যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মোদীকে স্বাগত জানানো হয়। মোদীর ভাষণ শুনতে সেখানে সমবেত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনুষ্ঠানের খরচ হয়েছে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অত লোকের সমাবেশের জন্য জায়গা না থাকার কারণে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ১০০০ ডলার, ৫০০০ ডলার খরচ ক’রে মানুষ বহু দূর দূর অঞ্চল থেকে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এছাড়াও টাইম স্কোয়ারে রাস্তায় বড় বড় পর্দায় মোদীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তা ছাড়া নানা প্রান্তে টিভি, ট্যাবলেট, মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন আইনপ্রণেতা, তারকা ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ভারতীয়রাও উপস্থিত হয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বিশ্বের ৮০টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান। ভারতের জাতীয় চ্যানেলগুলিতে সরাসরি দেখানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। প্রায় এক ঘন্টা ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী।
• গোটা বিশ্ব আসে আমেরিকায়, কিন্তু গোটা বিশ্বে থাকে ভারতীয়রা!
• এ বার সরকার ও সাধারণ মানুষ উন্নয়নের কাজ করবে এক সঙ্গে।
• ভারত গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত।
• বড় স্বপ্ন নয়। ছোট ছোট পা ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
• সাপ নিয়ে নয় ভারত ‘মাউস’ নাড়লে সারা দুনিয়া নড়ে ওঠে।
• ভারতের শক্তি ‘থ্রি-ডি’ অর্থাৎ ডেমোক্রাসি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও ডিম্যান্ড।
• একবিংশ শতক এশিয়ার।
• একবিংশ শতকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে ভারত।
• দেশবাসীর মাথা নিচু হতে দেব না কখনো।
• দেশের উন্নয়নে কোন খামতি রাখতে দেব না।
• ১০০ কোটির দেশে অনেক চাহিদা জানি। চাহিদা পূরণে কাজ করব।
ভারতীয়রা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ শুনেছেন আশা করি। শুনেছেন
কি ?????????
ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হ’য়ে গেছে সমালোচনার পালা। নিন্দুকের নিন্দা, হিংসুকের হিংসা, ছেদকের ছিদ্র অন্বেষণ থামিয়ে দেবে কি প্রধানমন্ত্রীর নয়া ভারত গড়ার স্বপ্ন?????????????????
এই প্রসঙ্গে একটাই কথা মনে পড়ে যায়,
“হিংসুক জ্বলে পুড়ে মরুক তার হিংসার আগুনে, তুমি ভাই কাজ করে যাও আপন মনে”।
( লেখা ২৯শে সেপ্টেম্বর'২০১৪)।
No comments:
Post a Comment