"Apnar lekha dekhar opekhye
thaki....ooooosadharon....obornonio....poroborti
lekhar asai roilam....
Sharmila Sur"
Sharmila Sur-এর এই আগ্রহের মত আরো অনেকের আগ্রহ আমায় এই লেখা লিখতে অনুপ্রেরণা দেয়, অনুপ্রেরণা দেয় আরো আরো লেখার। আর তাই আমি হিন্দমোটর নিয়ে লিখতে
চেষ্টা করি। আর শর্মিলা সূরের এই আগ্রহের জবাব আমি আমার Timeline-এও post করলাম।
শর্মিলা, অনেক রহস্য,
অনেক ইতিহাস, অনেক
যন্ত্রণা লুকিয়ে রয়েছে
এই কারখানার বুকে। বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে
কথাটা পড়েছি, শুনেছি কিন্তু দেখেছি কি তাঁর রুপ !? কেমন
ভাবে সে নীরবে
কাঁদে? ৬৫বছরের কারখানার গহ্বরে প্রচুর ময়লা
জমে আছে যা
volume after volume লিখেও
শেষ করা যাবে
না। মহাকাব্য হার মেনে যাবে এই ময়লায় ঢেকে যাওয়া
যন্ত্রণা আর ময়লার
ইতিহাসের কাছে। কে তার খবর রাখে?
কার এত সময় আছে কারও যন্ত্রণা নিয়ে,সমাজ নিয়ে,
ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে
ভাবার? কার-ই বা সময় ছিল কারখানার অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধা
ক্যান্সারের বীজকে চিহ্নিত করার? কার সময় ছিল সেদিন এই সত্যটা ভাবার যে একটা ছোট্ট ফুটোকে সময়মত বন্ধ না করলে সেই ফুটো
ধীরে ধীরে বড় হ'তে হ'তে একদিন বিরাট
আকার ধারণ ক'রে হুড়মুড় ক'রে ভেঙ্গে পড়ে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে
যাবে? কারও সময় বা ইচ্ছে নেই বা ছিল না পিছন ফিরে তাকাবার! সবাই ছু্টেছে, ছুটছে
সামনে এগোবে বলে!
কে পড়ে গেল,
কে হোঁচট খেল,
কে রক্তাক্ত হ'ল, কে অভুক্ত রইলো, কে মারা
গেল কারও মানসিকতা নেই তা' নিয়ে
ভাবার। হিন্দমোটরের আশেপাশে, জেলা
জুড়ে, রাজ্য জুড়ে
সবাই নীরবতার মধ্যে
দিয়ে বলতে চেয়েছে বা বলেছে এবং বলছে, 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে
ফুরিয়ে যাবে মামলা'!
আজ যারা হিন্দমোটরে কাজ হারিয়ে কাঁদছে, হিন্দমোটর বন্ধ হ'য়ে যাওয়ায় বদ্ধ
খাঁচার পাখির মত ছটফট করছে মুক্তির আশায়, একটু আলো,
একটু বাতাসের জন্য,
ক'দিন আগেই
তারা নিশ্চয়ই দেখেছে একই দৃশ্য হিন্দমোটরের বুকে একবার দু'বার নয় বারবার বহুবার। জানিনা সেদিনের কথা তাদের মনে আছে কিনা। নিশ্চয়ই মনে আছে। ব্যাপারটা অনেকটা সেই 'ঘুঁটে পোড়ে
, গোবর হাসে'-র মত নয় কি শর্মিলা? কিভাবে দিনের
পর দিন সামান্য স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে
থাকতে চাওয়া সাধারণ শ্রমিক, নুন আনতে
পান্তা ফুরিয়ে যাওয়া
শ্রমিক-কর্মচারীকে অবৈধভাবে, অন্যায়ভাবে উল্লাসভরে ক্ষমতার পায়ের
তলায় পিষে মেরেছে এলাকারই তথাকথিত প্রভাবশালী ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধি এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে দিনের পর দিন নিজের
বিত্ত বৈভব বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তা দেখেছে নীরবে এলাকার মানুষ, দেখেছে রাজনৈতিক দল, দেখেছে প্রতিটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, দেখেছে মাফিয়া ম্যানেজমেন্ট, দেখেছে তামাম শ্রমিক কূল!
তা'তে কার কি হয়েছে? প্রতিদিনের মত সকাল হয়েছে!
হয়েছে রাত! বাতাস
বয়ে গেছে! বয়ে গেছে নদী দিয়ে
জল! দিন পার হ'য়ে এসেছে
রাত, মাস পার হ'য়ে চলে গেছে বছরের পর বছর!!!!! বিচারের বাণী নীরবে
কেঁদেছে! কেঁদেছে দিন এনে দিন খাওয়া,
নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়া, Hand to mouth condition-এ ডুবে
থাকা সাধারণ অতি সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারী কূল!!!!!!!!!!!!!!!
আর এরই মাঝে
তোমার মত সাধারণ নারীর মাঝে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ নারীর
উপলব্ধি, গভীর বোধ ও অন্তরাত্মার আবেদন এবং বহু সিরিয়াস পাঠকের আহ্ববান আমাকে
এই লেখা লিখতে
শক্তি, প্রেরণা, উৎসাহ,
উদ্দীপনা যোগায়!
তাই আমি কলমকে
বলেছি, কলম স্থির
থাকো তুমি, থাকো
তুমি আলস ত্যাগী! তুমি ঘুমাইলে, ঘুমাইয়া পড়িবে ..................
No comments:
Post a Comment