Powered By Blogger

Thursday, February 27, 2025

বিচিত্রা ১০০

ঘরে ঘরে হ'ক শুরু দয়ালের চলন পূজা;
বন্ধ হ'ক চরণ পূজে মুক্তির স্বর্গ খোঁজা।
২৭শে ফেব্রুয়ারী'২২

Think positive, do positive, 
be positive & have positive. 
Do not spread negative thinking.
( লেখা ২৮শে ফেব্রুয়ারী'২০)

Sunday, February 23, 2025

বিচিত্রা ৯৯ ঈশ্বর একমাত্র সত্য

 






( লেখা ২৩শে ফেব্রুয়ারী'২০১৮ )





Thursday, February 20, 2025

প্রবন্ধঃ শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ত্রিপুরা পরিক্রমা।

সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ত্রিপুরা পরিক্রমা ও ত্রিপুরা যুক্তিবাদী বিকাশ মঞ্চ"।

সৎসঙ্গ, দেওঘর এর বর্তমান প্রধান শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব এবং পূজনীয় শ্রীশ্রীঅবীন দাদা তাঁদের ত্রিপুরা রাজ্য পরিদর্শনের সময় (১১-১৫ ফেব্রুয়ারি'২৪) বর্তমান ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের অতিথি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চিরাচরিত বাম বিতর্ক। ত্রিপুরা যুক্তিবাদ বিকাশ মঞ্চ" রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এর বিরুদ্ধে তাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ত্রিপুরার জনসংখ্যা প্রায় ৪২ লক্ষ। তাঁর মধ্যে শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ।ত্রিপুরা যুক্তিবাদ বিকাশ মঞ্চ" ত্রিপুরা সরকারের কোষাগারের জনগণের করের টাকায় সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে state guest, রাজ্যের অতিথি ঘোষণা করায় জনগণের করের টাকা নষ্ট হচ্ছে বলে কড়া আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু একবারও খোঁজ নিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীআচার্যদেব এই সরকারী সুবিধা ভোগ করেছেন কিনা। কিংবা প্রয়োজন বোধ করেনি ও করেনা কোনওদিনও সরকারী সাহায্য নেওয়ার পরিবর্তে সাহায্য দানের কোনও ইতিহাস সৎসঙ্গের আছে কিনা।

যাই হ'ক, এই বিষয়ে আমি পরবর্তী ভিডিওতে আবার আসবো। বর্তমানে আমি সাধারণ সচেতন আমার শ্রোতাদের কাছে, আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের কাছে যেটা বলতে চাই সেটা হচ্ছে এই যে বছরের পর বছর, বছরের পর বছর ধ'রে সাধারণ মানুষকে যারা ভুল বোঝায় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, রাজনৈতিক লাভের জন্য, তার ফলে কত লক্ষ লক্ষ ভাইবোনেরা যে যুগ যুগ ধ'রে মিসগাইড হ'য়ে ভুল রাজনৈতিক দর্শনে বিপথে চালিত হচ্ছে, ভুল ধারণার শিকার হ'য়ে জীবন নষ্ট করছে, অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে, জীবনের শেষের দিনগুলি ভয়ংকর হ'য়ে উঠছে, ব্যর্থ জীবনের অধিকারী হ'য়ে হতাশা, অবসাদে ও তীব্র বিষাদ গ্রস্থতায় আক্রান্ত জীবন শেষ ক'রে দিচ্ছে এর হাত থেকে, এই বিষাক্ত সংস্কৃতির নিঃশ্বাস থেকে বাঁচার পথ কি? উপায় কি? আসুন একটু আলোচনা করা যাক।

আজ দেশে দেশে, সমাজে, ঘরে ঘরে ছোটোবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হওয়া ভাইয়ে ভাইয়ের দু'জনার দু'টি পথ দু'টি দিকে বেঁকে গেছে ও যাচ্ছে। গোঁজামিলে জীবনের অঙ্ক মেলাতে মেলাতে আর ভুল জীবন দর্শন, ভ্রান্ত রাজনৈতিক দর্শন, ছদ্ম রাজনীতি, ছদ্ম আন্দোলন, ভুল শিক্ষা ব্যবস্থা, কপট পথপ্রদর্শক ইত্যাদিতে অভিভূত হ'য়ে সামাজিক গোলকধাঁধার ভুল্ভুলাইয়ার ঘুলঘুলিতে আতঙ্কিত ঘোলাটে পাগলাটে চোখে চেয়ে আছে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মিথ্যেয় ভরা পৃথিবীর দিকে। আর, শেষ জীবনে এসে দূরে, বহুদূরের সেই দু'দিকের দুই পথের শেষে বসে বিচ্ছিন্ন হ'য়ে যাওয়া দুই ভাই নীরবে নিভৃতে একাকী চোখের জল ফেলছে অতীত জীবনের কথা ভেবে ও একে অপরের কথা ভেবে। আর, বহুদূর থেকে ভেসে আসছে কান্না ভেজা গলায় মর্মস্পর্শী সেই গান, "মিলন হবে কতদিনে আমার মনের মানুষের সনে, আমার মনের মানুষের সনে।"

জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলার পথে আলো ও অন্ধকার দু'টো পথ আছে।

ঝলমলে আলোর পথে চলার সময় সব দেখা যায়, কোথায় কি আছে না আছে, কে আসছে আর না-আসছে ইত্যাদি।

আর, ঘুটঘুটে অন্ধকার পথে কিছুই দেখা যায় না। চলার পথে শুধুই ভয়, ভয়, আর ভয়। রাস্তায় যে-কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার ভয়। বিষাক্ত সাপের ছোবলের ভয়, হিংস্র পশুর ভয়। সবচেয়ে বড় ভয় মানুষের ভয়, শয়তান মানুষের ভয়, প্রতি মুহুর্তে অস্তিত্ব সঙ্কটের ভয়। পদে পদে খানা খন্দে পড়ে যাওয়ার ভয়, পথ ভুলে ভুল পথে অজানা অচেনা পথে মা-বাবা, ভাইবোন, স্বামীস্ত্রী, সন্তানসন্ততি, পরিবার পরিজন, আপনজন বিচ্ছিন্ন হ'য়ে চলে যাওয়ার, চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার ভয় আর ভয়ংকর ভয়াল মৃত্যুর ভয়।

এবার বন্ধু, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আলোর পথে না অন্ধকার পথে কোন পথে হেঁটেছ ও ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে তা' তুমিই ঠিক ক'রে নাও। আর, এই মিথ্যে, নোংরা ও বিষাক্ত কৃষ্টি-সংস্কৃতির পরিবেশে শিশুদের চলার পথ ঠিক ক'রে দিক অতীতে ভুল পথে হেঁটে আসা তাদের মা-বাবারা শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে।

ঘুটঘুটে অন্ধকার চলার পথে ভয়ংকর চরম বিপদ নিশ্চিত, পতন ও মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

কিন্ত ঝলমলে আলোর পথেও চলার সময় ভুল হ'তে পারে, বুদ্ধি বিপর্যয় হ'তে পারে, হোঁচট খেয়ে পড়তে হ'তে পারে, বেইমানী, নেমকহারামী, কপটতা ও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হ'তে পারে, যে কোনও মুহূর্তে শয়তানের ছোবল নেমে আসতে পারে, অস্তিত্বের সংকট হ'তে পারে, অকালে মৃত্যু হ'তে পারে ঝলমলে আলোর মাঝেও।

কিন্তু, এই আলো অন্ধকার পৃথিবীতে যখন তমসার ওপার থেকে অর্থাৎ অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকারের ওপার থেকে অচ্ছেদ্যবর্ণ অর্থাৎ সাত রঙের সমাহার যাকে ছেদ করা যায় না, যেমন সূর্যের কিরণের মধ্যে সাত রঙকেই আলাদা আলাদা ভাবে নয় একসঙ্গে সমানভাবে পাওয়া যায় ঠিক তেমনি মহান পুরুষ যিনি, যাঁকে পুরুষোত্তম বলি, তাঁর মধ্যে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছুর, তেত্রিশ কোটি দেবদেবতার সমস্ত অংশের, দুনিয়ার বুকে সমস্ত বিষয়ের পূর্ণ জ্ঞানের সমাবেশ আছে, যা কোনও কিছু দিয়েই ছেদ করা যায় না। সেই মহান পুরুষ বা পুরুষোত্তম ইষ্টপ্রতীকে অর্থাৎ মঙ্গলের সংকেত বা চিহ্ন নিয়ে মানুষের মাঝে মানুষ রূপে আবিভুর্ত হন। অর্থাৎ যাঁকে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা বা নিরাকার ঈশ্বর বলি সেই তিনি যখন স্বয়ং মানুষের রূপ ধ'রে মানুষ মায়ের গর্ভে নেমে আসেন, নেমে আসেন তাঁরই সৃষ্ট ষঢ় রিপু তাড়িত বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে আচ্ছন্ন মানুষকে সরাসরি সামনা সামনি বাঁচাতে ও বেড়ে ওঠার সঠিক পথ দেখিয়ে দিয়ে বাঁচা-বাড়ার সেই পথে চালিত করার জন্য তখন তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধি, আচরণকে আশ্রয় ক'রে এক ও একমাত্র তাঁরই উপাসনা করতে হয়। অর্থাৎ তাঁর পূজা, আরাধনা ও প্রার্থনা করতে হয়। আমাদের মনুষ্য রূপী উন্নত জীবেদের তাঁকেই শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান সহকারে পূজা করতে হয় অর্থাৎ তাঁর গুণাবলীকে আনন্দের সাথে নিজের জীবনে, নিজের চরিত্রে অভ্যর্থনা জানাতে হয়, গেঁথে নিতে হয়।

