Powered By Blogger

Tuesday, February 13, 2024

প্রবন্ধঃ প্রকৃত ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী সৎসঙ্গীদের কাছে প্রকৃত ভ্যালেনটাইনস ডে হ'য়ে উঠুক। কারণ নিচের ছবিতে পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদাদার ভালোবাসার বন্ধনে বন্দী এই সেই সি, আর, পি, এফ জওয়ান বাবলু দাস যিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের অপার দয়ায় আজকের দিনে সাক্ষাৎ মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছিলেন।

আজকের সেই ১৪ ফেব্রুয়ারি (২০১৯ সাল) শয়তানের ভয়ঙ্কর পুলওয়ামা জঙ্গী হামলার অভিশপ্ত দিন এবং প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে গভীর দুঃখের দিন; যেদিন ভারতের নিরাপত্তা কর্মীদের বহনকারী একটি গাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথোপোড়া (অবন্তীপাড়ার কাছাকাছি) অতিক্রমকালে জম্মু শ্রীনগর জাতীয় সড়কে একটি বাহন-বাহিত আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয়। এই হামলার ফলে ৪০ জন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ (সিআরপিএফ) কর্মী এবং আক্রমণকারী মারা গিয়েছিলেন।
এবং একই সঙ্গে আজকের দিন পরমপিতার জীবন্ত উপস্থিতির আনন্দঘন শুভ দিন যেদিন পরমপিতার দয়ায় এই আত্মঘাতী বোমা হামলার সাক্ষাৎ নিশ্চিত মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছিলেন CRPF জওয়ান বাবলু দাস।

আজকের এই গভীর দুঃখের দিনে ৪০জন দেশপ্রেমিক শহিদের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে পরমপিতার রাতুল চরণে তাঁদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করি।

প্রসঙ্গত CRPF জওয়ান বাবলু দাস ছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মন্ত্রপুত শিষ্য। বাবলু দাস-এর স্ত্রী সুপর্ণাদেবী বলেন "ঠাকুর আমার প্রার্থনা শুনেছেন"।

CRPF জাওয়ান বাবলু দাসের বাড়ি আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলায়।
পুলওয়ামা জঙ্গী হামলায় যে বাসে সেদিন বিস্ফোরন ঘটেছিল সেদিন তিনি
ঐ বাসে প্রথমে বসেছিলেন। কিন্তু বাস ছাড়ার আগে তার জল তৃষ্ণা পাওয়ায় সঙ্গে জলের বোতল না থাকার কারণে বাস থেকে নেবে পড়েছিলেন তার ফেলে আসা জলের বোতল আনতে। পরে ফিরে এসে দেখেন তার বসার জায়গায় অন্য একজন ব'সে পড়েছেন এবং পরপর ৩টি বাসের সিট পরিপূর্ণ হ'য়ে গেছে। তাই তিনি পরের বাসে খালি সিটে গিয়ে বসেন।

তারপরে যখন ঘটনা ঘটে তখন বাড়ির সবাই এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় দয়াল ঠাকুরের কাছে গভীর কান্নায় ভেঙে পড়েন। কারণ সবাই জানতেন তিনি ঐ বাসে আছেন। অনেক সময় পরে ঐ জওয়ান দাদা বাড়িতে ফোন ক'রে জানান তিনি দয়ালের দয়ায় ঐ ঘটনায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং বিস্তৃত ঘটনা বর্ণনা করেন।
আসামের বাসিন্দা ঐ জওয়ান বাবলু দাস ও তার পরিবার ছিলেন পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মন্ত্রশিষ্য। নিয়মিত যজন, যাজন ও ইষ্টভৃতি পরায়ণ জওয়ান বাব্লু দাস শয়তানের বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন নিয়মিত ঐ যজন, যাজন ও ইষ্টভৃতি করার ফলে।

তাই হে আমার গুরুভাইবোন! যতটুকু পারবেন অকপট হৃদয়ে কোনওরূপ প্রত্যাশা না রেখে নিজে কিছু গ্রহণ করার পূর্বে দয়ালের উদ্দেশ্যে নিঃশর্তে একান্তই তাঁরই যথেচ্ছ ব্যবহারের দরুণ কিছু সমপর্ণ করুন। যাকে শ্রীশ্রীঠাকুর ইষ্টভৃতি বলেছেন।

"যতোই আসুক বিপদ আপদ
যেমনি হোক প্রাণ,
ইষ্টভৃতি আনেই আনে
সবার পরিত্রাণ"---- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র ।

আর, আসুন আমরা তাঁর অমোঘ বাণী স্মরণ করি আর বাস্তবে তিনি যে কাজে, যে আচরণে খুশী হন, সুখী হন, আনন্দিত হন, খুশীতে চোখমুখ ঝলমল ক'রে ওঠে তাঁর; আসুন আমরা তাই-ই করি।
আজকের দিন ঈশ্বরের সঙ্গে ভালোবাসার অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত হবার প্রকৃত ভ্যালেন্টাইন্স ডে হ'য়ে উঠুক অন্তত সৎসঙ্গীদের কাছে। কারণ তিনিই এক ও একমাত্র পরমপ্রেমময়, ভালোবাসার মূর্ত রূপ। বাকী সব মিথ্যা। তাঁর সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে, প্রেমের বন্ধনে বন্দী হ'য়ে আসুন আমরা গুরুভাইবোন ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করি। তবেই বাকী সব প্রেম, ভালোবাসা সত্য হ'য়ে উঠবে।
( লেখা ১৪ই ফেব্রুয়ারী'২০২৩)

No comments:

Post a Comment