Powered By Blogger

Monday, June 3, 2024

প্রবন্ধঃ লোকসভা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর ধ্যান।

লোকসভা ভোট শেষ। এখন ফলাফলের অপেক্ষা। দিল্লির মসনদে কে বা কারা বসবে, কারা দেশ শাসন করবে তারই অপেক্ষা। রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু। ১৯ এপ্রিল থেকে সাত দফায় লোকসভা ভোট শুরু হয়েছিল দেশে। শেষ হয়েছে ১লা জুন'২৪ শনিবার। গণনা এবং ফল ঘোষণা ৪ জুন। যে দল ক্ষমতায় আসবে এবং যিনি ভারতের শাসন ব্যবস্থার সর্ব্বোচ্চ সিংহাসন প্রধানমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করবেন তাঁর উপর নির্ভর করছে ভারতের ১৪০ কোটি দেশবাসীর ভবিষ্যৎ। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ভারতের সংবিধান সমস্ত ধর্মকে সমান অধিকার প্রদান করেছে, ভারতের মাটিতে সমস্ত ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থার পক্ষ থেকে দেশের ১৪০কোটি মানুষের ওপর ধর্ম পালন করার কোনও বাধ্যবাধকতা বা জোরজবরদস্তি নেই। পালন করা বা না-করা, মানা বা না মানা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর তারই ভিত্তিতে কেউ তার ধর্ম পালন করতেও পারে আবার কেউ নাই পালন করতে পারে। এ স্বাধীনতা আছে জনগণের। হয়তো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে দেশের কোথাও কোথাও ধর্মকে কেন্দ্র ক'রে, আর তা ঘটে প্রশাসনিক দূর্বলতার কারণে। এর জন্যে দায়ী দেশের ও স্থানীয় দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

যাই হ'ক, যে কারণে এই ভিডিওতে আসা তা এই ধর্ম্ম কে বিষয় ক'রেই আসা। দেশের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধর্মের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আসা এই ভিডিওতে।

দেশের 17 তম লোকসভার মেয়াদ 16 জুন 2024-এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।আর, এখন দেশের 18 তম লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়েছে।

বর্তমান শাসক দল BJP নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে (NDA) ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি করেছিল ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। ১৯ এপ্রিল থেকে সাত দফায় লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে দেশে। শেষ হয়েছে ১লা জুন'২৪ শনিবার। মোট ৪৪ দিনের শেষে ৪ই জুন সকাল থেকে শুরু হবে গণনা। বেলা শেষে বোঝা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যা (১৪০ কোটি) সহ বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে ভারতের নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশ শাসনের ভার কার হাতে তুলে দিয়েছে। বোঝা যাবে ভারতের ১৪০কোটি মানুষের আগামী ভাগ্যবিধাতা কে বা কোন দল।

বর্তমান ভারতে প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীজি ৩০শে মে'২৪ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করার পর শনিবার দুপুরে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে বেরিয়ে এলেন। এই দু’দিন মৌনব্রত পালন করেছিলেন শ্রীমোদীজি। শনিবার দুপুরে ধ্যান ভাঙলেন তিনি।

জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ নাগাদ তিনি ধ্যান শুরু করেছিলেন। পরবর্তী ৪৫ ঘণ্টা তিনি ওই ধ্যান মণ্ডপমেই ছিলেন। এই ৪৫ ঘণ্টা শুধু তরল খাবার খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ডায়েটে মূলত ছিল ডাবের জল, আঙুর ফলের রস এবং জুসের মতো তরল খাবার। জানা গিয়েছে, এই ৪৫ ঘণ্টা কারও সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। অর্থাৎ পুরোটাই মৌনব্রত পালন করেছিলেন। এমনকী, ওই ধ্যানের জায়গা থেকে বাইরেও আসেননি তিনি। বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন ধ্যান ক'রে। শনিবার সকালে কন্যাকুমারীতে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীজীর পরনে গেরুয়া ধুতি-কুর্তা। গলায় গাঢ় গেরুয়া উত্তরীয়। হাতে জপমালা নিয়ে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে পায়চারি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য দিচ্ছেন মোদী। কখনও তিনি বেদির সামনে বসে প্রাণায়াম করছেন। কখনও জপ করছেন। কখনও আবার হাঁটছেন মেমোরিয়াল চত্বরে। বিবেকানন্দের বিগ্রহের পায়ে ফুল সাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার পর বিগ্রহের চার পাশে ঘুরে আবার বসেছেন ধ্যানে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন মোদী। শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে ধ্যান। তারপরেই তিনি মন্দির থেকে ধুতি-কুর্তা পরে বেরিয়ে আসেন। গলায় সাদা-লাল উত্তরীয়। পায়ে জুতো। দুই পাশে রয়েছেন দুই রক্ষী। এর পর লঞ্চে বসে সাগর পার হয়েছেন তিনি।

