আমার এক গুরুভাই আমাকে লিখেছিলেন দেশের বর্তমান অস্থির ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য" কথাটার বাস্তব রূপ আজও দেখতে পেলেন না। তাই দেশে কোনও জাতীয় নায়কের আবির্ভাব হ'লো না আর হ'লো না ব'লেই কোনও কিছু কেন্দ্রায়িত ক'রে তুলতে পারলেন না। এই আক্ষেপ ঝ'রে পড়েছিল তার কথায়। তার কথার উত্তরে সমবেদনায় শুধু এটুকুই বলতে পারি,
ওসব কথার কথা! বলতে হয়, বলতে ভালো লাগে, মানতে নেই। কিসের বৈচিত্র? বৈচিত্র তো চরিত্রের মধ্যে! চরিত্র নিয়ে না জন্মালে, চরিত্র গঠন না হ'লে, সংশোধিত না হ'লে, উন্নত না হ'লে ঐক্য আসে কোথা থেকে!? বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ওসব কথার ফানুস। মরীচিকা ছাড়া কিছু নয়। তাই তাকে বললাম, 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' কথাটার বাস্তব রূপ আজ অবধি দেখতে পাননি আর পাবেনও না। ওসব কাল্পনিক কথা মাঝে মাঝে নাটকীয়তা সৃষ্টি করার জন্য কায়েমী স্বার্থ রক্ষাকারীরা আম জনতার মাঝে পুষ্পবৃষ্টির মত ছিটিয়ে থাকে। রাজনীতির আঙিনায় আজ বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে। শূন্যতা! নেতৃত্বের শূন্যতা! আর এই শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশ ভাগের সময় থেকেই যা আজও পূরণ হয়নি। আর আমরা যারা ওই 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' কথাকে মূলধন ক'রে বাঁচতে চাই তাদের চরিত্রও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী "মুখেতে আছে ব্যবহারে নাই, সেই শিক্ষার মুখে ছাই" বাণীর জ্বলন্ত উদাহরণ! তাই দেশে জাতীয় নায়কের অভাব আজও দেশের স্বাধীনতার ৭৩বছর ও শ্রীশ্রীঠাকুরের ১৩২বছর বয়সের পরও রয়ে গেল আর রয়েও যাবে। যার ফলে কোনোদিনই কোনও কিছু কেন্দ্রায়িত ক'রে তুলতে পারবেন না। কারণ যা যা নিয়ে ঠাকুর ঠাকুর হয়েছিলেন আমরা তাঁর অনুগামীরা না জন্মগতভাবে তাঁর কথার প্রতিফলন হ'তে পেরেছি, না তাঁর কৃষ্টিসন্তান হ'তে পেরেছি!!!!!! কোয়ান্টিটিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে! কোয়ালিটির বড় অভাব! যদিও ঠাকুর বলেছেন দোয়ারে দীক্ষার কথা। সেই কথা মাথায় রেখে ঠাকুরের আদেশ পালন হ'য়ে চলেছে প্রশ্নহীন, যুক্তিহীনভাবে। কিন্তু আমরা কোয়ান্টিটি তাঁর নির্দেশমত, তাঁর ইচ্ছামত কোয়ালিটিতে উদ্ভিন্ন হ'তে পারছি না! এর মধ্যে আবার কিছু চরিত্র আছে যারা সৎসঙ্গী নামধারী অমানুষ অবৈধ ঠাকুরের ভক্ত সেজে, ঠাকুর প্রেমিক সেজে ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে ঠাকুর বিরোধীদের চেয়েও তীব্র অশ্লীল কুশ্লীল গালিগালাজ ক'রে চলেছে নিরন্তর বুকের জ্বালা মিটিয়ে! যাদের মুখের ভাষা পায়খানার দুর্গন্ধকে হার মানায়! হিন্দিতে কাহাবত হ্যায়, টাট্টি য্যায়সী বাত!!! যে দুর্গন্ধে ঠাকুর মূর্ছা যান!!! এমনই পরম চরম ভন্ড ভক্ত এরা!!!! তাহ'লে কোনদিকে যাবেন আপনি!? একদিকে ঠাকুর বিরোধী, অন্যদিকে ভন্ড অমানুষ ঠাকুরপ্রেমী ভক্ত আর মাঝখানে আমার আপনার মত কোয়ান্টিটি ভক্ত!!!!
