Powered By Blogger

Friday, October 7, 2022

প্রবন্ধঃ কার অনুসারিঃ ঠাকুর অনুসারী না বড়দা অনুসারী। (২)

পরবর্তী ও শেষ অংশ।

এরপরে এলো ‘সৎসঙ্গ’ আকাশ জুড়ে আরও বড় দিগন্তব্যাপী কালো ঝড়। ঠাকুরের মহাপ্রয়ানের পর বাঁধভাঙ্গা জলের মত চক্রান্তের বি-শা-ল বি-শা-ল ঢেউ আছড়ে পড়লো ‘সৎসঙ্গ’ আকাশে, বড়দার বুকে।  ব্রহ্মা গঙ্গাকে মর্তে প্রবাহিত হ’তে বললে গঙ্গা রেগে গিয়ে যখন মর্তলোককে ভাসিয়ে দেবে ব’লে ঠিক করলো, ঠিক সেই সময় ভগীরথের আরাধনায় তুষ্ট হ’য়ে শিব শান্ত হ’য়ে গঙ্গাকে তাঁর জটাজালে আবদ্ধ করেন এবং পরম স্নেহে গঙ্গাকে মর্তভুমিতে বইয়ে দিয়ে মর্তলোককে রক্ষা করেন। ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীরা যখন ঠাকুরের অনুপস্থিতির সুযোগে ঠাকুরের প্রাণের ‘সৎসঙ্গ’-কে ভেঙে টুকরো টুকরো ক’রে দেবার নোংরা খেলায় মেতে উঠলো ইষ্টপ্রাণতার দোহাই দিয়ে তখন সৎসঙ্গীদের আরাধনায় ঠাকুরের অন্তর কেঁপে উঠলো আর সেই মুহূর্তে তাঁর কথামত রেতঃ শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত হ’য়ে উঠলেন তিনি শ্রীশ্রীবড়দার মধ্যে। আর বড়দা শিবের মত শান্ত ধীর স্থির হয়ে ষড়যন্ত্রকে তাঁর বলিষ্ঠ হাতে মোকাবিলা ক’রে পরম যত্নে ও ভালোবাসায় ঠাকুরের প্রাণের অধিক প্রিয় ‘সৎসঙ্গ’-কে বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য বিশ্বভুমিতে ভাসিয়ে দিলেন আর তার সুবাস পৌঁছে যেতে লাগলো বিশ্বের ঘরে ঘরে। মূল কেন্দ্র বিরোধী বিরুদ্ধবাদী চক্রান্তকারীদের ঘৃণ্য নানা চক্রান্ত, সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসা, অপমান ইত্যাদি এতটুকু বড়দাকে তাঁর লক্ষ্য থেকে টলাতে পারেনি। পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনা ও সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা, ইষ্টভৃতির মন্ত্র পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে অকারণ বিতর্ক তৈরি ক’রে ঠাকুরের পরম ভক্ত সেজে বড়দার প্রতিপক্ষ হ’য়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে মরীয়া হ’য়ে উঠলো কতিপয় বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা ভন্ড, কপট ভক্তের দল। সেই সময়ের প্রথম সারির অন্যতম প্রধান পার্ষদদের নানা চক্রান্তে অস্থির হ’য়ে উঠলো দুই দেশের ঠাকুরের পুণ্যভূমি। ঠাকুর পরিবারের অনুপস্থিতি ও বড়দার মত কঠিন ও কোমল এবং আপোষরফাহীন ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বল উপস্থিতির অভাবে চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশের মাটিতে সফল হ’লেও ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরের মাটিতে বড়দার প্রবল ব্যক্তিত্বপূর্ণ উপস্থিতিতে ঝাড়ে-মূলে মূল কেন্দ্র থেকে উৎখাত হ’য়ে যায়। যার রেশ এখনও ব’য়ে নিয়ে চলেছে ধান্দাবাজ রক্তবীজের দল।  