তাই আসুন, আমরা অজ্ঞানতার অন্ধকারে আর ঘুমিয়ে না থেকে এবার জেগে উঠি, তাঁর দিকে এগিয়ে যাই। আমরা যেন সেই রক্ত মাংসের এক ও অদ্বিতীয় জীবন্ত সৃষ্টিকর্তার দিকে এগিয়ে যাই, একমাত্র তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করি। আমার জীবনের যা কিছু কথা ও কর্ম তাঁর উদ্দেশ্যেই যেন নিবেদন করি। তিনিই একমাত্র সর্ব্বজ্ঞ, তিনিই একমাত্র নিখুঁত, তিনিই একমাত্র নির্ভুল!!!! বাকী সব ভুল ও অসম্পূর্ণ।

আসুন, আর সময় নষ্ট না ক'রে সর্বদা, অবিরাম, অনবরত, নিবিড়, অবকাশশূন্য হ'য়ে একভাবে সেই এক ও অদ্বিতীয় জীবন্ত ঈশ্বর রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভূ ও ঠাকুর রামকৃষ্ণের নবরূপ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র জীবন্ত ঈশ্বরকে জীবনে গ্রহণ করি, তাঁকে ভালোবেসে তাঁকে যেন জানতে পারি ও নিশ্চিন্তে অকুতোভয়ে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা মুক্ত হ'য়ে আলো ঝলমলে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারি হাতে হাত রেখে দুই ভাইয়ে অকাল মৃত্যুকে জয় ক'রে। যা কোনও রাজনৈতিক মহাপুরুষ, রাজনৈতিক দর্শন রোগ, শোক, গ্রহ, দোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতা থেকে মুক্ত করতে পারবে না।

তাই, সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ৪র্থ পুরুষ সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীআচার্যদেবের বিরুদ্ধে যারা বিষোদ্গার করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, কোনও কথা বলার আগে ভেবে বলুন, জেনে বলুন, যদি কিছু বলার থাকে একবার সরাসরি এসে সাক্ষাতে বলুন। নতুবা গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। সবকিছুর জবাব সময় দেয়। সময় সবসে বড়া বলবান। আজ এই পর্যন্ত। জয়গুরু। নমস্কার।

Saturday, February 15, 2025

প্রবন্ধঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি। বিষয়, বাংলাদেশ।

আমেরিকা সফরকালে  ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি  এবং বাংলাদেশিদের প্রতিক্রিয়া।

 
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু'জনের পাশাপাশি অবস্থানকালে ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন। কি সেই প্রশ্ন ছিল এবং সেই প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি বলেছিলেন এবং নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই প্রশ্ন নিপুণ ডিপ্লোমেটিক স্টাইলে ঠেলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে। ভারতীয় সাংবাদিক আর কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ পেল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জবাব দিলেন আপন স্বভাবসিদ্ধ উপস্থিত বুদ্ধিতে নমনীয় ভঙ্গিতে। সাংবাদিকের ধুরন্দর প্রশ্নের উত্তরে সাপও মরলো কিন্তু লাঠিও ভাঙলো না। উভয় দেশের ও উভয় রাষ্ট্রপ্রধানের পারস্পরিক সম্মান ও মজবুত সুসম্পর্ক অটুট রইলো। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পৌঁছে গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধ'রে ভারতের "সত্যমেব জয়তে, যার অর্থ হল সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী" মেসেজ।  
 
আসুন এই বিষয় আলোচনা করি। সাংবাদিকের প্রশ্ন ও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উত্তর প্রথমে পড়ে নিই। পরে বিশ্লেষণ সহযোগে আমার মতামত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আপনারাও আপনাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরবেন কমেন্ট বক্সে। পারস্পরিক মতামত বিনিময়ে আসুন আমরা সমৃদ্ধ হ'ই।  

ভারতীয় সাংবাদিক মিস্টার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তরে বলেছেনঃ না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি ভারতে এটা নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টির উত্তর দিতে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’, পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ট্রাম্প।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর উত্তরে বলেন, যাঁহা তক রুশ আউর ইউক্রেন কি বিচ কা লড়াই কা সওয়াল হ্যাঁয় মুঝে খুশী হ্যাঁয় কি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নে শান্তিকা প্রয়াসো কা ইনিসিটিভ লেতে হুয়ে রাষ্ট্রপতি পুতিন সে বাত কি। দুনিয়া কি এক সোচ রহি হ্যাঁয় কি ভারত নিউট্রাল হ্যাঁয়। ভারত নিউট্রাল নেহি হ্যাঁয়। ভারত কা আপনা পক্ষ হ্যাঁয়। আউড় ভারত কা পক্ষ হ্যাঁয় শান্তি। 

এই নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হ'য়ে যায় নানা মতামত। কটুক্তির ঝড় ব'য়ে যায় বাংলাদেশে।আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুইং বলে নাকি সরাসরি বোল্ড হ'য়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কোন উত্তর দেননি। এড়িয়ে গেছেন। কোনও উত্তর না দিয়ে তিনি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। আসুন এই নিয়ে একটা দু'টো কমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক।

কমেন্টঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারতের হিন্দুত্ববাদী মুশরিকের দালাল তাগুদ। এরা হিন্দুদের তাঁবেদারি করে নিজেদের কে বিক্রি করে দিয়ে হিন্দু হয়ে গেছে।
ভারত বাংলাদেশের পাশের দেশ। এখানে পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। ভারত ও মোদিকে বাংলাদেশের জনগন প্রাধান্য দেয় না। দেবেও না।

উত্তরঃ "এখানে পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রেখে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক।"----কমেন্টের মধ্যে এইটা ঠিক কথা বলেছিলেন যিনি কমেন্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু আবার বললেন, "ভারত ও মোদিকে বাংলাদেশের জনগন প্রাধান্য দেয়না। দেবেও না।"----এই কথার মধ্যে একটা চাপা পড়া রাগ আর ঘৃণা ঝ'রে পড়লো। তাহ'লে 'ভারত পাশের দেশ ব'লে' যে স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা তুলে ধরেছিলেন, সুন্দর দিকটা প্রকাশ করেছিলেন সেই স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার মধ্যে "হিন্দুদের তাঁবেদারি, প্রাধান্য দেয়না, দেবেও না" ইত্যাদি অস্বাভাবিক অপ্রীতিকর অসুন্দর কথা এসে পড়ায় স্বাভাবিক ও সত্য কথাটা ও সুন্দর দিকটা নষ্ট হ'য়ে গেল। একটা অকারণ অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি ক'রে দিলেন কমেন্টদাতা। তাহ'লে আমার জিজ্ঞাস্য কমেন্টদাতার স্বাভাবিক ও সত্য কথা এবং সুন্দর দিকটার আর কি মূল্য রইলো? মূল্য রইলো কি? রইলো না। সৌন্দর্য কি অক্ষুণ্ণ রইলো? রইলো না।
তাই, এরকম কমেন্ট যারা করেন তাদের জিজ্ঞাস্য, ১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বর্বোরোচিত, নারকীয় অত্যাচারের হাত থেকে অবশিষ্ট নাগরিকদের বাঁচাতে, পাকিস্তানী দরিন্দাদের দ্বারা বলাৎকার হওয়ার পর নৃশংস হত্যার হাত থেকে অবশিষ্ট মা-বোনেদের রক্ষা করতে, বাংলাদেশকে স্বাধীন হ'তে All out যে সাহায্য করেছিল সেটা আপনারা অস্বীকার করেন? সেদিন কি বাংলাদেশের জনগণ হিন্দুদের তাঁবেদারি ক'রে দেশ স্বাধীন করেছিল? নাকি সেদিন ভারত মুসলিমদের বা হিন্দুদের দেশ ছিল?