খবরে প্রকাশ, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথে। ২০১৪ সালের ভোটের পর গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে।
এবারে ২০২৪ সালে কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান মণ্ডপমে।
বিরোধীরা এই নিয়ে সরব। তাদের দাবি, এতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি (এমসিসি) ভঙ্গ হচ্ছে। বিজেপির সাংসদ তথা মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মোদী ভারতের সাংস্কৃতিক নীতিতে বিশ্বাসী। আর সেই সংস্কৃতি দেশের মন্দিরে প্রতিফলিত হয়।

১৩১ বছর আগে এখানেই ধ্যান করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ। কন্যাকুমারীর সেই বিবেকানন্দ রকেই এবার ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা সেই ঐতিহাসিক স্থানেই ধ্যান করেছেন নরেন্দ্র মোদিজী। যে জায়গাকে বিশ্ব চেনে ধ্যান মণ্ডপম নামে। বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমের ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজো সেরে ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজী স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে বসে ধ্যান করেছেন। তাঁর পরনে ছিল গেরুয়া বসন ও হাতে ছিল রুদ্রাক্ষের মালা। শ্রীমোদিজীর (Narendra Modi) ধ্যান নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়ে রেখেছিল বিরোধীরা। কিন্তু তাতে কোনও কাজের কাজ হয়নি।

লোকসভা ভোটের দীর্ঘ প্রচারপর্ব শেষে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রী মোদির ধ্যানে বসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রাজা বসেছেন ধ্যানে’ কবিতার লাইনগুলি কটাক্ষ হ'য়ে ধেয়ে আসতে শুরু করেছিল তাঁর দিকে। ভাইরাল হয়েছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতা। এমনিতে এই কবিতা রবীন্দ্রানুরাগী, গবেষক ছাড়া আর ক'জন জানে সন্দেহ আছে। নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানে বসার কারণে এই কবিতাটি ভাইরাল হ'য়ে গেল।


