ব্রাহ্মণ্যবাদ বা সনাতন ধর্ম বিপদের মুখে নয়। প্রাতিষ্ঠানিক ব্রাহ্মণ্যবাদ ও সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম বিপদের মুখে। প্রাতিষ্ঠানিক বাদ বা ধর্ম অন্যায়, অত্যাচার, শোষন, শাসনের আখড়া। জল তৃষ্ণা মেটায়, জীবন রক্ষা করে। কিন্তু জলে বিষ মিশিয়ে দিলে সেই জল মৃত্যুর কারণ হ'য়ে দাঁড়ায়। তাই জল কখনও খারাপ বা জীবন বিধ্বংসী নয়। ঠিক তেমনি ব্রাহ্মণ্যবাদ, সনাতন ধর্ম বা হিন্দুধর্ম খারাপ বা জীবন বিধ্বংসী নয়। খারাপ বা জীবন বিধ্বংসী তখনই হয় যখন ব্রহ্মজ্ঞানহীন চন্দন তিলকে গেরুয়া কাপড়ে আপাদমস্তক ঢাকা সাজা ব্রাহ্মণ বা সবজান্তা দু'দিন কা যোগী ভাত কে বলে অন্ন এমন ভন্ড ঢঙ্গি ধার্মিক, কথার স্রোতে ভাসা আচরণহীন নিজের ঢাক নিজে পেটানো স্বঘোষিত সনাতনী মানুষ ধর্ম নিয়ে ঈশ্বর নিয়ে অবতার নিয়ে ফাঁকা কলসীর মত নিরক্ষর দূর্বল ধর্মভীরু মানুষের সামনে ফাটা বাঁশের মতো চেঁচায়। আর তখনই ধর্মের গ্লানি হয় আর অধর্মের উত্থান ঘটে। অত্যাচার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। দূর্বল, অসহায়, গরীব মানুষের অবস্থা শোচনীয় হ'য়ে ওঠে। পরিণাম ভয়াবহ আকার ধারণ করে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী এই প্রান্তিক মানুষগুলোর অবস্থা, যখন এদের দারিদ্রতা, অজ্ঞতা, অজ্ঞানতাকে হাতিয়ার ক'রে রাজনৈতিক দল ও এদের মধ্যে থেকেই উঠে আসা অকৃতজ্ঞ বেইমান স্বজাতীর দল এদের বিরুদ্ধে অত্যাচার চালায়।
কিছু বাঙ্গালী সনাতনী ইদানিং ফেসবুক ও ইউ টিউবের মাধ্যমে নিজেদের ঢাক নিজেরা পিটিয়ে জানান দিচ্ছে তারাই সনাতন ধর্মের বাপ! সনাতন ধর্ম তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। সনাতন ধর্মের তারাই ধারক বাহক। ইউ টিউবে কেউ কেউ নিজেদের সনাতন ধর্মের রক্ষাকর্তা মনে ক'রে লেখাপড়া না জানা অশিক্ষিতের মতন হুঙ্কার চালাচ্ছে সৎসঙ্গের বিরুদ্ধে! হুঙ্কার চালাচ্ছে, বিষোদ্দগার করছে মূর্খের মতন যার মধ্যে ধর্ম মূর্ত হ'য়ে উঠেছে সেই The greatest phenomenon of the world SriSriThakur Anukulchandra-এর বিরুদ্ধে! এদের মধ্যে নাক টিপলে এখনো মায়ের হাতে ঝিনুক দিয়ে খাওয়া দুধ বেরোবে এমন ধর্ম অর্থ জ্ঞানহীন বাচ্চা ছেলেও ঠাকুরের বিরুদ্ধে ইউ টিউবে প্রবচন দিচ্ছে বুড়োবুড়িদের সামনে! এই হচ্ছে বর্তমান ফেসবুক আর ইউ টিউব নির্ভর স্বঘোষিত সনাতন ধর্মের বাহকদের অবস্থা। এরা নাকি সব হিন্দুধর্মের রক্ষাকর্তা, ধারক বাহক। আর এদের পরিচয় এরা সব বাঙালি হিন্দু। আবার মতুয়ারাও ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে পুরুষোত্তম রামকৃষ্ণ, ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাপবাপান্ত করতে ছাড়ছে না। এরা মনে করে এরা সমস্ত শূদ্র জাতের অভিভাবক এবং এরা ঠিক। বিবেকানন্দকে এরা ব্রাহ্মণ রামকৃষ্ণের পা চাটা শূদ্র বলে। মতুয়ারা একমাত্র খাঁটি শূদ্র বাকি সব শূদ্র ব্রাহ্মণদের পা চাটা শূদ্র। শূদ্র জাতের মধ্যেই এরা বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে, সৃষ্টি করেছে বিভেদ। এমনই এরা শূদ্র প্রেমী!
