Powered By Blogger

Monday, September 22, 2025

বিষয় যখনঃ দেশটা তোমার বাপের নাকি?

গায়িকাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে তা' দেশটা এখন কার বাপের? দেশটা তখন হাসিনার বাপের ছিল বলেই "দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা" এই নিয়ে ২০২২ সালে গান বেঁধেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগে যুক্ত গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু এবং গানটি গেয়েছিলেন মৌসুমী চৌধুরী। তিনি কন্ঠ দিয়ে জনপ্রিয় করেছিলেন গানটিকে এবং কর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ দিয়েছিলেন দলের মঞ্চে গানটি গেয়ে।

২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলেও আসলে এর পিছনে ছিল চূড়ান্ত ভারত বিরোধীতা। ছিল পাকিস্তান আর আমেরিকার চক্রান্ত। কারণ ১৯৭১ সালে এই দুই দেশ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য যৌথভাবে হাত মিলিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশকে ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য মেনে নিতে পারেনি এই দুই দেশ। পিছু হটতে হয়েছিল সেদিন পাকিস্তান আর বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী দেশ আমেরিকাকে। আর তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪বছর ধ'রে চেষ্টা চালিয়েছিল ভারতকে শায়েস্তা করার এই দুই দেশ। এর জন্য তাদের একজন নিবেদিত প্রাণ এজেন্টের দরকার ছিল যার সাহায্যে ভারতকে টুকরো টুকরো ক'রে দিতে পারে। আর তা' অবশেষে সফল হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়ে। আর ৫ই আগষ্ট'২৫ আমেরিকার এজেন্ট শান্তির পতাকা হাতে অশান্তির দূত মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় বসেই ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও আমেরিকার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পরিকল্পনাকে সত্য ক'রে দিল। সত্য চিরকাল সত্য তা' কেউ স্বীকার করুক আর না-করুক।

তাই বলি, দেশটা না হয় তখন হাসিনার বাপের ছিল, তাই গান বাঁধা হয়েছিল "দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা', আর দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ হাসিনার বাপের হাত থেকে কেড়ে নিতে পথে নেমেছিল ঐ গানের তালে তালে উদ্বুদ্ধ হ'য়ে। তা' প্রশ্ন জাগে মনে, হাসিনার সময় ছাড়া বাকী সময়গুলিতে দেশটা কাদের বাপের হাতে ছিল এবং বর্তমানে দেশটা কাদের বাপের হাতে আছে? তখন কি দেশটা জনগণের সম্পত্তি ছিল বা এখন ইউনুসের আমলে জনগণের সম্পত্তি হ'য়ে গেছে? এখন ইউনুস সাহেবের মাত্র ১২ মাসে দেশটা কি একেবারে জনগণের বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হ'য়েছে? হাসিনার সময় ছাড়া দেশটা কারও বাপের সম্পত্তি ছিল না বা এখনও কারও বাপের সম্পত্তিতে পরিণত হয়নি? হাসিনার সময় দেশটা নরক ছিল? আর হাসিনার সময় ছাড়া ৫৪ বছরের বাকী বছরগুলিতে বাংলাদেশ স্বর্গে পরিণত হয়েছিল নাকি এখন স্বর্গে পরিণত হয়েছে?

মেহরুবা খানের অপূর্ব উপলব্ধিকে আশ্রয় ক'রে তাঁর সঙ্গে আমিও বলতে চাই, আলোচনা হ'লে 'আয়না ঘর' এর সঙ্গে সঙ্গে 'হাওয়া ভবন' এবং বর্তমান শান্তির মহান দূত ইউনুস সাহেবের 'খোলা ময়দানে ড্রেসিং টেবিল ঘর' নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হ'ক সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে। কারও পক্ষে দাঁড়াতে হবে না বাংলাদেশের নাগরিককে। মাহরুবা খানের কথায় ভুল কোথায়? এ তো দেশপ্রেমের স্বচ্ছ বর্হিপ্রকাশ! আমার জিজ্ঞাস্য গানের স্রষ্টা ও গায়িকাকে ভারতকে ভাঙ্গার খেলা কার বাপ করছে ও ক'রে চলেছে? পার্শ্ববর্তী দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট ভারত নিয়ে বাংলাদেশী ভাইবোনেদের মন ও মস্তিষ্ক বিষাক্ত ক'রে তুলছে কার বাপ? ৫৪ বছর পরে রাতারাতি মেটিকুলাস ডিজাইনে ভারত আজ বাংলাদেশের কাছে একেবারে শত্রুদেশে পরিণত হ'ল পুরোনো বন্ধুত্বকে রি-সেট বাটন দিয়ে মুছে দিয়ে আর ভারত ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর চক্রান্তকে ত্বরান্বিত ক'রে। এই মেটিকুলাস ডিজাইন ও রি-সেট বাটনে ভারতের বন্ধুত্ব মুছে দিয়ে শত্রু দেশ বানানোর ও ভারত ভাঙ্গার বাপ কে? পাকিস্তান ও আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস? পাকিস্তান? আমেরিকা? নাকি সম্মিলিত উদ্যোগ?

"দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা" গানের গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবু এবং গায়িকা মৌসুমী চৌধুরীকে অনুরোধ ভারত ভাঙ্গার ও পশ্চিমবঙ্গ সহ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার একটা নোতুন গান বাঁধুন, গড়ে উঠুক বৃত্তর বাংলাদেশ ও ভেঙে টুকরো টুকরো হ'য়ে যাক ভারত, স্বপ্ন পূরণ হ'ক বালখিল্য স্বপ্ন দেখার মূল কারিগর আমেরিকা ও পাকিস্তানের।

তাই, সেই মহান গায়িকাকে উদ্দেশ্য ক'রে বলি, দেশ তো স্বা্ধীন হ'ল, ভারতের হাত থেকে মুক্ত হ'ল দেশ, এখন পাকিস্তান আর আমেরিকা, চীন দেশের সাহায্যে ভারতের বিরুদ্ধে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গান বাঁধুক সেই মহান গীতিকার ও গায়িকা যৌথভাবে এবং ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, তরুণতরুণী, যুবকযুবতী, সাধারণ জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধের গান গেয়ে পথে নামুক এবং যুদ্ধ শুরু করুক আর ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে এবং পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে টুকরো ক'রে নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার গান 'দেশটা এবার বড় হবে জুড়াবো প্রাণের জ্বালা' ভারত ভেঙে টুকরো হবে, হবে বৃহত্তর বাংলা' গেয়ে ভারত ভাঙ্গার লড়াইয়ে নেমে পড়ুক ইউনুস সাহেবের বৈষম্য বিরোধী ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের সৈনিকেরা ছদ্ম আন্দোলনের স্বচ্ছতাকে বজায় রেখে। বুঝিয়ে দেওয়া হ'ক ভারতের বাপ শান্তির পতাকা হাতে ইউনুস সাহেব হলেও আসলে বাপ পাকিস্তান আর তার পিছনে মূল বাপ বিশ্বের সর্বশক্তিমান আমেরিকা।
এ স্বচ্ছতা কি প্রমাণ করে আর কি ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে অদূর ভবিষ্যতে এখনও ভেবে দেখার সময় আসেনি ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে এতবড় প্রতারণার পরেও দেশের জনগণের!!
( লেখা ১লা সেপ্টেম্বর' ২০২৫)।


No comments:

Post a Comment