নিন্দা ক'রে বেড়াচ্ছে--
কোন হেতুর ধার না ধেরে,---
তা'র বাহ্যিক বা আভ্যন্তরীণ
বাস্তব অবস্থা সম্বন্ধে ওয়াকিব হওয়ার
তোয়াক্কা না রেখে,---
যাকে নিন্দা করে বেড়াচ্ছে--
সহজভাবে তা'র অবস্থার কথা
তা'কে জিজ্ঞাসা করার ও
ফুরসৎ হয়নি তা'র,---
অযৌক্তিক চরিত্রের খোলস প'রে
হাত নেড়ে, বাক্যের সমারোহসজ্জা নিয়ে
কায়দায় লোক ভেড়াতে চাচ্ছে
তা'র নিজের পক্ষে,---
ঠিক বুঝবে, সেখানে
এর অন্তরালে আছে
হয় কামিনী, নয় কাঞ্চন ,
নয় হীনম্মনতা ,
কিংবা এ তিনেরই সংমিশ্রণ,---
যার ফলে, সে স্বতঃই একটা
অলীক ভাঁওতা সৃষ্টি করছে---
যা'কে নিন্দা করছে--
সে তার অন্তরায় ভেবে ,
ঐ নিন্দাটা হ'চ্ছে নিজেকে লুকিয়ে চলার
একটা সাবধানী চালবাজী অভিব্যক্তি,
একটু নাড়া দিলেই ঠিক পাবে ।।
#শ্রীশ্রীঠাকুর
(যতি-অভিধর্ম্ম)
এই বাণীটা শ্রীকুমার মুখার্জীদা পোষ্ট করেছেন তার টাইমলাইনে। আমি শ্রীকুমারদাকে প্রশ্ন করেছিলাম, এই বাণীটা কার বা কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শ্রীকুমারবাবু? ঠাকুরের অবস্থা কি হয়েছে জানেন? পঞ্চ ভূতের ফাঁদে ব্রহ্মা পড়ে কাঁদে যেমন ঠিক তেমনি ভক্ত (?) কূল মাঝে পরমপিতা মুখ ঢাকে লাজে!
(শ্রীকুমার মুখার্জীদার এই পোষ্টটা শেয়ার করলাম। মুখার্জীদার সঙ্গে কথোপকথনের আমার অংশটা আমি এখানে তুলে দিলাম সমস্ত গুরুভাইদের জানার সুবিধার্থে)।
শ্রীকুমারবাবু আপনি লিখেছেন, "নিশ্চই যাদের গায়ে ছেঁকা লাগছে বাণীটা তাদেরই জন্যে".......ইত্যাদি।
কাদের গায়ে ছেঁকা লাগছে শ্রীকুমারবাবু? সবসময় ধোঁয়াশা রেখে কথা বলেন কেন? সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে অসুবিধা কিসের বা কোথায়? কেন হিম্মতের অভাব? আমি যদি বলি বাণীটা আপনার গায়ে ছেঁকা দিচ্ছে না তাহ'লে আপনার কথা অনুযায়ী এটা ধ'রে নিতেই পারি বাণীটা আপনার জন্য নয়। আবার আপনিই বলছেন তাঁর সব বাণী আপনারই জন্য, আপনার উন্নতি ও আদর্শের স্বার্থ রক্ষার জন্য। তাহ'লে কথাগুলি পরস্পর বিরোধী হ'লো নাকি? একবার বলছেন যাদের গায়ে ছেঁকা লাগছে তাদের জন্য উপরে আপনার পোষ্ট করা বাণীটা, আবার বলছেন আপনার জন্য বাণীটা। আচ্ছা শ্রীকুমারবাবু একই মানুষের একই বিষয়ের উপর কথা এত fluctuate করে কখন ও কেন? বাণীটা আপনি পোষ্ট করেছেন আর নিশ্চয়ই বাণীটা ভালোভাবেই পড়েছেন ও মানে বুঝেছেন। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার সঙ্গে আমার আগের দীর্ঘ আলোচনায় আপনি যে যে কথাগুলি বলেছিলেন সেই বলাগুলি কার বা কদের উদ্দেশ্যে ছিল বলতে পারেন? আলোচনা যখন ক্রমাগত চলছিল তখন আপনি আপনার রাগ প্রকাশ ক'রে দিয়েছিলেন আর সেই রাগটা ছিল ঠাকুরের আত্মজদের উপর। কেন? কি কারণ? এই পোষ্টেও দেখা যাচ্ছে আপনি বাইরের কোন এক অদৃশ্য শত্রুর কথা বলেছেন। আপনার কাছে জিজ্ঞাস্য আপনার ভিতরের ও বাইরের কোন শত্রু ধ্বংসের কথা বলছেন?
