স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার!
ফেসবুকের বিভিন্ন পোষ্টে যখন মানুষ নামের একশ্রেণীর অদ্ভুত জীব The greatest phenomenon of the world SriSri Thakur Anukul Chandra-এর নামে কুৎসার অভিধান খুলে বসেছে ঠাকুরকে বাজারী ক'রে ছেড়ে দেবার জন্যে তখন অবাক লাগে, ভেবে কষ্ট হয় এরা সবাই বাঙালি! আবার এদের মধ্যে স্বঘোষিত সৎসঙ্গীও আছে যারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে রক্ষা করার নামে শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ভক্ত সেজে শ্রীশ্রীঠাকুরের পরমপ্রিয়, তাঁর আদরের প্রথম সন্তান বড়খোকা, এ যুগের হনুমান, অর্জুন, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ এবং সৎসঙ্গ জগতের কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের চোখের মণি শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের বিরুদ্ধে সীমাহীন অন্তহীন গালাগালির বন্যা বইয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে! আর এরাও সবাই বাঙালী!!!!!!!! আর এই সুযোগে হা রে রে ক'রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সুযোগসন্ধানী ওই মানুষ নামের একশ্রেণীর অদিক্ষিত অদ্ভুত বাঙালি জনসমাজ সুসজ্জিত ধারালো গালাগালির অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে!
এখন এইসমস্ত স্বঘোষিত মূল কেন্দ্র বিরোধী সৎসঙ্গীদের কুৎসার জবাবে কলম ধরলেই কিছু বিকেন্দ্রিক সৎসঙ্গী (?) ক্ষিপ্ত হ'য়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলছে, আপনার কলমের শক্তি আছে ব'লে সেই প্রবল শক্তি দিয়ে আমাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করা থেকে দাবিয়ে রাখবেন? ভুলে যাবেন না ভারতবর্ষে সব মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের সমান অধিকার আছে।
আমি বললাম, ভারতবর্ষে সব মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের সমান অধিকার আছে ব'লে বুক বাজিয়ে লিখেছেন! তা সেই স্বাধীন মত প্রকাশের সমান অধিকারটা কি বলতে পারেন!? কি সেই স্বাধীনতা? কিসের স্বাধীনতা? মত প্রকাশের নামে কুৎসিত ভাষায় ব্যক্তিবিশেষের উদ্দেশ্যে গালাগাল স্বাধীনতা!? অশ্লীল অশ্রাব্য কুশ্রাব্য ভাষায়, ভাগারের মরা পচা গলা দুর্গন্ধযুক্ত বাতাসে ভেসে বেড়ানো মারণ জীবাণুর মত নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার স্বাধীনতা!? পায়খানার ডাব্বার ভোটকা গন্ধে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসার মত নরককুলের ভাষা প্রয়োগের নাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা!? হ্যাঁ সেই স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে বলেই আজ কথার আতংকবাদীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে! মত প্রকাশের অধিকার আছে ব'লেই সেই মত লাগামছাড়া উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল হ'য়ে জীবন বিধ্বংসী কামান হ'য়ে উঠবে!? মারণ বোম হ'য়ে তা হামলে পড়বে সমাজ-সভ্যতার উপর!? মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়ের ধর্ম, বিশ্বাস, ভাবাবেগের উপর খুল্লমখুল্লা সমাজ সভ্যতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অশ্লীল কথার আক্রমণ চালাবে!? স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে বলেই পরস্পর পরস্পরকে প্রকাশ্যে কানে গরম তরল সীসা ঢেলে দেওয়ার মত নোংরা ভাষায় কথা বলবে, নারীদের নিয়ে নোংরা কথার লোফালুপি খেলবে!? মত প্রকাশের স্বাধীনতার নাম কি আকাশে বাতাসে শীৎকার ছড়িয়ে কথার বলাৎকার!? আপনি এমনই ঠাকুরের শিষ্য!? এমনই অনুগামী!? ঠাকুর এমন কথা বলেছেন নাকি!? ঠাকুরের মানসিকতা, ঠাকুরের দর্শন, ঠাকুরের বোধ-বুদ্ধি, ঠাকুরের অনুভূতি, ঠাকুরের চিন্তা-ভাবনা, ঠাকুরের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ঠাকুরের দীর্ঘ ৮২বছরের বর্ণময় জীবন কি এতই সস্তা!? ঠুনকো!? ভঙ্গুর!? এতই অপরিপক্ক!!!!!? পরমপ্রেমময়ের পতাকার তলায় আপনি/আপনারা এমন ঘৃণাময় অনুগামী!?
যাক, আপনার/আপনাদের যা মনে হয়েছে, যা বুঝেছেন, যা দেখেছেন, যা শিখেছেন, যে অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি হয়েছে আপনি/আপনারা আমায় তাই লিখেছেন আর তাই-ই লিখবেন! এটা আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক আপনি/আপনারা তাই আপনার/আপনাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে! আপনারা মত প্রকাশ করুন! ঠাকুর বিরোধী জনসমাজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কথার এসিড ঢেলে জ্বালিয়ে দিন ঠাকুরের বুকটা, জ্বালিয়ে দিন ঠাকুরের ভালোবাসার ধন তাঁর পরমপ্রিয় আত্মজদের!!
আর একটা কথা বলি, ঠাকুরের কাছে আপনি/আপনারা আমার মঙ্গল চেয়েছেন! আপনার/আপনাদের মঙ্গল কে করে তার ঠিকানা জানা নেই আপনাদের আর আমার মঙ্গল চাইছেন! মঙ্গল চাইলেই বা কি আর না চাইলেই বা কি!!!!! আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন ঠাকুরের ওই সাবধান বাণী "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি।" আর এই বাণী আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য! কেউ ছাড় পাবে না! তা সে আপনি হ'ন, আমি হ'ই আর ঠাকুরের সন্তান-ই হ'ক! ঠাকুরের বলা কথা তুলে লেখা শেষ করলাম: "যা ইচ্ছা তাই করবে তুমি, তা করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না।"
আসুন নিজ নিজ ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখি।
(১৩ই সেপ্টেম্বর'১৯ লেখা)।
No comments:
Post a Comment