আজ ৭ই জুন শুক্রবার আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ৫৭তম জন্মদি
শ্রীশ্রীঠাকুর বলে গেছিলেন “যা দিয়ে গেলাম আগামী দশ হাজার বছরের মধ্যে আর কিছু লাগবে না“ অর্থাৎ তিনি আর আগামী দশ হাজার বছর আসবেন না কারণ যা বলার তিনি সব ব’লে দিয়ে গেছেন; শুধু এবার সেই বলাগুলি ইমপ্লিমেন্ট করার কাজ আর সেই কাজে তিনি নিজেই গোটা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবেন আর তা দেবেন রেতঃ শরীরে সুপ্ত থেকে তাঁর বংশধরের মধ্যে দিয়ে বংশ পরম্পরায়। আর তাঁর সেই কাজ তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর পরমপ্রিয় আদরের ধন প্রথম সন্তান, তাঁর পরম ও প্রধান ভক্ত, কলিযুগের হনুমান, বিশ্বজুড়ে সৎসঙ্গীদের চোখের মণি সবার বড়ভাই শ্রীশ্রীবড়দার মধ্যে দিয়ে। সেই নেতৃত্বের কাজ চলেছে তাঁর তৃতীয় পুরুষ আদরের দাদুভাই শ্রীশ্রীঅশোকদাদা সম্পর্কে বলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে। কি বলেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীশ্রীদাদা সম্পর্কে? ঋত্ত্বিক আচার্য শ্রীকৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যদাকে (কেষ্টদাকে) শ্রীশ্রীঠাকুর ছোট্ট অশোকদাদাকে দেখিয়ে বলেছিলেন, "আমার সৎসঙ্গের প্রকৃত আন্দোলন শুরু হবে আমার 3rd Generation অর্থাৎ ৩য় পুরুষ থেকে।" আমরা সবাই দেখেছি ও জানি শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর শ্রীশ্রীবড়দার নেতৃত্বে কিভাবে ভয়ঙ্কর বিরোধীতা ও প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা ক'রে 'সৎসঙ্গ" প্রতিষ্ঠানকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা ক'রে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবধারা ও শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের নাম। আর, তারপর শ্রীশ্রীঠাকুরের 'জীবনবাদ, অস্তিত্ববাদ' প্রচারের যে প্রকৃত আন্দোলন, শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' আন্দোলনের যে কঠিন মহান গুরু দায়িত্ব সেই কঠিন ও মহান গুরু দায়িত্বকে, শ্রীশ্রীঠাকুরের মিশনকে শক্ত, মজবুত, বলিষ্ঠ কাঁধে ক'রে নিপুণ দক্ষতায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের নিজের মুখে ব'লে যাওয়া 3rd Generation অর্থাৎ ৩য় পুরুষ শ্রীশ্রীঅশোকদাদা। বর্তমানে সৎসঙ্গের সেই Being & Becoming অর্থাৎ বাঁচা-বাড়ার আন্দোলন, বিশ্বজুড়ে ৮০০কোটি মানুষের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জীবনবাদ, অস্তিত্ববাদের আন্দোলন, সেই আন্দোলন এগিয়ে চলেছে দিব্যদৃষ্টির অধিকারী পরম শ্রদ্ধেয় এ যুগের ঠাকুরভক্ত হনূমান শ্রীশ্রীঠাকুরের কুকুর সত্যদ্রষ্টা ঋষি শ্রীশ্রীবড়দার ব’লে যাওয়া, “বাবা আই” অর্থাৎ বাবাই অর্থাৎ বর্তমান আচার্যদেব
শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে দিয়ে। বহু বিশিষ্ট জনেদের মুখে অনেকবার শুনেছি, এবং ২০১৪ সালে শীতকালের এক বিকেলে মাণিকপুরে ঘুরতে গিয়ে মাণিকপুরের দায়িত্বে থাকা এক বয়স্ক গুরুভাইয়ের মুখে শুনেছিলাম ছোট্ট শিশু বাবাইদাদাকে কোলে ক’রে যেদিন বড়বৌদি অর্থাৎ শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মা ঘরে পা রেখেছিলেন, তারপরে শ্রীশ্রীবড়দার কোলে তুলে দিয়েছিলেন সৎসঙ্গ জগতের আগামী কান্ডারী ছোট্ট শিশুকে তখন সেই ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়েই শ্রীশ্রীবড়দা আনন্দে তাঁর চকা আঁখি বিস্ফারিত ক’রে চকিতে বলে উঠেছিলেন, “বাবা আই”!!!!! অর্থাৎ বাবা এসেছে!!! সেই থেকেই সৎসঙ্গ জগতের বর্তমান কান্ডারী আচার্যদেব পরমপুজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবাইদাদার নাম হ’য়ে গেল ‘বাবাই’!
