তাপস পালের বক্তব্যে যখন চারদিক তোলপার তখন আমি একটা
লেখা Post করেছিলাম। আমার এই লেখার বিষয়ে অনেকের সাথেই মতামত বিনিময় হয়েছিল comments-এ, Inbox-এ এবং Phone. আমি আমার লেখার মধ্যে
দিয়ে এই ঘটনার
উৎসটা খোঁজার চেষ্টা করেছি মাত্র। তাপস পালের বক্তব্য আজ সামাজিক ইস্যুর সঙ্গে
সঙ্গে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত
হ'য়ে গেছে। সুযোগ সন্ধানীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে
নেবে পড়েছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে বাঙালী জীবনে যে কোন বিষয় এত তাড়াতাড়ি রাজনীতিকরণ হ'য়ে দাঁড়ায় যে সবটাই ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে
নানা রঙ্গে ভাগ হ'য়ে গিয়ে
কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রশ্নে সামাজিক ইস্যুকে শিকেয় তুলে
দিয়ে দলীয় ইস্যুর শিকার হ'য়ে পড়ে। তাপস পাল আজ যে নারীদের অপমান করেছে সেই অপমান তো এর আগে এই বাংলার বুকে বিরোধী দলের
ছোট বড় নেতারা হামেশাই করেছে। তাপস পাল আজ যে হুমকি দিয়েছে মেরে
ফেলার সেই হুমকি
তো এর আগে এতটাই জলভাতের পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল যে মুখের কথাটা আর কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি কাজে পরিণত
হয়ে গেছিল। তাপস পালের আগে তাঁর
দলীয় সহযোদ্ধারা যে পথ দিয়ে হেঁটে
গেছে সেই পথ দিয়েই তাপস পাল একটু ফিল্মি কায়দায় দ্রুতগতিতে হাঁটার চেষ্টা করেছে মাত্র। তাই আজ সাধারণ মানুষ
যদি তাপস পালের
কথায় প্রতিক্রিয়া দেখায়, ক্ষোভ জানায় তা'তে একটা যৌক্তিকতা, একটা অর্থ থাকতে
পারে কিন্তু চোরের
মায়ের বড় গলা মানায় না অর্থাৎ বিরোধীদের এই বিষয়ে
কিছু বলা বা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো মানায় না । মানায় কি? আসলে
এই সমস্ত নারীর
অপমান, নারীর নির্যাতন, বলাৎকার, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি সব কিছুর
বিরুদ্ধে সোচ্চার, আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াই সব চাপা পড়ে যায়,
খিচুড়ি হ'য়ে যায়, ঘেঁটে ঘ হ'য়ে যায় রাজনৈতিক জটিলতার জালে
জড়িয়ে গিয়ে। আর বরাবরের মত সাধারণ মানুষ বা জনতা
আঁটি হ'য়ে পড়ে থাকে ডাস্টবিনে বা পথের ধারে।
যাই হোক এই সমস্ত কথাগুলিই ছিল আমার Phone-এ, Inbox-এ ও
comments-এর বিষয়। সবাইকে আমার
আন্তরিক ধন্যবাদ আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য। তবে আলোচনার সময় কয়েকজন আমাকে এই সমস্ত ঘটনার উৎসটা
খুঁজতে সাহায্য করেছে
তাদের করা প্রশ্নের ভিতর দিয়ে। তাদের একজন দেবর্চিতাকে আলোচনা চলাকালীন বলেছিলাম একটু অপেক্ষা করতে, দেবর্চিতার এবং অন্য অনেকের প্রশ্নের উত্তর আমি তৈরী করতে চেষ্টা করছি এবং তৈরী
হ'য়ে গেলে
লেখাটা দেবর্চিতাকে উপহার দেবো।
দেবর্চিতা আমার লেখা
কবিতাটা তোমায় উপহার
দিলাম আর আমার
সমস্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বন্ধুদের উৎসর্গ করলাম।
সেলাম তোমায় সেলাম!!!
হায় জনতা...............
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে জানি না সে কোনজন
অশ্লীল চার অক্ষরে তোমায় বিদ্ধ ক’রে
চ’লে গেছিল বৃন্দাবন;
নির্বাচনের প্রতি তীব্র অনীহায়।
দশকটা ছিল সত্তর, যারা আজকের মত
পরিবর্তনটা চেয়েছিল উত্তেজিত মস্তিষ্ক
আর বৃথা আড়ম্বরযুক্ত কল্পনায় অতি সত্বর!
তাদেরই একজন,
ছিল যার দিশাহীন নিজেরই জীবন!
চলে গেছিল বৃন্দাবন!!!
কি ছিল তার স্লোগান!?
“..................জনগণ
রইলো তোর নির্বাচন
চললাম আমি বৃন্দাবন”!
কি ছিল তার মনে?
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে!?
তোমার প্রতি অবিশ্বাস নাকি ঘৃণা
বা অন্য কোন প্রয়াস?
যে প্রয়াসে ওঠে নাভিশ্বাস!!
তুমি ক্ষমতা বদলের নির্ণায়ক
আর নির্বাচনের নিশ্বাস, তবুও
হায়! জনতা তোমাতে নেই বিশ্বাস!!
তুমি ধৈর্য্যের প্রয়োজনে নাকি
অধৈর্য্যে মাথা নাড়াও!
আর যখন নেই কোন প্রয়োজন
ধৈর্য্য আর শান্তির পতাকা ওড়াও!!
