আমরা মানুষেরা তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ইত্যাদি পৃথিবীর ৪৩০০ ধর্ম মতের ও ধর্ম অবিশ্বাসী ৮০০কোটি মানুষ যে বা যারাই আমরা মাংস খাই না কেন তা' সে জীবন ধারণের জন্য খেয়ে থাকি, আর রসনার তৃপ্তির জন্যই খাই না কেন, তা' সেই মাংস খাওয়ার পক্ষে আমরা যতই যুক্তি তুলে ধরি না কেন জীবকে হত্যা করেই আমাদের লোভকে লালন পালন করি এই সত্য অস্বীকার করার অর্থ আমি অন্ধকার আবাহন করতে চাই জেনে বুঝে ইচ্ছে করেই।
তাই নিরপেক্ষ ব'লে কোনও কথা নেই। কথা আছে হয় সত্যের পক্ষে দাঁড়াও নতুবা মিথ্যের পক্ষে দাঁড়াও। হয় আলোর পক্ষে দাঁড়াও নতুবা অন্ধকারের পক্ষে দাঁড়াও। আর, এ নিয়ে অকারণ বিতর্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই কারণ আমরা সবাই বুঝতে পারি আমার নিজের দেশে কখন কার রাজত্বে কতটা কম বেশী মানুষের বাঁচা ও বাড়ার বিরুদ্ধ পরিবেশ ছিল। সেটা স্বীকার না করার অর্থ একচক্ষু হরিণের মত কাজ। আর একচক্ষু হরিণের পরিণতি কি ভয়ঙ্কর হয়েছিল তা' আমরা সবাই জানি।
আর, ঠিক তেমনি, আমরা মাংস খাই ভালো কথা কোনও আপত্তি নেই, তা' সে পাঁঠা হ'ক, গরু হ'ক, উঠ হ'ক, মুরগী হ'ক, শুয়োর হ'ক ইত্যাদি যে পশু আর যে পাখি ই হ'ক না কেন তাকে মেরে, তাকে হত্যা করেই খেতে হয় আর সে খাওয়াকে জীব হত্যাই বলে। এটা বাস্তব, এটা সত্য। কিন্তু সেই হত্যা যখন ঈশ্বরের নামে ঈশ্বরের সৃষ্টিকেই ঈশ্বরের আর এক সৃষ্টি মানুষ নিজের উদর পূর্তির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার নামে, বলির নামে করে, যখন প্রকাশ্যে উন্মুক্ত জনবহুল স্থানে, লোকে লোকারণ্য বাজারে জীবকে হত্যা করা হয়, সেই বিশাল বিশাল পশুকে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, প্রকাশ্যে টুকরো টুকরো ক'রে কেটে বিক্রি করা হয়, থেঁথলে ভর্তা বানিয়ে (যাকে কিমা বলে) খরিদ্দারকে বিক্রি করে তখন সেই নৃশংস দৃশ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের কাছে, অতি উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা লোকের কাছে সভ্যতার নিদর্শন ব'লে পরিগণিত হয় তা' সহজেই অনুমেয়। এই নৃশংস নির্মম দানবীয় দয়ামায়াহীন বিকৃত দৃশ্যের কি প্রভাব পড়ে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষত শিশুদের কোমল মনে তা' কেন যে আজও এত উচ্চ উন্নত শিক্ষার অধিকারী, দেশের শাসক, রাজনৈতিক দল বুঝতে পারলো না তা' ভাব্র অবাক হ'ই। কেন প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় রাস্তার ধারে মুণ্ডুহীন ছাল চামড়া ছাড়ানো জীবের দেহ ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন কাটা মুণ্ডু সামনে পরপর সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চারিদিকে রক্ত, হাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দোকানদার দোকানদারী করছে, কেন যুগ যুগ ধ'রে আবহমান কাল ধ'রে এমন দৃশ্য চলে আসছে তা' কেন ভেবে দেখে না কেউ? কেন যে ঈশ্বরের নামে এই জীব হত্যা না হ'য়ে, কেন যে এই জীব হত্যা প্রকাশ্যে না হ'য়ে, জীবের মাংস প্রকাশ্যে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি না ক'রে, কেন যে প্রকাশ্যে বিক্রি না ক'রে একটু লোকচক্ষুর আড়ালে জীব হত্যা বা জীবের মাংস বিক্রি করে না, কেন যে মাংস খেতে হয় খাও কিন্তু ঈশ্বরকে জড়িয়ে নিয়ে, ঈশ্বরের নামে করো না এই শিক্ষার প্রসারে সরকার উদ্যোগ নেয় না, সতর্ক ও সচেতন করে না, তা' ভাবলে স্পষ্ট বোঝা যায় ভয়ংকর ভাবে ষঢ় রিপু তাড়িত বিকৃত মানুষের মানবতার অবনতি চেতনার এই অবক্ষয়ের এক ও একমাত্র কারণ। মানবতার এই অবনতি সৃষ্টি ধ্বংসের অশনি সংকেত।
তাই, দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি কি একসঙ্গে আলাপ আলোচনা ক'রে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না? এখানে অসুবিধা কোথায়?