দাদা, যদি ঠাকুরের বাণীগুলি আপনার কথানুযায়ী আপনার শিক্ষার জন্য হয়, আপনার উন্নতির জন্য হয়, আপনাকে শানিত ক'রে তুলবার জন্য হয় তাহ'লে আপনার আমাকে করা কমেন্টগুলির মধ্যে ঠাকুরের আত্মজদের উপর একটা বিতৃষ্ণা ঝ'রে পড়ে কেন? এই কি শিক্ষার নমুনা? এই কি আপনার উন্নতির নমুনা? এই কি আদর্শের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেকে শানিত ক'রে তোলার নমুনা? আপনি তো এক অদৃশ্য শত্রুর পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আপনি যে শত্রুর কথা বলছেন সে তো আপনার খুবই পরিচিত। তাহ'লে কেন সরাসরি নাম তুলে আক্রমণ করছেন না? তাহ'লে আপনাকে উত্তর দিতে সুবিধে হয়। এর আগেও আপনি আক্রমণ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কিন্তু কোথায় যেন ঘোমটার তলায় খেমটা নাচের মতন। আপনারা শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী, শ্রীশ্রীঅশোকদাদা বিরোধী ঠাকুর পরিবার বিরোধী; আপনার বাড়ীর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে আপনি শুধু ঠাকুরের ফটো রেখেছেন দেখেছি সেখানে আর কারও ফটো ছিল না। অর্থাৎ আপনি প্রমাণ করেছেন আপনি মূল কেন্দ্র বিরোধী তথাকথিত সৎসঙ্গী। আপনার আচরণে, কথায় ও বার্তায়, চিন্তায় ও চলনে সবেতেই প্রমাণ হয় আপনি ঠাকুর পরিবার ও মূল কেন্দ্র বিরোধী। তাহ'লে উপরের পোষ্ট করা বাণীটা যদি আপনার পরামর্শ মতো 'বুঝে বুঝে দেখতে হয়' তাহ'লে কি দেখবো? দেখবো, ঠাকুর যে কতবড় ভবিষ্যৎ বক্তা, কত দূরদৃষ্টি তাঁর তা' তাঁর কত আগের দেওয়া এই উপরোক্ত বাণীটা তার প্রমাণ। তিনি জানতেন, তাঁর ভক্তকূলের আহাম্মকি ক্রিয়াকর্মের জন্য তাঁকে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হবে! আর দেখুন কি অদভুত তাঁর লীলা আপনাকে দিয়েই তাঁর বিরাশি সিক্কার থাপ্পর আপনাকেই দিয়েছেন আপনার হাত দিয়ে বাণীটা পোষ্ট করিয়ে। যাই হ'ক আসুন সরাসরি খোলাখুলি আলোচনার টেবিলে বসুন, কেন মূল কেন্দ্র বিরোধী, কেন ঠাকুরের আত্মজদের বিরোধী, কেন ঠাকুর পরিবার বিরোধী। এতবড় ভক্ত হ'য়ে গেছেন আপনারা সবাই যে আপনারা ঠাকুরের পরেই বড়দার চেয়েও যোগ্য ব্যক্তি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
দেখুন শ্রীকুমারবাবু আপনি লিখেছেন কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ঘোমটার নীচে খেমটা নাচ নাচছে তা' চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে। দাদা, সাধারণ ভাঙাচোরা মানুষকে আপনি কোনদিনই তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে জাগাতে পারবেন না সে আপনি যতই চোখে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা দিন। আপনার মত গোটা মানুষ ক’টা আছে? আপনাকে সোজাসুজি সহজ সরল ভাবে সত্য তুলে ধরতে হবে, আপনার ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলা কথা দিয়ে খেমটা নাচের