কবিতাটি একবার সবাই শুনে নিই।

রাজা বসেছেন ধ্যানে,
বিশজন সর্দার
চীৎকাররবে তারা
হাঁকিছে-- "খবরদার'।

সেনাপতি ডাক ছাড়ে,
মন্ত্রী সে দাড়ি নাড়ে,
যোগ দিল তার সাথে
ঢাকঢোল-বর্দার।

ধরাতল কম্পিত,
পশুপ্রাণী লম্ফিত,
রানীরা মূর্ছা যায়
আড়ালেতে পর্দার।---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানপর্বে এই কবিতা আলোচ্য বিষয় হ'য়ে উঠেছিল। ফেসবুকে ছড়িয়েছিল আগুন। কিছু মানুষ এই কবিতা পোষ্ট ক'রে চলেছিল আর সঙ্গে হ'য়ে চলেছিল লাইক, শেয়ার আর, তার পাশাপাশি প্রতিবাদও হ'য়েছিল।
বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রকে বসে ধ্যানে করা নিয়ে লাগাতার কটাক্ষ করেছিলেন।
বিবেকানন্দ রকের পবিত্র স্থানে ছবি তোলা নিষিদ্ধ তথাপি সেই স্থানের ধ্যানমগ্ন মোদীজির ছবি তোলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আমার জিজ্ঞাস্য,
১) ধ্যান নিয়ে এত গাত্রদাহ কেন?
২) বিরোধীরা কি সবাই ধর্ম, ঈশ্বর বিরোধী?
৩) কম্যুনিস্ট পার্টি ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী, কিন্তু বাকী সব বিরোধী দল কি ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী?
৪) কম্যুনিস্ট পার্টির মেম্বার বা অনুগামী বা মতাদর্শে বিশ্বাসী সবাই কি ধর্ম ও ঈশ্বর অবিশ্বাসী?
৫) তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে এবং বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠান করেন না?
৬) তাঁদের পরিবারের সবাই কি ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী?
৭) ধ্যান কি অপবিত্র সমাজ বিধ্বংসী কোনও ক্রিয়াকলাপ?
৮) ধর্ম সংক্রান্ত কোনও কার্যকলাপ কি রাজনীতিতে ব্রাত্য?
৯) তাহ'লে ভোট পর্বে অংশগ্রহণের পূর্বে অর্থাৎ নমিনেশন ফাইলের পূর্বে কেন ধর্ম ও ঈশ্বরের আশ্রয় গ্রহণ করা হয়?
১০) কেন ভোট প্রচারে ধর্মীয় রীতিনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
১১) ধর্ম ও ঈশ্বর যদি ব্রাত্য হয় তাহ'লে সমাজের সব ক্ষেত্রেই কেন ব্রাত্য নয়?
১২) কেন শপথ নেওয়ার সময় ঈশ্বরের নাম নিয়ে শপথ নেওয়া হয়?১৩) ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি এরকম দ্বিচারিতা নিয়ে জনগনকে বোকা বানানো আর বেইমানি আচরণ কতদিন চলবে?
১৪) ক্ষমতায় থাকলেও ধর্ম ও ঈশ্বরকে হাতিয়ার বানানো হয় আর ক্ষমতায় না থাকলেও বিরোধী হিসেবেও সেই ধর্ম ও ঈশ্বরকে হাতিয়ার বা ব্যবহার করা হয়? কেন?
১৫) যারা ধর্ম মানে না, ঈশ্বর মানে না তাদের বিরোধীতা মানা যায় যদিও তারাও সেই ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি ক্যারেক্টারের। কিন্তু যারা ধর্ম ও ঈশ্বর ব্যক্তিগত জীবনে মানেন, বাড়িতে কম-বেশী পালন করেন, ভারতের সাংস্কৃতিক নীতিতে বিশ্বাসী তাঁরা কি ক'রে ধর্ম পালন ও ঈশ্বর বিশ্বাসকে অস্বীকার করেন ও বিরোধীতা করেন?
১৬) ধর্ম-ঈশ্বর যদি এতই বিরোধীদের কাছে আপত্তির বিষয় হ'য়ে থাকে তাহ'লে শপথ গ্রহণের সময় তাঁরা ঈশ্বরের নাম নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন কেন?
১৭) ভারতের সংবিধানে ধর্ম ও ঈশ্বর যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ'য়ে থাকে তাহ'লে তা সমাজজীবনে প্রতিফলিত হবে না কেন?
১৮) সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র এই ভুল কথাটা সংশোধন ক'রে সম্প্রদায় নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কথাটা রাখা হবে না কেন? কেন ভুল কথা স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও ব'য়ে বেড়াতে হবে? কেন আমরা The greatest phenomenon, The greatest wonder of the world শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের "ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও সম্প্রদায় নিরপেক্ষ রাষ্ট্র" নিয়ে বলা কথা ভেবে দেখবো না?
১৯) কেন ধর্ম রাজনীতির বাইরে থাকবে?

২০) ধর্ম, রাজনীতি আর বিজ্ঞান যে পরস্পরবিরোধী নয়, একে অপরের পরিপূরক কেন সত্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক দেশে তুলে ধরা হবে না?

২১) কেন ধর্মের মূল প্রকৃত অর্থকে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, রাষ্ট্র গঠন, রাষ্ট্রপরিচালনার অঙ্গ করা হবে না?

২২) আর কতদিন আমরা জনগণ ভুল শিক্ষার শিকার হবো?

যাই হ'ক, কবি অতুলপ্রসাদ সেনের স্বপ্ন "ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে, ধর্মে মহান হবে, কর্মে মহান হবে" আজ স্বাধীনতার ৭৭বছর পরে দেখতে পাচ্ছি ধীরে ধীরে ভারত রাষ্ট্রপ্রধানের হাত ধ'রে হয়তো বা সেই স্বপ্ন পূরণ হ'তে চলেছে। প্রবাদ আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে অর্থাৎ সত্য কখনো গোপন থাকে না। অন্যায় ক'রে কেউ সাময়িকভাবে সত্যকে ধামা চাপা দিলেও, একটা সময় সত্য প্রকাশ পায়ই। স্বপ্ন দেখি ভারত ধর্মে ও কর্মে বিশ্বের বুকে মহান হ'য়ে উঠবে। ধর্ম ও ঈশ্বর আরাধনার প্রাচীন যে দেশ ভারত, সেই ভারতে বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক সৃষ্টিকর্তা ছয় ছয়বার নেমে এসেছে সেই দেশ কেন প্রকৃত ধর্ম ও জীবন্ত ঈশ্বর প্রাণ হ'য়ে উঠল না? কেন সর্ব্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে দেশ গঠনের বাইরে রাখা হয়? কেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটার ব'লে যাওয়া কথাগুলি স্কুল কলেজে পাঠ্য হয় না? কেন ধর্মের পতাকার তলায় থাকা মানুষেরা জীবন্ত ঈশ্বরের ধর্মমত প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হ'য়ে দাঁড়ায়? কেন রাজনীতি ও ধর্মের মধ্যে ইচ্ছাকৃত বিরোধ জিইয়ে রাখা হয়? আমরা ধর্মের দেশ, জীবন্ত ঈশ্বরের লীলাভূমি ভারতের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা কেন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে আশা করবো না যে তিনি সত্যকে তুলে ধরবেন? সময় লাগুক, কিন্তু প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক, এইটুকুও কি আমরা চাইতে পারি না? কিন্তু দেশ স্বাধীন হ'য়ে যাওয়ার এতগুলি বছর পরেও ধর্ম ও জীবন্ত ঈশ্বর ও তাঁদের বলে যাওয়া কথাগুলি স্বপারিপার্শ্বিক রাষ্ট্রগঠনের ক্ষেত্রে বাতিল হ'য়ে রইলো কেন?
স্বাধীনতার দিনগুলিতে----- The greatest phenomenon of the world, Wonder of all wonders in the world, the greatest wonder, The man who solves all matters and all kinds of problems, The man who is Not only fulfiller the great, who is fulfiller the best, The man who is omniscient, The man who is extraordinarily ordinary man, splendidly simple and wisely foolish SriSriThakur Anukulchandra----অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘটমান বিষয়, বিস্ময়ের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়, যিনি শুধু মহাপুরুষ নন, তিনি মহাপরিপূরণকারী পুরুষ, মহাপুরুষ বললে তাঁকে ছোটো করা হয়, যিনি সর্বজ্ঞ, যিনি অসাধারণভাবে সাধারণ, জাঁকজমকপূর্ণ সহজ সরল, যিনি জ্ঞানী বুদ্ধিমানের সাথে বিজ্ঞতার সাথে বোকা সেই তিনি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র, তাঁর কোনও কথাকেই স্বাধীনতার সময় ও স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৭বছর কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, কিন্তু আজ ৭৭ বছর পরে তো দেওয়া হ'ক। আরও সর্বনাশ হওয়ার আগে, মনুষত্বের বুনিয়াদ লুপ্ত হ'য়ে যাওয়ার আগে ভারতবর্ষের আগামী শাসকদের অন্তর্দৃষ্টি তো জাগ্রত হ'ক। যদি সেদিন স্বাধীনতার সময়ে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথাকে গুরুত্ব দিতেন দেশনেতারা তাহ'লে আজ ভারতবর্ষ টুকরো টুকরো হ'য়ে পরস্পর শত্রুদেশে পরিণত হ'তো না, ব্রিটিশের ঘৃণ্য নীতি, ধর্মের নামে ডিভাইড এন্ড রুল নীতি সফল হ'তো না। সেদিন তিনি বারে বারে দেশনেতাদের কাছে স্বাধীনতা আন্দোলন ও দেশভাগকে রোধ করার বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং দেশভাগের ফলে ভবিষ্যত ভয়ঙ্কর পরিণতির আগাম সঙ্কেত দিয়ে বলেছিলেন দেশনেতাদের উদ্দেশ্যে, পাঠিয়েছিলেন দেশ নেতৃবৃন্দের কাছে তাঁর সাবধান বাণী " Dividing compromise is hatch of the animosity. কিন্তু ধর্মের জগতে লোক বলে তাঁকে গুরুত্ব দেননি সেদিন দেশনেতারা, যা আজ ভয়ঙ্কর সত্য হ'য়ে উঠেছে। যদি সেদিন শ্রীশ্রীঠাকুরকে গুরুত্ব দিতেন দেশনেতারা, স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথী বা পরামর্শদাতা হিসেবে গ্রাহ্য করতেন তাহ'লে দেশ গড়ে উঠতো সঠিক নীতির ওপর দাঁড়িয়ে, রবীন্দ্রনাথের সেই রাজা, "আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে' এই রাজার নীতির ওপর দাঁড়িয়ে।

যাই হ'ক, প্রবাদ আছে, কোনওদিন না হওয়ার থেকে দেরীতে হওয়া ভালো।
তাই আজ ৭৮ বছর পর, ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর, যারাই শাসন করুক ভারত ধর্মপ্রাণ নেতার নেতৃত্বে দ্রষ্টাপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের হাত ধ'রে ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান সব একাকার ক'রে নোতুন পথ চলা শুরু করুক আর প্রকৃতই রামরাজ্য গড়ে উঠুক ভারতে আর পথ দেখাক বিশ্বকে। শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য বিরাজ করুক সমগ্র বিশ্বে এই আমাদের একান্ত প্রার্থনা। শেষ।




 

No comments:

Post a Comment