ইতিহাস, রেফারেন্স ও ভাববাণী।
যখনই শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রীঠাকুরের বলা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয় তখন উপলব্ধি, অভিজ্ঞতা, অনুভূতির উপর দাঁড়িয়ে কোনও মতামত দিলে এইসমস্ত জন্মবিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন স্বঘোষিত সৎসঙ্গীরা আলোচনায় চনা ঢেলে দেয় ইচ্ছাকৃতভাবে জোর ক'রে উল্টোপাল্টা প্রসঙ্গ বহির্ভুত কথা চুইংগাম-এর মত টেনে এনে! আর তারপরেই কথায় না পেরে পিছু হ'ঠে গিয়ে ইতিহাস লিখছি ব'লে কটাক্ষ করে। আর আপনার 'ভাববাণী' শুনতে চাই না; ঠাকুরের রেফারেন্স দিন' ব'লে আলোচনাকে গুলিয়ে দিতে সবাই একজোট হ'য়ে সচেষ্ট হ'য়ে পড়ে! সব কথায় 'ঠাকুর রেফারেন্স কোথায়, ঠাকুর রেফারেন্স কোথায়' ব'লে হল্লা মাচিয়ে দেয় ফেসবুক জুড়ে!
তাদের উদ্দেশ্যে বলি,
আমি ইতিহাস লিখেছি ব'লে আপনারা কটাক্ষ করেছেন! কিন্তু আপনি/আপনারা কি লিখেছেন ও লিখছেন!? ভূগোল না বিজ্ঞান? আপনারা যখন জোর ক'রে উচ্ছের পায়েস গেলানোর মত ভুলভাল ভূগোল, বিজ্ঞান লিখে চলেন তখন নিজেদের খেয়াল থাকে না কি লিখছেন বা লিখেছেন!? "নিজের বেলায় আঁটিসাটি অন্যের বেলায় দাঁত কপাটি!?" আপনাদের চরিত্রের উপরে একটা রেফারেন্স দিলাম! প্রবাদের সাথে চরিত্রের স্বভাব মিলিয়ে নেবেন, দেখবেন একেবারে নির্ভুল নিখুঁত মিল!
আর কিসের রেফারেন্স? রেফারেন্স কোথায় দিতে হয় তাও জানেন না? অথচ পান্ডিত্য ফলাতে কলম বাগিয়ে বসেছেন!? নিজের অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি ও সত্যকে তুলে ধরতেও রেফারেন্স দিতে হবে নাকি!? রেফারেন্সও তো কারও বক্তব্য বা মতামত নাকি!? তথ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে রেফারেন্স দরকার হয় ব'লে আমার আপনার করা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিলেও সেখানে সবসময় 'রেফারেন্স রেফারেন্স' ব'লে বালখিল্য-এর মত চেঁচিয়ে উঠছেন কেন!? ব্যালান্স হারিয়ে কি লিখছেন তার হুঁশ নেই অথচ বড় ভক্ত ও জ্ঞানী সেজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। আপনাদের প্রত্যেকের শেয়ালের মত এক রা! প্রত্যেককেই দেখেছি আলোচনার টেবিলে বসার যোগ্যতা নেই অথচ আলোচনায় কোণঠাসা হ'লেই ইতিহাস লিখছি ব'লে খোঁটা দিতে অভ্যস্ত! আরে দাদা শ্রীশ্রীঠাকুর নিজেই একটা বিশাল ইতিহাস! আর সেই বিশাল জীবনের কর্মকান্ডের উপর আলোচনা করবেন তা যেমন তেমন সংক্ষিপ্ত হবে!? গবেষণা লব্ধ অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি, অনুভূতির উপর দাঁড়িয়ে বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা হবে না!? আর তা হ'তে গেলেই স্বাভাবিকভাবেই লেখা দীর্ঘ হবে, যাকে আপনারা বিরক্তির অম্ল ঢেঁকুর তুলে বলবেন 'ইতিহাস'। আরে দাদা, কুত্তার পেটে কি আর ঘি সহ্য হয়!? সেই প্রবাদ দিয়ে চরিত্রের রেফারেন্স দিলাম। আর 'ঠাকুর রেফারেন্স দিয়ে কথা বলুন' 'ঠাকুর রেফারেন্স দিয়ে কথা বলুন' ব'লে ফাটা রেকর্ডের মত বেজে চলেছেন! যেমন ৫০ বছর ধ'রে দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্ম ক'রে চলেছেন। নিজে বাতকর্ম করলে দোষ নেই, কিন্তু অন্যের বেলায় রে রে ক'রে তেড়ে আসবেন!? বাহঃ! হ্যাটস অফ!!
