Powered By Blogger

Friday, September 23, 2022

প্রবন্ধঃ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। ১১

কেন্দ্র  বিরোধী ও বর্তমানের ঠাকুর পরিবার এবং ক্ষমা।

ছবিহীন, নাম-গোত্রহীন, পরিচয়হীন প্রশ্নকর্তারা যখনই ঠাকুর বিষয়ক কোনও পোস্ট করি বা মন্তব্য করি তখনই রে রে ক'রে তেড়ে আসে সেই ৫০ বছর ধ'রে সযত্নে লালিত-পালিত বস্তাপচা প্রশ্নের ভান্ডার নিয়ে! আর যখনই সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি তখনই প্রসঙ্গ পরিবর্তন ক'রে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায় আর আবার কিছুক্ষণ পর ঘুরে এসে বালখিল্য-এর মত ভিত্তিহীন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। এইভাবে প্রসঙ্গ থেকে প্রসংগান্তরে চলতে চলতে একসময় শুরু হ'য়ে যায় ঠাকুর আত্মজ শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসিত আক্রমণ! আর এটা করে পরিকল্পিতভাবেই! এমনকি এই আক্রমণে অবাক করার বিষয় মায়েরাও উৎসাহের সঙ্গে যুক্ত হন!!!! অবশেষে যখন কথার খেই হারিয়ে যায় তখন শুরু হয় সরাসরি অশ্লীল ভাষায় আমার প্রতি গালিগালাজ। ঠাকুর সৃষ্ট মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ'-এর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাবে কিন্তু তখন তাদের কেন্দ্র বিরোধী আখ্যা দিলেই ক্ষিপ্ত হ'য়ে নানা বিশেষণ সহযোগে বলবে, 'স্তাবক', মেরুদন্ডহীন, ব্যক্তিত্বহীন, দাদাদের পা-চাটা আত্ম মর্যাদাহীন পুরুষ' ইত্যাদি ইত্যাদি! এইসব ব'লেও যখন গায়ের জ্বালা মেটে না তখন ঠাকুর বাড়ির মায়েদের বিরুদ্ধে যেরকম কটু কথা বলতে মুখে বাধে না এদের ঠিক তেমনি আমার পরিবারের ক্ষেত্রেও তাই। তখন ভাবি, এদের পথ প্রদর্শকদের কি এরা সত্যিই শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে!!!!! এদের পথপ্রদর্শকদের গায়ে কি এই নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত কালি লাগছে না!? তিনারা কি কলঙ্কিত হচ্ছেন না!? মনুষ্য সমাজ কিভাবে নেবে এঁদের!? নাম-গোত্রহীন, পরিচয়হীন, ছবিহীন না-মর্দদের কে অধিকার দিল এঁদের কলঙ্কিত করার!? পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীকাজলদাদা ও তাঁর পরিবার এবংপূজ্যপাদ  শ্রীশ্রীবিবেকদাদার শ্রদ্ধেয় উত্তরসূরীরা কি ভেবে দেখবেন না অন্তত একবার প্রকাশ্যে ফেসবুক জুড়ে কি ক'রে চলেছে এই সমস্ত মানুষ(?)! নাকি ভেবে দেখার এখনও সময় আসেনি!? 

যাই হ'ক এমনি এক প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। ঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ'-এর তীব্র ঘৃণ্য বিরোধীতার উত্তরে এদের 'কেন্দ্র বিরোধী' আখ্যা দিলে নানা অশ্লীল কটূক্তি সহ এরা পাল্টা যে প্রশ্ন উত্থাপন করে সেই প্রশ্নের গালাগালির অংশ বাদ দিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরলাম।

এদের প্রশ্ন, "কেন্দ্র বিরোধী বলতে আমি কি বোঝাতে চেয়েছি?"

এরা জানতে চেয়েছেন, 

"কেন্দ্র কি শ্রীশ্রীঠাকুর না বর্তমানের ঠাকুর পরিবার?" 