কমেন্টঃ আমি বুঝতে পারছি না প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ নিয়ে আর মোদি বলছে রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে।

উত্তরঃ আপনি ঠিক বলেছেন, বুঝতে না পারার কথা। কারণ একটা কথা আছে, সমঝদারকে লিয়ে ইশারা কাফি হোতা হ্যাঁয়।
একটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আর আম আদমির মধ্যে আকাশ পাতাল, স্বর্গ নরক তফাৎ আছে। একটা রাষ্ট্রপ্রধানের ওপর নির্ভর করে তাঁর দেশের সার্ব্বিক উন্নতি ও নিরাপত্তা, সৃষ্টি ও ধ্বংস। দেশটা রাষ্ট্রপ্রধানের পৈতৃক সম্পত্তি না যে, তাঁর মর্জিমতো, ইচ্ছামতো খোয়াইশ পূরণ করবেন রি-সেট বাটন টিপে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলেছেন তার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন যেখানে লুকিয়ে আছে উভয় দেশের উন্নতি ও মঙ্গল। রাশিয়া-ইউক্রেণের যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা ইউক্রেনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। দেশটার ও দেশের জনগণের বর্তমান অবস্থাটা কি একবার চোখকান খুলে তলিয়ে দেখুন। তাহ'লেই বুঝতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি কি বলতে চেয়েছেন।
একটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে, দেশের স্থিরতা ও শান্তি বজায় রাখতে কতটা Diplomatic finesse (ফিনেস), sharpness, cleverness, skill-এর প্রয়োজন, উস্কানিমূলক কথাবার্তার বিরুদ্ধে এবং যে কোনও বিষয়ে কথা বলার ব্যালান্স প্রয়োজন, ধৈর্য শক্তি, সহ্য শক্তির প্রয়োজন সেটা দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। বুঝতে হ'লে নিজের দেশটার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকাতে হয়। বাংলাদেশের মানুষদের অনুরোধ করবো যারা নিজের দেশটার সর্ব্বনাশ চান না, তারা নিজের দেশটার অতীত ইতিহাস ও বর্তমান জানুন। আর, দু'টো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যখন কোনও স্পর্শকাতর বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তখন তারা জানেন, অন্যদের সাথে আচরণ করার ক্ষেত্রে নিজের সূক্ষ্মতা দেখাতে হবে। দেশের আম জনতা যা ইচ্ছা তাই বলতে পারে, বলতে পারে বিরোধীদের উস্কানিমূলক কথাবার্তায় প্রভাবিত হ'য়ে, কিন্তু দেশের প্রধানকে মনে রাখতে হয়, মাথায় রাখতে হয় সে আম ভাঙাচোরা 
আদমি নয়।   
বাংলাদেশে অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরের দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা, অশান্তির আগুন জ্বালানো, রি-সেট বাটন টিপে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার সীমাহীন মুর্খামি, ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ছিন্ন করার বালখিল্য হুমকি দেওয়া শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আপাদমস্তক তফাতটা বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং প্রকৃত শান্তির মেসেজ দিয়েছেন শান্তির কোনও কাজ না করা খোসামুদিতে পাওয়া শান্তির পুরষ্কার প্রাপককে। ভারত, বাংলাদেশ, ইউক্রেণ, রাশিয়া, আমেরিকা সহ সবদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সাধারণ মানুষ এটা বুঝতে পারলেই সবার মঙ্গল। নতুবা সবার শেষের সেদিন ভয়ংকর।

একজন বাংলাদেশী মন্তব্য করেছেন, মোদিকে বাংলাদেশ নিয়ে বলতে বললেন ট্রাম্প কিন্তু মোদি টানলেন ইউক্রেণ প্রসঙ্গ।

আমার উত্তরঃ বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নটা কে কা'কে করেছিল? ভারতীয় সাংবাদিক কি প্রশ্নটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে করেছিল? নাকি প্রশ্নটা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে করেছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক? ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্নটা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রশ্নটা কি ছিল? প্রশ্নটা ছিল, "বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

প্রশ্নের উত্তরে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, "না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি ভারতে এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টি উত্তর দিতে  আমি (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’। 

ভারতীয় সাংবাদিক সরাসরি বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পট পরিবর্তনের সঙ্গে আমেরিকার ডিপ স্টেটের জড়িত থাকার কথা বলেছেন, বলেছেন বাইডেন প্রশাসনের জড়িত থাকার কথা। প্রশ্নের উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ডিপ স্টেটের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন। এবং আর কোনও কথা না ব'লে এই অস্বস্তিকর প্রশ্নকে এড়িয়ে চলে যান এবং সুকৌশলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে প্রশ্নটা চাপিয়ে দেন। একই বলে Diplomatic finesse (ফিনেস), Diplomatic skill অর্থাৎ
কূটনৈতিক সূক্ষ্মতা, কূটনৈতিক পটুত্ব, How to handle a situation effectively.  কোনো পরিস্থিতি সুকৌশলে মোকাবিলা কিভাবে করতে হয় সেটা দেখালেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এক্ষেত্রে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের উত্তরটা কি হওয়া উচিৎ ছিল? বাংলাদেশের ২০২৪-এর জুলাই-আগষ্ট-এর অস্থিরতার সময় ইউনুস কোথায় ছিলেন? আমেরিকায়। একজন গুণী মানুষ ১৪৫টি পুরষ্কার পাওয়া, নোবেল পুরষ্কার সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৯টি শান্তির পুরষ্কার পাওয়া, ভারত থেকে ১০টি পুরষ্কার পাওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি ডক্টরেট উপাধি পাওয়া মানুষ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক কাজের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ ক'রে নিয়ে যাওয়া হ'তো বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিখ্যাত বিশ্বের মহান বাঙালি পুরুষ ডাঃ মহম্মদ ইউনুসকে pseudo politics-এর ছত্রছায়ায় pseudo student movement-এর মধ্যে দিয়ে অবৈধ উপায়ে দেশের ক্ষমতার চেয়ারে বসতে হ'লো বহিঃশক্তির সহায়তায় ও আভ্যন্তরীণ পিছন থেকে সুতোর টানের পুতুল প্রশাসক হ'য়ে!
ইউনুস আমেরিকায় বসে একটা দেশের সরকারী কোটা আন্দোলনের ছদ্ম ছাত্র রাজনীতির সাহায্যে দেশের আপামর ছাত্রদের পিঠে চড়ে দেশের নির্বাচিত সরকার ও সরকারের প্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত ক'রে অবৈধভাবে অনৈতিক উপায়ে পিছন দরজা দিয়ে সেই দেশের প্রধান হ'য়ে বসেছেন এবং রি-সেট বাটন টিপে সমস্ত অতীত মুছে দিচ্ছেন নিপুণ হাতে। হাসিনার দেশ ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকা থেকে এসে দেশের প্রধান উপদেষ্টা হয়েই ইউনুস শান্তির নোবেল পুরষ্কার হাতে নিয়ে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেশটাকে অস্থির ক'রে ধ্বংসস্তুপে পরিণত ক'রেন এবং বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণকে ভারত বিদ্বেষী ক'রে তোলেন ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন। তাহ'লে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার উপযুক্ত কে ছিলেন? আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? তাহ'লে কেন বলা হচ্ছে মোদিকে বাংলাদেশ নিয়ে বলতে বললেন ট্রাম্প, আর মোদি টানলেন ইউক্রেণ ইস্যু? কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত মানুষের চরিত্র! 
 
একজন কমেন্ট করেছেন, "আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইঙ্গিতে মোদি কোন উত্তর দেননি, মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।"

উত্তরঃ আপনাকে বলি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে গভীর অর্থবহ উত্তর দিয়েছেন তা' আপনি বুঝতে পারেননি। কিংবা বুঝতে চাননি বা বুঝেও না বোঝার ভাব করেছেন। ভুলে যাবেন না, ভারত একটা ১৪০ কোটির বিশাল দেশ। যার কাছে আমেরিকা জনসংখ্যার দিক থেকে শিশু। সেই ১৪৫কোটির বেশি বিশাল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আর একটি জনসংখ্যার বিচারে শিশু মাত্র ৩৩কোটি ১৪লক্ষের কিছু বেশী জনসংখ্যার সম্মানীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সামনে কি উত্তর দেওয়া উচিৎ যাতে ১৪৫ কোটির বেশী জনসংখ্যার দেশ ভারতের সম্মান, ইজ্জৎ রক্ষা পায় সেটা ভারতের যোগ্য, দক্ষ, কৃতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি জানেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ইংগিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট তাঁর উত্তরের মধ্যে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ও বাংলাদেশে অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরের দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা, অশান্তির আগুন জ্বালানো, রি-সেট বাটন টিপে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার সীমাহীন মুর্খামি, ভারতের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রপন্থীদের তাতিয়ে দেওয়া, উসকে দেওয়া এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে ছিন্ন করার বালখিল্য হুমকি দেওয়া, শান্তির জন্য কোনও কিছু না ক'রে খোয়ামুদিতে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনুসকে ও ইউনুসের বাংলাদেশকে সহ সমগ্র বিশ্বকে কি ইঙ্গিত দিলেন সেটা ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউনুস আর বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা সহ সমগ্র বিশ্বের মহাভীষ্মরা বুঝতে পেরেছেন। সহজ সরল সাধারণ আম আদমীর পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। দেশের সাধারণ মানুষ, আম আদমী যত তাড়াতাড়ি শিক্ষিত ও সচেতন হ'য়ে উঠবে, চোখকান খোলা রাখবে তত তাড়াতাড়ি সেই দেশের উন্নতি ও মঙ্গল আসবে, এটা সুনিশ্চিত। 

তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মধ্যে ও উভয় দেশের সহজ সরল সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনকি ইউক্রেণ-রাশিয়ার মধ্যে এবং বিশ্বের সমস্ত দেশ সহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশ আমেরিকার জন্য সুদূর প্রসারী কি মঙ্গল লুকিয়ে আছে আসুন আমরা সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। কথায় আছে,
knowledge is wealth and no other wealth is wealth. As the saying goes, knowledge rules the world. "Ignorance is the curse of God; knowledge is the wing wherewith we fly to heaven.” জ্ঞান হল সম্পদ এবং অন্য কোন সম্পদ সম্পদ নয়। কথায় আছে, জ্ঞান পৃথিবীকে শাসন করে। "অজ্ঞতা ঈশ্বরের অভিশাপ; জ্ঞান হল ডানা যা দিয়ে আমরা স্বর্গে উড়ে যাই। 

তাই বলি, হে সহজ সরল সাধারণ মানুষ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইংগিতপূর্ণ স্পষ্ট কথার উত্তর যদি কেউ না বুঝতে পারে তাহ'লে তাদের জন্য শেষের সেদিন ভয়ংকর। নমস্কার। জয়গুরু।

উপলব্ধিঃ ইষ্ট ও ইষ্টভৃতি।

যদিও গুরু একমাত্র স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর আর কেউই নয়। আর জীবন্ত ঈশ্বর হলেন শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বর্তমান সর্ব্বশেষ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

তথাপি যদি তোমার কোনও গুরু থাকে, কোনও আধ্যাত্মিক গুরু থাকে তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব তুমি নিও, তোমার যা ক্ষমতা থাকে তা' থেকে যৎসামান্য হ'লেও তাঁকে কিছু দিও। কিন্তু সাবধান! তাই বলে সেই দানকে ইষ্টভৃতির সমতুল্য বা ইষ্টভৃতি মনে ক'রো না। ইষ্ট কেউ নয়। ইষ্ট একমাত্র প্রভু রামচন্দ্র থেকে প্রভু অনুকূলচন্দ্র। এছাড়া আর কেউ নয়। ইষ্টভৃতি একমাত্র শুধু জীবন্ত ইষ্ট অর্থাৎ জীবন্ত ঈশ্বরের জন্য করা যায়। ইষ্টভৃতি গ্রহণ মানে তোমার জন্মজন্মান্তরের পাপ গ্রহণ। যা' কোনও মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জীবন্ত ইষ্ট বা ঈশ্বর তোমার জন্মজন্মান্তের পাপ গ্রহণ করছে তোমার ইষ্টভৃতির অছিলায়।

আর, ইষ্টভৃতি শুধু ইষ্টস্থানে পাঠিও; অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট এক ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ'-এ শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট একমাত্র 'ফিলান্থ্রফি' অফিসে পাঠিও, অন্য কোনও স্থানে বা কোথাও কোনও ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত একাউন্টে পাঠিও না। সাবধান সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেরা।
 

Thursday, February 13, 2025

বিচিত্রা ৯৮

বড়লোক চিরকাল যেমন বড়লোক, 
তেমনি গরীব চিরকাল গরীব! 
ঠিক তেমনি তরুণ প্রজন্ম 
চিরকাল আন্দোলনজীবীর দাবার বোড়ে, 
আর, নেতা চিরকাল রাজনেতা
তরুণ প্রজন্মের কোলে চড়ে!!

রাজনীতির ময়দানে কালকের নবীন প্রজন্ম 
আজকের পোড় খাওয়া প্রবীণ। 
সেই প্রবীণের হাতের খেলার পুতুল তুমি 
মনে রেখো আজকের নবীন!!

কলি যুগে আন্দোলন আন্দোলনজীবীদের 
আয়ের ও ক্ষমতা দখলের উপকরণ! 
সাবধান তরুণ প্রজন্ম!! 
লতান স্বভাবে বৃক্ষ রূপ 
সর্ব্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ কে জড়িয়ে ধরো
নইলে জেনো এদের হাতে নিশ্চিত মরণ।
( লেখা ১৩ই ফেব্রুয়ারি'২০২১)




















































বিচিত্রা ৯৭

ভুল হ'য়ে যাচ্ছে সব,
ভুলে যাচ্ছি সব খালি!
ভুল হ'য়ে যাক সব, 
যাক সব মন ভুলি; 
তোমার দয়া চাইগো প্রভু
শুধু তোমায় যেন না ভুলি!!

আসুক মহাপ্রলয়,
ধ্বংস হ'ক ঈশ্বর আর ধর্মের নামে 
যত কপটতার আলয়;
চূর্ণ হ'ক বেইমানের বেইমানী,
হ'ক অকৃতজ্ঞতার ক্ষয়।

নেবে আসুক ঘোর আঁধার,
প্রবল বিক্রমে আছড়ে পড়ুক পবন;
আর একবার ছাকনিতে ছেঁকে নাও 
প্রভু তোমার ভবন।

আসছে একটা নতুন যুগ, নতুন সময়! 
মহাপ্রলয়ে ভেসে যাবে সব, 
হবে সমূহ ক্ষতি, হবে মহাক্ষয়!! 
আস্তিক পাবে না ছাড়,
নাস্তিকের নেই ভয়!!!

আস্তিক নিজেকে প্রশ্ন করুক
সে আস্তিক কিনা, জয়ন্ত।
নাস্তিকের ভয় কিসের?
নাস্তিক জানে সে নাস্তিক
আর, ঈশ্বর জানে, 
ঈশ্বরের সঙ্গে বেইমানী 
করেছে কে বা কারা।
বন্ধু জয়ন্ত, হ'য়ো না দিকভ্রান্ত।
(লেখা ১৩ই ফেব্রুয়ারী' ২০১৮)

মানুষ সরল বোঝার উপায় কি?
সোজা কথা সোজা ভাবে বলে
আর, আবেগপ্রবণ ভীষণ মিষ্টি!!

ভালোবাসলেই তাকে কাছে পেতে হবে, 
ভালোবাসা হতে হবে শরীরী!?
এমন ভালোবাসায় নেই ভালো বাসা, 
নেই অপেক্ষায় কোনও শবরী!
আমি রই পথ চেয়ে তোমারি!!
( লেখা ১৩ই ফেব্রুয়ারী' ২০১৯)

বন্ধু! ক'রো না দুঃখ! ক'রো না মনস্তাপ!
দয়ালের কাজ এসো করি মিলেমিশে
দিন যায়, যায় কেটে রাত
জীবন যাবে ফুরিয়ে নিমেষে
এসো ধরো, রাখো হাতে

বন্ধু! সূর্য ডুবলেই দিন শেষ!
নেবে আসে রাত!
ক্ষণিকের এই জীবন হয় শেষ; 
তাই শৈশব থেকে বার্ধক্যের শেষ দিন পর্যন্ত 
থাকো দয়ালের সাথ!
( লেখা ১৩ই ফেব্রুয়ারী' ২০২০)
















































































































































































































উপলব্ধি।

Who am I to forgive someone? Only God forgives. And, God only forgives when the offender repents. I do not pray for peace for myself, I pray for the peace of others, then only my peace. Because then only God resides in the heart.---Prabi.

আমি কে কাউকে ক্ষমা করার? ক্ষমা করেন একমাত্র ঈশ্বর। আর, ঈশ্বর তখনই ক্ষমা করেন যখন অপরাধী অনুতপ্ত হয়। আমি আমার জন্য শান্তির প্রার্থনা করি না, অন্যের শান্তির প্রার্থনা করি, তবেই আমার শান্তি। কারণ তখনই একমাত্র ঈশ্বর হৃদয়ে অবস্থান করেন।----প্রবি।


Wednesday, February 12, 2025

বিচিত্রা ৯৬

কাউকে ভালোবাসি কিনা জানি না 
তবে তোমায় আমি খুব ভালোবাসি!
আমার জীবনের চেয়েও বেশী 
অনেক বেশী ভালোবাসি!!
কে তুমি!?


মানুষ জটিল বোঝার উপায় কি?
মনের মাঝে বারেবারে এই প্রশ্ন দেয় উঁকি!
কথায়-বার্তায়, গল্প-উপন্যাসে-কবিতায়,
ছবিতে-সিনেমায় সহজ কথার জটিল উপস্থিতি!
( ১২ই ফেব্রুয়ারী'২০১৯)

এসো ভাই!
সূর্য পশ্চিমে হেলছে নিজেকে পাল্টাই! 
নিয়তি তোমায় আমায় নিয়ে খেলছে; 
নিয়তিকে তার পানে টেনে নিয়ে যেতে 
তোমায় দিও না তাই!!

