Powered By Blogger

Sunday, February 2, 2025

বিচিত্রা ৯১

ইষ্টের দয়া পেতে চাও তুমি?
বুকে হাত দিয়ে বলো
কি করেছো তুমি ইষ্টের জন্য?
বৃত্তি স্বার্থের ধান্দা নিয়ে বেড়াও ছুটে
তাঁকে ভুলে দিনরাত হ'য়ে হন্যে।

ইষ্ট তোমার আয়ের উপকরণ!
আর অন্যের সুখ শান্তি করছো অপহরণ!!
এর পরেও বলছো তুমি ধ'রে আছো ইষ্টের চরণ!?
ধার তুমি ধারো না তাঁর চলন!
তাই বৃত্তি স্বার্থে বুঁদ হ'য়ে শেষে
মরণকেই করছো তুমি বরণ!!

ঠাকুর মানো আর কাউকে মানো না;
চরণ জানো তাঁর চলন জানো না।
তাঁর চরণ পূজায় মগ্ন হ'য়ে করো
তাঁর সাথে অন্তহীন ছলনা!
তাই ঠাকুর ছাড়া ঠাকুর আত্মজও মানো না!!

তুমি না গুরুভাই, ইষ্টের পূজারী! 
তবে কেন বাধা দাও ইষ্টকাজে হ'য়ে আনাড়ি!? 
ইষ্ট ছেড়ে অনিষ্টের সাথে করলে ভাব, 
জেনো ইষ্টের সাথে হয় আড়ি!

ইষ্ট তোমার আছেন চেয়ে 
তোমার মুখের পানে, 
অহরহ তোমার বলছে কানে কানে- 
শুনতে কি তুমি পাও?
বৃত্তি স্বার্থের ধান্দায় কেন মগ্ন হ'য়ে ধাও?

ইষ্টের মানুষ হ'য়েও তুমি
কেন কেবল বৃত্তির ফানুস ওড়াও?
আর, ইষ্টের চরণে টাকা ঢেলে
বুঝি পারের কড়ি কিনে নাও?
দাঁড়াও! দাঁড়াও!!
থমকে একটু দাঁড়াও!!!

ইষ্ট পূজার শুধু তুমিই পুরোহিত!?
তুমিই ধারক-বাহক!?
বাকীরা সব বানের জলে ভেসে আসা
নপুংসক?
জেনো আর মনে রেখো
তারা সব ইষ্টপূজার কাঠবিড়ালি
আর কিছু না-হোক।

বুঝলে গুরুভাই!
বাবাইদাদা যার সাথী
হাজার বল তার হাতির!!
ঠাকুর মাথায় নিয়ে সে জ্বালবে, 
জ্বলবে যেন ঝাড়বাতি!!!

কেন্দ্র মানছো না, নির্দেশ মানছো না,
মানছো না বাবাইদাদার আশীর্বাদ;
নিচ্ছো নিজের মতো সিদ্ধান্ত!
কেন্দ্র বিরোধীতার বীজ বপন ক'রে
বলছো, মানুষকে আমরা করছি বিভ্রান্ত!?
( লেখা ২রা ফেব্রুয়ারী'২০১৮)























No comments:

Post a Comment