উত্তর: আমাদের জীবনের লক্ষ্য বা গোল বা কেন্দ্র শ্রীশ্রীঠাকুর। সেই লক্ষ্যে বা গোলে বা কেন্দ্রে পৌঁছবার জন্য ঠাকুর সৃষ্ট মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ' হ'লো মিলন স্থল। জীবনের সেই লক্ষ্যে বা গোলে পৌঁছবার জন্য সেতু হলেন শ্রীশ্রীবড়দা আর ঠাকুরের মিলন স্থল মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ'-এ সমবেতভাবে মিলিত হ'য়ে ঠাকুরকে প্রকৃষ্টভাবে আপন ক'রে নেওয়ার জন্য হাতেকলমে নিখুঁত চলনায় চলার যে আচরণ আমরা শিখি যেখানে সেই কেন্দ্র হ'লো শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবার!!!!!!!!

আর স্বয়ং ঠাকুর সৃষ্ট এই কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ' কে যে বা যারা মানে না, অস্বীকার করে, অপদস্ত করে, কুৎসা-সমালোচনা করে, ঠাকুরের 'মিশন' বিশ্ব ব্যাপী এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ'-কে চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে যে বা যারা তারাই কেন্দ্র বিরোধী।

আর "বর্তমানের ঠাকুর পরিবার" কথাটা লিখেছেন!

বর্তমানের ঠাকুর পরিবার বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? অদ্ভুত এক মানসিকতা!

এ আবার কি রকম বোকা কথা!? ঠাকুর পরিবার আবার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ হয় নাকি!! তাঁর রেতধারা ব'য়ে চলেছে বংশপরম্পরায়! এটাও আবার বলতে হবে নাকি!? আশ্চর্য!!!!!! ঠাকুরের বাণী পড়েননি? 

"ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর

রেত:শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর।"

এই রেত শরীরে পিতাপুত্রের লীলা চলবে একেবারে কলিযুগ শেষে সত্যযুগে প্রবেশের ট্রানজিশনাল পিরিয়ড পর্যন্ত! সত্যযুগে সৃষ্টিকে প্রবেশ করিয়ে তবে ঠাকুর পরিবারের ছাড়!!!! এ এক ভয়ঙ্করতম ভবিষ্যৎ ভয়াবহ দুঃখের পৃথিবীতে কঠিন, কঠোর পরিক্রমা! দুঃসাহসিক ঘাত-প্রতিঘাতে পরিপূর্ণ নেতৃত্ব!! শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং পিতাপুত্রের লীলার মধ্যে দিয়ে নেতৃত্ব দেবেন! কে দেবে সেই ঘোর অন্ধকারময় সমস্যা জর্জরিত, জৈবি সংস্থিতিতে ক্ষতবিক্ষত, চরম সীমাহীন উচ্শৃঙ্খল বিশৃঙ্খল কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য-এর আগুনে পুড়ে, জলসে খাক হ'য়ে যাওয়া আগামী পোড়া পৃথিবীতে নির্বাক নিশ্চল ভাবে নেতৃত্ব!? আছে নাকি কেউ!? তাই তিনি এবার এই ঘোর কলিযুগে নেবে এলেন তাঁর পরম ভক্তকে সাথে নিয়ে একেবারে সন্তান রূপে। কারণ তিনি জানতেন, তিনি জানেন তাঁর ভক্তমণ্ডলী তাঁর মিশন রথকে কিভাবে ভিতর থেকে ধ্বংস করতে পারে! তাই তিনি নিয়ে এলেন তাঁর পরমভক্ত শ্রীশ্রীহনুমানকে প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা ও সৎসঙ্গ জগতের কোটি কোটি চোখের মণি শ্রীশ্রীবড়দা রূপে!!!!! ভক্ত ও ভগবানের এ এক অপূর্ব, অভাবনীয়, অচিন্তনীয়, অভূতপূর্ব এক রহস্যময় লীলা! যা আগে কখনও হয়নি! এ লীলা বোঝা বড় কঠিন! দুর্বোধ্য!! এ লীলা চলবে এবার সত্যযুগ পর্যন্ত! তাঁর প্রতি অস্খলিত, অটুট, অচ্যুৎ টান, একাগ্রতা তৎসহ তাঁর অপার করুণা, দয়া ছাড়া এই অভূতপূর্ব লীলা বোঝা সম্ভব নয়! তিনি অসীম! তিনি অনন্ত! তাঁর লীলাও আদিম, অনন্ত! বোঝে সাধ্য কার!? 