বন্ধু!
মনকে দিও না প্রশ্রয় 
তোমাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলার! 
বিবেকের ধরো হাত ফিরে চলো নিজ নিকেতন 
সময় নেই হেলাফেলার!!
(১২ই ফেব্রুয়ারী'২০২০)




































































বিচিত্রা ৯৫

চির উপেক্ষিত তোমার চলনবলন 
ক্ষম তুমি আমারে, হে 'দানিয়া'।
শেষ সময়ে হ’ই যেন আরোহী 
তোমারি রথেতে চড়িয়া।

জড়ায়ে জড়ায়ে মন যাতনারে 
পারি না ফিরিতে আর প্রহরে প্রহরে
তোমারি করিয়া তুলিবো আমারে 
তব চলনের মালা জড়ায়ে।

যদি এই পথ বন্ধু,
অবশেষে করলেই অনুসরণ,
তবে বৃথা কেন
অপমান অপবাদ দিলে অনুক্ষণ!?


ভালো পথ, ভালো কথা লাগে 
প্রথমে কুপথ আর কুকথা।
অযথা দিয়ে গালাগালি 
ফিরে আসো সেই পথে ফিরে, 
গাধা যেমন খায় জল 
অবশেষে ঘোলা করে।

বিভেদ সৃষ্টি ক'রে দিয়ে বন্ধু, 
করছো গুরুর কাজ, তুলছো জয়ধ্বনি!
গুরু কিন্তু তোর নয়রে বেকুব, 
নয়রে গাধা, মণি!!

কেন্দ্রের পিছনে লাগিয়ে ফেউ করছো ঘেউ ঘেউ!
আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা বলেছেন কিন্তু,
শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর;
মনে রেখো, থাকবে না পাশে কেউ!!

পিছন থেকে উসকে দিয়ে বন্ধু, 
নিজেকে বলছো মিঃ ক্লিন, 
ভাব দেখাচ্ছো উদাসীন! 
ভাবছো সাথী তোমার হবে দিশেহারা, 
হবে ক্ষীণ প্রতিদিন!?

দন্ধ করে মন্দ লোকে
ধান্ধা করার তরে!
ধান্ধা শেষে বান্দা আমার
অন্ধ হ'য়ে মরে!! 
বান্দার ধান্ধা থাক জিন্দা!!
( ১২ই ফেব্রুয়ারী'২০১৮)

আমি ভালো নেই! কেন ভালো নেই!?
আমার দোষে নেই?
নাকি অন্যের দোষে!?
গোলকধাঁধায় ঘুরে মরি 
হারিয়ে জীবনের খেই!

আমি ভালো থাকি আর না থাকি 
তুমি, তোমরা সবাই ভালো থেকো।
একটাই অনুরোধ, ভালো থেকো আর 
সবাইকে ভালো রেখো।
তুমিও থাকবে ভালো, দেখো!

তোমার যে করেছে ক্ষতি 
তুমি তার ক্ষতি চেও না।
ঈশ্বর সব দেখছেন, ধৈর্য ধরো, 
বিচার তুমি করতে যেও না।
তিনি আছেন একথা ভুলে যেও না।
( ১২ই ফেব্রুয়ারী'২০১৯)


























































































Monday, February 10, 2025

উপলব্ধিঃ স্বগতোক্তি।

আমার প্রিয়জন আজ এটা আমাকে পাঠিয়েছিল শুভ সকাল জানিয়ে। তাকে শুভ সকাল জানিয়ে এটা পড়ে মনের মধ্যে যা ভেসে এলো তাই স্বগতোক্তি করলাম।

আমি কাঁদবো কি হাসবো কার বাপের কি? আমি কারও খাই, না পড়ি যে কারো তোয়াক্কো করবো? আমি যৌবন থেকে এই বয়স পর্যন্ত অনেক কেঁদেছি, প্রকাশ্যে কেঁদেছি একটু সাহায্যের জন্য, না, আমার লজ্জা করেনি। লজ্জা কেন করবে? আমি তো আমার সঙ্গীসাথী, প্রিয় ও পরিচিতজনদের অকপট ভালোবাসতাম। বিলিয়ে দিয়েছিলাম আমার যৌবন, আমার জীবন, জীবনকে বাজি রেখে। নিঃশর্তে তুলে নিয়েছিলাম নিজের কাঁধে অন্যের বোঝা, সিঁড়ি হ'য়েছিলাম প্রত্যেকের জীবনের যারা যারা আমার সংস্পর্শে এসেছিল, আর আজও যারা আসে। কঠিন সেইদিনগুলির কথা মনে পড়লে চোখের কোণা খচখচ ক'রে ওঠে, ভিজে যায়, নীরবে ঝাপসা হ'য়ে আসে দৃষ্টি। যাকে ভালোবাসি তার কাছে সাহায্য চাইতে লজ্জা লাগবে কেন? তবে কোনওদিন কারও কাছে টাকাপয়সা সাহায্য চাইনি। চাইতে হয়নি পরমদয়ালের দয়ায়। কঠিন আর্থিক মুহূর্তগুলি কেমন রহস্যজনকভাবে পার হ'য়ে গেছে। আজও তা' রহস্য। কেউ হাত বাড়িয়ে দেয়নি্ একটু উঠে দাঁড়াবার, সামান্য সহানুভূতিটুকু দেখায়নি অকারণ কষ্টের সেই দিনগুলিতে কেউ, হাতি গাড্ডায় পড়লে যেমন হয় তেমনি আরো ভেঙে দিতে চেয়েছে শরীরে-মনে সেই সমস্যার দিনগুলিতে, কিন্তু কেউ ভাঙতে পেরেছি কি? পারেনি, আরো শক্তিমান করেছে। আমি আমার শিক্ষা, ক্রীড়া, ধর্ম, রাজনীতি, অভিনয়, চাকরী ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রের উদ্দাম অপ্রতিরোধ্য যৌবনের দিনগুলি থেকে আজ এই বয়স পর্যন্ত আমার কাঁদার যারা কারণ হ'য়ে ছিল, তারা আজ অনেকেই বেঁচে নেই, অনেকেই আছে, আমি তাদের প্রত্যেকের খবর রাখি, খবর পাই। মনে পড়ে প্রত্যেকের মুখ, প্রত্যেকের সাথে সু'দিন ও দুর্দিনের মুহূর্তগুলির। 

মনে পড়ে পিছন থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ছুরি মারার প্রত্যেকের প্রতিটি মুহুর্ত। যাদের জন্যই সিঁড়ি হয়েছিলাম নিঃশর্তে সেই ছোটোবেলা থেকে আজ এই বয়স পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে, শিক্ষা, ক্রীড়া, ধর্ম, রাজনীতি, অভিনয়, চাকরী ইত্যাদি ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে সহপাঠী, ক্রীড়াসঙ্গী, গুরুভাই, সহযোদ্ধা, সহশিল্পী, সহকর্মী, বন্ধু প্রত্যকের জন্য শ্রীশ্রীঠাকুরের "ছোটোকে বড় করও, বড়কে আরও বড় করো" দর্শনের ছাত্র হ'য়ে সেইখানেই পদাঘাতে ফেলে দিয়েছে সেই সিঁড়ি----যে সিঁড়ি দিয়ে এসেছে উঠে উপরে----কাজ ফুরিয়ে যাওয়ার পরমুহুর্তে, দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছে। অথচ কারও সঙ্গে ছিল না, আজও নেই আমার কোনও বৈরিতা। কোনওদিনও কার সঙ্গে হয়নি আমার কলহ, বচসা। যখনই দেখেছি সবাইকে ছেড়ে দিয়েছিলাম এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা নিজেকে পিছনে সরিয়ে এনে। প্রতিযোগিতা, লড়াই আমার চির অপ্রিয়। প্রত্যেকের জন্য আমার দয়ালের কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করি, মঙ্গল কামনা করি।
যারা আজ নেই, আর যারা আছে তাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তোমরা আমাকে ভেঙে দিয়েছো আমি আবার উঠে দাঁড়িয়েছি। বারবার ভেঙে দিতে চেয়েছো আর ভেঙে দিয়েও ভেঙে দিতে পারোনি, নিজেরাই ভেঙে চুড়মার হ'য়ে হয় চলে গেছো নতুবা আজও আছো বেঁচে। আমি আছি, আজও বেঁচে আছি সেই ৭০ দশকের বাপি একইরকমভাবে টানটান হ'য়ে আকাশের দিকে মাথা উঁচু ক'রে শরীরে-মনে-আত্মায় পরমাত্মায় মিলিত হবো ব'লে আর তোমাদের দেখবো বলে। আজ আমার ৭০বছর বয়স, আমি বুড়ো হ'য়ে যাইনি, আমি ৭০বছরের এক যুবক। আমি দেখতে চাই, সেদিন কে ঠিক ছিল আমি না আমার বিগত দিনগুলির সঙ্গীসাথী ও পরিচিতজনেরা।
কারণ I am spring of might.

