আমেরিকা সফরকালে ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশিদের প্রতিক্রিয়া।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু'জনের পাশাপাশি অবস্থানকালে ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন। কি সেই প্রশ্ন ছিল এবং সেই প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি বলেছিলেন এবং নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই প্রশ্ন নিপুণ ডিপ্লোমেটিক স্টাইলে ঠেলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে। ভারতীয় সাংবাদিক আর কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ পেল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জবাব দিলেন আপন স্বভাবসিদ্ধ উপস্থিত বুদ্ধিতে নমনীয় ভঙ্গিতে। সাংবাদিকের ধুরন্দর প্রশ্নের উত্তরে সাপও মরলো কিন্তু লাঠিও ভাঙলো না। উভয় দেশের ও উভয় রাষ্ট্রপ্রধানের পারস্পরিক সম্মান ও মজবুত সুসম্পর্ক অটুট রইলো। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পৌঁছে গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধ'রে ভারতের "সত্যমেব জয়তে, যার অর্থ হল সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী" মেসেজ।
আসুন এই বিষয় আলোচনা করি। সাংবাদিকের প্রশ্ন ও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উত্তর প্রথমে পড়ে নিই। পরে বিশ্লেষণ সহযোগে আমার মতামত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আপনারাও আপনাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরবেন কমেন্ট বক্সে। পারস্পরিক মতামত বিনিময়ে আসুন আমরা সমৃদ্ধ হ'ই।
ভারতীয় সাংবাদিক মিস্টার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তরে বলেছেনঃ না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি ভারতে এটা নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টির উত্তর দিতে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’, পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ট্রাম্প।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তরে বলেছেনঃ না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি ভারতে এটা নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টির উত্তর দিতে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’, পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ট্রাম্প।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর উত্তরে বলেন, যাঁহা তক রুশ আউর ইউক্রেন কি বিচ কা লড়াই কা সওয়াল হ্যাঁয় মুঝে খুশী হ্যাঁয় কি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নে শান্তিকা প্রয়াসো কা ইনিসিটিভ লেতে হুয়ে রাষ্ট্রপতি পুতিন সে বাত কি। দুনিয়া কি এক সোচ রহি হ্যাঁয় কি ভারত নিউট্রাল হ্যাঁয়। ভারত নিউট্রাল নেহি হ্যাঁয়। ভারত কা আপনা পক্ষ হ্যাঁয়। আউড় ভারত কা পক্ষ হ্যাঁয় শান্তি।
এই নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হ'য়ে যায় নানা মতামত। কটুক্তির ঝড় ব'য়ে যায় বাংলাদেশে।আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুইং বলে নাকি সরাসরি বোল্ড হ'য়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কোন উত্তর দেননি। এড়িয়ে গেছেন। কোনও উত্তর না দিয়ে তিনি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। আসুন এই নিয়ে একটা দু'টো কমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কমেন্টঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারতের হিন্দুত্ববাদী মুশরিকের দালাল তাগুদ। এরা হিন্দুদের তাঁবেদারি করে নিজেদের কে বিক্রি করে দিয়ে হিন্দু হয়ে গেছে।
ভারত বাংলাদেশের পাশের দেশ। এখানে পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। ভারত ও মোদিকে বাংলাদেশের জনগন প্রাধান্য দেয় না। দেবেও না।