তাই আপনার জাতীয় নায়কের স্বপ্ন ও সবকিছুকে কেন্দ্রায়িত ক'রে তোলার বাসনা অধুরাই থেকে যাবে। যদিও কথাগুলি মনে হ'তে পারে হতাশার কথা কিন্তু বাস্তব। জানি না ভাবার সময় এসেছে কিনা। জয়গুরু।---------প্রবি।
ওসব কথার কথা! বলতে হয়, বলতে ভালো লাগে, মানতে নেই। কিসের বৈচিত্র? বৈচিত্র তো চরিত্রের মধ্যে! চরিত্র নিয়ে না জন্মালে, চরিত্র গঠন না হ'লে, সংশোধিত না হ'লে, উন্নত না হ'লে ঐক্য আসে কোথা থেকে!? বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ওসব কথার ফানুস। মরীচিকা ছাড়া কিছু নয়। তাই তাকে বললাম, 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' কথাটার বাস্তব রূপ আজ অবধি দেখতে পাননি আর পাবেনও না। ওসব কাল্পনিক কথা মাঝে মাঝে নাটকীয়তা সৃষ্টি করার জন্য কায়েমী স্বার্থ রক্ষাকারীরা আম জনতার মাঝে পুষ্পবৃষ্টির মত ছিটিয়ে থাকে। রাজনীতির আঙিনায় আজ বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে। শূন্যতা! নেতৃত্বের শূন্যতা! আর এই শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশ ভাগের সময় থেকেই যা আজও পূরণ হয়নি। আর আমরা যারা ওই 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' কথাকে মূলধন ক'রে বাঁচতে চাই তাদের চরিত্রও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী "মুখেতে আছে ব্যবহারে নাই, সেই শিক্ষার মুখে ছাই" বাণীর জ্বলন্ত উদাহরণ! তাই দেশে জাতীয় নায়কের অভাব আজও দেশের স্বাধীনতার ৭৩বছর ও শ্রীশ্রীঠাকুরের ১৩২বছর বয়সের পরও রয়ে গেল আর রয়েও যাবে। যার ফলে কোনোদিনই কোনও কিছু কেন্দ্রায়িত ক'রে তুলতে পারবেন না। কারণ যা যা নিয়ে ঠাকুর ঠাকুর হয়েছিলেন আমরা তাঁর অনুগামীরা না জন্মগতভাবে তাঁর কথার প্রতিফলন হ'তে পেরেছি, না তাঁর কৃষ্টিসন্তান হ'তে পেরেছি!!!!!! কোয়ান্টিটিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে! কোয়ালিটির বড় অভাব! যদিও ঠাকুর বলেছেন দোয়ারে দীক্ষার কথা। সেই কথা মাথায় রেখে ঠাকুরের আদেশ পালন হ'য়ে চলেছে প্রশ্নহীন, যুক্তিহীনভাবে। কিন্তু আমরা কোয়ান্টিটি তাঁর নির্দেশমত, তাঁর ইচ্ছামত কোয়ালিটিতে উদ্ভিন্ন হ'তে পারছি না! এর মধ্যে আবার কিছু চরিত্র আছে যারা সৎসঙ্গী নামধারী অমানুষ অবৈধ ঠাকুরের ভক্ত সেজে, ঠাকুর প্রেমিক সেজে ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে ঠাকুর বিরোধীদের চেয়েও তীব্র অশ্লীল কুশ্লীল গালিগালাজ ক'রে চলেছে নিরন্তর বুকের জ্বালা মিটিয়ে! যাদের মুখের ভাষা পায়খানার দুর্গন্ধকে হার মানায়! হিন্দিতে কাহাবত হ্যায়, টাট্টি য্যায়সী বাত!!! যে দুর্গন্ধে ঠাকুর মূর্ছা যান!!! এমনই পরম চরম ভন্ড ভক্ত এরা!!!! তাহ'লে কোনদিকে যাবেন আপনি!? একদিকে ঠাকুর বিরোধী, অন্যদিকে ভন্ড অমানুষ ঠাকুরপ্রেমী ভক্ত আর মাঝখানে আমার আপনার মত কোয়ান্টিটি ভক্ত!!!!
তাই আপনার জাতীয় নায়কের স্বপ্ন ও সবকিছুকে কেন্দ্রায়িত ক'রে তোলার বাসনা অধুরাই থেকে যাবে। যদিও কথাগুলি মনে হ'তে পারে হতাশার কথা কিন্তু বাস্তব। জানি না ভাবার সময় এসেছে কিনা। জয়গুরু।---------প্রবি।
( রচনা ২১শে ডিসেম্বর'২০১৯)
No comments:
Post a Comment