সেই শ্রীশ্রীহনুমান, শ্রীশ্রীনিত্যানন্দ, শ্রীশ্রীবিবেকানন্দ রূপী শ্রীশ্রীবড়দাকে ও শ্রীশ্রীবড়দা পরিবারকে অপমান, লাঞ্ছনা, নিন্দা, কুৎসা, গালাগালি করাকেই শ্রীশ্রীঠাকুরের মূল কেন্দ্র বিরোধিতা বলে!!!! আশা করি বোধগম্য হয়েছে। অবশ্য গোঁ ধরা মানুষের বোধগম্য হওয়া আর পাহাড় কথা বলা সমান!!!!!! 

নিরাকার ঈশ্বরের সর্বোত্তম লীলা এবারের এই ভয়ঙ্কর রহস্যময় আকার রূপে তাঁর নবরূপের নবকলেবর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মধ্যে দিয়ে প্রকট হ'লো, হ'লো তাঁর প্রায় ২৫হাজার বাণী আর অসংখ্য কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে আর সেই বাণীর জীবন্ত চলমান রূপ হলেন বিশ্বের কোটি কোটি সৎসঙ্গীর আদরের বড়ভাই পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা!

যাই হোক প্রশ্নকর্তারা আমাকে লিখেছেন আমাদের নাকি ক্ষমা নেই!

তার উত্তরে বলি, কিসের ক্ষমা? কি জন্য ক্ষমা? কে করবে না ক্ষমা? কেন করবে না ক্ষমা? ক্ষমা করা, না করার প্রশ্ন উঠছে কেন? যারা ঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ'-এর বিরুদ্ধে, ঠাকুরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাল্টা বিরোধী সংগঠন তৈরি করে, যারা শ্রীশ্রীবড়দাকে মানে না, অশ্রদ্ধা-অপমান করে, করে গালিগালাজ ও অশ্লীল কটূক্তি আর অশ্রাব্য কুশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে তাঁর পরিবারের সবাইকে আর তারা বলছে ক্ষমা করার কথা!!!! এরা যে ঠাকুরের গ্রন্থ পড়েন না, কোনও ঠাকুরের কাজ করেন না শুধু চিল কান নিয়ে গ্যাছে শুনে কানে হাত না দিয়ে, আকাশের চিলের পেছন পেছন দৌড়ান, ভিত্তিহীন পাগলের প্রলাপের মত কথার ঘাই মারেন তা এদের ভারসাম্যহীন কথা শুনলেই বোঝা যায়! এরা শুধু জানে ভাঙতে। কোন কিছু আজ পর্যন্ত এরা গড়তে পারেনি। শুধুই বিষবৃক্ষ বপন ক'রে গ্যাছে বছরের পর বছর! অমৃতবৃক্ষকে উৎপাটিত করার অন্যায়, ঘৃণ্য চেষ্টা ক'রে গ্যাছে দীর্ঘ ৫০বছর ধ'রে আর ব্যর্থ হ'য়ে হতাশায় জর্জরিত হ'য়েছে আর হাতে তুলে নিয়েছে ঠাকুর পরিবারকে জনসমক্ষে সবরকম ভাবে অপদস্ত, অপমানিত, লাঞ্ছিত করার নানারকম ঘৃণ্য কৌশল! 

আমাদের ক্ষমা আছে কি নেই তার বিচারের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এইসমস্ত বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে আপাদমস্তক ডুবে থাকা ষড়রিপুর টানে ক্ষতবিক্ষত স্বঘোষিত সৎসঙ্গীরা! 

এদের উদ্দেশ্যে বলি, এত ঔদ্ধত্ব!? এই আপনাদের ঠাকুর জ্ঞান!? এই শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন আপনাদের পথ প্রদর্শকদের দ্বারা!? এ তো প্রতিকূল ঠাকুরের শিষ্যের মত কথা, জ্ঞান, অনুভূতি, উপলব্ধি!!! যাক যা ভালো বোঝেন আপনি/ আপনারা শুনুন, দেখুন, ভাবুন, বলুন ও করুন! আপনারা স্বাধীন।

ক্রমশঃ।

এরপরে পরবর্তী প্রশ্ন।

(লেখা ২৪শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)

No comments:

Post a Comment