আজকের দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে ঠাকুর পরবর্তী ‘সৎসঙ্গ’-এর যে অকল্পনীয় প্রচার ও প্রসার, এর পিছনে মূল কেন্দ্র ও দেশ বিদেশের দিকে দিকে বহু ইষ্টপ্রাণ জীবন উৎসর্গীকৃত সৎসঙ্গীর অবদানের মূল্যায়ন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে ইষ্টস্বার্থরক্ষা ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে ক্রমাগত ছেদহীন কুৎসা, নিন্দা, অপমান, অপবাদ, বেইমানী, নেমকহারামি, অকৃতজ্ঞতা, চরিত্রহনন ইত্যাদি সত্ত্বেও তাঁর নিরলস, ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিখুঁত, নির্ভুল, আপোষরফাহীন নেতৃত্ব প্রমাণ করে ঠাকুর কেন এবার তাঁর প্রধান ভক্তকে সন্তান রূপে নিয়ে এসেছিলেন! কেন ঠাকুর শ্রীশ্রীবড়দাকে তাঁর কৃষ্টিজাত ও ঔরসজাত সন্তান ক’রে নিয়ে এসেছিলেন! বিরোধীরা মিষ্টি মিষ্টি ক’রে হাসি মুখে ঠাকুর প্রেমী সেজে যখন ইষ্টকথা বলে তখন দিনের আলোর মত ঝলমল ক’রে চোখেমুখে ফুটে ওঠে, ‘শয়তানের হাসি ভগবানের চেয়েও মিষ্টি”! এবং ঠাকুরের বিশেষ বিশেষ বাণীগুলি যেগুলি নিজের বৃত্তি প্রবৃত্তির সঙ্গে খাপ খায় সেগুলিকে বেছে বেছে হাতিয়ার ক’রে বাণীগুলির অন্তর্নিহিত অর্থকে ভুল ব্যাখ্যা ক’রে সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা ভক্তকুলকে বোকা বানিয়ে যখন সেই অবৈধ কেন্দ্রের প্রধান হ’য়ে  মৌরসি পাট্টা জমিয়ে বসে এবং ইষ্টকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে চুটিয়ে অর্থ ,মান, যশ ইত্যাদি কামায়, কিন্তু শেষের সে দিন যে ভয়ঙ্কর এই সত্যকে তারা মানতে চায় না, উপেক্ষা করে তখন স্পষ্ট বোঝা যায় কেন ঠাকুর এবার বলেছিলেন,”যা দিয়ে গেলাম, আগামী ১০ হাজার বছরের মধ্যে কিছু লাগবে না”। কি দিয়ে গেলেন ঠাকুর যার জন্য আগামী ১০ হাজার বছর কিছু লাগবে না? ঠাকুরের অন্তহীন সাহিত্য ভান্ডার এবং আচার্য পরম্পরা! যার মধ্যে দিয়ে তিনি স্বয়ং তাঁর বাণীর মধ্যে বলা রেতঃ শরীরে লীলা করবেন। ঠাকুরের অন্তকালের অব্যবহিত পরেই “হারে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দে রে দে রে------গন্ডার মেরে ভান্ডার লুটি মনের আনন্দে রে” ব’লেই ছুপা রুস্তমেরা লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে বেরিয়ে এলো খোলা ময়দানে যাদের উত্তরসূরিরা এখনও “ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন” দেখার মত বালখিল্য স্বপ্ন দেখে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার, ইষ্টস্বার্থরক্ষা ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার। আর, তখন দিনের আলোর মত পরিষ্কার হ’য়ে যায় কেন ঠাকুর এবার বলেছিলেন, 

“ইষ্ট গুরু পুরুষোত্তম,

প্রতীক, গুরু বংশধর 

রেতঃ শরীরে সুপ্ত থেকে 

জ্যান্ত তিনি নিরন্তর”।  

এই সমস্ত সাপের খোলস ছাড়ার মত মুখের মুখোশ খুলে যাওয়া পরম শক্ত  ভক্তরা ঠাকুর মানে, কিন্তু ঠাকুর পরিবার ও ঠাকুর পরিবারের বড়মা ও বড়দা, অশোকদাদা, বাবাইদাদা, অবিনবাবু কাউকে মানে না। এইসমস্ত ভক্তদের দেখে প্রমাণ হয় যে কেন ঠাকুর কেষ্টদাকে বলেছিলেন, “কেষ্টদা, মন্দিরের আশেপাশে কুৎসিত লোকের আনাগোনা বেশী, সাবধান থেকো তা থেকে”!

এই বাণী কতটা যে জীবন্ত তা’ আজ প্রমাণিত। প্রমাণিত ঠাকুরের জীবিত কালে, অন্তকাল সময়ে, ঠাকুর পরবর্তী সময়ে এবং আজও বিভিন্ন কেন্দ্র মন্দিরে।      

