কারও কোনও কথা, লেখা, মন্তব্য বা বক্তব্য নিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে খোলাখুলি আলোচনা করলেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তাই বাধ্য হ'য়ে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ব'লে তখন মনে হয়।
কিন্তু মন বলে, পারস্পরিক মত বিনিময় বোধের ঘরকে উন্নত ও বিসতৃত করে। যে যার মত ক'রে বোধের ঘরের পরিমাপ অনুযায়ী মন্তব্য করে বা কাজ করে। অহং, বোধের ঘরকে খোলা নীল আকাশের মত বিসতৃত করতে বাধা দান করে। চোরের মত লুকিয়ে থাকা অহং-এর কারণে আমরা অনেক সময় গঠনমূলক আলোচনা, পরামর্শ সহ্য করতে পারি না। আবার কখনো কখনো এইমুহূর্তে সমর্থন তো পরমুহূর্তে ঘুরিয়ে বিরোধিতা ক'রে ফেলি; আর করি সচেতন ভাবেই। অথচ আবার ঠাকুর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা পথে পা রাখি। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের ঠাকুর প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব যখন আমার ভিতরে ঠাকুরের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার জন্ম হবে। ঠাকুরের প্রতি ভালোবাসার লক্ষ্মণ আমার নিজের কোনও ইচ্ছা নেই, ঠাকুরের ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা। আর তাই তাঁর ইচ্ছাটা বা ইচ্ছাগুলি আমাকে জানতে হবে; সেটা সম্ভব হবে যখন আমি নিজেকে তাঁর প্রতি সারেন্ডার করবো আর আচার্যমুখী হবো। আর প্রকৃত ভালোবাসা হ'লে ঠাকুর স্বয়ং তাঁর কাজ কিভাবে করবো তার নির্দেশ বা ইঙ্গিত দেবেন আমাকে। তখন আর ঠাকুরের কাজে আমার কোনও ভুল হবে না। (লেখা ৫ই নভেম্বর'২০১৭)
No comments:
Post a Comment