স্বীকার করো আর না-করো, করো ধিক্কার
তা'তে না আমার, না আর কারও
যাবে-আসবে না কিছু,
সময়মতো যখন পড়বে নুইয়ে জীবন
মৃত্যুর হাত ধরবে ব'লে
যেমন সূর্য পড়ে ঢ'লে পশ্চিমাকাশের কোলে
তখন দেখতে পাবে ম্লান সূর্যের আলোয়
ঘরের কোণে জীবন, আছে ঢেকে কালোয়।
সেই আঁধারে পড়বে মনে আমার কথা,
সেদিন থাকবে না কেউ সাথে, না আগুপিছু।
সেদিন অহংকার আর সত্য না-মানার মন্ত্রণা,
দয়ালের ভক্ত সেজে দয়ালের সাথে প্রবঞ্চনা,
ভণ্ডামি আর প্ররোচনা করার যাবতীয় যন্ত্রণা
যতই তুমি মিথ্যে গাম্ভীর্যে ঢেকে রাখো না
এঁটুলি পোকার মতো ছাড়বে না তোমার পিছু।
রোগ-শোকে ঘেরা, গ্রহদোষে মোরা,
বুদ্ধি-বিপর্যয়ে ধস্ত জীবন বিপর্যস্ত
বিধ্বস্ত দরিদ্রতাগ্রস্থ পরিবারে দেখবে
সবার জীবন বৃত্তির বৃত্তে শুধুই ঘুরে মরা।
সেথায় তুমি একা, সম্পূর্ণ একা, সাথী
শুধু অতীতের স্মৃতি যা মুর্খামিতে ভরা।
হতাশ, ক্লান্ত ঘোলাটে চোখে দেখবে চেয়ে
ভেসে আসে দিনে-রাতে ঘুমের মাঝে
অলীক মায়ায় ঘেরা 'অতীত' যত ধেয়ে।
এ কলি যুগের ঢেউ
বাঁচবে না-তো কেউ
বাঁচাতে পারবে না কোনও মতবাদ
আর ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদ।
তাই, ঈশ্বরবিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী
ঈশ্বরের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে
যতই করো ঢক্কানিনাদ
বাঁচবে না কেউ, দিনশেষে অবশেষে
আসবে ফিরে হ'য়ে আর্তনাদ।
তাই বলছি আমি হেঁকে
সবাইকে ডেকে ডেকে
হে জীবন, বাঁচতে যদি চাও
গোঁসাই-গোবিন্দ, যোগী-ধ্যানী
পুরুষ-মহাপুরুষ, সাধক-সাধিকা,
মানী-জ্ঞানী যত সাধু-সন্ন্যাসী আর সন্ন্যাসিনী
ভক্ত-শিষ্য যাই-ই না তুমি হও
ছেড়ে ভণ্ডামি আর কপট-চাতুরী
ভাসাও দয়ালের 'নাম' সাগরে নাউ
জীবন উঠছে দুলে দুলে
কাল-মহাকাল আসছে ফণা তুলে
মারবে ছোবল ব্রহ্মতালু 'পরে
সেদিন থাকবে না কেউ পাশে
দয়ালের ভয়াল রূপ দেখে
সেদিন উঠবে কেঁপে ত্রাসে।
বাঁচবে না বন্ধু সেদিন তুমি,
কর্মফল ভুগে ছাড়তে হবে ভূমি
কিন্তু ভাই, বন্ধু, আত্ম-পরিজন
তোমার সন্তানকে তুমি বাঁচাও,
ব'লে যাও তোমার চরিত্রের যত কুকীর্তি
আর, বলো, তোমার সন্তানকে,
হে আত্মজ, ঈশ্বরের চরিত্রে চরিত্র রাঙাও।
( লেখা ২৫শে জানুয়ারী'২৪)
সেদিন থাকবে না কেউ সাথে, না আগুপিছু।
সেদিন অহংকার আর সত্য না-মানার মন্ত্রণা,
দয়ালের ভক্ত সেজে দয়ালের সাথে প্রবঞ্চনা,
ভণ্ডামি আর প্ররোচনা করার যাবতীয় যন্ত্রণা
যতই তুমি মিথ্যে গাম্ভীর্যে ঢেকে রাখো না
এঁটুলি পোকার মতো ছাড়বে না তোমার পিছু।
রোগ-শোকে ঘেরা, গ্রহদোষে মোরা,
বুদ্ধি-বিপর্যয়ে ধস্ত জীবন বিপর্যস্ত
বিধ্বস্ত দরিদ্রতাগ্রস্থ পরিবারে দেখবে
সবার জীবন বৃত্তির বৃত্তে শুধুই ঘুরে মরা।
সেথায় তুমি একা, সম্পূর্ণ একা, সাথী
শুধু অতীতের স্মৃতি যা মুর্খামিতে ভরা।
হতাশ, ক্লান্ত ঘোলাটে চোখে দেখবে চেয়ে
ভেসে আসে দিনে-রাতে ঘুমের মাঝে
অলীক মায়ায় ঘেরা 'অতীত' যত ধেয়ে।
এ কলি যুগের ঢেউ
বাঁচবে না-তো কেউ
বাঁচাতে পারবে না কোনও মতবাদ
আর ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদ।
তাই, ঈশ্বরবিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী
ঈশ্বরের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে
যতই করো ঢক্কানিনাদ
বাঁচবে না কেউ, দিনশেষে অবশেষে
আসবে ফিরে হ'য়ে আর্তনাদ।
তাই বলছি আমি হেঁকে
সবাইকে ডেকে ডেকে
হে জীবন, বাঁচতে যদি চাও
গোঁসাই-গোবিন্দ, যোগী-ধ্যানী
পুরুষ-মহাপুরুষ, সাধক-সাধিকা,
মানী-জ্ঞানী যত সাধু-সন্ন্যাসী আর সন্ন্যাসিনী
ভক্ত-শিষ্য যাই-ই না তুমি হও
ছেড়ে ভণ্ডামি আর কপট-চাতুরী
ভাসাও দয়ালের 'নাম' সাগরে নাউ
জীবন উঠছে দুলে দুলে
কাল-মহাকাল আসছে ফণা তুলে
মারবে ছোবল ব্রহ্মতালু 'পরে
সেদিন থাকবে না কেউ পাশে
দয়ালের ভয়াল রূপ দেখে
সেদিন উঠবে কেঁপে ত্রাসে।
বাঁচবে না বন্ধু সেদিন তুমি,
কর্মফল ভুগে ছাড়তে হবে ভূমি
কিন্তু ভাই, বন্ধু, আত্ম-পরিজন
তোমার সন্তানকে তুমি বাঁচাও,
ব'লে যাও তোমার চরিত্রের যত কুকীর্তি
আর, বলো, তোমার সন্তানকে,
হে আত্মজ, ঈশ্বরের চরিত্রে চরিত্র রাঙাও।
( লেখা ২৫শে জানুয়ারী'২৪)
No comments:
Post a Comment