যারা আজও বেঁচে আছো আমার উদ্দাম যৌবন ও প্রৌঢ়ত্বের দিনের সঙ্গীসাথী, পরিচিতজনেরা তোমরাও শক্তির তনয়, এসো আমার সাথে সর্বশক্তিমানের সাথে মিলিত হ'ই। তিনি যে তোমার আমার সবার অপেক্ষায় ব'সে আছেন, হাত বাড়িয়ে দিয়ে ডাকছেন, আয়, আয়, আয়।
( লেখা ১১ই ফেব্রুয়ারী' ২০২৪)

উপলব্ধিঃ সৎসঙ্গ বিরোধীদের প্রতি,

ধর্মের খেমটার তলায় ল্যান্টা নাচ দেখা অভ্যস্ত লোকেদের নটরাজের তান্ডব নৃত্য ভালো লাগবে না। কার্বাইড পাকা আম খেয়ে খেয়ে পচা মুখে কি আর গাছপাকা আমের স্বাদ ভালো লাগে? লাগে না। কি আর করা যাবে? এ আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এমন একটা নটরাজের নৃত্য ও গাছপাকা আম আমাদের পচা চোখে ও মুখে এসে পড়লো। আসুন, ওয়াক থু ক'রে ফেলে দিয়ে বদ্ধ পচা খাল দিয়ে ব'য়ে যাওয়া মদের ফ্যাক্টরির বর্জ্য মিশ্রিত গঙ্গার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিই ও মুখটা কুল্কুচি ক'রে নিয়ে আকাশে বাতাসে নাগিনীদের ফেলা বিষাক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিয়ে বাঁচি ও পরিবারের সবাইকে বাঁচায়।



বিচিত্রা ৯৪

সুরার গ্লাসে তুলছো সুর
চুমুকে চুমুকে রাতদুপুর
কবিতার বুকে আনতে প্রাণ!
কলমের ডগায় বিপ্লবী গান
অকারণ বাঁধছ ছুঁড়ে শব্দবাণ;
নারীর গাঁয়ে টানছো ছড়া,
তুলছো খালি কামুক তান।

পরাণ আমার যায় হারিয়ে
তোমার হিয়ার মাঝে,
সেথায় বাঁধবো আমি ঘর
গাইবো চলন পূজার গান 
তোমার চলন সাজে সেজে।
এই দিও আমায় বর।
( লেখা ১২ই ফেব্রুয়ারূ' ২০১৮)

এক তো বাঁশের ওপর বাঁশ
পাশে আবার কঞ্চি দড়!
তারপর মাথার ওপর ছোটো পা রেখে 
দাঁড়িয়ে বলে দ্যাখ আমি তোর চেয়ে বড়!!

জনগণ কি চায়? জনগণ চায় সুড়সুড়ি!?
জনগণকে যে বা যে দল যত সুড়সুড়ি দিতে পারবে 
সে বা সেই দল ক্ষমতায় আসীন হবেই হবে!

সমস্যার গভীরে যেও না ভাই,
গভীরে গিয়ে কাজ নাই, লাভও নাই!
ধরো তক্তা মারো পেরেক আর 
কেবল সুড়সুড়ি আর সুড়সুড়ি 
জনগণে দিয়ে যাও ভাই!

নেতা যা চায় তাই-ই হয়!
যে নেতার ঘুমপাড়ানি গান আর 
শরীর ঝাঁখুনি যত মধুর ও মসৃণ 
জনগণ তাতেই মজায়!!

দেশ জুড়ে বইছে তীব্র বেগে নতুন ভাইরাস! 
ইন্টেলেকচুয়াল ভাইরাস!!
ভাইরাস ইনফেকশনে আক্রান্ত 
আমজনতার মস্তিষ্ক!!!
( লেকা ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২০)




















 

Sunday, February 9, 2025

বিচিত্রা ৯৩

জানলাম অনেক, দেখলাম অনেক, বুঝলাম অনেক
কিন্তু করলাম না! সময় হারিয়ে গেলো, স্রোতে ভাসিয়ে নিলো,
তাই অন্ধকার ঘুচলো না!!

চলন ধরিতে দিয়ো গো আমারে, 
দিয়ো না, দিয়ো না ভুলায়ে;
জনম জনম সুখ দুঃখ দিয়ে 
বক্ষে ধরিব জড়ায়ে।

অতল ভূতল অজ্ঞতার ভার
বহিয়া বহিয়া ফিরি কত আর.....
তব চলনের ফুলে গেঁথে নেবো হার
দিয়ো না আমারে ফিরায়ে।।.
( লেখা ৯ই ফেব্রুয়ারী' ২০১৮ )

কি যে লিখি, কি যে বলি, ভাবি কি
আর করি কি কিছু বুঝি না!
মনের ঘরে ঢুকে নিয়ে গেল সব লুটে
কে সে? তাই জানি না!কি যে লিখি, কি যে বলি, 
ভাবি কিআর করি কি কিছু বুঝি না!
মনের ঘরে ঢুকে নিয়ে গেল সব লুটে
কে সে? তাই জানি না!
( লেখা ৯ই ফেব্রুয়ারী' ২০১৯ )



















































Friday, February 7, 2025

উপলব্ধিঃ বোকার গু।

বোকার গু তিন জায়গায় লাগে মানে, পথ চলতে চলতে হঠাৎ পায়ে কিছু লেগে যাওয়ায় বোকা পা তুলে দেখলো পায়ে কি লেগেছে! দেখলো পায়ে গু লেগেছে তবুও বোকা বুঝতে পারলো না কি লেগেছে! তাই পায়ে লাগা গু হাত দিয়ে দেখলো! তবুও বুঝলো না পায়ে গু লেগেছে! তাই বোকা তখন হাতে লাগা গু গন্ধ শুঁকে দেখবার জন্য হাত নাকের কাছে নিয়ে গেল শুঁকে দেখবার জন্য। আর তার ফলে লেগে গেল গু নাকে। তাহ'লে বোকার গু ক'জায়গায় লাগল? প্রথমে লাগলো গু পায়ে, তারপর লাগলো হাতে আর শেষে লাগলো নাকে!!!! এই হ'লো বোকার গু তিন জায়গায় লাগা। আমি বলি, বোকার গু চার জায়গায় লাগে! সে কেমন? এ বক্তব্যের যে বা যারা উদাহরণ তাদের মধ্যে বিশ্বসেরা বোকা সে যে বা যারা তিন জায়গার বদলে গু চার জায়গায় লাগায়। সেটা কেমন? যেমন, গু লেগেছে পায়ে তাতেও বোঝেনি, গুয়ের গন্ধ লাগেনি নাকে; তারপর হাতে গু লাগিয়েও বোঝেনি ও গন্ধ পায়নি! আর তাই নাক দিয়ে শুঁকে দেখতে গেছে আসলে কি লেগেছে পায়ে! আর তারপরেই গুয়ের গন্ধে লাফ দিয়ে বলে উঠেছে, ওয়াক শালা! গুউউউউ!!!!!!!!! আর তারপরেই তাড়াতাড়ি হাত মাথায় মুছে নিল হাত পরিষ্কার করার জন্যে!!!! এই হ'লো বিশ্বসেরা বোকার গু চার জায়গায় লাগা!
( লেখা ৭ই ফেব্রুয়ারী'২০২৪)

বিচিত্রা ৯২

আপনি কোন বাঙালি? 
হিন্দু ? মুসলিম? নাকি খ্রীষ্টান বাঙালি? 
ঘটি বাঙালি নাকি বাঙাল বাঙালি? 
বাঙালি সব হারিয়ে শুধুই কাঙালি!

বাঙালির মহানতা কিসে? 
বেইমানী আর অকৃতজ্ঞতার বিষে।

এমন কেউ কি আছেন প্রথিতযশা বাঙালি, 
যার সাথে কাঙালি বাঙালি করেনি ছেনালি?
বলতে পারেন?

যেদিকেই যাই শুধু দেখি তাই,
যাকে বলে মন্দ কাজের সায়! 
অবাক! বন্ধু অবাক!!
ভালো কাজের পৃষ্ঠপোষক নাই!!!

বাঙালি করে শালা খালি আংলি 
মুরোদ নেই রক্তে, জল মেশানো তাতে! 
পরনির্ভরশীল জাত, খায় মাছভাত; 
চায় থাকতে দুধেভাতে!!

ভালো কাজ করেছো কি মরেছো বন্ধু! 
ধরেছো সাপের ল্যাজ!
অবাক হ'য়ে দেখবে শালা
কপালে ঘাম বিন্দু বিন্দু
ঢোঁড়া সাপেরও কি ত্যাজ!!