আজ আমরা সবাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে ছুটে যাই যখনই সমস্যার ঘোর আঁধারে ডুবে যাই, হতাশা অবসাদে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, ভয়, মহাভয় যখন অক্টোপাশের মত ঘিরে ফেলে, দুশ্চিন্তার নাগপাশে যখন শ্বাস বন্ধ হ'য়ে যায়, রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যর, দারিদ্রতা যখন চোখের দৃষ্টিশক্তি, বোধবুদ্ধি কেড়ে নেয়, মন যখন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, নার্ভ অচল হ'য়ে পড়ে তখন আমরা ছুটে যাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে সমস্যা থেকে মুক্ত হবার আশায়। তিনি আমাদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেন। আচার্যদেবের সান্নিধ্যে গিয়ে, তাঁর দর্শন লাভ করা ও তার সঙ্গে কথা বলা ও তার পরামর্শ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়ে আবার লড়াই করার শক্তি ফিরে পাই আমরা এবং একটার পর একটা বিপদের সঙ্গে লড়াই ক'রে বিপদকে অতিক্রম ক'রে সারা জীবনের জন্য সমর্থ হ'য়ে ওঠার শিক্ষা পাই। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের কাছে গিয়ে মানুষ বিজ্ঞান মুখী হ'য়ে ওঠে, অলৌকিক জগৎ ছেড়ে লৌকিক জগতে, বাস্তব জগতে ফিরে আসে মানুষ, বাস্তবতার সন্ধান পায়, মানুষ যুক্তির ওপর দাঁড়াতে শেখে। আংটি, তাবিজ, পাথর, মাদুলি, ম্যাগ্নেটিক ব্রেসলেট, লালসুতো, কালোসুতো, তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, জলপড়া, তেলপড়া, ভড়, বিপদতারিণী, মাতাজী, বাবাজী, রাহু, কেতু, শনি, ভূত, প্রেত, অশুভ হাওয়া ইত্যাদি কুসংস্কারমুক্ত জীবনের অধিকারী হ'য়ে ওঠে এবং অন্তরে ও বাহিরে এক শক্তিমান মানুষে পরিণত হ'য়ে ওঠে। শ্রীশ্রীআচার্যদেবের সান্নিধ্যে মানুষ আশীর্বাদ, দয়া, হাতে খড়ি ইত্যাদির প্রকৃত বিজ্ঞান ভিত্তিক অর্থের সন্ধান পায়।
শ্রীশ্রীঠাকুর যে ধর্মের কথা ব'লে গেছেন সেই ধর্ম যে ফলিত বিজ্ঞান অর্থাৎ applied science তা' আচার্যদেবের সম্মুখে প্রতিনিয়তই ব্যষ্টি জীবন, সমষ্টি জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কীয় আলোচনায় ফুটে ওঠে। শ্রীশ্রীঠাকুরের সমস্ত কথার মধ্যে ফিলসপি, আর্ট, রিলিজিয়ন যা কিছু আছে সবকিছুই সায়েন্সে মার্জ ক'রে গেছে অর্থাৎ দর্শন, কলা, ধর্ম সবকিছু বিজ্ঞানের সাথে মিলে গেছে তা' আমরা জীবন্ত হ'য়ে উঠতে দেখেছি আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে। ধর্ম, বিজ্ঞান, রাজনীতি, কলা সবকিছু মার্জ ক'রে যাওয়ার মূর্ত রূপ শ্রীশ্রীআচার্যদেব বাবাইদাদা। এখানে তথাকথিত ধর্মের, অলৌকিকতার ভড়ং নেই।