কুশীলবদের মুখোশ খুলতে পারবেন না উল্টে আপনারই খুলে যাবে। তাই বলি, সোজা ব্যাটে খেলতে হবে যদি আউট হ’তে না চান। আর বলি, হ্যাঁ, আবার চাই। আপনার কথামতই বলছি, আবার তুলে ধরা চাই। তুলে ধরুন যে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে যে দুর্বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা থেকে যে ঘোমটার পিছনে থেকে খেমটা নাচ নাচছে সেই ঘোমটা ও উদ্দেশ্যের রহস্য উন্মোচন করার জন্য আবার তুলে ধরা চাই। ধরুন, বৃহত্তর স্বার্থে খোলাখুলি তুলে ধরুন।
আপনি লিখেছেন, আপনি পয়েন্ট টু পয়েন্ট সব সোজা ক'রে বলেছেন, এখন না বুঝলে, উল্টো বুঝলে আপনার কিছু করার নেই।
আপনি বলি কি, আপনি বলেন সোজা কিন্তু ঐ ভূতের হাঁটার মত। তাই উল্টো বোঝে সবাই। আপনিই বা কি করবেন আর যারা উল্টো বোঝে তারাই বা কি করবে? গন্ডগোল তো ঐ, যে পা দিয়ে ভূত হাঁটছে সেই পায়ে। পাদুকা দেখেই তো সবাই ধ'রে ফেলছে ঐটা মানুষের হাঁটা না ভূতের হাঁটা! ভূত বেচারা কি আর করবে সে যে ধরা পড়ে যাচ্ছে তা'তো আর সে বুঝতে পারছে না। সে তো আর জানে না কিম্বা জানলেও এত বেহুঁশ যে খেয়ালই নেই যে সবাই তার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে আর ভূত ভাবছে সবাই বোধহয় মাথা নীচু ক'রে সসম্ভ্রমে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে! আসলে যে সবাই ভূতের অদ্ভুত হাঁটাটার দিকে মাথা নীচু ক'রে তাকিয়ে দেখছে সেইটা আর ভূতের মাথায় নেয়। সে ভাবছে আমায় সবাই সমীহ করছে তা ই সবাই মাথা নিচু ক'রে রেখেছে। ভূতের হাঁটা হ'লো, ভূত যখন হাঁটে তখন তার পায়ের গোড়ালি ঘুরে সামনে চলে আসে আর আঙ্গুল থাকে পিছনে। তাই ভূত আর কি করবে বেচারা। সে ভূত হ'য়েই থেকে গেল আজীবন, মানুষ হওয়া আর হ'লো না। কি করবে, স্বভাব যায় না ম'লে, ময়লা যায় না ধুলে। যাই হ'ক কি আর করবো দাদা আমরা যে সাধারণ ভাঙাচোরা মানুষ।
মনে মনে মন কলা খাওয়ার রোগটা বেশ ভালোই ধরেছে বোঝা গেল। নিজের মনে নিজে ভেবেই নিলেন আমার ছেঁকা লেগেছে। আহাঃ কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে! ছেঁকা খাওয়ার কথাটা আপনিই বলেছিলেন প্রথমে আমাকে। আপনার পোষ্ট করা ঠাকুরের বাণীটা প’ড়ে আপনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, “বাণীটা কার বা কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?” উত্তরে আপনি ছেঁকা খাওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি আপনাকে ধোঁয়াশা কথা ছেড়ে স্পষ্ট ক’রে বলার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু আপনি আনন্দে ডগমগ হ’য়ে বুঝেই ফেললেন ছেঁকাটা আমার লেগেছে। এই যে মনে মনে নিজের মত ক’রে সব কিছু ভেবে নেওয়া, ধ’রে নেওয়া এটা অপরিণত বালখিল্য মস্তিষ্কের লক্ষ্মণ। এতে বোঝা যায় দূরদৃষ্টির দৌড় কতদূর।