আবার অনেক দল আছে যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের অথচ তারা নিজেদের হিন্দু ব'লে স্বীকার করে না। তারা উদারতার ভঙ্গিতে অতি বিপ্লবীর মত নিজেদের জাতপাতসম্প্রদায়ের উর্ধে তুলে ধ'রে নিজের ঢাক নিজে পেটাবার মতো নিজেদের মানবতাবাদী ব'লে দাবী করে এবং প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্মের বাপ বাপান্ত করে, কেউ কেউ বা পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের বিরুদ্ধে শূদ্রদের অজ্ঞানতা, সরলতাকে হাতিয়ার ক'রে তাদের ক্ষেপিয়ে তুলে তাদের ভিতরে ইসলাম ধর্মের প্রচার করে এবং হজরত মহম্মদকে শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী পুরুষ ব'লে তুলে ধরে সুকৌশলে যাতে তারা হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করে ও ইসলাম ধর্মকে ভালোবাসে। এরা এমনই অদ্ভুত মানবতাবাদী! এরা প্রকৃতপক্ষে কারোরই পক্ষের নয়। এরা স্বার্থান্বেষী শ্বাপদ। এরা এজেন্ট। নিজের স্বার্থ পুরণের জন্য এরা সবারই গোলামী করে। এদের মিনিমাম লজ্জা বোধ হয় না, জাত্যাভিমান ব'লে এদের কিছুই নেই যখন একই মঞ্চ থেকে অন্য ধর্মের প্রতিনিধি একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদের হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কিন্তু নিজ নিজ ধর্মের ভিতরের অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক, অশাস্ত্রীয় অন্যায় কর্মকান্ডের তিলমাত্র বিরোধিতা করে না তখন এরা চুপ ক'রে মঞ্চে ব'সে তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে।
প্রকৃত মানবতাবাদী হিন্দুর একচক্ষু হরিণের চরিত্র হয় না। কিন্তু যারা প্রকৃত নয় তাদের চোখে হিন্দু আর হিন্দুধর্মের ভিতরে বাঁচা বাড়া বিরোধী কর্মকান্ড ধরা পড়ে, অন্য ধর্মের ভিতরের যা কিছু দূষিত আবর্জনা এদের চোখে পড়ে না, দুর্গন্ধ নাকে লাগে না, তারা হিন্দু ধরনের ভিতরে চুলকিয়ে কু খুঁজে নেয়। প্রকৃত মানবতাবাদী কখনও নিজের ধর্মকে অমান্য করে না, ধর্ম ত্যাগ করে না বা ত্যাগ করার কথা বলে না। অন্য ধর্মের হ'য়ে দালালি ক'রে নিজ ধর্মকে ছোটো ও অপমান করে না। এদের কোনও নিজস্ব চরিত্র নেই। গিরগিটির চেয়েও এরা ভয়ঙ্কর! গিরগিটির চেয়েও এরা দ্রুত ও অনেক বেশী রঙ বদলায়! গিরিগিটিও এদের ভয় পায়। এদের ফাঁদে পা দিয়ে জন্মজন্মান্তর ফেঁসে যায় প্রান্তিক মানুষ, দূর্বল মানুষ, মূর্খ মানুষ, সহজ-সরল বেকুব মানুষ, গরীব মানুষ, লেখাপড়া না জানাওয়ালা মানুষ, অশিক্ষিত মানুষ।