অথচ, শ্রীশ্রীঠাকুর যে মাঝে মাঝেই শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটকের সেই বিখ্যাত উক্তি " " There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy." যার অর্থ, স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরাশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত।" এই বাণীর প্রত্যক্ষ রূপ আমরা লক্ষ্য করতে পারি শ্রীশ্রীআচার্যদেবের
মধ্যে। এ এক রহস্য! যার কারণ ভেদ করতে পারেনি কেউ বা কোনও বিজ্ঞান। এই রহস্যের বিচ্ছুরণ দেখা গেছে শ্রীশ্রীঠাকুরের মধ্যে আর তার ট্র্যাডিশন ব'য়ে নিয়ে গেছে শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ও প্রধান ভক্ত কুকুর কলি যুগের হনুমান, সৎসঙ্গীদের বড় ভাই শ্রীশ্রীবড়দা, যা দেখতে পেয়েছি ঈশ্বরকোটি পুরুষ শ্রীশ্রীদাদার মধ্যে আর যা আমরা অনুভব করেছি, অভিজ্ঞতা লাভ করেছি, উপলব্ধি হয়েছে বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে। এই নিয়ে অনেকেই তর্ক করতে পারে। কিন্তু তর্ক করবার জন্য আমার ভিডিওতে আসা উদ্দেশ্য নয়। এই অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি যার যার জীবনে হয়েছে সেই বুঝতে পারবে। বোঝে সে, প্রাণ বোঝে যার। আমার জীবনের ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা যার সাক্ষী হ'য়ে আছে। যা আমি আগে ব্যক্ত করেছি ও আগামী দিনে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরবো। যা আজও আমাকে, আমার পরিবারকে
রোমাঞ্চিত করে! যখনই মনে সন্দেহ, অবিশ্বাস মুহূর্তের জন্য বিন্দুমাত্র হানা দেয় তখনি যেন মনে হয় দয়াল মিষ্টি হেসে রহস্য ক'রে আচার্যদেবের মধ্যে দিয়ে বলছেন তাঁর প্রিয় শেক্সপিয়ারের কোটেশানটা "There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy." যার অর্থ, স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরাশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত।"
আজ আমি আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ৫৭তম জন্মদিনে তাঁর শ্রীচরণে জানাই শতকোটি প্রণাম। জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরচিত কবিতার মধ্যে দিয়ে।
কবিতাঃ হে আমার আচার্য।
হে আচার্যদেব লহ মোর প্রণাম!
দেখি তোমার মাঝে দয়ালের বিচ্ছুরণ অবিরাম!
দয়ালের চলা, দয়ালের বলা, চোখ, নাক, মুখের
যত ষোলকলা আনে ঝলক পলকে পলকে
তব মুখপানে, আচারে আচরণে যেন সীতারাম!
দয়ালের চলা, দয়ালের বলা, চোখ, নাক, মুখের
যত ষোলকলা আনে ঝলক পলকে পলকে
তব মুখপানে, আচারে আচরণে যেন সীতারাম!
আমার বুকের মাঝে ওঠে দয়ালের ঝড়,
প্রশস্থ বুক আমার দয়ালের বাড়ি, দয়ালের ঘর!
দয়াল আমার মাথার 'পরে, দয়াল আমার দাঁড়ি
তাঁর নামের তরী চেপে দেব দয়াল দেশে পাড়ি।
কে দিল মোরে এই ইশারা? কি ক'রে পেলাম এই সাড়া?