আমাকে সাবধান ক’রে লাভ নেই নিজেকে নিজে সাবধান করুন। নিজেই আপনার অনেক আগের লেখায় বলেছেন ‘হয়তো ভুল মেসেজ চলে গেছে।‘ তাই বলি, সুকান্তবাবু কেউ তার নিজের দুস্থ (বা দুষ্ট) বুদ্ধির নির্যাস আপনার মুখে বসানোর চেষ্টা করার সাহস করেনি। আপনি আপনার আগের এবং এখনের লেখাগুলি আবার বারবার পড়ুন, নিজের প্রতি নিজে কঠোর হ’য়ে দেখুন, দেখতে পাবেন কোথায় কখন কিভাবে ঠাকুরের জ্যেষ্ঠত্মজের প্রতি, তার পরিবারের প্রতি আপনার ঘৃণা বিতৃষ্ণা ইত্যাদি পোষণ পেয়েছে। আপনার অবচেতন মনে এটা হয়েছে ব’লে আমি মনে করিনা, কারণ আপনার ব্যাক্তিগত উপস্থিতি ও আপনার চারপাশের পরিস্থিতি তা’ স্বীকার করে না। আর ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা পোষণের সূত্র আপনি নিজেই, আপনার করা মন্তব্যগুলি ও মন্তব্যগুলির ভাষা নিয়ে একটু ভালো ক’রে নেড়েচেড়ে দেখুন পোষণের সূত্র আবিষ্কার করতে পারবেন। কার শিক্ষা কি হ’লো সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার রুচি ও সময় নেই। পরস্পর বিরোধী কথাবার্তায় স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষার প্রতি সন্দেহের জন্ম দেয়। ইষ্টের প্রতি অস্খলিত, অচ্যুত, অকপট নিষ্ঠা, ভালোবাসা, বিশ্বাস ভেতরের শত্রুকে অটোম্যাটিক কন্ট্রোলে রাখে, তার জন্য আলাদা ক’রে সংগ্রাম করতে হয় না।
শ্রীকুমারবাবু, আপনি লিখেছেন আপনি কাউকে পয়েন্ট ক'রে কিছু লেখেননি। আমি নিজে থেকেই গায়ে পড়ে ছেঁকা নিয়েছি। আমি কি কাউকে বা আপনাকে পয়েন্ট ক'রে কিছু বলেছিলাম? যখন কেউ ঠাকুরের কোনও বাণী বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পোষ্ট করছে তখন সেই বাণীর অন্তর্নিহিত অর্থ ও তার প্রভাব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে। ঠাকুরের বাণী নিয়ে বিশ্লেষনাত্মক আলোচনা হবে তা'তে দোষ, ভুল বা অন্যায়টা কোথায় শ্রীকুমারবাবু? আর আপনি কোন মনোভাব থেকে কাকে বা কাদের উদ্দেশ্য ক'রে এই বাণীটা পোষ্ট করেছেন তা' কি কারও আর অজানা আছে? আপনি নিজেই তো তার রহস্য উদ্ঘাটন ক'রে দিয়েছেন আপনার বিভিন্ন লেখায়, মন্তব্যে ঠাকুর বাড়ির বিরোধীতা ক'রে; এখন আবার বিড়ালের মত 'আর মাছ খাবো না, কাশীবাসী হবার' কথা বলছেন? আপনাকে কে বললো আমার গায়ে ছেঁকা পড়েছে? আপনার কলমে এত ধার হ'য়ে গেছে, এত তাপ সৃষ্টি হ'য়েছে যে আপনার কলমের খোঁচায়, কলমের তাপে কারও রক্তপাত হবে, গায়ে ছেঁকা পড়বে? এ'তো অহংকারের কথা দাদা!!!!!!! আপনি ঠিকই বলেছেন, এটা প্রতিযোগিতা বা হার জিতের জায়গা নয়; এই জায়গা সত্য, মিথ্যা, মুখ ও মুখোশ আর ঠিক, বেঠিক উন্মোচনের জায়গা। তার জন্য আপনাকে আমাকে উভয়কে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সুজিত রায়বাবু, আপনি ঠাকুরের যে বাণীটা পোষ্ট করেছেন সেটার ইঙ্গিত কার দিকে সেটা সহজেই অনুমেয়।
"শিষ্য গুরুর ভেদ গণে না
একনজরে ভজে,
ধর্ম তাহার দ্বিধা হ'য়ে
দুর্ব্বিপাকেই মজে।