প্রকৃত মানবতাবাদী জানে হিন্দু ধর্মের মৌলিকত্বের মধ্যে কোনও অশাস্ত্রীয়, অবৈজ্ঞানিক ও অমানবতাবাদী কোনও বিষয় নেই। প্রকৃত মানবতাবাদী তা সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খৃস্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক আর যেই বা যে ধর্মেরই হ'ক তারা ধর্মের নামে চাপিয়ে দেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক, অশাস্ত্রীয় কর্মকান্ডের ওপর জেহাদ ঘোষণা ক'রে আমরণ লড়াই করে। যার ভুরি ভুরি উদাহরণ আমরা দেখতে পায় সব ধর্মের মহামানবদের মধ্যে। এরা ধর্মান্তর সমর্থন করে না।
তাই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো ব'লে বেছে নেবার সময় এসে গেছে। সাদাকালোয় মেশানো ধুসর রঙের জালিয়াতি থেকে সাবধান হ'তে হবে সব ধর্মের সব প্রকৃত মানবতাবাদী মানুষকে। নতুবা ধ্বংস অনিবার্য। আবার মহাভারত।-------প্রবি।
ক্রমশ! ( পরবর্তী অংশঃ ধর্ম ও ধর্মান্তর ৫ )
(লেখা ১লা নভেম্বর'২০২২)
কিছু বাঙ্গালী সনাতনী ইদানিং ফেসবুক ও ইউ টিউবের মাধ্যমে নিজেদের ঢাক নিজেরা পিটিয়ে জানান দিচ্ছে তারাই সনাতন ধর্মের বাপ! সনাতন ধর্ম তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। সনাতন ধর্মের তারাই ধারক বাহক। ইউ টিউবে কেউ কেউ নিজেদের সনাতন ধর্মের রক্ষাকর্তা মনে ক'রে লেখাপড়া না জানা অশিক্ষিতের মতন হুঙ্কার চালাচ্ছে সৎসঙ্গের বিরুদ্ধে! হুঙ্কার চালাচ্ছে, বিষোদ্দগার করছে মূর্খের মতন যার মধ্যে ধর্ম মূর্ত হ'য়ে উঠেছে সেই The greatest phenomenon of the world SriSriThakur Anukulchandra-এর বিরুদ্ধে! এদের মধ্যে নাক টিপলে এখনো মায়ের হাতে ঝিনুক দিয়ে খাওয়া দুধ বেরোবে এমন ধর্ম অর্থ জ্ঞানহীন বাচ্চা ছেলেও ঠাকুরের বিরুদ্ধে ইউ টিউবে প্রবচন দিচ্ছে বুড়োবুড়িদের সামনে! এই হচ্ছে বর্তমান ফেসবুক আর ইউ টিউব নির্ভর স্বঘোষিত সনাতন ধর্মের বাহকদের অবস্থা। এরা নাকি সব হিন্দুধর্মের রক্ষাকর্তা, ধারক বাহক। আর এদের পরিচয় এরা সব বাঙালি হিন্দু। আবার মতুয়ারাও ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে পুরুষোত্তম রামকৃষ্ণ, ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাপবাপান্ত করতে ছাড়ছে না। এরা মনে করে এরা সমস্ত শূদ্র জাতের অভিভাবক এবং এরা ঠিক। বিবেকানন্দকে এরা ব্রাহ্মণ রামকৃষ্ণের পা চাটা শূদ্র বলে। মতুয়ারা একমাত্র খাঁটি শূদ্র বাকি সব শূদ্র ব্রাহ্মণদের পা চাটা শূদ্র। শূদ্র জাতের মধ্যেই এরা বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে, সৃষ্টি করেছে বিভেদ। এমনই এরা শূদ্র প্রেমী!
