খবরে প্রকাশ "১৪ মাস বন্দি থাকার পর কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গত শুক্রবার ১৫ই অক্টোবর'২০ প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নেয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নতুন করে সংগ্রামের ডাক দেন।
এদিন মেহবুবা বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় পতাকা তুলবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনেও লড়বেন না। খবর দ্য ডন ও এনডিটিভির।"
খবরটা কি সত্যি!? যদি না হয় তাহ'লে মঙ্গল। এইধরণের ভুল (?) খবর
দেশের দশের ক্ষতি করে। তেমন ক্ষতি করে যদি সত্যি হয় এই খবর।
খবর অনুযায়ী এই হ'লো স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিকের ঔদ্ধত্ব! এই ঔদ্ধত্ব ৭৪বছর ধ'রে ভারতকে ল্যাংড়া ক'রে রেখেছে! কোমর ভেঙে দিয়েছে ফারুক, ওমর আবদুল্লা আর মেহবুবা মুফতির যৌথ শক্তি স্বাধীনতার পর থেকে দেশি-বিদেশি শক্তি ও পূর্বের ভারত সরকারের মদতে! আর বর্তমান সরকারও নিয়েছে ধীরে চলো নীতি!!!!!!
জম্মু কাশ্মীরে স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরও জাতীয় পতাকার অপমান হয় এই ভারতের জম্মু কাশ্মীরে! ভারত কি সত্যিই স্বাধীন!? মেহবুবা মুফতি সত্যি সত্যিই বাপ কা বেটি! দীর্ঘ ৭৪ বছর ধ'রে মেহবুবা মুফতি আর ফারুক আবদুল্লাহ প্রমাণ ক'রে দিয়েছে এরা দুজনেই বাপ কা বেটি-বেটা, সহিস কা ঘোড়া কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া! বাপ কৌন!? পাকিস্তান, চীন ইয়া ব্রিটেন!? পাকিস্তান দেশভাগের পর থেকে ক্রমাগতভাবে ভারতকে চুলকে যাচ্ছে এদের মদতে! চীন দখল ক'রে রেখেছে ভারতের মাটি লাদেখের কিছু অংশ যাকে আকসাই চীন বলা হয়! আর এই দুই নেতা-নেত্রী বাহবা দিয়েছে! ফারুক স্বপ্ন দেখছে চীনের মদতে আবার ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে ভারতে কনফিডেন্টলি চীনের সহায়তার কথা বলে ভারতের মাটিতে ব'সে! সত্যি!? কোনও ভয় ব'লে কিছু নেই!
আজ পর্যন্ত কোনও ভারত সরকার দেশকে অপমান করার সাহস দেখায় এমন মানুষকে ভয় দেখাতে পারেনি! পারেনি প্যান্টে পেশাব করাতে। কংগ্রেস, সিপিএম সহ সমস্ত কেন্দ্র বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' এই ঘৃণ্য মনোভাবে! ব্রিটেন ২০০ বছর ভারতকে ভোগ করার পর আজও সেই প্রভাব রয়ে গেছে ভারতের ওপর! তাই এ ব্যাপারে কোনও কড়া মন্তব্য করে না! আরে বাবা! ২০০ বছর তো তোরাই শাসন করেছিস, চীন তো করেনি! তাই ব্রিটেনের থেকে যায় সত্যের পাশে দাঁড়াবার নৈতিক দায়িত্ব। তাই না!? কিন্তু স্বাধীন ভারতকে (?) দীর্ঘসময় শাসন করা ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস কোনদিনই ঘরেবাইরে কোনও দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি এবং আজও চুপ! এখনও পর্যন্ত মুখে সেলটেপ লাগিয়ে বসে আছে মেহবুবার ঘৃণ্য উক্তির পরেও!!!!!! আর বাকী বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবস্থানের কথা আর নাই বা আলোচনা করলাম।
এই আমার ভারত! এই আমার আত্মমর্যাদাহীন ভিখিরি ভারত! ৭৪ বছর ধ'রে সামনে পিছনে লাথি খেয়ে চলেছে ঘরেবাইরে আমার ল্যাংড়া ল্যাংগোট পড়া ভারত! ভারত ল্যাংড়া ভারত, ল্যাংগোট পড়া ভারত কেন!? কারণ আজও বিশ্ব রাজনৈতিক চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়া ভারতের বীর সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজী তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি দেশের নেতা ও কোনও রাজনৈতিক দল ও ভারত সরকারের কাছে! আজও ভারতের বীর সন্তান ব্রিটিশের কাছে যুদ্ধ অপরাধী!!!!!!!!!! এই তকমা আজও উইড্রো করেনি রাষ্ট্রসংঘ আর উইড্রো করার দাবী করেনি কোনও ভারত সরকার!!!!!! শুরু যার মিথ্যের ওপর, অসততার ওপর তার পক্ষে যাই-ই হ'ক মাথা উঁচু ক'রে, শিরদাঁড়া সোজা রেখে কথা বলা যায় না। আর এতেই প্রমাণ হয় ভারত ল্যাংড়া ও ল্যাংগোট পড়া ভারত! তাই মেহবুবা মুফতি ও ফারুক, ওমর আব্দুল্লারা জম্মু কাশ্মীর কে নিজেদের জমিদারী সম্পত্তি মনে করে। আর পাকিস্তান, চীন শুধু চুলকে যায় দশকের পর দশক অবলীলায় অবহেলায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে! আর ভারত বুড়ো আঙ্গুল চুষে খালি ভাবতে থাকে কি করবো! কি করবো!!
জানি না কবে ল্যাংড়া ভারত নিজের পায়ে দাঁড়াবে! জানি না কবে ল্যাংগোট ছেড়ে প্যান্টশার্ট পড়ে বীর নেতাজীর মত মাথা উঁচু ক'রে শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করবে ভারত, হ্যাঁ, আমি সাহসী! আমি বীর! আমি শক্তিমান! আমি পরিণত!-----------প্রবি।
( লেখা ২৬শে অক্টোবর ২০২০)
No comments:
Post a Comment