উনাদের ওখানেও শিক্ষা দেওয়া হয় ব'লে বুক বাজিয়ে বললেন আমাকে।
তা আমি বলি, আপনাদের ওখানেও শিক্ষা হয় এটা ঠিক কথা আপনার, কিন্তু কি শিক্ষা হয় আর তা কতটা উচ্চমানের, কতটা ঠাকুরের ভাবাদর্শকে রক্ষা ক'রে শিক্ষা দান করা হয় তার প্রমাণ আপনাদের ঠাকুরবাড়ির সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে করা কমেন্টের অসভ্য, অশ্লীল, জংলী-জানোয়ারের মত ভাব, ভাষা!
আরে দাদা, এই এক বস্তাপচা কথা প্রার্থনা, শ্রীশ্রী ব্যবহার, আচার্য ইত্যাদি এলার্জি হ'য়ে দাঁড়িয়েছে আপনাদের আর ৫০বছর ধ'রে ফাটা রেকর্ডের মত বাজিয়ে চলেছেন!!!!!! কেন কেউ গ্রহণ করছে না আপনাদের এই অস্বাস্থ্যকর কথা!? এটা ভেবে দেখেছেন কি? আরে দাদা! আহাম্মকের মতন কথা বলেন কেন?
আর এদের গাত্রদাহ, হিংসা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এরা দেওঘরের দোকানে দোকানে ব্যবসায়ীরা কি বিক্রি করবে তার ওপরও প্রশ্ন তোলেন, আপত্তি জানান!
এরা সব এক একজন বালখিল্য ঋষি! দোকানে দোকানে কি বিক্রি হবে, কার ছবি বিক্রি হবে না হবে তা ব্যবসায়ীদের ব্যাপার! এটা তাদের ব্যবসায়িক কৌশল! ঠাকুর বাড়ি ঠিক ক'রে দেয় নাকি!?
আর এক জ্বালা এদের পুড়িয়ে মারছে দীর্ঘ ৫০ বছর! মুখ পোড়া বাঁদরের মতন পুড়ে কালো হ'য়ে গ্যাছে এদের চোখমুখ! পুড়ে খাক হ'য়ে যাচ্ছে এদের অন্তর! তা হ'লো 'আচার্য' শব্দ! তা, 'আচার্য' শব্দের উপর তো আরো অনেক অনেক বাণী আছে, কথোপকথন আছে ঠাকুরের সেগুলি এরা পড়েছেন নাকি সেই ৫০বছর আগে বাছা বাছা বাণী দিয়ে শুরু হ'য়েছিল বাংলা ও বাঙালিদের ঠাকুরবিরোধী যে নোংরা চক্রান্ত সেগুলিই এখনও হাতিয়ার!? এখনও বমন হ'য়ে চলেছে সেই বাছাই করা ঠাকুরের বাণী!?
আর আমার ভাববাণীর কথা বলেছেন! তা উনারা আমাকে যে প্রশ্নগুলি ক'রে খোঁচা মারার চেষ্টা করেন অথচ সফলতার মুখ দেখতে পান না, ব্যর্থ হ'য়ে মুখ থুবড়ে পড়েন শুরুতেই সেই প্রশ্নগুলিও তো তাদের কোনো ভাবের উপর দাঁড়িয়ে নির্গত! নয় কি! কি বলেন প্রশ্নকর্তারা!?
আমি বলি, যার যেমন ভাব, তার তেমন লাভ। আর যেমন সংগ তেমন ভাব!
ক্রমশ:
এরপর পরবর্তী প্রশ্ন।
(২৪শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)
No comments:
Post a Comment