সুধীবৃন্দ,
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেশের তিনজন সম্মানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দুপুরের আহারের জন্য বসেছেন। এদের মধ্যে একজন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহজী আছেন। তাঁদের সামনে সুন্দর ক'রে সাজানো রয়েছে ভাতের থালা। আর থালার চারপাশে গোল ক'রে রয়েছে দুই সারিতে পরপর সাজানো তরকারির বাটি। কতগুলো বাটি রয়েছে তা গুণে দেখা অসম্ভব। প্রায় ৪০টা তরকারির বাটি। ছবি দেখে মনে হচ্ছে নেতারা এই আয়োজন দেখে একটু চিন্তিত ও দ্বিধাগ্রস্ত।
আর, এই ছবিতে লেখা রয়েছে, এটাই ভারতের সংস্কৃতি!
এই যদি ভারতের সংস্কৃতি হয় তাহ'লে এই সংস্কৃতি থেকে দেশের কোটি কোটি মানুষ লাভ পাচ্ছেন তো, বঞ্চিত হচ্ছেন না তো ? যদি বঞ্চিত হ'য়ে থাকে তখন কোথায় থাকে ভারতের এই বালখিল্য সংস্কৃতি? কে বলেছে এই সংস্কৃতি ভারতের সংস্কৃতি? যারা এই ছবি পোস্ট করেছেন তারা কি উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট করেছেন, জানি না। যদি ব্যঙ্গাত্মক অর্থে পোষ্ট হ'য়ে থাকে তাহ'লে পাশাপাশি ভারতের প্রকৃত সংস্কৃতি তুলে ধরা হ'ক। নতুবা বন্ধ হ'ক এই বালখিল্য জ্ঞান? আগে, 'আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখায়' উপদেশ নিজের চরিত্রে, নিজের জীবনে উদাহরণ হ'য়ে উঠুক তারপর দেখা যাবে।
আর, এই সংস্কৃতি যদি ভারতের সংস্কৃতি হয়েই থাকে তাহ'লে কি এই সংস্কৃতি এখানে যাঁরা বসে আছেন তাঁদের ঘরে মানা হয়? এনারা এটা মানবে তো? এনাদের থালার চারপাশে ওগুলি কি? এত খাবার ইনারা খাবেন তো নাকি উচ্ছিষ্ট খাবার প্রসাদ ক'রে দেবেন এলাকার গরীবদের জন্য? নাকি ডাস্টবিনে জায়গা হবে এই সংস্কৃতির?
যাই হ'ক, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা খাবার পায় তো? নাকি থালায় দেখেনি তো সাজানো ভাতের থালা? কোনটা? আচছা আমরা তাদের কথা ছেড়ে দিলাম, যারা আয়োজন করেছে তাদের ছাড়া (তাদেরও সবার ঘরে এই আয়োজন নেই) সেই অঞ্চলের ক'জন ভাগ্যবান এই আয়োজন, বাস্তবে ছেড়ে দিলাম, স্বপ্নেও দেখেছে?
এর থেকে বালখিল্য সংস্কৃতি ছেড়ে আসুন বালখিল্য ধর্মজগতের মানুষজনের মতো হরি নামের মাহাত্ম্য না বুঝে চার অক্ষরের মত মেতে থাকি, বুঁদ হ'য়ে থাকি। যদি মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment