডব চালিয়েছিল তারা সব নীরব! চুপিচুপি দিয়েছে গা ঢাকা!!!!!
তাই বলি প্রিয়াঙ্কা,
তুমি নারী! তুমি পুরুষের ভোগের বস্তু! তুমি সস্তা! তুমি দস্তুর! আবহমানকাল ধ'রে চলে আসা বলাৎকারের প্রথা!!!!!!! তাই সব চুপ! সবাই নিশ্চুপ!! তুমি তো নারী! এই দেশে কত ক্ষমতাধর নারী! রাজনীতির আঙিনায় অগুনতি বিদ্রোহের আগুন ছেটানো আগুন নারী! অথচ তারা সবাই চুপ!!!!!!!!!!!!! এই আমার ভারতবর্ষ! এই আমার ভারতের ক্ষমতাধর যত আগুনখেকো নারী!!!!!!!
এই লেখা লিখতে লিখতে তোমার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে দু'ফোটা চোখের জল কখন বেরিয়ে চোখ ঝাপসা ক'রে দিয়েছে জানি না, শুধু অসহায় আর্তনাদ ঝড় তুলছে মনের গভীরে চারপাশে সব ঝাপসা হ'য়ে যাচ্ছে দেখে।
---------প্রবি।
(লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০১৯)
---------প্রবি।
(লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০১৯)
No comments:
Post a Comment