আবার অনেক দল আছে যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের অথচ তারা নিজেদের হিন্দু ব'লে স্বীকার করে না। তারা উদারতার ভঙ্গিতে অতি বিপ্লবীর মত নিজেদের জাতপাতসম্প্রদায়ের উর্ধে তুলে ধ'রে নিজের ঢাক নিজে পেটাবার মতো নিজেদের মানবতাবাদী ব'লে দাবী করে এবং প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্মের বাপ বাপান্ত করে, কেউ কেউ বা পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের বিরুদ্ধে শূদ্রদের অজ্ঞানতা, সরলতাকে হাতিয়ার ক'রে তাদের ক্ষেপিয়ে তুলে তাদের ভিতরে ইসলাম ধর্মের প্রচার করে এবং হজরত মহম্মদকে শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী পুরুষ ব'লে তুলে ধরে সুকৌশলে যাতে তারা হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করে ও ইসলাম ধর্মকে ভালোবাসে। এরা এমনই অদ্ভুত মানবতাবাদী! এরা প্রকৃতপক্ষে কারোরই পক্ষের নয়। এরা স্বার্থান্বেষী শ্বাপদ। এরা এজেন্ট। নিজের স্বার্থ পুরণের জন্য এরা সবারই গোলামী করে। এদের মিনিমাম লজ্জা বোধ হয় না, জাত্যাভিমান ব'লে এদের কিছুই নেই যখন একই মঞ্চ থেকে অন্য ধর্মের প্রতিনিধি একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদের হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কিন্তু নিজ নিজ ধর্মের ভিতরের অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক, অশাস্ত্রীয় অন্যায় কর্মকান্ডের তিলমাত্র বিরোধিতা করে না তখন এরা চুপ ক'রে মঞ্চে ব'সে তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে।
প্রকৃত মানবতাবাদী হিন্দুর একচক্ষু হরিণের চরিত্র হয় না। কিন্তু যারা প্রকৃত নয় তাদের চোখে হিন্দু আর হিন্দুধর্মের ভিতরে বাঁচা বাড়া বিরোধী কর্মকান্ড ধরা পড়ে, অন্য ধর্মের ভিতরের যা কিছু দূষিত আবর্জনা এদের চোখে পড়ে না, দুর্গন্ধ নাকে লাগে না, তারা হিন্দু ধরনের ভিতরে চুলকিয়ে কু খুঁজে নেয়। প্রকৃত মানবতাবাদী কখনও নিজের ধর্মকে অমান্য করে না, ধর্ম ত্যাগ করে না বা ত্যাগ করার কথা বলে না। অন্য ধর্মের হ'য়ে দালালি ক'রে নিজ ধর্মকে ছোটো ও অপমান করে না। এদের কোনও নিজস্ব চরিত্র নেই। গিরগিটির চেয়েও এরা ভয়ঙ্কর! গিরগিটির চেয়েও এরা দ্রুত ও অনেক বেশী রঙ বদলায়! গিরিগিটিও এদের ভয় পায়। এদের ফাঁদে পা দিয়ে জন্মজন্মান্তর ফেঁসে যায় প্রান্তিক মানুষ, দূর্বল মানুষ, মূর্খ মানুষ, সহজ-সরল বেকুব মানুষ, গরীব মানুষ, লেখাপড়া না জানাওয়ালা মানুষ, অশিক্ষিত মানুষ।
প্রকৃত মানবতাবাদী জানে হিন্দু ধর্মের মৌলিকত্বের মধ্যে কোনও অশাস্ত্রীয়, অবৈজ্ঞানিক ও অমানবতাবাদী কোনও বিষয় নেই। প্রকৃত মানবতাবাদী তা সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খৃস্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক আর যেই বা যে ধর্মেরই হ'ক তারা ধর্মের নামে চাপিয়ে দেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক, অশাস্ত্রীয় কর্মকান্ডের ওপর জেহাদ ঘোষণা ক'রে আমরণ লড়াই করে। যার ভুরি ভুরি উদাহরণ আমরা দেখতে পায় সব ধর্মের মহামানবদের মধ্যে। এরা ধর্মান্তর সমর্থন করে না।
তাই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো ব'লে বেছে নেবার সময় এসে গেছে। সাদাকালোয় মেশানো ধুসর রঙের জালিয়াতি থেকে সাবধান হ'তে হবে সব ধর্মের সব প্রকৃত মানবতাবাদী মানুষকে। নতুবা ধ্বংস অনিবার্য। আবার মহাভারত।-------প্রবি।
ক্রমশ! ( পরবর্তী অংশঃ ধর্ম ও ধর্মান্তর ৫ )
(লেখা ১লা নভেম্বর'২০২২)
No comments:
Post a Comment