অকারণ লেগে যায় শালা ফোন
দিনে রাতে যার তার সাথে।
অতি প্রগতিই দুর্গতি
আর লোকে ভাবে দুর্মতি! 
কি যে করি আসে না কিছু মাথে।

কে তুমি? যে স্বর্গ পৃথিবীকে
ভীত সন্ত্রস্ত ক'রে তুলছো?
শয়তান কিল্বিস?
জেনো হবেই তুমি ফিনিস
আজ নয়তো কাল।
মনে রেখো এসেছে মহাকাল
তোমারে বধিবে বলে,
আর, দু'দিনের তরে তুমি নিচ্ছো শ্বাস।
( লেখা ৭ই ফেব্রুয়ারী'২০২৪)




















Thursday, February 6, 2025

কবিতাঃ দৃষ্টি হারায়।

পাহাড় যদি দয়ালের কাছে না আসে
তবে দয়াল পাহাড়ের কাছে যায়।
তবুও পাহাড় চিনতে পারে না দয়ালকে;
কারণ সে পাহাড়, এই সূক্ষ্ম অহংকার তাঁরে খায়।
এই সূক্ষ্ম অহংকার সেদিন শেল হ'য়ে বিঁধে বুকে
যেদিন জীবন পরপারে যাবার ঘাটে এসে দাঁড়ায়।
দেখে সেই দয়াল এসে দাঁড়িয়েছে ঘাটে বটে
কিন্তু তাঁর হাত ধরার কালে পাহাড় দৃষ্টি হারায়।
( ৬ই ফেব্রুয়ারী' ২০২৪-২৫)


Wednesday, February 5, 2025

প্রবন্ধঃ আলোচনার টেবিল ( ১ ) বিষয়ঃ লোক সমাগম

জন্ম মহোৎসবে লক্ষ লক্ষ লোক সমাগম।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেখতে পাচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে 'সৎসঙ্গ'-এর প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম জন্ম মহোৎসবে লক্ষ লক্ষ লোক সমাগম নিয়ে নানা মন্তব্য ক'রে চলেছেন। কেউ কেউ সরাসরি কটু আক্রমণ করছেন, আবার ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী কেউ কেউ বা ঘুরিয়ে সৎসঙ্গের ব্যাপ্তির বিরুদ্ধে তাদের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন গানে, কবিতায়, বক্তৃতায়। আবার সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ধর্মের পতাকার তলায় অবস্থানকারী কোনও কোনও ব্যক্তি এমনকি সনাতন ধর্মের স্বঘোষিত প্রবক্তারা বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই সৎসঙ্গ ও শ্রীশ্রীঠাকুর সম্পর্কে এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্ম মহোৎসবে, ধর্মানুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ লোকের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগমে গাত্রদাহ প্রকট ক'রে মুখে যা আসছে তাই বলে যাচ্ছেন, কখনো কখনো বা কেউ কেউ সৎসঙ্গী সেজে। এদের সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন আকারে আমার বক্তব্য আমি তুলে ধরলাম। বক্তব্য পড়লেই প্রশ্নগুলোর মধ্যে দিয়েই পাঠক বুঝতে পারবে সৎসঙ্গ- এর প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে এদের মনোভাব কি, এরা কি বলছে।
১) এরা কি সৎসঙ্গী?
২) এরা কি ক'রে জানলো কানে কি মন্ত্র নিচ্ছে?
৩) রাধাস্বামী অর্থ কি?
৪) হরি অর্থ কি?
৫) হরিকে তাড়িয়ে দিচ্ছে, কৃষ্ণকে মানে না মানে কি?
৬) লোক সমাগম এরা কি আটকাতে পারবে?
৭) লোক সমাগম ক'রে কি লাভ সেটা কি কোনও নেগেটিভ মানসিকতার লোক বুঝতে পাররে?
৮) লোক সমাগমে কি এদের গাত্রদাহ হচ্ছে?
৯) লোক সমাগমে এদের কি আপত্তি আছে?

১০) এই সমাগম কি স্বতস্বেচ্ছ সমাগম নাকি বলপ্রয়োগে সমাগম?

১১) ভারতবর্ষকে অবতার বা ভগবান বানানোর ফ্যাক্টরিতে পরিণত করার হাত থেকে কি করলে রক্ষা করা যাবে ইনারা বলতে পারেন?

১২) কোনও এক মহাপুরুষ তাঁর মতবাদের তীব্র প্রচার আন্দোলনের মাধ্যমে গোটা পৃথিবী থেকে ভগবান উচ্ছেদে নেমেছিলেন, সফল হ'য়েছিলেন? ভারতেও কোনও কোনও রাজ্যে তাঁর মতবাদের প্রভাব পড়েছিল তার রেজাল্ট কি? কেন হয়নি? কোথাও ত্রুটি আছে কি? কেন ধর্মের বিষ বাষ্প থেকে অসহায় ধর্ম ও ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষকে বাঁচাতে পারেনি? ধর্ম ও ঈশ্বরের মোহজাল থেকে কেন মানুষকে বের ক'রে আনা যাচ্ছে না? এর জন্য কে বা কারা বা কি দায়ী? কি করলে এর থেকে মুক্তির পথ পাওয়া যাবে তার দিশা দেখাতে পারবে কি এই মতবাদ বা মতবাদের আন্দোলনের উত্তরসূরিরা?

১৩) ভারতকে ভগবান বানানোর ফ্যাক্টরি থেকে বাঁচাতে দেশীয় মশলায় তৈরী কোনও মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে কি ভারতে? আছে কি কোনও মতবাদের স্রষ্টা ভারতে যিনি তাঁর মতবাদ, জীবন দর্শন দিয়ে নানা ভাষা, নানামত, নানা পরিধানে আশ্রিত সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে এই ভগবান বানানোর ভয়ংকর ফ্যাক্টরির হাত থেকে বাঁচাতে পথ দেখাবে ও পরিচালনা করবে?

১৪) নকল ভগবানকে নিয়ে নাচানাচির ফলে লোকসানের হাত থেকে সমস্ত সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বাচ্চা থেকে প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাঁচাতে ও লাভের পথ দেখাতে এবং এই সর্বনাশা নকল ভগবানের হাত থেকে রক্ষা করতে কোনও উদ্যোগ নেবেন কি তারা? নাকি ফেসবুকে লিখেই গায়ের ঝাল মেটাবেন? নকল ভগবান আর আসল ভগবান কে ঠিক ক'রে দেবে? 'ঠগ বাঁচতে গা উজাড়' প্রবাদ তো সত্য হ'য়ে যাবে নাকি?

১৫) হরিনামের ব্যবসা তো চলে আসছে হাজার হাজার বছর ধ'রে তা' কেউ পেরেছে নাকি এই ব্যবসা বন্ধ করতে? মানুষের ভালো করার নামে তথাকথিত ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, রাজশক্তি কি পেরেছে এই ব্যবসা বন্ধ করতে বা উচ্ছেদ করতে? কেন পারেনি? কেন পারছে না? কোথায় ত্রুটি? কেন বুদ্ধিজীবীদের কথা গ্রাহ্য করছে না মানুষ? কেন তাঁদের কথা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতন, বা উলুবনে মুক্তো ছড়ানো বা অরণ্যে রোদন প্রবাদের জ্বলন্ত উদাহরণ হ'য়ে দাঁড়াচ্ছে? এই হরিনামের ব্যবসা বন্ধ করার কি উদ্যোগ নিয়েছেন বিরোধীরা? নাকি এরকম মাঝে মাঝে যেখানে সেখানে আলটপকা বিরুদ্ধ মন্তব্য ক'রে তথাকথিত বিপ্লবের দায় সেরেছেন?

১৬) আসল ভগবানের সন্ধান দেবেন কি সৎসঙ্গ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরোধীরা যার জন্য আমরা সবাই দল-মত-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মিলেমিশে লাভের নাচানাচি করবো?