তোমার অপার দয়ায় জেনো
মাথা তুলে দাঁড়ায় কেন্নো! তারপর?
মাড়ায় অবলীলায় মাথা তোমার
ধর্ষণে করে সত্তা ছিন্নভিন্ন!
হায়! জনতা তবুও তুমি ধন্য!
তুমিই নিয়েছো নাকি খুঁজে তাঁরে
তোমারে বাঁচাবার তরে
স্বভাবে যে অসভ্য আর বন্য!
লেখাপড়াই দড় হ’লেই কিম্বা হ’লে গণ্যমান্য
তাঁকে ভাবো ভালো!
শিক্ষার প্রতিফলন যে চরিত্রে, স্বভাবে, আচরণে
তা’তে ফেলোনি কোনদিন আলো!
আদর্শ আর ইষ্ঠহীন জীবন যার
তাঁরে সিংহাসন দাও বারবার!!
আর, আঠেরোই পেয়ে ভোটাধিকার
ভেবেছো বুঝেছো তোমরা সবকিছু সবার!
যা বোঝেনি যৌবন পেরিয়ে বার্ধ্যকে আসা
জনতার দরবার!
জনতা তুমি নাকি চাটনি ভালোবাসো!
যার যেমন চাটনি তেমন কাঁদো হাসো!
নির্বাচনী মেলায় বসে হরেক রকম চাটনি,
ঝাল নোনতা টক মিষ্টি বানায় নেতা-নেত্রী!
যার চাটনি যত ভালো তাকেই গ্রহণ করো,
ভালো-মন্দ কি আছে তার ভিতরে না ফেলে আলো!
জনতা তুমিই ঈশ্বর, তুমি মহান।
তোমার স্পর্শে মূহুর্তে শয়তান হ’য়ে যায় ভগবান
আর ভগবান হয় শয়তান!
জনতা তুমিই ঈশ্বর! তুমি মহান!
তাই সেলাম তোমায় সেলাম।।
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে জানি না সে কোনজন
অশ্লীল চার অক্ষরে তোমায় বিদ্ধ ক’রে
চ’লে গেছিল বৃন্দাবন;
নির্বাচনের প্রতি তীব্র অনীহায়।
দশকটা ছিল সত্তর, যারা আজকের মত
পরিবর্তনটা চেয়েছিল উত্তেজিত মস্তিষ্ক
আর বৃথা আড়ম্বরযুক্ত কল্পনায় অতি সত্বর!
তাদেরই একজন,
ছিল যার দিশাহীন নিজেরই জীবন!
চলে গেছিল বৃন্দাবন!!!
কি ছিল তার স্লোগান!?
“..................জনগণ
রইলো তোর নির্বাচন
চললাম আমি বৃন্দাবন”!
কি ছিল তার মনে?
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে!?
তোমার প্রতি অবিশ্বাস নাকি ঘৃণা
বা অন্য কোন প্রয়াস?
যে প্রয়াসে ওঠে নাভিশ্বাস!!
তুমি ক্ষমতা বদলের নির্ণায়ক
আর নির্বাচনের নিশ্বাস, তবুও
হায়! জনতা তোমাতে নেই বিশ্বাস!!
তুমি ধৈর্য্যের প্রয়োজনে নাকি
অধৈর্য্যে মাথা নাড়াও!
আর যখন নেই কোন প্রয়োজন
ধৈর্য্য আর শান্তির পতাকা ওড়াও!!
তোমার অপার দয়ায় জেনো
মাথা তুলে দাঁড়ায় কেন্নো! তারপর?
মাড়ায় অবলীলায় মাথা তোমার
ধর্ষণে করে সত্তা ছিন্নভিন্ন!
হায়! জনতা তবুও তুমি ধন্য!
তুমিই নিয়েছো নাকি খুঁজে তাঁরে
তোমারে বাঁচাবার তরে
স্বভাবে যে অসভ্য আর বন্য!
লেখাপড়াই দড় হ’লেই কিম্বা হ’লে গণ্যমান্য
তাঁকে ভাবো ভালো!
শিক্ষার প্রতিফলন যে চরিত্রে, স্বভাবে, আচরণে
তা’তে ফেলোনি কোনদিন আলো!
আদর্শ আর ইষ্ঠহীন জীবন যার
তাঁরে সিংহাসন দাও বারবার!!
আর, আঠেরোই পেয়ে ভোটাধিকার
ভেবেছো বুঝেছো তোমরা সবকিছু সবার!
যা বোঝেনি যৌবন পেরিয়ে বার্ধ্যকে আসা
জনতার দরবার!
জনতা তুমি নাকি চাটনি ভালোবাসো!
যার যেমন চাটনি তেমন কাঁদো হাসো!
নির্বাচনী মেলায় বসে হরেক রকম চাটনি,
ঝাল নোনতা টক মিষ্টি বানায় নেতা-নেত্রী!
যার চাটনি যত ভালো তাকেই গ্রহণ করো,
ভালো-মন্দ কি আছে তার ভিতরে না ফেলে আলো!
জনতা তুমিই ঈশ্বর, তুমি মহান।
তোমার স্পর্শে মূহুর্তে শয়তান হ’য়ে যায় ভগবান
আর ভগবান হয় শয়তান!
জনতা তুমিই ঈশ্বর! তুমি মহান!
তাই সেলাম তোমায় সেলাম।।
No comments:
Post a Comment