উত্তরঃ "এখানে পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক।"----কমেন্টের মধ্যে এইটা ঠিক কথা বলেছিলেন যিনি কমেন্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু আবার বললেন, "ভারত ও মোদিকে বাংলাদেশের জনগন প্রাধান্য দেয়না। দেবেও না।"----এই কথার মধ্যে একটা চাপা পড়া রাগ আর ঘৃণা ঝ'রে পড়লো। তাহ'লে 'ভারত পাশের দেশ ব'লে' যে স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা তুলে ধরেছিলেন, সুন্দর দিকটা প্রকাশ করেছিলেন সেই স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার মধ্যে "হিন্দুদের তাঁবেদারি, প্রাধান্য দেয়না, দেবেও না" ইত্যাদি অস্বাভাবিক অপ্রীতিকর অসুন্দর কথা এসে পড়ায় স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা ও সুন্দর দিকটা নষ্ট হ'য়ে গেল। একটা অকারণ অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি ক'রে দিলেন কমেন্টদাতা। তাহ'লে আমার জিজ্ঞাস্য কমেন্টদাতার স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার আর কি মূল্য রইলো? মূল্য রইলো কি? রইলো না। সৌন্দর্য কি অক্ষুণ্ণ রইলো? রইলো না।
উত্তরঃ "এখানে পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক।"----কমেন্টের মধ্যে এইটা ঠিক কথা বলেছিলেন যিনি কমেন্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু আবার বললেন, "ভারত ও মোদিকে বাংলাদেশের জনগন প্রাধান্য দেয়না। দেবেও না।"----এই কথার মধ্যে একটা চাপা পড়া রাগ আর ঘৃণা ঝ'রে পড়লো। তাহ'লে 'ভারত পাশের দেশ ব'লে' যে স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা তুলে ধরেছিলেন, সুন্দর দিকটা প্রকাশ করেছিলেন সেই স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার মধ্যে "হিন্দুদের তাঁবেদারি, প্রাধান্য দেয়না, দেবেও না" ইত্যাদি অস্বাভাবিক অপ্রীতিকর অসুন্দর কথা এসে পড়ায় স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা ও সুন্দর দিকটা নষ্ট হ'য়ে গেল। একটা অকারণ অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি ক'রে দিলেন কমেন্টদাতা। তাহ'লে আমার জিজ্ঞাস্য কমেন্টদাতার স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার আর কি মূল্য রইলো? মূল্য রইলো কি? রইলো না। সৌন্দর্য কি অক্ষুণ্ণ রইলো? রইলো না।
তাই, এরকম কমেন্ট যারা করেন তাদের জিজ্ঞাস্য, ১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বর্বোরোচিত, নারকীয় অত্যাচারের হাত থেকে অবশিষ্ট নাগরিকদের বাঁচাতে, পাকিস্তানী দরিন্দাদের দ্বারা বলাৎকার হওয়ার পর নৃশংস হত্যার হাত থেকে অবশিষ্ট মা-বোনেদের রক্ষা করতে, বাংলাদেশকে স্বাধীন হ'তে All out যে সাহায্য করেছিল সেটা আপনারা অস্বীকার করেন? সেদিন কি বাংলাদেশের জনগণ হিন্দুদের তাঁবেদারি ক'রে দেশ স্বাধীন করেছিল? নাকি সেদিন ভারত মুসলিমদের বা হিন্দুদের দেশ ছিল?
কমেন্টঃ আমি বুঝতে পারছি না প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ নিয়ে আর মোদি বলছে রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে।
উত্তরঃ আপনি ঠিক বলেছেন, বুঝতে না পারার কথা। কারণ একটা কথা আছে, সমঝদারকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়।
একটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আর আম আদমির মধ্যে আকাশ পাতাল, স্বর্গ নরক তফাৎ আছে। একটা রাষ্ট্রপ্রধানের ওপর নির্ভর করে তাঁর দেশের সার্ব্বিক উন্নতি ও নিরাপত্তা, সৃষ্টি ও ধ্বংস। দেশটা রাষ্ট্রপ্রধানের পৈতৃক সম্পত্তি না যে, তাঁর মর্জিমতো, ইচ্ছামতো খোয়াইশ পূরণ করবেন রি-সেট বাটন টিপে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলেছেন তার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন যেখানে লুকিয়ে আছে উভয় দেশের উন্নতি ও মঙ্গল। রাশিয়া-ইউক্রেণের যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা ইউক্রেনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। দেশটার ও দেশের জনগণের বর্তমান অবস্থাটা কি একবার চোখকান খুলে তলিয়ে দেখুন। তাহ'লেই বুঝতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি কি বলতে চেয়েছেন।
একটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে, দেশের স্থিরতা ও শান্তি বজায় রাখতে কতটা Diplomatic finesse (ফিনেস), sharpness, cleverness, skill-এর প্রয়োজন, উস্কানিমূলক কথাবার্তার বিরুদ্ধে এবং যে কোনও বিষয়ে কথা বলার ব্যালান্স প্রয়োজন, ধৈর্য শক্তি, সহ্য শক্তির প্রয়োজন সেটা দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। বুঝতে হ'লে নিজের দেশটার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকাতে হয়। বাংলাদেশের মানুষদের অনুরোধ করবো যারা নিজের দেশটার সর্ব্বনাশ চান না, তারা নিজের দেশটার অতীত ইতিহাস ও বর্তমান জানুন। আর, দু'টো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যখন কোনও স্পর্শকাতর বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তখন তারা জানেন, অন্যদের সাথে আচরণ করার ক্ষেত্রে নিজের সূক্ষ্মতা দেখাতে হবে। দেশের আম জনতা যা ইচ্ছা তাই বলতে পারে, বলতে পারে বিরোধীদের উস্কানিমূলক কথাবার্তায় প্রভাবিত হ'য়ে, কিন্তু দেশের প্রধানকে মনে রাখতে হয়, মাথায় রাখতে হয় সে আম ভাঙাচোরা
