Powered By Blogger

Wednesday, November 16, 2022

প্রবণতাঃ লেখকের লেখা ও লেখক সত্ত্বা।

ইদানিং প্রায় দেখি একজন আরেকজনের লেখা নিজের টাইমলাইনে লেখকের নাম ছাড়া বা ইনভার্টেড কমা ছাড়াই পোষ্ট করছে। কেন করছে, কি জন্য করছে জানি না, জানলেও বলতে চাই না তবে এটা অনেক সময় অনভিজ্ঞতার কারণেও হয়। এই অনভিজ্ঞতা এক জিনিস আর ইচ্ছাকৃত আর এক জিনিস।

এরকম প্রায় দেখা যায়। ইচ্ছাকৃতই হ'ক আর অনভিজ্ঞতার কারণেই হ'ক এমন ঘটনা যারা ঘটায় তাদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে তারা কি জানে লেখকের জীবনে লেখক সত্ত্বার ও লেখার গুরুত্ব এবং ফেসবুকের গুরুত্ব সমাজজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ঠাকুরের প্রচার মানে এটা নয় যে, কোনও লেখকের স্বাধীন সত্ত্বাকে, লেখকের লেখাকে নিয়ে আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। অনেককে দেখি ঠাকুরের লেখা নিয়েও এমন কান্ড ঘটাতে। ঠাকুরের কত লেখা দেখি নাম গোত্র পরিচয়হীন প্রকাশ হ'তে। ঠাকুরের কথা, ঠাকুরের ভাষা, ঠাকুরের শব্দ চয়ন, ঠাকুরের বিষয় নিয়ে লেখা এমনভাবে পোষ্ট হয় বুঝে ওঠার উপায় নেই এটা কি ঠাকুরের লেখা নাকি অন্য কারও লেখা!!!!! কখনও ভাবতে অবাক লাগে ঠাকুরের লেখার মধ্যে কোথায় যেন ভারসাম্যের অভাব!!!!!!! অবাক হ'য়ে যেতে হয়। লেজা মুড়ো বাদ দিয়ে বাজারের মাছের মত লেখা প্রকাশ। যেমন বোঝা যায় না এটা কি মাছ, ঠিক তেমনি বোঝা যায় না এটা কার লেখা!!!!!! কোনও লেখকের লেখাকে নিয়ে আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না তা' যতই সমাজের, মানুষের মঙ্গলের জন্য হ'ক আর ঠাকুরের প্রচারের জন্যই হ'ক না কেন। আমার যদি কারও লেখা পছন্দ হয় আর তা যদি পোষ্ট করতে চাই তাহ'লে আমাকে মাথায় রাখতে হবে সেই লেখায় ইনভার্টেড কমা এবং লেখকের নাম দিতে হবে আর এটাই নিয়ম তা নাহ'লে লেখা চুরির অপবাদে জড়িয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা যদি ঘ'টে থাকে আর যদি এই ঘটনায় লেখ্য জগতের সাধারণ সহজ নিয়ম আমার জানা না থাকে তাহ'লে সেটা সম্পূর্ণ নির্দোষ ব্যাপার। আর সেটা জানার পর যদি আমি লেখা শুধরে না দিই বা নিজেকে শুধরে না নিই কিম্বা জানা থাকা সত্ত্বেও যদি কারও লেখাকে লেখকের নাম পরিচয় সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে আমি পোষ্ট করি তাহ'লে তা' জনসাধারণের কাছে আমার নিজের লেখা ব'লে গণ্য হয় আর সেটা হবে আইনত অপরাধ। এটা মাথায় রাখতে হবে ফেসবুক ওপেন মিডিয়া আর সেই সুযোগে সমস্ত মানুষ দেখতে পাচ্ছে সৎসঙ্গীদের এই কাজিয়া। কাজিয়ার দোষ ত্রুটি যে পক্ষের দিকে হেলে পড়বে সেই পক্ষ সম্পর্কে একটা ভুল ধারণার জন্ম হবে সাধারণ অদীক্ষিত মানুষের কাছে আর তা'তে ঠাকুরের মুখে কালিমা লেপন করার সুযোগ পেয়ে যায় একশ্রেণীর কুৎসা রটাতে উৎসাহী অভ্যস্ত মানুষ। আমরা যে যাই করি না কেন তা ঠাকুরের কাজ বা ঠাকুরের প্রচার যাই হ'ক না কেন তা' করার সময় ঠাকুরের মান সম্মান ও লেখকের লেখক সত্ত্বার দিকে যেন নজর রাখতে ভুলে না যায়।

( রচনা ১৭ই নভেম্বর'২০১৭)

No comments:

Post a Comment