তুমি যদি না থাকতে মোর আচার্যদেব
আমিও হ'তাম দিশাহারা, হতাম দয়ালের ঘরছাড়া।
হে আচার্যদেব! তুমি লহ মোর প্রণাম!
হে আচার্যদেব! পরাণে পরাণে তব গুণগানে
জেগে ওঠে ভালবাসার হিল্লোল!
দিক হ'তে দিকে আসে ছুটে ছুটে, ওঠে কলরব
ভারত ও বহির্বিশ্বের যত ভাষাভাষি আসে কাছাকাছি
শুনি ঐ পদধ্বনি, শুনি ভেসে আসে দেওঘরের কল্লোল!
কেমনে বাসিব ভালো তাঁরে,
হৃদয়ে কেমনে জ্বালিবো তাঁর আলো
দয়াল প্রভুর তরে আচারে আচরণে ক'রে করিয়ে
হে আচার্যদেব! শেখাও মোদের,
শেখাও তাঁর মতো হ'তে ভালো।
দয়াল প্রভু শেখালো মোদের
হৃদয়ে কেমনে জ্বালিবো তাঁর আলো
দয়াল প্রভুর তরে আচারে আচরণে ক'রে করিয়ে
হে আচার্যদেব! শেখাও মোদের,
শেখাও তাঁর মতো হ'তে ভালো।
দয়াল প্রভু শেখালো মোদের
আচারে আচরণে সযতনে
শয়নে স্বপনে, জাগরণে, স্মরণে মননে
ইষ্ট মোদের জীবন দাঁড়া, তিনিই জীবন মেরু,
আঁধার কেটে যখন উঠবে সূর্য ফুটবে আলো
আসবে নোতুন ভোর তাঁকে স্মরণ ক'রে তুমি
ইষ্টার্ঘে জীবন করো শুরু, সিক্ত হবে তোমার
শুষ্ক জীবন নিশ্চিত, হবে শীতল শুষ্ক ভুমি মরু!
এক ও অদ্বিতীয় ইষ্টকে কেমনে বাসিবো ভালো?
আচারে আচরণে ক'রে করিয়ে দয়াল মোদের শেখালো!
শয়নে স্বপনে, জাগরণে, স্মরণে মননে
ইষ্ট মোদের জীবন দাঁড়া, তিনিই জীবন মেরু,
আঁধার কেটে যখন উঠবে সূর্য ফুটবে আলো
আসবে নোতুন ভোর তাঁকে স্মরণ ক'রে তুমি
ইষ্টার্ঘে জীবন করো শুরু, সিক্ত হবে তোমার
শুষ্ক জীবন নিশ্চিত, হবে শীতল শুষ্ক ভুমি মরু!
এক ও অদ্বিতীয় ইষ্টকে কেমনে বাসিবো ভালো?
আচারে আচরণে ক'রে করিয়ে দয়াল মোদের শেখালো!
হে দয়াল! হে আমার জীবনস্বামী!
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু আর রামকৃষ্ণ
এক ও অদ্বিতীয় ইষ্ট তাঁরাই, একথা শেখালে তুমি;
শেখালে তুমি কেমনে বাসিবো ভালো জীবন্ত ইষ্টেরে,
কেমনে পুজিব তাঁর চরণ,
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু আর রামকৃষ্ণ
এক ও অদ্বিতীয় ইষ্ট তাঁরাই, একথা শেখালে তুমি;
শেখালে তুমি কেমনে বাসিবো ভালো জীবন্ত ইষ্টেরে,
কেমনে পুজিব তাঁর চরণ,
তুমি প্রভু শেখালে মোদের
চলনহারা চরণ পুজা মরণ!
হে দয়াল! তাই তোমার রাতুল চরণ চুমি।
তাই তুমি আচার্য! তুমিই পুজ্য, তুমিই ধ্রুবতারা!