তাই যখন দেখি আজও সেই ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে কামিয়ে নেওয়া, বাগিয়ে নেওয়ার ট্র্যাডিশান সমানে চলেছে বিজ্ঞাপিত ইষ্টপ্রাণ ভক্তদের মধ্যে তখন ভাবি শ্রীশ্রীবড়দা যদি না থাকতো তাহ’লে এই বিশাল সৎসঙ্গ পরিবারের কি হ’ত! ঠাকুর যদি শ্রীশ্রীবড়দাকে নিজের আত্মজ ক’রে প্রথম সন্তান রূপে না আনতেন তাহ’লে কি হ’ত ভাবলেই পরম শ্রদ্ধায়, নির্ভরতায়, নিশ্চিন্ত মানসিকতায় অজান্তে মাথা নত হ’য়ে আসে তাঁর শ্রীরাঙ্গা চরণে এই ভেবে এই না হ’লে ‘পুরুষোত্তম’! এই না হ’লে জীবন্ত ঈশ্বর! আমাদের মানবজাতির ভাবনা চিন্তার ডায়মেনশান যেখানে শেষ সেখান থেকে তাঁর শুরু মাত্র। তাই তিনি নিজের লাঠি নিজেই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন কারও ওপর ভর দিয়ে বা নির্ভর ক’রে তিনি চলবেন না ব’লে। এইবারের তাঁর আসা যুগ পরিবর্তনের এক ট্রাঞ্জিশানাল পিরিয়ডে। তাই তিনি আঁটঘাঁট বেধেই এসেছিলেন। তিনি সব জানতেন কে, কখন, কোথা দিয়ে, কোন সময়ে পিছন থেকে ছুরি মারবে আর সেই ছুরি মারাকে কিভাবে, কাকে দিয়ে, কখন, কোন মুহূর্তে প্রতিহত করতে হবে। তিনি নিজে যেমন মানুষের গোল বা লক্ষ্য বা গন্তব্য স্থল ঠিক তেমনি সেই গোলে বা লক্ষ্যে বা গন্তব্য স্থলে পৌঁছনোর তিনিই সেই ব্রিজ হ’য়ে বিরাজ করেন; যে ব্রিজের উপর দিয়ে মানুষকে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে হয়। তিনি যখন মানুষের  রূপ ধ’রে মানুষের মাঝে নেবে আসেন তখন তিনিই তাঁর রুপকে খন্ডিত ক’রে বিশেষ ভাবে পরম শ্রেষ্ঠ ভক্ত রূপে সঙ্গে ক’রে নাবিয়ে নিয়ে আসেন নিখুঁত, নির্ভূল, নির্বিগ্নে, নিষ্কণ্টক ভাবে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য, তাঁর কাজকে, মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য, পূর্ণ রূপ দেবার জন্য। এখানে কারও মাতব্বরি চলবে না সে যেই হ’ক আর যতবড় ব্যক্তিত্বই হ’ক। এমনিভাবেই তিনি নিজের কাজের জন্যই শ্রীশ্রীবড়দাকে নিজের ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তান ক’রে সঙ্গে ক’রে নিয়ে এসেছিলেন এইবার।

তাই, যদি আমাদের ঠাকুরের মনের মত হ’য়ে উঠতে হয়, ঠাকুরের ইচ্ছা পূরণ করতে হয়, ঠাকুরের পথে চলতে হয়, ঠাকুরের স্বপ্ন পূরণ করতে হয় তাহ’লে ঠাকুরকে ভালবাসতে হবে ঠাকুরকে জীবনে প্রথম ও প্রধান ক’রে, ঠাকুরের কাছে সারেন্ডার করতে হবে নিজেকে। আর ঠাকুরকে ভালোবাসবো কিভাবে, ঠাকুরের কাছে সারেন্ডার করবো নিজেকে কিভাবে, ঠাকুরের মিশনকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো, কিভাবেই বা ঠাকুরের স্বপ্ন কে পূরণ করার পথে শত সহস্র বাধার পাহারকে ডিঙ্গিয়ে, লজ্জা-ঘৃণা-ভয়কে উপেক্ষা ক’রে, নিন্দা-কুৎসা-অপমান-অপবাদকে আমল না দিয়ে, দুঃখ-কষ্ট-জ্বালা-যন্ত্রণাকে নীরবে নিভৃতে স’য়ে নিয়ে ইষ্টের স্বার্থকে রক্ষা করা ও তাকে প্রতিষ্ঠা করার পথে জীবনকে উৎসর্গ করবো তা’ শিখে নিতে হবে এই সমস্ত কিছুকে যিনি পেরিয়ে এসেছেন নিজের জীবনকে ঠাকুরের জীবনবৃদ্ধির যজ্ঞে উৎসর্গ করার মধ্যে দিয়ে তাঁর কাছে, তাঁকে অনুসরণ করার মধ্যে দিয়ে। তিনি হ’লেন ঠাকুরের আত্মজ, পরম আদরের বড়খোকা ও আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় চোখের মণি শ্রীশ্রীবড়দা। শ্রীশ্রীবড়দাকে যে ভালোবাসে না সে শ্রীশ্রীঠাকুরকে ভালবাসতে পারে না, পারে নি। কারণ ইতিহাস তার সাক্ষী। শ্রীশ্রীরামচন্দ্র দীর্ঘ বনবাস শেষে যখন অযোধ্যায় ফিরে এসেছেন তখন তিনি রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাঁর সঙ্গে যারা এতদিন দুঃখ-কষ্টের সাথী ছিলেন তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। সবাইকে একে একে পরিচয় করানোর সঙ্গে সঙ্গে যখন শ্রীশ্রীরামচন্দ্র হনূমানের সামনে এসে দাঁড়ালেন তখন হনূমানের দিকে তাকিয়ে রামচন্দ্র আর কিছু বলতে পারলেন না। শুধু তাঁর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। তিনি হনূমানকে জড়িয়ে ধ’রে অঝোর ধারায় শুধু কাঁদতে লাগলেন। তাঁর পর সবার উদ্দেশ্যে অশ্রুসজল কন্ঠে হনূমানের পরিচয় দিতে গিয়ে বললেন, যে হনূমানকে ভালোবাসে না বা ভালোবাসবে না সে আমাকেও ভালোবাসে না। প্রভু রামচন্দ্র গভীর অন্তর্নিহিত অর্থ সমৃদ্ধ বক্তব্যের সারবস্তুর যা বোঝাবার একটা ছোট্ট কথায় বুঝিয়ে দিলেন। বোঝে সে, প্রাণ বোঝে যার। ঠিক তেমনি শ্রীশ্রীবড়দাকে বুঝতে হ’লে, শ্রীশ্রীবড়দার প্রতি ঠাকুরের সেন্টিমেন্ট বুঝতে হ’লে, ঠাকুরের হৃদয়ের কোন জায়গায় বড়দার স্থান তা’ বুঝতে হ’লে ঠাকুরের সঙ্গে বড়দার প্রতিদিনের প্রতি মুহূর্তের সম্পর্কের ইতিহাস জানতে হবে। জানতে হবে, কিসে ঠাকুরের হয় আনন্দ, কিসে আসে ঠাকুরের তৃপ্তি, কিসে ঠাকুরের জাগে ছন্দ, কিসে পায়  ঠাকুর স্বস্তি, এই পুরো ব্যাপারটা; আর এই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারতেন একমাত্র এ যুগের পরম ভক্ত হনূমানরূপী শ্রীশ্রীবড়দা। তাই প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দকে বাদ দিয়ে যেমন ঠাকুর রামকৃষ্ণকে ভাবা যায় না, যায় না মহাবীর হনুমানকে বাদ দিয়ে পুরুষোত্তম শ্রীরামকে এবং অর্জুন ছাড়া শ্রীকৃষ্ণ যেমন অসম্পূর্ণ ঠিক তেমনি শ্রীশ্রীবড়দা ছাড়া ঠাকুরের পাশে আর কাউকে মানায় না। পরম ভক্ত মহাত্মা যিনি তিনি পরমাত্মায় লীন হ’য়ে যায় অবশেষে। ভক্ত ভগবানে মার্জ ক’রে দিয়ে ভগবানে বিলীন হ’য়ে যায়।

তাই এই দীর্ঘ লেখার শেষে একটা কথায় বলতে পারি, গগনদা যে কথা বলতে চেয়েছেন সেই কথার অর্থ স্বরূপ এটাই বলা যায় শ্রীশ্রীবড়দাকে অনুসরণ না করলে ঠাকুরের স্বার্থ রক্ষা ও স্বার্থপ্রতিষ্ঠার পথে যে হাজার বাধা, পথের বাঁকে বাঁকে শয়তান কিলবিসের মারাত্মক ছোবল, বৃত্তি প্রবৃত্তির রকমারি হাতছানি ইত্যাদিকে চিনতেই পারবো না, জানতে বা বুঝতেই পারবো না এবং তাকে মোকাবিলা করার কৌশল শিখতে পারবো না। ঠাকুর প্রতিষ্ঠার পথে, কেন্দ্র ও মন্দিরগুলিতে ঠাকুরকে জীবন্ত ক’রে রাখতে সংঘ আচার্য শ্রীশ্রীবড়দার আশীর্বাদ ও অভিজ্ঞতা ছাড়া এক পাও এগোতে পারবো না, সফল হ’তে পারবো না। যারা শ্রীশ্রীবড়দার জীবনকে অনুসরণ ক’রে ঠাকুর প্রতিষ্ঠা  ও ঠাকুরের স্বার্থপ্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলে তারা সত্যি সত্যিই আসল সৎসঙ্গী।                                   

শেষ।

(লেখা ৭ই অক্টোবর' ২০১৭)

No comments:

Post a Comment