যাই হ'ক, নকল ভগবানের নাচানাচি ও হরিনামের ব্যবসা বন্ধ করার, সম্প্রদায় নির্বিশেষে বৈশিষ্ঠানুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার, মানুষের বেড়ে ওঠার সঠিক ও নিখুঁত পথ ও তুক ধর্ম ও ঈশ্বর বিরোধী মতবাদেরা এবং সৎসঙ্গ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরোধী ধর্ম-ঈশ্বর-বিজ্ঞান-রাজনীতি ইত্যাদি সমস্ত প্ল্যাটফর্মের কট্টর সমালোচকরা জানতে পারলেই আমাদের সৎসঙ্গীদের জানাবেন আমরা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি সৎসঙ্গীরা আপনাদের পাশে থাকবো। বিশ্বজুড়ে আছে কোন মতবাদ? আছেন কোনও মহাপুরুষ? তর্ক, গালাগালি, ঝগড়া, বিবাদ, সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসা, অপমান, অশ্রদ্ধা, কটুক্তি নয়, আসুন যুক্তি-বিজ্ঞানের ওপর দাঁড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জীবন দর্শন, জীবনবাদ, অস্তিত্ববাদকে খন্ডন করুন আর পাশাপাশি আপনাদের 'মতবাদ ও মতবাদের স্রষ্টাকে তুলে ধরুন।

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। 
(লেখা ৬ই ফেব্রুয়ারী'২০২৪)

Tuesday, February 4, 2025

কবিতাঃ ভালো বাসা।

প্রেম-ভালোবাসা ভরা যে বাসা তাই-ই ভালো বাসা।
আছে সেথা প্রাণ, আছে আনন্দ, সুখ-শান্তি খাসা।
আলোময়-রূপময়-মধুময়-রসময় সেথা জীবন
প্রেমময় বিরাজে সেথা লভি অনন্ত যৌবন।
এটাই সত্য, এটাই জীবন, এটাই জীবন দর্শন।
এতেই আনন্দ, এতেই মহত্ব, এতেই জীবন বর্ধন!
এতেই আরাম, এতেই বিরাম, এতেই আশ্বস্ততা।
এতেই শান্তি, এতেই স্বস্তি, এতেই জীবনের সার্থকতা।
বাকী সব আর যা কিছু আছে জীবনের চারিপাশে
অলীক মায়ার ফাঁদ পাতা আছে নানা রঙে, নানা ছাঁদে।
ধর্ম-অর্থ-মান-যশ-শিক্ষা রাজনীতি ইত্যাদি আছে যত
বিষয় জগত মাঝে, খুঁজে নিতে হবে তোমাকেই
যা আছে তোমার চারিপাশে সত্য-মিথ্যা সাজে।
(লেখা ৫ই ফেব্রুয়ারী'২০২৪)

Sunday, February 2, 2025

বিচিত্রা ৯১

ইষ্টের দয়া পেতে চাও তুমি?
বুকে হাত দিয়ে বলো
কি করেছো তুমি ইষ্টের জন্য?
বৃত্তি স্বার্থের ধান্দা নিয়ে বেড়াও ছুটে
তাঁকে ভুলে দিনরাত হ'য়ে হন্যে।

ইষ্ট তোমার আয়ের উপকরণ!
আর অন্যের সুখ শান্তি করছো অপহরণ!!
এর পরেও বলছো তুমি ধ'রে আছো ইষ্টের চরণ!?
ধার তুমি ধারো না তাঁর চলন!
তাই বৃত্তি স্বার্থে বুঁদ হ'য়ে শেষে
মরণকেই করছো তুমি বরণ!!

ঠাকুর মানো আর কাউকে মানো না;
চরণ জানো তাঁর চলন জানো না।
তাঁর চরণ পূজায় মগ্ন হ'য়ে করো
তাঁর সাথে অন্তহীন ছলনা!
তাই ঠাকুর ছাড়া ঠাকুর আত্মজও মানো না!!

তুমি না গুরুভাই, ইষ্টের পূজারী! 
তবে কেন বাধা দাও ইষ্টকাজে হ'য়ে আনাড়ি!? 
ইষ্ট ছেড়ে অনিষ্টের সাথে করলে ভাব, 
জেনো ইষ্টের সাথে হয় আড়ি!

ইষ্ট তোমার আছেন চেয়ে 
তোমার মুখের পানে, 
অহরহ তোমার বলছে কানে কানে- 
শুনতে কি তুমি পাও?
বৃত্তি স্বার্থের ধান্দায় কেন মগ্ন হ'য়ে ধাও?

ইষ্টের মানুষ হ'য়েও তুমি
কেন কেবল বৃত্তির ফানুস ওড়াও?
আর, ইষ্টের চরণে টাকা ঢেলে
বুঝি পারের কড়ি কিনে নাও?
দাঁড়াও! দাঁড়াও!!
থমকে একটু দাঁড়াও!!!

ইষ্ট পূজার শুধু তুমিই পুরোহিত!?
তুমিই ধারক-বাহক!?
বাকীরা সব বানের জলে ভেসে আসা
নপুংসক?
জেনো আর মনে রেখো
তারা সব ইষ্টপূজার কাঠবিড়ালি
আর কিছু না-হোক।

বুঝলে গুরুভাই!
বাবাইদাদা যার সাথী
হাজার বল তার হাতির!!
ঠাকুর মাথায় নিয়ে সে জ্বালবে, 
জ্বলবে যেন ঝাড়বাতি!!!

কেন্দ্র মানছো না, নির্দেশ মানছো না,
মানছো না বাবাইদাদার আশীর্বাদ;
নিচ্ছো নিজের মতো সিদ্ধান্ত!
কেন্দ্র বিরোধীতার বীজ বপন ক'রে
বলছো, মানুষকে আমরা করছি বিভ্রান্ত!?
( লেখা ২রা ফেব্রুয়ারী'২০১৮)























কবিতাঃ হ'য়ো না বিস্মৃত।

মাঝে মাঝে ভাবি, যদি এমন হয় কখনও
তুমি আছো আমি নেই আর আমি আছি তুমি নেই!
ভেসে যাবো কোন সুদূরে কুল কিনারাহীন মহাসাগরে
হারিয়ে জীবনের খেই!!
চারিদিকে উড়ছে হাজারো ফানুস, মিথ্যের ফানুস
আকাশে বাতাসে উড়ছে, ওড়াচ্ছে মানুষ!
বাজছে চতুর্দিকে মিথ্যে মায়ায় ঘেরা মোহন বাঁশী,
আনন্দে উল্লাসে অট্টহাস্যে মাতাল হাওয়ায়
বাজাচ্ছে শয়তান মিষ্টি হাসি হাসি।
মানুষকে মানুষ ঠকাচ্ছে, করছে প্রতারণা
মানুষকে আমরা করছি অহর্নিশ বিভ্রান্ত।
ঈশ্বর অবিশ্বাসী, নাস্তিক করছে যা'
আমরা ঈশ্বর বিশ্বাসীরাও করছি তা'।
ঈশ্বর পূজা, আরাধনার নামে ভক্ত সেজে
ঈশ্বর বিরোধিতার বীজ ক'রে বপন
নিজেরাই নিজেদের করছি সর্বস্বান্ত!
হে ঈশ্বর পূজারী ভন্ড ভক্ত, সাজা সাধু, সন্ন্যাসী
মনে রেখো, হ'য়ো না বিস্মৃত
শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ংকর ভয়াল বিনাশী!!!
( লেখা ২রা ফেব্রুয়ারী'২০২৪)

Saturday, February 1, 2025

কবিতাঃ পদচিহ্ন।

আজকাল মাঝে মাঝে মনে হয়, কে যেন ডাকছে!
মন তা চায় না 
 জানতে, চায় না সে ডাক শুনতে।
তবুও কেন জানি মনে হয়, দ্রুত ছুটে আসে সে সময়
মনে জাগে বড় ভয় পারি না তা কেন জানি গুনতে!
যদি সত্যি আসে সে সময় মেনে নিতেই হবে তা
মনে জাগে ভয়, এছাড়া নেই পথ ভিন্ন! 
খেদ আর আফসোস, রেখে যেতে পারলাম না
শেষে কোনও পদচিহ্ন!!
(লেখা ১লা ফেব্রুয়ারী' ২০১৯)

বিচিত্রা ৯০

ইষ্টপ্রেমের অছিলায় অনিষ্টের সাথে 
করেছো প্রেম, বেসেছো তুমি ভালো। 
তাই তো অন্যের ভালো কাজের মাঝে 
দেখতে পাও তুমি কালো!!

ইষ্টরথের দড়ি ধ'রে মারছো বন্ধু
তুমি হ্যাঁচকা টান!
সাবধান! বন্ধু সাবধান!!
নচেৎ হবেই হবে খানখান!!!

মাথার ওপর আছে্ন দয়াল 
আমার আচার্যদেব সাথে; 
আচার্যদেব বাবাইদাদা রেখেছেন তাঁর হাত 
অধমের এই হাতে! 
ভয় কি বন্ধু আর দুর্যোগের এই রাতে!!

ঠাকুর আমার ধ্যান, 
জেনো ঠাকুর আমার জ্ঞান, 
আমার ঠাকুর আছেন মাথে! 
আচার্যদেব বাবাইদাদা যার সহায়, 
আছে যার সায়!
ভয় কি আর তার থাকে?

সামাল! বন্ধু সামাল!
ইষ্টনিষ্ঠার তুফান ছুটিয়ে ইষ্টকাজে দিচ্ছ বাধা, 
করছো তুমি কামাল। 
শেষের দিনে থাকবে না কেউ পাশে,
বন্ধু, ধরবে না কেউ হাল!

ইষ্টও আছে আবার শয়তানও আছে; 
একই মাথায় দুটোই আছে! 
তাও কি আবার হয়? 
ভাঁওতা দিয়ে ভক্তির গাঁইতি মারো!
করছো নিজেই নিজের ক্ষয়!
( লেখা ১লা ফেব্রুয়ারী' ২০১৮)

সত্য অপ্রিয়। এটা প্রবাদ। জানতাম।
কিন্তু কাদের কাছে?
সত্যের পূজারীদের কাছে! জানলাম।
( লেখা ১লা ফেব্রুয়ারী' ২০২৪)