মোদের আর নেই কেউ আরাধ্য, নেই কেউ তোমা ছাড়া।
চলনহারা চরণ পুজা মরণ!
হে দয়াল! তাই তোমার রাতুল চরণ চুমি।
তাই তুমি আচার্য! তুমিই পুজ্য, তুমিই ধ্রুবতারা!
মোদের আর নেই কেউ আরাধ্য, নেই কেউ তোমা ছাড়া।
হে দয়াল! তুমি তো শেখালে মোদের
বাসিতে ভালো জীবন্ত এক ও অদ্বিতীয় ইষ্টেরে
তোমারে কেমনে বাসিবো ভালো তা শেখাবে কে?
কে শেখাবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তোমারে ভালোবাসিতে?
তুমিই ধ্যান, তুমিই জ্ঞান, তুমিই জীবন সর্বস্ব!
কে শেখাবে মোদের সে কথা, তুমিই একমাত্র আদর্শ?
কেমনে করিবো তোমার যত স্বপ্ন পূরণ?
কেমনে পুরিব তোমা আশ?
কেমনে করিব তোমার স্বর্গ রচনা?
কেমনে করিবো অশুভ নাশ!?
বাসিতে ভালো জীবন্ত এক ও অদ্বিতীয় ইষ্টেরে
তোমারে কেমনে বাসিবো ভালো তা শেখাবে কে?
কে শেখাবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তোমারে ভালোবাসিতে?
তুমিই ধ্যান, তুমিই জ্ঞান, তুমিই জীবন সর্বস্ব!
কে শেখাবে মোদের সে কথা, তুমিই একমাত্র আদর্শ?
কেমনে করিবো তোমার যত স্বপ্ন পূরণ?
কেমনে পুরিব তোমা আশ?
কেমনে করিব তোমার স্বর্গ রচনা?
কেমনে করিবো অশুভ নাশ!?
কেমনে সব কিছু পিছনে ফেলে
পিছু টান মুহুর্তে ভুলে, বৃত্তি ভেদী টানে
কেমনে ছুটিবো তোমার পানে?
এ কথা শেখালো মোদের আচারে আচরণে
ক'রে করিয়ে শয়নে, স্বপনে, জাগরণে সযতনে
মোদের শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা আর শ্রীশ্রীবাবাইদাদা
তাই তো তিনারা 'সৎসঙ্গ'-এর আচার্যদেবতা!!
হে আচার্যদেবতা !
তুমি শেখালে মোদের আচারে আচরণে
কেমন ক'রে থাকবে দয়াল সবার পরাণে পরাণে।
শেখালে তুমি, কেমন ক'রে তাঁরে রাখবো বুকে,
বুকে কেমনে জ্বালবো তাঁর আলো,
তাঁরে ভালোবাসার বর্ণ পরিচয় শেখালে মোদের
হে আচার্য! শিশুর মতন জড়িয়ে বুকে,
নিজের বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে
ঘোর আঁধারে তুমি পথ দেখিয়ে চলো।
অন্যের অন্যায্য আচার আচরণ যখন তুফান তোলে
আমার মনের মাঝে, অন্তরে বাহিরে হৃদমাঝারে,
বরাভয় হাতে হে আচার্যদেব! তুমি এসে তখন বলোঃ
হও সাবধান! করো পূরণ যতটুকু ফাঁক
আছে তোমার জীবনে তোমা আর তাঁর মাঝে।
সেই ফাঁকে বাসা বাঁধে যত বিষাক্ত পোকামাকড়
আর ময়লা জমে মনে; ছোবলে আর দুর্গন্ধে
ক্ষতবিক্ষত আর ওষ্ঠাগত প্রাণ, দয়াল
পারে না থাকিতে সেই অসুস্থ প্রাণে।
ক'রে করিয়ে শয়নে, স্বপনে, জাগরণে সযতনে
মোদের শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা আর শ্রীশ্রীবাবাইদাদা
তাই তো তিনারা 'সৎসঙ্গ'-এর আচার্যদেবতা!!
