চকচক করলেই সোনা হয় না (১)-এ লিখেছিলাম, "সাজানো বাগানে ফুল সবাই ছিঁড়তে আসে; একজন দু'জন বাগান প্রেমী ছাড়া। তাই আসুন বাগান প্রেমী হ'ই।"
এই আর্টিকেলের শেষ পর্বে সৎসঙ্গের সাম্প্রতিক ঘটনা বিশ্লেষণ ক'রে দেখে নেব আমি নিজে কতটা বাগান তৈরী করেছে যে মালী সেই মালীকে ভালবাসি বা মালীর প্রতি আমার প্রেম কতটা, আর কতটাই বা আমি তাঁর সৃষ্ট বাগানকে ভালোবাসি। তারপর নাহয় বাগান সাজাবো।
সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া খবর শ্রীশ্রীঅবিনদাদার ১৫০+ গাড়ির র্যালি নিয়ে আসাম সফর সৎসঙ্গ জগতে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের মধ্যে ব্যপক উত্তেজনা ও আনন্দের জোয়ার ব'য়ে গেছে। ঠিক তেমনি সৃষ্টি হয়েছে বিরোধিতা ও বিতর্কের। কুৎসা ও গালাগালিতে ভরে গেছে নেট দুনিয়া।
আমি এখানে এই আর্টিকেলে কে কোথায় বিরোধিতা করেছে ও করছে, কে কোথায় কত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে ও ক'রে চলেছে, আর কে কে, কি কি ও কত রসালো রসালো খিস্তি খেউর ও নূতন নূতন গালাগালিতে ভরিয়ে দিচ্ছে ফেসবুকের পাতা, ভয়ঙ্কর নগ্নতা আর অশ্লীলতার ছোঁয়ায় ভাইরাল ক'রে তুলছে অবিনদাদার সফর তা নিয়ে বিন্দুমাত্র লেখার ইচ্ছা আমার নেই। কারণ এটা আন্ডারস্টুড আর স্বাভাবিক ব্যাপার।
এই ভয়ঙ্কর অন্ধকার কলি যুগের অনুকূল স্রোতের বিরুদ্ধে যে হাঁটবে তাকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি পায়ের লাথি খেতে হবেই। এই বিশ্ব শুধু নয়, এই ব্রহ্মান্ড শুধু নয়, এই ব্রহ্মান্ডের বাইরে আরও কোটি কোটি বহ্মান্ড আছে, সেই ব্রহ্মান্ডগুলি (বিজ্ঞানীরা যা কল্পনা করেছেন মাত্র) সৃষ্টির যে কারণ, সেই পরমকারণিক সৃষ্টিকর্তা যখন তাঁর মহাসৃষ্টির একটি সৃষ্টি এই ব্রহ্মান্ডের ক্ষুদ্রতম সৃষ্টি এই পৃথিবীর অস্তিত্বকে, এই পৃথিবীর বুকে তাঁর সৃষ্ট যে যে প্রাণের অস্তিত্ব আছে সেই অস্তিত্ব সমূহকে রক্ষা করবার ও বৃদ্ধির পথে নিখুঁতভাবে চালিত করার তীব্র প্রয়াসে যখন তিনি নেবে আসেন তখন সেই সেই যুগে তাঁকে লাঞ্ছিত, অপমানিত, অস্মমানিত হ'তে হয়েছে। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চরম লাঞ্ছিত, অপমানিত হ'তে হয়েছে তাঁর পরমপ্রিয় ভক্তমন্ডলীকে। যখনই যেখানে তিনি নেবে এসেছেন সেখানেই তাঁকে ও তাঁর প্রাণপ্রিয় ভক্তদের তীব্র আক্রমণ করেছে, ভয়ঙ্কর আঘাত হেনেছে তাঁর ও তাঁদের অস্তিত্বের ওপর ধ্বংসের অনুকূলে হাঁটা অন্ধ মানুষেরা।
দিনদুনিয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্ট এই পৃথিবীতে মানুষের মাঝে মানুষ মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছেন আট আটবার রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র রূপে। প্রতিবারেই তাঁকে চরম দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। রক্তমাংসরূপী জীবন্ত ঈশ্বর আট আটবারের মধ্যে বেশীরভাগ সময় অর্থাৎ ছয় ছয়বার এশিয়া তথা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন। আবার অবিভক্ত ভারতের বাংলায় ঈশ্বর তিন তিনবার জন্মগ্রহণ করেন।
যাই হ'ক সৃষ্টিকর্তা যতবারই মানুষ্রূপে জন্ম নিয়েছিলেন ততবারই তাঁকে চরম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল। প্রতিবারের মত এবারও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে সীমাহীন চরম দুঃখ কষ্ট লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্য করতে হয়।
(লেখা ১১ই ফেব্রুয়ারী' ২০২৩)
No comments:
Post a Comment