আজ তর্পণের দিন ছিল এইদিনে গঙ্গার পবিত্র জলে দাঁড়িয়ে পুরোহিতের মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ জল নৈবেদ্য নিবেদন করা হয় যে জল পুত্রের হাতে গ্রহণ করার জন্য সারা বছর অপেক্ষা ক'রে থাকেন তৃষ্ণার্ত পিতৃপুরুষ আর নেবে আসেন যমলোক থেকে সেই জল গ্রহণ করার জন্য। সেই তর্পণ সম্পর্কে দু'একটা জিজ্ঞাস্য। যদি কেউ উত্তর জেনে থাকেন তাহ'লে আমাকে জানালে আমি বাধিত হবো। আমার বাবা মা নেই। গত হয়েছেন বহু বছর। জানি না তারা এখন কোথায় আছেন। যমলোকে আছেন না স্বর্গলোকে দয়ালধামে আছেন নাকি আবার মনুষ্য জন্ম নিয়ে চলে এসেছেন এই ধরাধামে কিছুই জানি না। তাই পরমপিতার কাছে তাদের জন্য প্রতিদিনই প্রার্থনা করি তারা যেখানেই থাকুন তোমার ছত্রছায়ায় যেন থাকে। তারা যদি আবার এসে থাকেন এই ধরাধামে মানুষ রূপে তাহ'লে তারা যেন তোমার চরণতলে আবার স্থান পায়; তোমার মহামন্ত্র লাভ করে। তোমারই দীক্ষায় যেন দীক্ষিত হয়।
এটা তো গেল একটা দিক কিন্তু একটা প্রশ্ন মনে জাগলো যদি কেউ কিছু মনে না করেন আর আমার অজানা দিকটা উন্মোচিত ক'রে দেন তাহ'লে চির বাধিত থাকবো। যদিও জানি না কতজন জ্ঞানী লোকের কাছে এই লেখা পৌঁছোবে। তবুও প্রশ্নটা করেই ফেলি।
প্রশ্নটা হ'লো যমলোক থেকে যদি তিনি নেবে আসেন আর তর্পন জল গ্রহণ করেন তাহ'লে কি আমার পিতা স্বর্গলোকে ছিল না? ছিল না দয়ালধামে? তাহ'লে কেন আমরা বলি আমার পিতার স্বর্গলাভ হয়েছে, আছেন পরমপিতার চরণতলে দয়ালধামে? যমলোক কি দয়ালধাম? যমলোককেই কি স্বর্গলোক বলা হয়? যদি তিনি পুনরায় মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ ক'রে না থাকেন তাহ'লে তো তার আত্মা যমলোক থেকে নেবে এসে পুত্রের হাতে জল গ্রহণ করবেন আর যদি ইতিমধ্যেই তিনি আবার মনুষ্য রূপে জন্মগ্রহণ ক'রে থাকেন তাহ'লে তিনি কি ক'রে তর্পনের সময় যমলোক থেকে নেবে আসবেন? আর কি করেই বা তিনি তর্পণের সময় পুত্রের নিবেদিত জল গ্রহণ করবেন? তবে কি নূতন শরীর গ্রহণ করার পর তিনি সেই নতুন রূপের শরীর থেকে বেরিয়ে তর্পণ জল গ্রহণ করার জন্য ফিরে যান? আর তর্পণ জল গ্রহণ ক'রে আবার ফিরে আসেন নতুন শরীরে? এই বিষয়টি আমার জানা নেই। জানার তাগিদেই এই লেখা। জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment