আর থালাপাতি বিজয় তো আঞ্চলিক অভিনেতা। এটা নোতুন কিছু ব্যাপার নয়। অনেকের কাছে নোতুন কারণ তারা এসব অতীতের ইতিহাস জানে না। তামিলনাড়ুর নির্বাচনী রাজনীতি অনেকটাই সেখানকার সিনেমা তারকাদের দখলে। বিজয় থালাপতি নোতুন কিছু নয়। শুধু সেই ট্রাডিশানের ব্যাটন কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
আর ভারতের বিখ্যাত স্টার অভিনেতা অভিনেত্রী আর আঞ্চলিক স্টার অভিনেতা অভিনেত্রীর মধ্যে সাধারণ মানুষ তফাৎটাই জানে না। বিজয় থালাপাতি দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা, তিনি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা নন। তিনি যদি নেতা হ'তে চান তবে তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতার মত আঞ্চলিক নেতা হ'তে পারেন, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও হ'তে পারেন তাঁর সিনেমার পর্দার নকল কৃত্রিম বীরত্ব প্রদর্শনের কারণে যেমন অনেকেই জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন মঞ্চ ও সিনেমা জগতের সি এন আন্নাদুরাই, এম করুণানিধি, এমজি রামচন্দ্রণ, জানকি রামচন্দ্রণ ও জে জয়ললিতা-র মত অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
আর রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে যেমনটা আমার দেশে ও রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে এবং নেতা ও অভিনেতাদের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে ঠিক তেমনি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও সম্প্রতি ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অজ্ঞ বোকা বোধবুদ্ধিহীন আবেগে ভাসমান জনতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবর্তনের মুখ্য কারণ আম জনতা।
তাই, বিজয় থালাপতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় আসেন না, তিনি আঞ্চলিক জনপ্রিয় অভিনেতা ও নায়ক। দক্ষিণ ভারত ছাড়া ভারতের সমগ্র অঞ্চলে তাঁকে কেউ চেনেন না। ইদানীং ডাবিং এবং ইউ টিউবের দৌলতে একটু আধটু সিনেমাপ্রেমী তাঁকে চেনেন। তিনি আঞ্চলিক হিরো, জাতীয় হিরো হওয়া এখনও বহু সময়ের ব্যাপার। হয়তো হ'তে পারেন ভবিষ্যতে। তবে ক্যামেরার সামনে তাঁর সিনেমাটোগ্রাফি নান্দনিকতা ও আবেগ দিয়ে বাস্তব চলে না। সেটা সময় ব'লে দেবে। সময় সবসে বড়া বলবান। সেজন্য সময় দরকার, অপেক্ষা করতে হবে। আর, মাথায় রাখবেন ভারতের জনগণ নয় তামিলনাড়ুর জনগণ তাঁকে ভোট দেবে নির্বাচনে।
আর, শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে বিজয় থালাপতিকে তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক রাজনৈতিক আলোচনায় টেনে আনা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই অসম বিতর্ক মিডিয়ার কাজ। শ্রীনরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনি রুপোলি পর্দার বালখিল্য অভিনেতা নন। বিজয় থালাপতি তাঁর রাজ্যে লড়াই করুন, দেশের মুখ্যমন্ত্রী হ'ন, হতেই পারেন কোনও আপত্তি নেই; এমনকি ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে ও এম পি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং জাতীয় নেতা হ'য়ে উঠতে পারেন, ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হ'তে পারেন কিন্তু বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সংগে তাঁকে টেনে আনা উভয়ের পক্ষে সম্মান হানিকর। এইসমস্ত অসম অপরিপক্ক আলোচনা সমালোচনা বালখিল্য বোকা মূর্খ জনগণকে হাতিয়ার করেই মিডিয়ার প্রচার ও মিডিয়ার শ্রীবৃদ্ধি নিজেদের বাজার তোইরী করে কিন্তু জনগণ যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই থেকে যায়। আর এটাই যুগ যুগ ধ'রে একটা দেশের মূর্খ জনগণের প্রাপ্য।
আর সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হ'লো, বাংলাদেশ মিডিয়া ও জনগণের একাংশ মিডিয়ার প্রচারে প্রচন্ড উল্লসিত তামিলনাড়ুতে রাজনীতির ময়দানে জনপ্রিয় অভিনেতা এই বিজয় থালাপতির উত্থানের খবরে। আসলে বাংলাদেশের বিশেষ ক'রে মিডিয়ার বর্তমান ট্রেন্ড হচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণকে যেমন আমেরিকার এজেন্ট মহম্মদ ইউনুস ছদ্ম ছাত্র রাজনীতি ও ছদ্ম ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিক উপায়ে অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে আমেরিকার সাহায্যে পিছন দরজা দিয়ে দেশের শাসক হয়েছেন ঠিক তেমনিভাবে আরও একেবারে রগড়ে দিয়ে থেঁথলে দিতে চাইছেন বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসম্প্রদায়কে এবং দেশের আপামর সাধারণ জনগণের মগজ ভারত বিদ্বেষের বিষাক্ত বিষ মস্তিষ্কে ইঞ্জেক্ট ক'রে ক'রে ভয়ংকরভাবে ভারত বিরোধী ক'রে তোলার জন্য। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও করুণ ভয়ংকর পরিণতি ও ধ্বংসের দায় মিডিয়াকেও নিতে হবে আগামীতে। চালিয়ে যান বাংলাদেশ মিডিয়া। সফলতা কামনা করি।
ফিল্মে নকল ঢিসুম ঢিসুম ক'রে আর স্ট্যান্টম্যানদের দৌলতে নাম কামিয়ে বাস্তবে এসেছে ঢিসুম ঢিসুম করতে বিজয় থালাপতি। স্বপ্ন থাকতেই পারে কিংবা মতিভ্রম হ'তেই পারে কারণ বয়সটা এখনও কম, রাজনীতির ম্যাচিয়ুরিটি এখনও আসেনি। আর স্বপ্ন বা এই মতিভ্রম প্রতিটি রাজ্যে সব অভিনেতাদের বেলায় দেখা গেছে। তামিলনাড়ুতে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যারা অভিনেতা থেকে নেতা হয়েছে তাদের সঙ্গে একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে বিজয় থালাপতি। আর আঞ্চলিক অভিনেতার সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা করা বা আলোচনায় টেনে আনা সেটা দেশের সাংবাদিকদের অপরিপক্কতা, বালখিল্য মিডিয়ার খবর। প্রধানমন্ত্রীর সংগে একজন অভিনেতার তুলনা করা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও লজ্জা নয়, লজ্জা সেই আঞ্চলিক নেতারও নয়, লজ্জা অভিনেতার, যে এখন তামিলনাড়ুর গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় অভিনেতা হ'তে পারেনি, আর জাতীয় নেতা তো দূরের কথা, আগে রাজ্যের নেতা হ'ক তারপর না হয় তুলনা করা যাবে জাতীয় নেতা, সর্ব্বোপরি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সংগে।
তাই বিজয় থালাপতির ক্যারিয়ার খেয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে মিডিয়া।
( লেখা ১লা সেপ্টেম্বর'২০২৫)
No comments:
Post a Comment