ভালো লাগলো। কিন্তু ব্যাপারটা হ'লো নেশার ঘোরে তো মানুষের পেট পাতলা হয়ে যায়। তখন আর কোন বাঁধন থাকে না, জিভে লাগাম থাকে না! তাহ'লে ব্যাপারটা বাতাসীর দিকে ঘুরে গেল কেন? বেশ তো চলছিল দুই মাতালের দার্শনিক কথাবার্তা! ভালো লাগলো দেখে যে নেশা করার সময়ও আনপর গাঁইয়ারও কথায় ব্যালান্স থাকে! কত সচেতনভাবে ড্রিবল ক'রে 'হাঁস আর দারোগার' মাথার উপর দিয়ে ছক্কাটা মেরে বেরিয়ে গেল। বুঝলাম জমাদার থেকে জমিদার, ফকির থেকে রাজা, চ্যালা থেকে গুরু, ছাত্র থেকে শিক্ষক, নেতা থেকে অভিনেতা সব্বাই অতি নিপুণ দক্ষতায় ড্রিবল ক'রে বাতাসীর দিকে ঘুরে যায়! ঠিক যেমন ওংকার চ্যানেলে নেতাজীর 'ভারত রত্ন' সম্পর্কিত বিতর্কে নেতাজীর অন্তর্ধান প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা ড্রিবল মেকানিজমে দক্ষ ও অত্যন্ত পারদর্শী নির্বেদ রায় খোলামেলা সবই বলছেন অথচ বলতে গিয়ে কথার খেলায় কথার মারপ্যাঁচের ঝিকিমিকিতে সযত্নে পর্দানসীন ক'রে রাখলেন বা রাখার চেষ্টা করলেন নেতাজীর অন্তর্ধান সম্পর্কিত জড়িত ব্যক্তি, বিষয় বা বস্তুসমূহকে! তিনি নিজেও জানেন তাঁর কথার মধ্যে পর্দানসীন ব্যাপারটা এতটাই transparent যে ব্যাপারটা ঠিক ঐ উলঙ্গ রাজার ছোট্ট শিশুর 'রাজা তোর কাপড় কোথায়'-এর মত!
এটাই হ'ল গন্ডগোলের জায়গা! যখনই কিছু একটা ঘটনা ঘটতে যায় তখনই এই 'বাতাসী' মানসিকতা মাঝখানে এসে সব লন্ডভন্ড ক'রে দেয়। রিপুতাড়িত হ'য়ে অনিয়ন্ত্রিত বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে অতল তলে তলিয়ে যায় জমাদার থেকে জমিদার সবাই! দুই মাতালের যা অবস্থা সেই একই অবস্থা রাজা ফকিরের ক্ষেত্রেও! 'হাঁস আর দারোগাবাবু' চিরকাল পর্দানসীন সুন্দরী নগ্ন রমনীর মত থেকে যায়! হাতের কাছে পেয়েও যা পাওয়া হয় না, চোখে দেখতে পেয়েও যা ঝাপসা মনে হয়। আর তা জ্বালা ধরায় বুকে! ধরা দিয়েও যদি না দাও ধরা, দেখা দিয়েও যদি না দাও দেখা, করো খেলা লুকোচুরি, দেখিয়েও যদি রাখো ঢেখে রেখে তাহ'লে কেন আসো বারে বারে নিশিরাতে রুপের বাহার তুলে রাতছিনালী হ'য়ে?
আর ক্ষমতা যদি নাই থাকে বাহুতে ধরে রাখার, চোখে যদি নাই থাকে জ্যোতি চোখ মেলে দেখার আর শরীরে-মনে যদি নাই থাকে অসীম বল, সংযম, ধৈর্য তাহ'লে উঁকি মেরে দেখার দরকার কি রাতছেনালের মত? এর থেকে অসীম শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে নীরবে নিভৃতে কঠোর কঠিন সাধনার পথে এগিয়ে চলে সেই বজ্রবিদ্যুত দিনের অপেক্ষা অনেক অনেক ভালো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
No comments:
Post a Comment