--শ্রীশ্রীঠাকুর--
এটা ঠাকুরের বাণী আর ঠাকুরের বাণী মানেই বেদবাণী যা জ্বলন্ত অঙ্গার। ঠাকুরের বাণীটা আপনি পোষ্ট করেছেন আমার কমেন্টের উত্তরে তাহ'লে ধ'রেই নিতে পারি বাণীর অর্থটা বুঝেই আপনি আমার কমেন্টের উত্তরে এই বাণীটা পোষ্ট করেছেন। আর অর্থটা যদি আমি বুঝে থাকি তাহ'লে এই অর্থটা দাঁড়ালো যে আমাদের উভয়কেই এই বাণীর ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেখে নিতে হবে, বুঝে নিতে হবে, পরখ ক'রে নিতে হবে যে ঠাকুরের এই বাণীটার ভিতরে সত্যিই কোনও সত্য আছে কিনা, দম আছে কিনা; নাকি শুধুই বকোয়াস। আপনার এই বাণীটা পোষ্ট ক'রে আপনি প্রমাণ করলেন আপনি শ্রীকুমারদার সমগোত্রীয়। আর তাই লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে আমার মন্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থের ধার কাছ দিয়ে না গিয়ে অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত হ'য়ে বিজ্ঞের মত অল্প কথায় শুধু ঠাকুরের একটা বাণী তুলে ধ'রে প্রমাণ করতে চাইলেন আপনি অনেক বড় মহাপন্ডিত, বোদ্ধা; আর আমি চার অক্ষর। যাই হ'ক বাণীর মর্মার্থ যদি আমি বুঝে থাকি এবং আপনিও বুঝে থাকেন তাহ'লে আপনার মনোভাব অনুযায়ী পোষ্ট করা বাণীর ফলাফল স্বরুপ আমাকে অপেক্ষা করতে হবে দুর্ব্বিপাকের দিনটার জন্য। আর যদি ধর্ম্ম আমার দুই ভাগে বিভক্ত হ'য়ে সংশয় ও সন্দেহের মধ্যে ভুগে ভুগে আমি দুর্ব্বিপাকে না মজি অর্থাৎ দৈব দ্বারা সংঘটিত বিপদগ্রস্থ বা দুর্ঘটনাগ্রস্থ না হ'ই তাহ'লে বুঝে নিতে হবে ঠাকুর মিথ্যা আর ঠাকুরের বাণী বকোয়াস, ফালতু। আর ঠাকুরের এই বাণীটা যদি আপনার বিকৃত অর্থে প্রয়োগ হ'য়ে থাকে, মিথ্যার বেসাতি হ'য়ে থাকে তাহ'লে সুজিত বাবু আপনিও প্রস্তুত থাকুন শ্রীকুমারবাবুদের মতন আপনার ঠাকুরবিরোধী, ঠাকুর পরিবার বিরোধী, ঠাকুরের আত্মজ বিরোধী কৃতকর্মের ফলভোগের জন্য। এটা মনে রাখবেন ঠাকুরের বাণী "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি" আমার আপনার উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।
শ্রীকুমারবাবু, কথায় আছে, পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়, আপনারও সেই দশা হয়েছে নাকি!? আপনার প্রোফাইল দেখলে তো পান্ডিত্যের বিচ্ছুরণ ঘটে তাহ'লে এত সস্তা ভাবনা-চিন্তা, বালখিল্য ধারণা ধারণ করেন কি ক'রে? তাহ'লে কি সবটাই ঠাকুরের কথা অনুযায়ী তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকার কারণে হচ্ছে? এসব মন্তব্য করেন কি ক'রে? সুজিতবাবুকে লেখা আমার মন্তব্যের কোথাও কি কোনও আপনার মন্তব্যে লেখা আজেবাজে অর্থহীন ভিত্তিহীন কথা " ভয় দেখানো, সন্ত্রাস করা, সমাজচ্যুত করা, ইষ্টদ্রোহী ঘোষণা, হুমকি দেওয়া, শারীরিক আক্রমণ" ইত্যাদির আভাস বা ছোঁয়া আছে? " সবই হাউইবাজি, খুব দেখা আছে এসব" ইত্যাদি আরও সব ছ্যাবলা কথা রাস্তার ছেলেদের মানায় আপনার মত এলিট ও ঠাকুরের একনিষ্ঠ কর্মীকে মানায় না। আপনি আমার মন্তব্যের ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যা করবেন না; ভুল ব্যাখ্যা ক'রে নিজের ও অন্যের ক্ষতি করবেন না, এটা আমার বিনীত অনুরোধ। আপনার প্রত্যেকটি কথার জবাব দিতে আমি প্রস্তুত কিন্তু শালীনতা বজায় রেখে।
আপনি লিখেছেন আপনি ভুক্তভোগী। খুব কাছে থেকে সব দেখেছেন, অনুভব করেছেন। সীমাহীন নীচে নাবার ও শাস্তিদানের নমুনা দেখেছেন।
এই ভুক্তভোগী বলেই আপনার ভিতরে রোগটা বাসা বেঁধেছে। আপনার আজকের যে অবস্থা তার জন্য আপনি দায়ী নন; দায়ী আপনার পূর্বপুরুষ। আপনার অবস্থা ভগীরথের মত। ভগীরথকেও ভুগতে হয়েছিল তার পূর্বপুরুষের জন্য। আপনি যা লিখেছেন তাতে পরিস্কার আপনি ভীষণ ভাবে প্রভাবিত। জানি না ভগীরথ হ'য়ে সবাইকে মুক্তি দিতে আর পারবেন কিনা এ জন্মে। কারণ আপনার বোধ, আপনার রাগ, আপনার ঘৃণা আপনাকে আজ অন্ধ ক'রে দিয়েছে। তাই সব কিছু আজ আপনার কাছে ঘেঁটে ঘ হ'য়ে গেছে। তাই শ্রীশ্রীবড়দা ব্যতীত ঠাকুরের অন্য সন্তানদের সব ঠিক আর শ্রীশ্রী বড়দার সব বেঠিক ব'লে মনে হয় আপনার। শ্রীশ্রীবড়দার সব যদি বেঠিক, ভুল ও অন্যায় হ'য়ে থাকে তাহ'লে ঠিক, নির্ভুল ও ন্যায়কারীদের আজ ঠিকানা কোথায়? যদি শ্রীশ্রীবড়দা মিথ্যা হ'য়ে থাকে আর বাকীরা যারা বড়দার চরম বিরোধী তাঁরা সত্য হ'য়ে থাকে তাহ'লে কালের গতিতে কেন আজ মিথ্যা সত্য ও সত্য মিথ্যা হ'য়ে যায়? "ঠাকুর কি তোর এতই বেকুব ফাঁকি দেখে নয় সামাল?" এটা তো ঠাকুরেরই কথা! তাহ'লে ঠাকুর তো আজ মিথ্যা হ'য়ে যাচ্ছে। কে মানবে ঠাকুরকে? যদি মিথ্যার রমরমা রশ্মি সূর্যের রশ্মির মত চারিদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তাহ'লে কে বিশ্বাস করবে ঠাকুর যেমন দয়াল তেমনি ভয়াল? কোথায় তাঁর ভয়াল রূপ অন্যায়কারীদের ওপর? তাঁর বংশধর ব'লে? আজ কার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী ঠাকুরের মিশন ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের মত আছড়ে পড়েছে ও পড়ছে দেশবিদেশের মাটিতে? বুকে হাত দিয়ে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলার সময় এসেছে; বলুন যদি সত্যের পূজারী হ'য়ে থাকেন, কার নেতৃত্বে ঠাকুর আজ বিশ্বব্যাপী ধর্মের অঙ্গনে বিশ্ব ধর্মীয় নেতা? শ্রীশ্রীবড়দার নেতৃত্বে নাকি ঠাকুরের অন্য সন্তানদের নেতৃত্বে নাকি অন্য কোনও কারও নেতৃত্বে? বলুন, ঠাকুর পরবর্তী কে সেই শারীরিক-মানসিক-আত্মিক শক্তিতে শক্তিমান মহান সিদ্ধপুরুষ যিনি ঠাকুরের মিশনকে অ্যাটলাসের মত বলিষ্ট কাঁধে বহন ক'রে চলেছিল বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে? বলুন একটা নাম? আজকের বিশাল 'সৎসঙ্গ' আপনার কাছে মূল্যহীন। কিন্তু আপনি যে প্ল্যাটফর্ম তৈরীর চেষ্টায় আছেন তার মূল্য, তার অস্ত্বিত্ব থাকবে তো ভবিষ্যতে?
