:- রাজ্যের সব পুজো মণ্ডপকে 'নো এন্ট্রি' জোন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
:- প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। কোনও মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। কোনও মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে ১০ মিটার।
:- করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মণ্ডপে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। মণ্ডপে শুধুমাত্র পুজো কমিটির সদস্যরা ঢুকতে পারবেন। 'ছোটো মণ্ডপে ১৫ জন সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ ২৫।"
এই সিদ্ধান্ত আগে জানালেই তো পারতো আদালত! তখন ক্লাব কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ এবং জনগণ সর্বোপরি সরকার আদালতের রায় নিয়ে পর্যালোচনা করতো! জনগণ মানসিকভাবে তৈরি হ'তো। সিদ্ধান্ত নিত! আদালতও লেট লতিফ!? পুজো মণ্ডপ সেজে উঠেছে, মুখমন্ত্রী ৫০হাজার টাকা ক'রে প্রতি (?) ক্লাবকে দিয়েছেন তারপরে আদালতের টনক নড়লো!? এর নাম আদালত!? যাক আদালতের নির্দেশ মেনে চলাটাই জনগণের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য! তবে এই পোড়া বাংলায় বাংলার পোড়া মুখ দেখতে অভ্যস্ত মানুষ দেখা যাক কি করে, কেমন মেনে চলে আদালতের রায়! পুরীর রথযাত্রা নিয়ে আদালত রথযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর কেমন পরবর্তীতে আদালত ডিগবাজি খেয়েছিল তা গোটা ভারত তথা বিশ্ব দেখেছে! পুরীর ক্ষেত্রে এক রায় আর ভারতের অন্য অঞ্চলের রথযাত্রা নিয়ে আর একরকম রায় অর্থাৎ নিষেধের রায় মানুষ দেখেছে! তাও আবার শীর্ষ আদালত! আদালতকে কে শেখাবে!?
তাই আদালতের রায়কেও এখন আর জনগণ তেমন ভয় পায় না বা তেমন আমল দেয় না! যদি তার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্কের গন্ধ থাকে তাহলে তো হয়েই গেল; সবটাই অরণ্যের রোদনে পরিণত হয়; কারণ রাজত্ব জঙ্গলের!!!! কবে আমরা আর ম্যাচিউর হবো!? কে আমাদের অভিভাবক হবে রাজ্যে, দেশে!? জনগণের কথা বাদ দিলাম কিন্তু জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তা, মন্ত্রী, রাজ্যের প্রধান, রাজ্যের গুণী সম্প্রদায় সবাই ভাঙাচোরা!? গোটা মানুষ একটাও নেই দেশে!? রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্তম্ভ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ ও সংবাদ মাধ্যমের কোথাও একটা গোটা মানুষ নেই!? সব, সবাই ভাঙাচোরা!? এমনকি ধর্মজগতেও!? তাই ব'লে লাভ নেই কোনো।
অতএব স্বাগতম! সবকিছুই স্বাগতম!!!!
( লেখা ২০শে অক্টোবর' ২০২০)
No comments:
Post a Comment