প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে সর্বাধুনিক কারিগরি দক্ষতা এবং সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি
হওয়া বিশালাকৃতির "টাইটানিক" জাহাজটি যাত্রার চতুর্থ দিনের মাথায়
২২০০ যাত্রী এবং কয়েকশ জাহাজকর্মী নিয়ে ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের দিকে যাত্রা শুরু ক’রে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে
যাবার মত ১৯৪৮
সালে বি.এম.বিড়লার স্বপ্নের শিল্প হিন্দুস্তান মোটরস্ লিমিটেড পথ চলা শুরু
করে এবং ১৯৫২
সালে ইংলন্ডের মরিস মোটর কোম্পানির সহযোগিতায় হিন্দমোটর নিজস্ব গাড়ি উৎপাদন শুরু
করে এবং দীর্ঘ
পথ পাড়ি দিয়ে
২০১৪ সালের ২৫শে
মে আচমকা বন্ধ
হ’য়ে গেল।
ফোর্জ শপ, ফাউন্ড্রী, মেশিন শপ, ইঞ্জিন প্ল্যান্ট, অ্যাক্সেল প্ল্যান্ট, পেইন্টস শপ, স্ট্রং আর এন ডি ডিপার্টমেন্ট সহ আরও বহু ছোট বড় সহায়ক ডিপার্টমেন্ট নিয়ে
গঠিত হিন্দমোটর কারখানা উত্তরপাড়ার বুকে ভারতের প্রথম
স্বয়ং সম্পুর্ণ মোটর শিল্প (The first and only integrated
automobile plant in India, the Uttarpara factory, popularly known as Hind
Motor, also manufactures automotive and forged components) হিসাবে এবং এশিয়ার বৃহৎ মোটর কারখানা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল।
১৯৮০ সালে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ১৬,৫০০-র কাছাকাছি পৌঁছায়। তখন মাসে প্রায় ২৫০০
অ্যাম্বাসাডর, ১৫০টি কন্টেসা, ২৫টি পোর্টার এবং মাসে প্রায় দু’কোটি টাকার উৎপাদন হত। ১৯৮০-৮১ সালে উত্তরপাড়া প্ল্যান্ট থেকে
নিট লাভ হয় ১১২ কোটি টাকা। গোটা দশক জুড়ে
লাভ চলতেই থাকে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শ্রমিক কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ১৬,০০০।
১৯৯২-৯৩ আর্থিক বছরে অ্যাম্বাসাডরের উৎপাদন ছিল ১৯,৩০০।
১৯৯৫-৯৬ সালে
অ্যাম্বাসাডরের উৎপাদন হয় ২৪,০০০।
এইভাবে কন্টেসা ২৬০০
থেকে হয় ৩৮০০। ট্রাক উৎপাদন শূন্য
থেকে হয় ৪৯০টি। স্পেয়ার পার্টসের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
সব মিলিয়ে মোট উৎপাদন ১৯৯২-৯৩ আর্থিক বছরে ২৩,১০০ থেকে ১৯৯৫-৯৬ সালে বেড়ে
দাঁড়ায় ৩১,৩৯০টি
গাড়ি।
কিন্তু কর্মীসংখ্যা ১৫,০০০ থেকে কমে ১২,০০০ হয়।
এর পর ২০০০
সাল থেকে নেবে
আসে হিন্দমোটরের বুকে বিপর্যয়। কোম্পানীকে বাঁচাতে ম্যানেজমেন্ট ম্যাকিন্সে কনসালটেন্সিকে হিন্দমোটরে নিয়োগ করেছিল। মোটা টাকার
কনসালটেন্সি ফি-এর বিনিময়ে তার আগমন
ও মূল্যবান পরামর্শ কোম্পানীকে কি ২০১৪ সালের
২৫শে মে দিনটি
উপহার দিল????
Written on 9th June'2014
No comments:
Post a Comment