Powered By Blogger

Thursday, October 13, 2022

হ্যাপ্পি আনভার্জিনিটি!

Mahmud Ganiun Hasan (mgh reza)

(১১ই অক্টোবর' ২০১৪)

হ্যাপ্পি আনভার্জিনিটি!


এভাবেই নাকি এখন টীনএজ মেয়েরা বান্ধবীর ভার্জিনিটি লষ্ট কে কন্গ্রেট্স করে|

দেখছিলাম 'সিক্সটীন' নামক কলকাতার একটি আর্ট মুভি|
তাদের আর দশটা আর্ট মুভির মতো এখানেও ছিল রগরগে দৃশ্য আর এক তৃতীয়াংশ ইংরেজী সংলাপ! infact all these resons, i like to watch those movies..

কাহিনি একটু বলি,
মেয়েটির সব বান্ধবী তাদের বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করেছে| তাকে সবাই মিস্ ভার্জিন বলে খ্যাপাতো| বারবার তার বয়ফ্রেন্ড ব্যর্থ হয়ে তাকে ত্যাগ করার পর তাদের খ্যাপানো আরো বেড়ে গেল|

অতপর একদিন সে রাজি হলো..

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Mahmud Ganiun Hasan (mgh reza)

আপনার উপরে লেখা প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য "...............বাস্তবে যা ঘটে তা তো দেখাতেই হবে" ফেসবুকে পড়লাম। তা বাণিজ্যিক ছবিতেই হ’ক আর আর্ট ছবিতেই হ’ক রগরগে ঘটনার দৃশ্য বাস্তবে কতটা এবং কিভাবে দেখাবে? বাস্তবের অন্দরমহলের স্বামীস্ত্রীর রাতের বিছানার দৃশ্য ছবির নকল স্বামীস্ত্রীর স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনে (?) বিছানার দৃশ্য কিভাবে দেখাবে? বাস্তবের রাতের বিছানার দৃশ্য ছবিতে কি দেখানো খুবই প্রয়োজন? বাস্তবের রাতের বিছানার দৃশ্য কি স্বামীস্ত্রী ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় বা জানতে পারে? তাহ’লে বাস্তবের রাতের চারদেওয়ালে ঢাকা সেই দৃশ্যকে ছবিতে এনে খোলা আকাশের নীচে আমজনতার কাছে তুলে ধরার যৌক্তিকতা কোথায়? বাস্তবে কি এই ঘটনা তা’ দাবী করে? তাহ’লে তা’ বাস্তব হ’ল কিভাবে? পন্ডিতসমাজের এই কার্যকলাপ দেখে সবটাই ঘেঁটে ‘ঘ’ হ’য়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যদি একটু স্পষ্ট ক'রে আপনার ভাবনা প্রকাশ করেন তো ব্যাপারটা বা ধারণাটা পরিষ্কার হয় নতুবা ধোঁয়াশায় চোখ চুলকায় যে! আর লাভ ছাড়া যারা মেধার মূল্য দেয় না তাদের কাছে সমাজ সভ্যতা কৃষ্টি সংস্কৃতির কোন মূল্য নেই, এটা চিরন্তন সত্য। বলতে রুচিতে বাধলেও তাদের ভাষায় যদি বলি তো বলতে হয় 'ভাড় মে যায়' সমাজ সভ্যতা কৃষ্টি সংস্কৃতি। তাদের জীবন দর্শনই হ'ল মাছ-মাংস সাথে আকন্ঠ মাল খাও, মাল্লু কামাও আর ডুবে থাকো মৈথুনে! পঞ্চমকারে সিদ্ধপুরুষ তারা। নমস্য প্রাতঃস্মরণীয় তারা! তা' আপনি কি তাদের জীবন দর্শন সমর্থন করেন বা তাদের জীবন দর্শনে প্রভাবিত? যার যা ইচ্ছা করুক, যেমন ইচ্ছা চলুক জীবন দর্শনে বিশ্বাসী আপনি? সত্যিই তো "আমাদের ইচ্ছেটা আমাদেরই, ইচ্ছের ডানা মেলে উড়বই" তা’ ওড়ো! কি আর করা যাবে! তবে খেয়াল রাখতে হবে, যদিও এই ওড়ার সময় তা খেয়াল থাকে না, ডানা কেটে জটায়ু হ'য়ে না পড়ে থাকি! যদিও জটায়ুর ডানা কাটা গেছিল সমাজ সভ্যতা বিরোধী মহান লড়াই-এ।

আর সত্যজিৎ যুগের পরবর্তী সময়ে প্রকৃত আর্ট ফিল্ম কোথায়????????????? বাস্তবতার অজুহাতে নিজের অবদমিত ‘র’ বৃত্তি প্রবৃত্তিকে ঢেকে রাখা যায় না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই তা’ প্রকাশ হ’য়ে পড়ে। সত্যজিৎ রায়দের ছবিতে বাস্তবও visualize হতে দেখেছি, এটা যেন আমরা ভুলে না যায়। সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি শুধুমাত্র টাকা কামানো হ'য়ে থাকে তাহ'লে তাকে বা তাদের আর যাই বলা যাক সমাজ সভ্যতার পূজা বা পূজারী বলা যাবে না। এটা ভুলে গেলে বা এড়িয়ে গেলে চলবে না যে দর্শক, শ্রোতা তৈরী বা চোখ কান তৈরী করা কবি, লেখক, শিল্পী, নাট্যকার, গায়ক, সুরকার, অভিনেতা, পরিচালকদের সামাজিক মহান দায়িত্ব! ‘র’ দর্শক বা শ্রোতাদের তৈরী করতে হয়না। তারা তৈরী হয়েই আছে। এতে তাদের পুরোপুরি দোষ নেই। ‘র’ দর্শক বা শ্রোতাদের জন্য ‘র’ সৃষ্টির প্রয়োজন এই দাবিকে সামনে রেখে, এই দাবীর অজুহাতকে হাতিয়ার ক’রে এই ব্যখ্যার মুখোসের আড়ালে বা এলিট সম্প্রদায়ের মানুষের মুখোসের আড়ালে বৃত্তি প্রবৃত্তির সুড়সুড়ি খাওয়া নিজের ‘র’ মুখকে ঢেকে রাখা যায় না। নীল শেয়ালের গল্প যেন আমরা ভুলে না যায়। আবার এই ‘র’ সৃষ্টির ফলে যখন প্রভাবিত যুবসমাজ কোনও বিশৃঙ্খল বা উচ্ছৃঙ্খল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে তখন সমাজের এই সমস্ত পর্দার পিছনের কুশিলবেরা বা স্রষ্টারা অর্থাৎ তথাকথিত প্রতিষ্ঠিত বিদ্ধৎকূল এই সমস্ত বিপথে চালিত যুবসমাজের দিকেই সমাজ সভ্যতা নষ্ট করার জন্য আঙ্গুল তোলে, কাঠগড়ায় তোলে। তাই বলতে ইচ্ছে করে, সত্য সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ আর এই দেশের লেখাপড়াজানাওয়ালা এলিট সম্প্রদায়!!!!!!!!!!!!!!!!!   প্রবি। 

(উত্তর ১৩ই অক্টোবর' ২০১৪)



No comments:

Post a Comment