লেখায় ও পরিবারে বিশেষণ ব্যবহার।
প্রায়শঃই দেখা যায় আমার লেখা বিভিন্ন আর্টিকেলের উপর বিরূপ মন্তব্য ভেসে আসে! ভেসে আসে আমি কেন আমার লেখায় ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ও মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে নানা বিশেষণ ব্যবহার করি? কেন কঠিন কঠোর বিশেষণ প্রয়োগে মন্তব্যকারী ব্যক্তিকে, প্রবন্ধের লেখককে আখ্যায়িত করি!? যদিও যে বিরূপ মন্তব্য ভেসে আসে সংখ্যায় তা সামান্য কিন্তু বাঁদরামিতে অসামান্য! আর এই বাঁদরামিপনা তাদের জিনগত! যে বাঁদরগুলি বাঁদরামি করে তাদের মধ্যে একটা ছেলেমানুষী ভাব আছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, ছেলেমানুষের মত ছেলেবাঁদর বাঁদরামি করে তার একটা ক্ষমার যোগ্য গ্রহণযোগ্যতা আছে কিন্তু বুড়ো বাঁদর যদি বুড়ো বয়সে বাঁদরামি করে তাহ'লে বোধহয় বয়সের আর খাতির তখন চলে না, তার মর্যাদা হারায়!
মানুষের চালচলনকে কেন্দ্র ক'রে বহু উপমার জন্ম হয়েছে, প্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষণ ব্যবহার হয়েছে আর তা কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, প্রবন্ধে, ছড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহৃত বা প্রয়োগ হয়েছে, হচ্ছে ও হবে! আর কবিতায়, গল্পে ইত্যাদিতে ব্যবহার হওয়ার কারণে যদি তা ব্যক্তি নিজের ওপর টেনে নেয়, ব্যক্তি আক্রমণের তকমা লাগিয়ে দেয় আর লেখকের পরিবারের সদস্যদের উপর সেই বিশেষণ ব্যবহৃত হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলে খোঁচা মারে, ব্যঙ্গ করে তাহ'লে তার মানসিক অপরিপক্কতাকে স্বীকার ক'রে নিয়ে তাকে মানসিক পরিপক্ক ও সন্তুলন ঠিক হওয়ার সুযোগ দিতে হয়।
আর সেই কারণেই তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
আমি আমার পরিবারে কি বিশেষণ ব্যবহার করি তা জানতে গেলে তো আমার পরিবারে আসতে হবে, তাই না? আর, আমার পরিবারের সদস্যরা কি সমাজের বাইরে? সমাজের অবস্থান, সমাজের বাস্তবতা, সমাজের সত্যতা নিয়ে যারা লেখালেখি করেন তারা লেখক ব'লে কি সমাজের সেই অবস্থান, বাস্তবতা, সত্যতা তার পরিবারকে রেহাই দেয়? মানুষের চালচলন, কথাবার্তা, আচার-ব্যবহারকে কেন্দ্র ক'রে যে যে উপমা, প্রবাদ বা বিশেষণের জন্ম হয়েছে তা কি লেখকের পরিবার বহির্ভূত বিষয়!?
এ সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কি বলা আছে জানেন তো আমার প্রতি কটূক্তিকারী, বোকার গু তিন জায়গায় লাগা আশ্চর্য জীবগণ? নিশ্চয়ই জানেন। তবুও বলি, ঠাকুর বললেন,
"তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন, আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি!"
এই কথা বলার পর তিনি বললেন,
"এই কথা আমার জীবনে আগে প্রযোজ্য তারপর আপনাদের।"
এইখানে শ্রীশ্রীঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে কোনও মিথ্যাচার করেননি, চিটিংগবাজী দু'ম্বরী কথাবার্তা বলেননি, বলেননি, যা ইচ্ছা তাই তুমি করো, রিপুতাড়িত হ'য়ে ছুটে চলো, বৃত্তি-প্রবৃত্তির ফাঁসে ফাঁসি লাগাও নিজেকে আর ঠিক সেইমুহূর্তে আমায় স্মরণ করো আমি রক্ষা করবো!!!!. না, তিনি তা বলেননি! তিনি সবাইকে সাবধান ক'রে দিয়ে বললেন, "যা ইচ্ছা তাই করবে তুমি তা করলে রে চলবে না, ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি কিন্তু ছাড়বে না"।
যাই হ'ক, শ্রীশ্রীঠাকুরের এই কথা বলার মানে কি জানেন তো? এই কথার মানে হ'লো, যা খুশী ওরা বলে বলুক ওদের কথায় কি আসে যায়, দয়াল আমার দেখছে যে সব ফলটি পাবে দেখতে পায়ে পায়!!!!!!
তাই বলি বন্ধু, এই যে ঠাকুরকে নিয়ে ও ঠাকুর পরিবার নিয়ে যে বা যারা নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত কথার পাঁক নিয়ে ছোঁড়াছুঁড়ি করছে আর তাদের এই কাজে যারা মদদ দিচ্ছে তাদের সবার ক্ষেত্রে ঠাকুরের ওই বাণী প্রযোজ্য এবং ভবিষৎ ভয়ঙ্কর!
(১২সেপ্টেম্বর২০১৯ লেখা)
No comments:
Post a Comment