আপনি প্রতিবারের মত এবারও একটা ভুলের বৃত্তের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছেন। কেন খাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। কে শেখালো, কে বোঝালো, কে শোনালো আপনাকে যে শ্রীশ্রীঠাকুরকে ছাড়া আর কাউকে ইষ্টের আসনে বসানো হয়েছে? কেন এই মিথ্যে প্রচার? কে সে? কাকে ইষ্টের আসনে বসানো হয়েছে? ঠাকুর ছাড়া কে সে যিনি সৎসঙ্গীদের কাছে আর এক ইষ্ট? আপনারা মুষ্টিমেয় কয়েকজন সব বুঝে গেলেন যে ইষ্টের আসনে ঠাকুর ছাড়া আরও কেউ আছেন? কে তিনি? আর আমরা কোটী কোটী ঠাকুরের অনুগামী তাঁরা জানতে পারলাম না? আমরা এতবড় চার অক্ষর যে আমাদের ঠাকুর পরিবার বোকা বানাচ্ছে আর ঠাকুর আমাদের রক্ষা করছে না? কিন্তু আপনারা মুষ্টিমেয় কয়েকজন এতবড় ভাগ্যবান যে আপনারা ঠাকুরের দয়ায় আজ ভেসে যাচ্ছেন আর আমরা ভোগে যাচ্ছি?
আপনি ভুক্তভোগী আর এত কাছ থেকে সব দেখেছেন আর আমরা সব দূরে ছিলাম? আপনার ঋত্বিক কে আমি জানি না। তবে আমার মা-বাবা ও বড়দার ঋত্বিক ছিলেন শ্রদ্ধেয় নরেন্দ্রনাথ মিত্র। আমি কার দীক্ষিত, এই কথা ব'লে আপনি আমায় খোঁচা মেরেছেন। আর এর পরেও বলেছেন আপনার কথায় নাকি তেজ আছে, ক্রোধ নেই। আপনার প্রতিটি লেখায় বর্ণনা আছে কোনটা ক্রোধ আর কোনটা তেজ। আপনাকে জানাই আমার ঋত্বিক ছিলেন শ্রদ্ধেয় হরপ্রসন্ন মজুমদার। একেবারে ছোটোবেলা থেকে এদের দেখেছি। শ্রদ্ধেয় প্রফুল্ল দাসদা, শ্রদ্ধেয় রেবতী মোহন বিশ্বাসদা, শ্রদ্ধেয় মণিলাল চক্রবর্তীদা ইত্যাদি ঠাকুরের লীলাসঙ্গী তথা মহান ব্যক্তিসহ আরও অন্যান্যদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ট সময় কাটিয়েছি। এদের কে কতটা নীচে নেবেছে আর নাবেনি তার মূল্যায়ন করার মানসিকতা কোনোদিন ছিল না কিন্তু কাদের কথা আপনি বলছেন যে তারা "কতটা নীচে নাবতে পারে তা কল্পনা করা যায় না"? ঠাকুরবাড়ির কোন সদস্য তিনি? নাম বলুন। শ্রীশ্রীবড়দা? কিন্তু শ্রীকুমারদা আমরা কোনোদিনই ঠাকুর পরিবারের কোনও সদস্যদের সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করাকে ব্রহ্মহত্যার মত পাপ ব'লে মনে করি। আর আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের আত্মজ ঠাকুরের প্রথম সন্তান অত্যন্ত আদরের বড়খোকা শ্রীশ্রীবড়দার পরিচালনায় এই অপসংস্কৃতির ধারক বাহক হবার শিক্ষায় শিক্ষিত হ'ইনি। আমরা যে শ্রদ্ধার চোখে শ্রীশ্রীবড়দাকে দেখি সেই একই চোখে ঠাকুরের সব সন্তানকেই দেখি। তাঁরা সবাই আমাদের চোখে প্রতীক গুরু বংশধর। কিন্তু শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বার্থ ও শ্রীশ্রীঠাকুর প্রতিষ্ঠার, শ্রীশ্রীঠাকুরের মিশন প্রতিষ্ঠার কীলক নয়; কীলক হ'লেন শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা বিশ্বের সমস্ত সৎসঙ্গীর বড়ভাই পরম ভক্ত ঠাকুরের এ যুগের হনূমান, বিবেকানন্দ, অর্জুনরুপী পরম পূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা।
(লেখা ২৮শে সেপ্টেম্বর'২০১৭)
No comments:
Post a Comment