দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মুখে ঠাকুরের কথা শুনে আকৃষ্ট হন মহাত্মা গান্ধী। দেশবন্ধুর মতো অসাধারণ প্রতিভাশালী শক্তিমান মহান নেতা যাঁকে ইষ্ট পদে বরণ করেছেন তাঁকে স্বচক্ষে দেখার বড় কৌতুহল ছিল মহাত্মাজীর। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর ১৯২৫ সালের ২৩শে মে তিনি পাবনা আশ্রমে এলেন। মহাত্মাজী যখন আশ্রমে এলেন তখন জনারণ্যে আশ্রমপ্রাঙ্গণ ভরে গেল। তিনি ঠাকুর জননী মনোমোহিনী ও সৎসঙ্গের কর্মীবৃন্দের সঙ্গে আশ্রমের বিভিন্ন স্থান ঘুরলেন। আশ্রমের কুটীর, শিল্পাগার, বিজ্ঞানকেন্দ্র, তপোবন বিদ্যালয় কারখানা, তড়িৎভবন, কলাভবন ঘুরে ঘুরে সবই দেখলেন। আশ্রমিক পরিবেশ দেখে তিনি বিস্ময়ে ব'লে ওঠেন, "আমি যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছি ইতিমধ্যে তা এখানে গড়ে উঠেছে।"
"মহাত্মাজী জননী মনোমোহিনী দেবীর স্নেহল মাতৃত্ব এবং মহীয়সী ব্যক্তিত্বে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলেন। ভারতের বিভিন্ন স্থানে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিষয়ে আলোচনাকালে তিনি মায়ের খুব প্রশংসা করেন। মা সম্পর্কে তাঁর অবিষ্মরনীয় উক্তি - 'I have never seen such a masterful woman of such wonderful personality in my life' (এমন বিষ্ময়কর ব্যক্তিত্ব-সম্পন্না মহীয়সী নারী জীবনে আমি কখনও দেখি নাই।)"
মৃত্যুকালীন অসুস্থ অবস্থায় দেশবন্ধু মহাত্মা গান্ধীকে তার গুরুর সর্বব্যাপী গভীর জ্ঞান ও অসাধারণ অভূতপূর্ব মস্তিষ্কের কথা জানিয়ে অনুরোধ করেছিলেন একবার যেন তিনি শ্রীশ্রীঠাকুর দর্শনে যান। মৃত্যু শয্যায় মহাত্মাজী দেশবন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন। আর দেশবন্ধুর মৃত্যুকালীন আন্তরিক একান্ত অনুরোধে ঠাকুর সম্পর্কে গভীর বিষ্ময় জন্ম নিয়েছিল মহাত্মাজীর মনে। দেশ-জাতি সমাজ গড়তে হলে ধর্ম ও শ্রীশ্রীঠাকুরের মত দ্রষ্টাপুরুষের যে একান্ত প্রয়োজন এবং একমাত্র পথ দেশবন্ধুর মনে এই গভীর বিশ্বাস দেখে তিনি খুবই বিস্মিত হন। এরপর ঠাকুরের সঙ্গে মহাত্মাজীর সাক্ষাৎ হয় কলকাতায়। ঠাকুর অসুস্থ শুনে তিনি দেখতে আসেন তাঁকে।
সেখানে উভয়ের দীর্ঘ সময় বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।
প্রশ্নঃ দেশবন্ধুর প্রাণের মানুষ ও পাবনা হিমাইতপুর নামক অখ্যাত গ্রামে মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলা মানুষ The greatest phenomenon of the world SriSriThakur Anukulchandra কে মহাত্মাজী কি জীবনে গ্রহণ করেছিলেন?
প্রবি।
No comments:
Post a Comment