মানা-না মানা ও অধ্যক্ষ চয়ন।
কয়েকজন প্রশ্ন করেছেন: আপনি কি আমাদের মূর্খ ভাবেন? আপনি আমাদের যা গেলাবেন আমরা তাই গিলবো? আপনি নিজেকে পন্ডিত ভাবেন?
আমি তাদের বললাম:
কে বলেছে আপনি/আপনারা মূর্খ!? কার এত জ্ঞান আছে যে আপনাদের বলবে মূর্খ!? আমি আপনাদের আর কি গিলাবো? যা গেলার তো গিলে বসে আছেন! বসে গ্যাস অম্বলে ছটফট করছেন! মুখ ভর্তি, পেট ভর্তি হ'য়ে আছে আপনাদের! একটুও আর জায়গা নেই যে একটু তাঁর চলনামৃত দেবো! চরণামৃতে যাদের মাথা, পেট ও মুখ ভর্তি তাদের কেউ কি আর কিছু গেলাতে পারে, না গেলাতে যাবে!? কার ঘাড়ে ক'টা মাথা আছে চরণামৃত রসের আমেজে ডুবে থাকা ভরপুর নিষ্ঠা বিহীন গোঁয়ার জীবনকে চলনামৃত রস গেলাবে!? এ ব্যাপারে আমি শুধু বলতে পারি, আমি নিজেকে যেমন পন্ডিত ভাবি না তেমনি নিজেকে লেন্ডিতও ভাবি না। শুধু ভাবি, পুরুষোত্তমের প্রধান সহচর, প্রধান ভক্ত শ্রীশ্রীবড়দাকে যারা এভাবে অপমান করতে পারে, লাঞ্ছনা করতে পারে, পারে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগে তীব্র আক্রমণ, তারা মূর্খ!? তারা তো অসীম অনন্ত জ্ঞানের অধিকারী! কে বলেছে আপনাদের শ্রীশ্রীবড়দাকে আচার্য ব'লে মেনে নিতে? আপনাকে বা আপনাদের তো দূরের কথা আপনাদের পথপ্রদর্শকদের কি বলেছে? বলেনি। সবসময় একটা কথা জেনে এসেছি ঠাকুর আর ঠাকুরবাড়ি থেকে মানা আর না মানা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি মানতেও পারি, নাও মানতে পারি। শ্রীশ্রীবাবাইদাদা আমাদের প্রতিনিয়ত বুঝিয়েছেন, বুঝিয়ে চলেছেন যে, গ্রহণ-বর্জন একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ঠাকুরের কাছে এটাও জেনেছি, মানা আর জানা দুই ভাই। একটা আসলে আর একটা আপনা থেকেই এসে যায়! মানতে গেলে জানতে হবে আর জানতে গেলে মানতে হবে। যে কোনও একটা রাস্তা দিয়ে শুরু করতে হবে চলা। আপনি/আপনারা মানেন না তাই জানেন না! আপনি জানেন না তাই মানেন না! না মানার ও না জানার শিক্ষা এবং মানতে ও জানতে না চাওয়ার জন্মগত প্রবণতা আপনাদের অশিক্ষিত করেছে আর না মানা ও না জানার দুর্ভাগ্য করেছে আপনাদের অমানুষ! তাই আপনার/আপনাদের নির্দ্বিধায়, নিঃসঙ্কোচে শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারকে কলঙ্কিত করতে বুক কাঁপে না, হাত কাঁপে না তাঁদের উদ্দেশ্যে নোংরা অশ্লীল অপমানকর উক্তি লিখতে! ঠাকুর কি আমাদের এই শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এসেছিলেন!? কে বলেছে পুরুষোত্তম বংশ ছাড়া অধ্যক্ষ মর্যাদা পেতে পারে না? নিজেদের মনগড়া বৃত্তি-প্রবৃত্তির চুলকানিতে ভরা ভুলভাল কথা লেখেন কেন? আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি উত্তর দিয়ে যে প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখেছিলাম সেই প্রশ্নের এখনও পর্যন্ত একটাও উত্তর দিয়েছেন? চোরের মত, নির্লজ্জের মত কথার ট্র্যাক ঘুরিয়ে দেন কেন? আপনার/আপনাদের প্রত্যেকটি কথার, প্রত্যেকটি লাইনের উত্তর দিয়েছি আর যখন প্রশ্ন করেছি তখন 'উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না' ব'লে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান! কেন? বাপের বেটার মত উত্তর দিন আমার এই প্রশ্নের: আপনারা লিখেছেন, "ঠাকুরবাড়ির বাইরে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের থেকেও অনেক উচ্চমার্গীয় জ্ঞানী তপস্বী মহান পুরুষ আছেন যাদের অনায়াসেই অধ্যক্ষ করা যায়।" তিনারা কারা নাম বলছেন না কেন? ঠাকুর পরিবারের বাইরে অধ্যক্ষ হবার মত যদি উচ্চমার্গীয় অসীম জ্ঞানের অধিকারী কোনও মহাপুরুষ থেকেই থাকে তবে কেন তাদের কাউকে আপনাদের অধ্যক্ষ করেননি!? কেন করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের!? নাকি আপনাদের অধ্যক্ষ ঠাকুরবাড়ির বাইরের কোনও সদস্য!? শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীকাজলদাদা, শ্রীবিবেকদাদা ও অন্যান্য শ্রদ্ধেয় দাদারা ঠাকুর আত্মজ নন!? মুখে কথা বলেন নাকি অন্য মুখে কথা বলেন!? আর ইনবক্সে কেন আসবো!? প্রকাশ্যে বলতে অসুবিধা কোথায়!? যিনি দক্ষ, যোগ্য, তাঁকে তুলে ধরতে গোপনীয়তা অবলম্বন করতে হবে কেন!? সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় নাকি!? সূর্যকে ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা যায় নাকি!?কোথায় শিখেছেন এসব অজুহাত নির্ভর জালি কথা!? জালি কথায় চোস্ত হ'য়ে গ্যাছেন একেবারে!!!!!!!। আপনারা লিখেছেন ওই সমস্ত উচ্চমার্গীয় যোগ্য, দক্ষ ব্যক্তিরা আপনাকে/আপনাদের উনাদের প্রচারের জন্য রাখেননি। কথাটা একশো ভাগ সত্য মেনে নিলাম তাহ'লে কি ধ'রে নেবো ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে, ঠাকুর আত্মজ শ্রীশ্রীবড়দা ও বড়দা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে কুৎসা, গালিগালাজ করার জন্য আপনাদের রেখেছেন!? কারণ ফেসবুকে সবকিছুই তাঁরা দেখছেন অথচ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠতে পারে তো, নাকি? এই ৫০বছরে একবারও যদি ঠাকুর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' ও ঠাকুর আত্মজ শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের উপর আপনাদের 'না মানা'--র এই নোংরা অকারণ আচরণ, ব্যবহার, ভাষা ইত্যাদির বিরোধিতা আপনাদের পথপ্রদর্শকরা করতেন তাহলে আপনারা এতটা নিচে নাবতে পারতেন না! এই প্রশ্ন আপনারা জনসমক্ষে নিজেরাই তুলে দিয়ে তাঁদের কলঙ্কিত, ছোট করছেন না তো!? কলঙ্কিত করার মুর্খামি করছেন না তো!? তাঁদের নিন্দিত, সমালোচিত করার ষড়যন্ত্রের কোনও ঘৃণ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না তো!? ভেবে দেখবেন আপনারা অন্ততঃ একটিবার!
ক্রমশ:
এরপর পরবর্তী প্রশ্ন।
(২৫শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)
No comments:
Post a Comment