আদমি নয়।
বাংলাদেশে অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরের দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা, অশান্তির আগুন জ্বালানো, রি-সেট বাটন টিপে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার সীমাহীন মুর্খামি, ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ছিন্ন করার বালখিল্য হুমকি দেওয়া শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আপাদমস্তক তফাতটা বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং প্রকৃত শান্তির মেসেজ দিয়েছেন শান্তির কোনও কাজ না করা খোসামুদিতে পাওয়া শান্তির পুরষ্কার প্রাপককে। ভারত, বাংলাদেশ, ইউক্রেণ, রাশিয়া, আমেরিকা সহ সবদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সাধারণ মানুষ এটা বুঝতে পারলেই সবার মঙ্গল। নতুবা সবার শেষের সেদিন ভয়ংকর।
একজন বাংলাদেশী মন্তব্য করেছেন, মোদিকে বাংলাদেশ নিয়ে বলতে বললেন ট্রাম্প কিন্তু মোদি টানলেন ইউক্রেণ প্রসঙ্গ।
আমার উত্তরঃ বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নটা কে কা'কে করেছিল? ভারতীয় সাংবাদিক কি প্রশ্নটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে করেছিল? নাকি প্রশ্নটা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে করেছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক? ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্নটা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রশ্নটা কি ছিল? প্রশ্নটা ছিল, "বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
প্রশ্নের উত্তরে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, "না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি ভারতে এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টি উত্তর দিতে আমি (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’।
ভারতীয় সাংবাদিক সরাসরি বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পট পরিবর্তনের সঙ্গে আমেরিকার ডিপ স্টেটের জড়িত থাকার কথা বলেছেন, বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের জড়িত থাকার কথা। প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ডিপ স্টেটের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন। এবং আর কোনও কথা না ব'লে এই অস্বস্তিকর প্রশ্নকে এড়িয়ে চলে যান এবং সুকৌশলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে প্রশ্নটা চাপিয়ে দেন। একই বলে Diplomatic finesse (ফিনেস), Diplomatic skill অর্থাৎ
কূটনৈতিক সূক্ষ্মতা, কূটনৈতিক পটুত্ব, How to handle a situation effectively. কোনো পরিস্থিতি সুকৌশলে মোকাবিলা কিভাবে করতে হয় সেটা দেখালেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এক্ষেত্রে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের উত্তরটা কি হওয়া উচিৎ ছিল? বাংলাদেশের ২০২৪-এর জুলাই-আগষ্ট-এর অস্থিরতার সময় ইউনুস কোথায় ছিলেন? আমেরিকায়। একজন গুণী মানুষ ১৪৫টি পুরষ্কার পাওয়া, নোবেল পুরষ্কার সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৯টি শান্তির পুরষ্কার পাওয়া, ভারত থেকে ১০টি পুরষ্কার পাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি ডক্টরেট উপাধি পাওয়া মানুষ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক কাজের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ ক'রে নিয়ে যাওয়া হ'তো বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিখ্যাত বিশ্বের মহান বাঙালি পুরুষ ডাঃ মহম্মদ ইউনুসকে pseudo politics-এর ছত্রছায়ায় pseudo student movement-এর মধ্যে দিয়ে অবৈধ উপায়ে দেশের ক্ষমতার চেয়ারে বসতে হ'লো বহিঃশক্তির সহায়তায় ও আভ্যন্তরীণ পিছন থেকে সুতোর টানের পুতুল প্রশাসক হ'য়ে!
ইউনুস আমেরিকায় বসে একটা দেশের সরকারী কোটা আন্দোলনের ছদ্ম ছাত্র রাজনীতির সাহায্যে দেশের আপামর ছাত্রদের পিঠে চড়ে দেশের নির্বাচিত সরকার ও সরকারের প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত ক'রে অবৈধভাবে অনৈতিক উপায়ে পিছন দরজা দিয়ে সেই দেশের প্রধান হ'য়ে বসেছেন এবং রি-সেট বাটন টিপে সমস্ত অতীত মুছে দিচ্ছেন নিপুণ হাতে। হাসিনার দেশ ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকা থেকে এসে দেশের প্রধান উপদেষ্টা হয়েই ইউনুস শান্তির নোবেল পুরষ্কার হাতে নিয়ে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেশটাকে অস্থির ক'রে ধ্বংসস্তুপে পরিণত ক'রেন এবং বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণকে ভারত বিদ্বেষী ক'রে তোলেন ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন। তাহ'লে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার উপযুক্ত কে ছিলেন? আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? তাহ'লে কেন বলা হচ্ছে মোদিকে বাংলাদেশ নিয়ে বলতে বললেন ট্রাম্প, আর মোদি টানলেন ইউক্রেণ ইস্যু? কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত মানুষের চরিত্র!
একজন কমেন্ট করেছেন, "আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইঙ্গিতে মোদি কোন উত্তর দেননি, মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।"
উত্তরঃ আপনাকে বলি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে গভীর অর্থবহ উত্তর দিয়েছেন তা' আপনি বুঝতে পারেননি। কিংবা বুঝতে চাননি বা বুঝেও না বোঝার ভাব করেছেন। ভুলে যাবেন না, ভারত একটা ১৪০ কোটির বিশাল দেশ। যার কাছে আমেরিকা জনসংখ্যার দিক থেকে শিশু। সেই ১৪৫কোটির বেশি বিশাল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আর একটি জনসংখ্যার বিচারে শিশু মাত্র ৩৩কোটি ১৪লক্ষের কিছু বেশী জনসংখ্যার সম্মানীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সামনে কি উত্তর দেওয়া উচিৎ যাতে ১৪৫ কোটির বেশী জনসংখ্যার দেশ ভারতের সম্মান, ইজ্জৎ রক্ষা পায় সেটা ভারতের যোগ্য, দক্ষ, কৃতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি জানেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ইংগিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট তাঁর উত্তরের মধ্যে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ও বাংলাদেশে অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরের দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা, অশান্তির আগুন জ্বালানো, রি-সেট বাটন টিপে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার সীমাহীন মুর্খামি, ভারতের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রপন্থীদের তাতিয়ে দেওয়া, উসকে দেওয়া এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে ছিন্ন করার বালখিল্য হুমকি দেওয়া, শান্তির জন্য কোনও কিছু না ক'রে খোয়ামুদিতে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনুসকে ও ইউনুসের বাংলাদেশকে সহ সমগ্র বিশ্বকে কি ইঙ্গিত দিলেন সেটা ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউনুস আর বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা সহ সমগ্র বিশ্বের মহাভীষ্মরা বুঝতে পেরেছেন। সহজ সরল সাধারণ আম আদমীর পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। দেশের সাধারণ মানুষ, আম আদমী যত তাড়াতাড়ি শিক্ষিত ও সচেতন হ'য়ে উঠবে, চোখকান খোলা রাখবে তত তাড়াতাড়ি সেই দেশের উন্নতি ও মঙ্গল আসবে, এটা সুনিশ্চিত।
তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মধ্যে ও উভয় দেশের সহজ সরল সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনকি ইউক্রেণ-রাশিয়ার মধ্যে এবং বিশ্বের সমস্ত দেশ সহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশ আমেরিকার জন্য সুদূর প্রসারী কি মঙ্গল লুকিয়ে আছে আসুন আমরা সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। কথায় আছে,
knowledge is wealth and no other wealth is wealth. As the saying goes, knowledge rules the world.
"Ignorance is the curse of God; knowledge is the wing wherewith we fly to heaven.” জ্ঞান হল সম্পদ এবং অন্য কোন সম্পদ সম্পদ নয়। কথায় আছে, জ্ঞান পৃথিবীকে শাসন করে। "অজ্ঞতা ঈশ্বরের অভিশাপ; জ্ঞান হল ডানা যা দিয়ে আমরা স্বর্গে উড়ে যাই।
তাই বলি, হে সহজ সরল সাধারণ মানুষ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইংগিতপূর্ণ স্পষ্ট কথার উত্তর যদি কেউ না বুঝতে পারে তাহ'লে তাদের জন্য শেষের সেদিন ভয়ংকর। নমস্কার। জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment