Powered By Blogger

Tuesday, March 18, 2025

প্রবন্ধঃ আমি পবিত্র, আমি পবিত্র, আমি পবিত্র।

কথায় কথায় ঈশ্বরকে টেনে আনা কেন? যত দোষ নন্দ ঘোষের মত সব কিছুতেই ঈশ্বরকে টেনে আনতে হবে? এইটা মানসিক ব্যাধি নিজেকে সব কিছুর উর্ধ্বে ভাবা সবজান্তা অহংকারী ও হতাশা অবসাদগ্রস্থ মানুষের। ঈশ্বর আছে কি নেই, সত্যি কি মিথ্যে তা' নিয়ে বালখিল্য জ্ঞানের অধিকারী মানুষেরাই মনের অপূর্ণ ইচ্ছের অবদমিত রাগ মেটায় কথায় কথায় উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাবার মত ঈশ্বরের উপস্থিতিকে টেনে এনে অকারণ তর্ক ক'রে। এই সমস্ত নেগেটিভ চিন্তার মানুষ পজিটিভ কোনও কাজে অংশীদার হ'তে পারে না কোনওদিনও কোনও জন্মেই।

এখানেও তাই হ'লো। সুনীতা উইলিয়ামসের বিজয়ের সঙ্গে ঈশ্বরের যোগসূত্র খোঁজার কোনও দরকার ছিল কি? এখানে সুনীতা উইলিয়ামস মহাকাশে গেছেন, পোষ্টদাতা আকাশ আনোয়ার (অস্ট্রেলিয়া) যাননি; আর মহাকাশে যাবার মত বায়োলজিক্যাল মেক আপ তার গঠিত হয়নি, সবার হয় না। সুনীতা উইলিয়ামস মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, ভয়কে উপেক্ষা ক'রে মহাকাশে গেছেন, দেখেছেন, অনুভব করেছেন, উপলব্ধি করেছেন, অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন কিন্তু তিনি নিজে ঈশ্বর বিরোধী কোনও কথা বলেননি, মন্তব্য করেননি। তিনি আগুনে ঝাঁপ দিয়েছেন, পোষ্টদাতা আকাশ আনোয়ার (অস্ট্রেলিয়া) দেননি।

আগুনে ঝাঁপ দেওয়া, আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রহ্লাদের হয়েছিল, ঠিক তেমনি মহাকাশ ভ্রমণের ভালো মন্দ, ভয়ংকর, মধুর, আনন্দ, ভয়, কোনও ঐশ্বরিক বা মহাজাগতিক শক্তি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা সুনিতা উইলিয়ামসের হয়েছিল কি হয়নি সেটা সুনীতা উইলিয়ামস জানেন, আকাশ আনোয়ার (অস্ট্রেলিয়া)-এর জানার কথা নয়। ঈশ্বর বিশ্বাসীরা যেমন নিজেরা আগুনের ভয়ংকর ভয়াবহ অস্তিত্ব অনুভব ও উপলব্ধি না ক'রেই এবং অভিজ্ঞতা অর্জন না ক'রেই আগুনের মুখে ফেলে দেওয়া প্রহ্লাদের ঈশ্বরের প্রতি গভীর বিশ্বাস, নির্ভরতা ও সমর্পিত প্রাণের গুণগান করে ঠিক তেমনি আকাশ আনোয়ার (অস্ট্রেলিয়া) ফেসবুকে তার পোষ্টে সুনিতা উইলিয়ামসের এই মহাকাশ সফরে্র কঠিন দিনগুলিতে তাঁর কি অভিজ্ঞতা, তাঁর কি অনুভূতি, কি উপলব্ধি হয়েছিল তা' না জেনেই বালখিল্য অহংকারী ঋষির বালখিল্য জ্ঞানের মত অকারণ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কামান দেগে বসলেন সবজান্তার মত। সুযোগ পেয়েই বকনা বাছুরের মত লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে ঈশ্বর বিরোধীতা ও নারী স্বাধীনতার ফাটা বস্তাপচা একঘেয়ে রেকর্ড বাজিয়ে দিলেন।

এর থেকে প্রমাণ হয় যারা জীবনে ব্যর্থ, অসফল এবং একসময় ঈশ্বরের কাছে কিছু না ক'রে ফোকটে যাদু টোনার মত সফলতা পাওয়ার আশা করেছিল, আলাদিনের প্রদীপের মত কিছু অলৌকিক কর্মকান্ডের মত বাপের চাকর ঈশ্বরকে হুকুম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এবং সেই ফাঁকিবাজি আশা, সেই ঠুনকো স্বপ্ন পূরণ হয়নি বিন্দুমাত্র যাদের, তারাই কথায় কথায় অকারণে জান্তে অজান্তে, চেতন ও অবচেতন মনে ঈশ্বরের উপস্থিতির বাপ বাপান্ত করে।
এখানেও তাই সুনিতা উইলিয়ামসের মহাকাশ বিজয় নিয়ে বলতে গিয়ে যত দোষ নন্দ ঘোষের মত ঈশ্বরকে টেনে এনেছেন আকাশ আনোয়ার (অস্ট্রেলিয়া) নামক পোষ্টদাতা ফেসবুকে তার পোষ্টে। আর সেই কথার সমর্থনে হৈ হৈ ক'রে কমেন্ট বক্সে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জীবনে ব্যর্থ, অলস, হতাশা ও অবসাদগ্রস্থ, অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী ফাঁপা জ্ঞানীর দল।

সুনিতা উইলিয়ামস যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মহাকাশে আটকা পড়েছিলেন। স্বর্গ নরক, ঈশ্বর, আল্লা, ভগবান সম্পর্কে বোধহীন, অভিজ্ঞতা, অনুভূতি ও উপলব্ধিহীন, জ্ঞানহীন, নেগেটিভ মানুষের উপস্থিতি ছাড়াও পৃথিবীর কোটি কোটি পজিটিভ মানুষের পবিত্র প্রার্থনায় সুনিতা উইলিয়ামস ও অন্যান্য সাথীরা সুস্থ ও অক্ষতভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসছেন ও আসবেন নিশ্চিত। মহাকাশ ও মহাকাশের সমস্ত সৃষ্টির কারণের কারণ পরমকারণের বুকে গিয়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস ও তাঁর সাথীরা।

তাই, পরমকারুণিক তাঁদের বুকে করেই আগলে রেখেছেন ও নিরাপদে ফিরিয়ে দেবেন পবিত্র পৃথিবীর বুকে, পবিত্র মানুষদের প্রার্থনায় খুশী হ'য়ে পবিত্র মানুষদের কাছে। যতদিন পবিত্র মানুষ আছেন ততদিন আছে পবিত্র পৃথিবী আর পবিত্র মানুষের প্রার্থনায় সাড়া দেন পরমকারুণিক। তাই আসুন একসঙ্গে ব'লে উঠি, ' হে পরমকারুণিক, আমি পবিত্র, আমি পবিত্র, আমি পবিত্র।'

No comments:

Post a Comment