হে আচার্যদেবতা !
তুমি শেখালে মোদের আচারে আচরণে
কেমন ক'রে থাকবে দয়াল সবার পরাণে পরাণে।
শেখালে তুমি, কেমন ক'রে তাঁরে রাখবো বুকে,
বুকে কেমনে জ্বালবো তাঁর আলো,
তাঁরে ভালোবাসার বর্ণ পরিচয় শেখালে মোদের
হে আচার্য! শিশুর মতন জড়িয়ে বুকে,
নিজের বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে
ঘোর আঁধারে তুমি পথ দেখিয়ে চলো।
অন্যের অন্যায্য আচার আচরণ যখন তুফান তোলে
আমার মনের মাঝে, অন্তরে বাহিরে হৃদমাঝারে,
বরাভয় হাতে হে আচার্যদেব! তুমি এসে তখন বলোঃ
হও সাবধান! করো পূরণ যতটুকু ফাঁক
আছে তোমার জীবনে তোমা আর তাঁর মাঝে।
সেই ফাঁকে বাসা বাঁধে যত বিষাক্ত পোকামাকড়
আর ময়লা জমে মনে; ছোবলে আর দুর্গন্ধে
ক্ষতবিক্ষত আর ওষ্ঠাগত প্রাণ, দয়াল
পারে না থাকিতে সেই অসুস্থ প্রাণে।
তুমি না থাকিলে হে আচার্যদেব!
কে শেখাতো মোদের এমনক'রে দয়ালকে ভালোবাসার কথা!?
আচারে আচরণে সেই ভালোবাসা ফুটিয়ে তোল
নিজ জীবনে আর ক'রে করিয়ে শেখাও প্রাণে প্রাণে
তাই তো তুমি সবার আচার্যদেব! তুমি মোদের দেবতা!!
হে আচার্যদেব! দয়াল যে স্বয়ং অবতারি,
তিনিই ব্রহ্মা, তিনিই বিষ্ণু, তিনিই ভোলা মহেশ্বর,
তিনিই মোদের এক ও অদ্বিতীয় জীবন কান্ডারি!
দয়াল আর আমার মাঝে নেই কেউ কোথাও,
নেই আর কোনও কিছু, দয়াল আছে আর আমি আছি
নেই কোথাও কেউ মাঝখানে আর আগুপিছু।
এ সব কথা শেখালো কে? কে শোনালো এই বেদবাণী?
আচরণে সিদ্ধ আচার্যপুরুষ তুমি শেখালে মোদেরে
শেখালো তোমার মধুর চলনখানি!
মিষ্টি ক'রে বললে তুমি, শেখালে সযতনে
জীবন মাঝে আছে শুধু দয়াল-দয়াল আর দয়াল
শয়নে-স্বপনে আর জাগরণে! এর মাঝে আর কিছু নাই
নাই আর কেউ; যদি থাকে জেনো যেনতেন প্রকারেণ
জীবন হবে ভয়াল আর ডাকবে পিছে ফেউ!!!
তুমি শিখিয়েছো মোদের যে যা করে করুক,
প্রাণ যার যা চায় বলুক তুমি চেও না ওদিক পানে,
শুনো না ওসব কথা কানে, দিলে ওদিকে মন
প্রিয়পরম দয়াল তখন যাবে ফিরে,
আচারে আচরণে সেই ভালোবাসা ফুটিয়ে তোল
নিজ জীবনে আর ক'রে করিয়ে শেখাও প্রাণে প্রাণে
তাই তো তুমি সবার আচার্যদেব! তুমি মোদের দেবতা!!
হে আচার্যদেব! দয়াল যে স্বয়ং অবতারি,
তিনিই ব্রহ্মা, তিনিই বিষ্ণু, তিনিই ভোলা মহেশ্বর,
তিনিই মোদের এক ও অদ্বিতীয় জীবন কান্ডারি!