( লেখা ৩১শে আগশট'২০২৫)।
তাই নিরপেক্ষ ব'লে কোনও কথা নেই। কথা আছে হয় সত্যের পক্ষে দাঁড়াও নতুবা মিথ্যের পক্ষে দাঁড়াও। হয় আলোর পক্ষে দাঁড়াও নতুবা অন্ধকারের পক্ষে দাঁড়াও। আর, এ নিয়ে অকারণ বিতর্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই কারণ আমরা সবাই বুঝতে পারি আমার নিজের দেশে কখন কার রাজত্বে কতটা কম বেশী মানুষের বাঁচা ও বাড়ার বিরুদ্ধ পরিবেশ ছিল। সেটা স্বীকার না করার অর্থ একচক্ষু হরিণের মত কাজ। আর একচক্ষু হরিণের পরিণতি কি ভয়ঙ্কর হয়েছিল তা' আমরা সবাই জানি।
আর, ঠিক তেমনি, আমরা মাংস খাই ভালো কথা কোনও আপত্তি নেই, তা' সে পাঁঠা হ'ক, গরু হ'ক, উঠ হ'ক, মুরগী হ'ক, শুয়োর হ'ক ইত্যাদি যে পশু আর যে পাখি ই হ'ক না কেন তাকে মেরে, তাকে হত্যা করেই খেতে হয় আর সে খাওয়াকে জীব হত্যাই বলে। এটা বাস্তব, এটা সত্য। কিন্তু সেই হত্যা যখন ঈশ্বরের নামে ঈশ্বরের সৃষ্টিকেই ঈশ্বরের আর এক সৃষ্টি মানুষ নিজের উদর পূর্তির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার নামে, বলির নামে করে, যখন প্রকাশ্যে উন্মুক্ত জনবহুল স্থানে, লোকে লোকারণ্য বাজারে জীবকে হত্যা করা হয়, সেই বিশাল বিশাল পশুকে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, প্রকাশ্যে টুকরো টুকরো ক'রে কেটে বিক্রি করা হয়, থেঁথলে ভর্তা বানিয়ে (যাকে কিমা বলে) খরিদ্দারকে বিক্রি করে তখন সেই নৃশংস দৃশ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশের কাছে, অতি উচ্চ লেখাপড়াজানাওয়ালা লোকের কাছে সভ্যতার নিদর্শন ব'লে পরিগণিত হয় তা' সহজেই অনুমেয়। এই নৃশংস নির্মম দানবীয় দয়ামায়াহীন বিকৃত দৃশ্যের কি প্রভাব পড়ে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষত শিশুদের কোমল মনে তা' কেন যে আজও এত উচ্চ উন্নত শিক্ষার অধিকারী, দেশের শাসক, রাজনৈতিক দল বুঝতে পারলো না তা' ভাব্র অবাক হ'ই। কেন প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় রাস্তার ধারে মুণ্ডুহীন ছাল চামড়া ছাড়ানো জীবের দেহ ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন কাটা মুণ্ডু সামনে পরপর সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, কেন দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চারিদিকে রক্ত, হাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দোকানদার দোকানদারী করছে, কেন যুগ যুগ ধ'রে আবহমান কাল ধ'রে এমন দৃশ্য চলে আসছে তা' কেন ভেবে দেখে না কেউ? কেন যে ঈশ্বরের নামে এই জীব হত্যা না হ'য়ে, কেন যে এই জীব হত্যা প্রকাশ্যে না হ'য়ে, জীবের মাংস প্রকাশ্যে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি না ক'রে, কেন যে প্রকাশ্যে বিক্রি না ক'রে একটু লোকচক্ষুর আড়ালে জীব হত্যা বা জীবের মাংস বিক্রি করে না, কেন যে মাংস খেতে হয় খাও কিন্তু ঈশ্বরকে জড়িয়ে নিয়ে, ঈশ্বরের নামে করো না এই শিক্ষার প্রসারে সরকার উদ্যোগ নেয় না, সতর্ক ও সচেতন করে না, তা' ভাবলে স্পষ্ট বোঝা যায় ভয়ংকর ভাবে ষঢ় রিপু তাড়িত বিকৃত মানুষের মানবতার অবনতি চেতনার এই অবক্ষয়ের এক ও একমাত্র কারণ। মানবতার এই অবনতি সৃষ্টি ধ্বংসের অশনি সংকেত।
তাই, দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি কি একসঙ্গে আলাপ আলোচনা ক'রে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না? এখানে অসুবিধা কোথায়?
( লেখা ৩১শে আগশট'২০২৫)।
No comments:
Post a Comment