দয়াল আর আমার মাঝে নেই কেউ কোথাও,
নেই আর কোনও কিছু, দয়াল আছে আর আমি আছি
নেই কোথাও কেউ মাঝখানে আর আগুপিছু।
এ সব কথা শেখালো কে? কে শোনালো এই বেদবাণী?
আচরণে সিদ্ধ আচার্যপুরুষ তুমি শেখালে মোদেরে
শেখালো তোমার মধুর চলনখানি!
মিষ্টি ক'রে বললে তুমি, শেখালে সযতনে
জীবন মাঝে আছে শুধু দয়াল-দয়াল আর দয়াল
শয়নে-স্বপনে আর জাগরণে! এর মাঝে আর কিছু নাই
নাই আর কেউ; যদি থাকে জেনো যেনতেন প্রকারেণ
জীবন হবে ভয়াল আর ডাকবে পিছে ফেউ!!!
তুমি শিখিয়েছো মোদের যে যা করে করুক,
প্রাণ যার যা চায় বলুক তুমি চেও না ওদিক পানে,
শুনো না ওসব কথা কানে, দিলে ওদিকে মন
প্রিয়পরম দয়াল তখন যাবে ফিরে,
রইবে একলা পড়ে।
তবুও ওরা কোলাহলে ভরা আত্মপ্রতিষ্ঠার তরে
করে ঘেউ ঘেউ, বাচালের মতো বকে যে কেউ
অনিষ্ট চিন্তায় নিজেরা নিজেদের মারে আর মরে।
তোমার বিরুদ্ধে অস্ত্র শানায় সকাল থেকে সন্ধ্যে
ভুল কথার বাজায় সানাই, বিষ ঢালে তারা প্রাণে প্রাণে।
আচার্য কথার মিথ্যে ভুল বিকৃত ব্যাখ্যা করে
সকাল সন্ধ্যে তোমাকে মুখ্য ক'রে।
হে আচার্যদেব! তুমি বলেছিলে মোদের
যদি বন্ধুকে বিপদের দিনে দাও পাঁচ টাকা
করে ঘেউ ঘেউ, বাচালের মতো বকে যে কেউ
অনিষ্ট চিন্তায় নিজেরা নিজেদের মারে আর মরে।
তোমার বিরুদ্ধে অস্ত্র শানায় সকাল থেকে সন্ধ্যে
ভুল কথার বাজায় সানাই, বিষ ঢালে তারা প্রাণে প্রাণে।
আচার্য কথার মিথ্যে ভুল বিকৃত ব্যাখ্যা করে
সকাল সন্ধ্যে তোমাকে মুখ্য ক'রে।
হে আচার্যদেব! তুমি বলেছিলে মোদের
যদি বন্ধুকে বিপদের দিনে দাও পাঁচ টাকা
তবে বিপদের দিনে দিও দশ টাকা তোমার শত্রুদের!
তার প্রয়োজনে ছুটে যেও পাশে, যে করেছে তোমার ক্ষতি
দিও না প্রাণে তার দেওয়া ব্যথা ফিরায়ে তারে সযতনে।
তার প্রয়োজনে ছুটে যেও পাশে, যে করেছে তোমার ক্ষতি
দিও না প্রাণে তার দেওয়া ব্যথা ফিরায়ে তারে সযতনে।
রেখো না স্মরণে মনের কোনে গোপনে সেই কথা
শয়নে স্বপনে জাগরণে, শান্ত, হ'ক পবিত্র তব মতিগতি।
হে আচার্যদেব! রাখবো আমি তোমার কথা
নিলাম শপথ জানিয়ে তোমার চরণে আমার প্রণতি।
শয়নে স্বপনে জাগরণে, শান্ত, হ'ক পবিত্র তব মতিগতি।
হে আচার্যদেব! রাখবো আমি তোমার কথা
নিলাম শপথ জানিয়ে তোমার চরণে আমার প্রণতি।
জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment