কেউ কেউ বলছেন, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই কেক কাটা অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি শ্রীশ্রীঠাকুর যে আর্য্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারক বাহক তার একেবারে বিপরীত সংস্কৃতি। এই সব পাশ্চাত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য শ্রীশ্রীঠাকুর বিধান দিয়ে যান নি তাই এই সংস্কৃতি বর্জনীয়। এভাবেই বিকৃতি জন্ম নেয়। ভাবের ঘোরে সৎসঙ্গে আমরা এমন কিছু কাজ করি যা অনেক সময়ই বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়!!! তাই ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গীদের আবেদন, সৎসঙ্গে সৎসঙ্গী প্রজ্ঞাবান মানুষ নিশ্চয়ই আছে যারা এই কাজকে কোনোভাবেই ঠাকুরের ভাবধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে করবেন না।
এই নিয়ে বিতর্ক এমন জায়গায় চলে যায় যে সৎসঙ্গীরা একে অপরকে জ্ঞান দেবেন না, আমরা সপরিবারে সৎসঙ্গী, কেউ বা নিজেকে স্বস্ত্যয়নী ব্রতধারী সৎসঙ্গী উল্লেখ করে বিতর্ককে আরো উসকে দিচ্ছেন। কেউ বা অতি উৎসাহে এই কেক কাটার তীব্র বিরোধীতা ক'রে নিজেকে আচার্যদেবের খুবই ঘনিষ্ঠ উল্লেখ করে বলছেন, যান আমার নাম নিয়ে আচার্যদেবকে বলুন। আবার পরমুহুর্তে বলছেন, আচার্যদেব এই কেক কাটা সংস্কৃতি অনুমোদন করলে আমি মানবো এই কেক কাটা অনুষ্ঠান।
কেক কাটা বিষয়ে দীর্ঘ কমেন্টে বিরোধীতার ঝড় তুলে পরমূহুর্তে আবার আমি স্বল্প জ্ঞানী, আমি ঋত্ত্বিক নই বলে কমেন্ট করছে অনেকেই। আচ্ছা, ঋত্বিক হলেই সব জানবেন? কেউ কেউ শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশিকা সম্পর্কে বলছেন কিন্তু সেই নির্দেশিকা কি তা তুলে ধরছেন না। নির্দেশিকাটা তুলে ধ'রে এই কেক কাটার সঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশিকাটা কি তুলনামূলক আলোচনা করলে সমস্ত পাঠকের কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়। বিতর্কের সুষ্ঠ অবসান ঘটে। নতুবা শুধুই বকোয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সেই রাস্তায় কেউ হাঁটছেন না, হাঁটবেন না, হাঁটতে চান না। শুধু নোতুন কিছু দেখলেই তার পিছনে আপাদমস্তক যতই লজিক থাকুক তা' না ভেবেই, বিশ্লেষণ না করেই, বিষয়ের গভীরতা অনুধাবন না করেই উপলব্ধিহীন ভিত্তিহীন অর্থহীন মন্তব্যের ঝড় তুলে, কখনও ঠাকুরের বলা কথাকে প্রয়োগ ক'রে জোর ক'রে যৌক্তিক ক'রে তুলে ধ'রে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোতুন বিষয়কে ঘেঁটে দেওয়ার একটা অসুস্থ প্রবণতা তীব্র হ'য়ে দেখা দিয়েছে আমাদের সৎসঙ্গীদের। প্রচলিত যে কোনও বিষয় থেকে একটু সরে এসে সময়োচিত আধুনিক নোতুন কিছু দেখলেই শুরু হ'য়ে যাচ্ছে তীব্র বিরোধী মানসিকতা সম্পন্ন ইষ্টপ্রাণতার বহির্প্রকাশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আর্য্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারক বাহক তাই এইসমস্ত স্রোতের বিপরীত নোতুন কিছু চলবে না, গ্রহণ যোগ্য নয়।
এই প্রবণতা দেখা দিয়েছিল শ্রীশ্রীঠাকুরের দেহ রাখার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধীদের, যা আজও বহমান। সেই নোতুন কিছুর বিরোধীতার ট্রাডিশান এখন দেখা দিয়েছে মূল সৎসঙ্গীদের মধ্যে।
শ্রীশ্রীঠাকুরের আর্য্যকৃষ্টি, আর্য সংস্কৃতি এইসব কথা শুধু মুখে নামমাত্র ব'লে ফেসবুকে অকারণ বিতর্কের ঝড় তুলে বিরোধীতা সৃষ্টি না করে আর্য কৃষ্টি ও আর্য্য সংস্কৃতির কি পরিচয় তা' তুলে ধরা যেতে পারে। আর্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতির রূপ কি তা' বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে তুলনামূলক আলোচনা করা যেতে পারে, তা'তে সৎসঙ্গীরা উপকৃত হবে। পাশ্চ্যত্য সংস্কৃতি মানেই তা খারাপ ও পরিত্যাজ্য? জন্মদিনে কেক কাটার রীতিটা কেন সমর্থন যোগ্য নয় তার একটা যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ ক'রে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করলে মানুষের বুঝতে সুবিধা হয়। কেক কাটার রীতি পাশ্চাত্য রীতি তাই সেটা খারাপ এটাই একমাত্র স্ট্রং লজিক? তাই তা' পালন করা যাসবে না? এছাড়া পালন না করার স্বপক্ষে কোনও লজিক থাকবে না? আর বহু পাশ্চাত্য রীতি তো আমাদের কালচারে মিশে গেছে তার সবটাই খারাপ? আমাদের বহু রীতিও তো পাশাত্য সংস্কৃতির অন্তভুক্ত হয়েছে তাহ'লে সেগুলিও তারা বলবে প্রাচ্য সংস্কৃতি তাই তা' গ্রহণ করা যাবে না, খারাপ। এতটাই সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী? তাও আবার সৎসঙ্গীদের? দেওঘরে কোনও দিনই হয়নি তাই আর কোথাও হ'তে পারবে না? ভালো জিনিস প্রথমে দেওঘরে যদি না হয় তাহ'লে কোথাও করা যাবে না? ভালো জিনিস কেউ কোথাও করলে তা দেওঘরে যদি প্রথমে না হয় তাহ'লে তা দেওঘর অনুমোদন করবে না? এমন কোনও বিধি নিষেধ আছে ঠাকুরবাড়ি থেকে? তাহ'লে কেন শুধু শুধু কথায় কথায় 'ঠাকুরবাড়িতে হয়েছে?' আচার্যদেব অনুমোদন করেছে? এই কথাগুলি আসে? এর মধ্যেও কেন জোর ক'রে অকারণ আচার্য বিরোধীতার গন্ধ খুঁজে বের করা হয়?
বিতর্কিত বিষয় ঠাকুরকে নিয়ে সৎসঙ্গীরাই শুরু করেছে ঠাকুরের দেহ রূপে থাকার সময় থেকে। এখন মূল ধারার সৎসঙ্গীদের মধ্যে যে কোনও নোতুন বিষয় নিয়ে সৎসঙ্গীরা বিতর্ক তুলে দেয়, বিতর্ক তুলে দিয়ে জল ঘোলা ক'রে দিয়ে পরে আচার্যদেবের নির্দেশ মেনে নেবার কথা তোলে। তা' এতটাই যখন আমরা আচার্যপ্রাণ তখন আচার্যদেবের নির্দেশ মেনে আমরা মন্দিরে কেন্দ্রে ঠিক ঠিক চলি তো? আচার্যদেবের নির্দেশ মেনে আমরা ঠাকুরকে মুখ্য ক'রে জীবন গড়ে তুলেছি ও তুলছি তো? শ্রীশ্রীআচার্যদেব আর কোনটা কোনটা অনুমোদন করবেন? আজ পর্যন্ত যতগুলি অনুমোদন করেছেন সেগুলি ঠিক ঠিক পালন হয়েছে ও হচ্ছে সমস্ত মন্দির আর কেন্দ্রগুলিতে কিংবা নিজ নিজ ব্যক্তিগত জীবনে?
এই কেক কাটা নিয়ে কেউ কেউ বলছেন, এটা ঠিক, কেক দিয়ে কিন্ত ভোগ দেওয়া হয়নি। কেক কেটে ভক্তদের বিতরণ করা হয়েছে মাত্র।
কেক ভোগ হিসেবে দিলে কি ক্ষতি হ'তো আর ভোগ হিসেবে দিয়েই বা কি লাভ হয়েছে? মানুষ ভালোবেসে তার ভালো লাগার জিনিস ঠাকুরকে দেয়। কেকের মধ্যে এমন কি আছে যা ঠাকুরকে ভোগ হিসেবে দেওয়া যাবে না? যারা এই কেক কাটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন ফেসবুকে, তারা কেক অমৃত নাকি কেক বিষ, এগুলি নিয়ে বিস্তৃত যুক্তিসংগত আলোচনা থাকলে সৎসঙ্গীদের উপকার হ'তো। ঠাকুর কি সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে কুলুঙ্গিতে ফুলচন্দন ধূপধুনো দিয়ে নানা দেবদেবীর ভিড়ে শুধু ফটো ক'রে তুলে রাখার জন্য? ঠাকুরকে কি নিজের জীবন থেকে দূরে দূরে সরিয়ে রেখে ভয়ে ভয়ে নিরাপদে শুধু নিজের স্বার্থে, সন্তান, পরিবার, পরিজনের স্বার্থে পূজা করার জন্য? ঠাকুর কি অমূর্ত ভগবান, আকাশের ভগবান, বোবা মাটির ভগবান ছিলেন? তাঁর কেক খেতে নেই? নাকি শাস্ত্রে নিষেধ আছে? তা' কেন ঠাকুরের কেক খেতে নেই, কেন কেক খাওয়া নিষেধ, কেন অশাস্ত্রীয়, কেন পাপ তা লজিকের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে না? কেন ফেসবুক জুড়ে শুধু ভিত্তিহীন, অর্থহীন, ফালতু সস্তা অজ্ঞানতায় ভরা বালখিল্য ভক্তি ও কথার স্রোতে ভাসা? তাহলে ঠাকুর কি খাবে? শুধু জল আর ভাঙ্গা গুড়ো পিঁপড়ে খাওয়া বাতাসা, নকুলদানা? সেই অমূর্ত ভগবানদের প্রসাদ দেওয়ার মতো?
ঠাকুর যদি কেক খেতে না পারেন রক্তমাংসের শরীরের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তাহ'লে তো আমাদেরও খাওয়া উচিৎ নয়। তাই নয় কি? আর ঠাকুরকে কি আমিষ কেক দেওয়া হয়েছে? যা ঠাকুর খেতেন না তা' আমার খাওয়া উচিৎ নয়? বহু সৎসঙ্গী তো মাছ, মাংস, ডিম, রসুন, পেঁয়াজ, আরও কত কত কত কি যেমন জর্দা, সিগারেট, মদ ইত্যাদি ইত্যাদি খান যা ঠাকুর খেতেন না। শুধু নিজে খেতেন না তা' নয় খেতে পছন্দ করেন না এবং তাঁর এসব খাওয়ায় নিষেধ আছে, তাঁর বিধানে আছে। তা' আমরা সৎসঙ্গীরা খাই কেন? কেন আমি স্বস্ত্যয়নীব্রতধারী সৎসঙ্গী এই ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেকে সাধারণ সৎসঙ্গীদের সামনে বড় ক'রে তুলে ধরে রাজসিক এবং তামসিক নিরামিষ খায়? শ্রীশ্রীঠাকুর কি রাজসিক ও তামসিক নিরামিষ খেতেন? কেউ কেউ আমরা স্বস্ত্যয়নীধারীরা লুকিয়ে চুরিয়ে মাছ, মাংস, অ্যালকোহল গ্রহণ করি। কেউ কেউ ইষ্টপ্রাণতার ঝড় তুলে ইষ্টপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার জন্য ছুটে বেড়ায় আর, বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থেকে এমন এমন কাজ আমরা বহু সৎসঙ্গীরা করি যা ঠাকুর পছন্দ করেন না, এবং তা তিনি কঠোরভাবে নিষেধ ক'রে গেছেন। আমরা সৎসঙ্গীরা কেন তা' করি?
ঠাকুরের জন্মোৎসব এ ঋত্বিক দের কেক কাটা অনেকের ভালো লাগেনি, কারণ তাদের বক্তব্য ঋত্বিকরা ভগবান নন।
এই বক্তব্যের পিছনে লজিকটা কি একটু বুঝিয়ে বললে চোখটা খোলে। কারণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের কেক কাটা, কেক কেটে জন্মদিন পালন করা ও সেই কেক শিষ্য অনুগামীদের, উপস্থিত ভক্তমন্ডলীর মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করার মধ্যে ঋত্ত্বিকদের দোষ বা অন্যায়টা কোথায়? আর, ঋত্ত্বিকরা ভগবান নয় এটা ঠিক। কিন্তু কে বলতে পারে সমগ্র ঋত্ত্বিকদের মধ্যে একজনও ভগবান নয়? ভগবান অর্থ কি?
অনেকে বলছেন, ঠাকুরবাড়ির পরিবারের কারও জন্মদিনে কেক কাটা হয়নি। আমার জিজ্ঞাস্য কেক কাটা অনুষ্ঠান কি পাপ? ঠাকুরবাড়ির পরিবারে কোনওদিনও কেক কাটা হয়নি এ ব্যাপারে সমালোচকরা স্থির নিশ্চিত? ঠাকুরবাড়ির পরিবারের লোকেরা কি সাধারণ মানুষ নয়? সাধারণ মানুষের মত তাদের কোনও ইচ্ছা থাকতে পারে না যা অস্তিত্ববিরোধী নয়? সাধারণ জনজীবন থেকে ঠাকুর পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বিচ্ছিন্ন? নাকি আমরা নিজেরা ঠাকুরের বলা কথা পালন না করা, ঠাকুরের নিয়ম না মানা, দীক্ষা, স্বস্ত্যয়নী অর্থ কি না জানা, না মানা, অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে থাকা অতিবোদ্ধা তথাকথিত সৎসঙ্গীরা ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের একটা কড়া নিয়মের শেকলের গেড়োয় বেঁধে রেখে তাদের স্বাভাবিক সাধারণ সহজ সরল জীবন থেকে দূর ক'রে রেখে দেবো? এ তো মানসিক অত্যাচার ।
তাই বলি, নোতুন নোতুন সংযোজন তো সময়ের দাবী। এই সময়ের দাবী মেনে আগামীদিনে অনেক কিছুই হবে। তবে তা' যেন কখনই বিকৃত না হয়, বাঁচা ও বাড়ার বিরুদ্ধ না হয়। সেই নোতুনত্ব থেকে যেন জীবনবাদের, অস্তিত্ববাদের, আদর্শবাদের ও জীবন্ত আদর্শের স্মেল উবে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, জ্ঞান রাখতে হবে।
তবে বর্ত্মান ঘোর কলি যুগে কোনটা বিকৃত আর কোনটা বিকৃত নয় সেই বোধটাই হারিয়ে গেছে। তাই সুন্দরের মধ্যে মানুষ অসুন্দর দেখে আবার অসুন্দরের মধ্যে সুন্দর দেখে। তাই দেখার চোখ চাই। দেখতে গেলে চাই জ্ঞান, চাই বোধ, চাই বুদ্ধি, চাই আগ্রহ, চাই একাগ্রতা, চাই তীব্র ভালোবাসা। চাই নিরবচ্ছিন্ন নামধ্যান, নামধ্যানের প্রতি অনুরাগ। চাই শয়নে, স্বপনে, জাগরণে, চলতে, ফিরতে, কাজ করতে করতে, অফিসে, ব্যবসায়, হাটেবাজারে, বাথরুমে মুখ ধুতে, পায়খানা করতে, স্নান করতে, বেডরুমে, ভোজনে দিন শুরু থেকে রাতে ঘুমতো যাওয়া পর্যন্ত এবং ঘুমের মধ্যেও সর্ব্বক্ষণ, সবসময় তার সঙ্গে যুক্ত থাকা। আর এই যুক্ত থাকা তাঁর নামের মধ্যে দিয়ে, তাঁর নাম করার মধ্যে দিয়ে।
আর, দয়ালের ধ্বনি দিয়ে আবার কেক কাটা হচ্ছে এটাও একটা অভিযোগ। দয়ালের ধ্বনি দিয়ে কেক কাটায় অন্যায় বা দোষ কোথায়, জানি না?
"বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের জন্মদিন পালন করার পর সেই কেক নাকে মুখে মেখে একাকার করার মত যেন ঠাকুরের জন্মদিনে কেক কাটার পর সেই কেক নিয়ে যেন পরস্পরের মধ্যে তা' না করা হয় এটা খেতাল রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের। কারণ সেই কেক শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রসাদ, কেক শ্রীশ্রীঠাকুরে নিবেদিত প্রসাদ, মহাপ্রসাদ। এটা যেন সৎসঙ্গীরা মনে রাখে।
যাই হ'ক, আজ ফেসবুকের মত স্ট্রং মিডিয়ার দৌলতে আমরা অনেক কিছু ভালো মন্দ জানতে পারছি। তবে ভালো গঠনমূলক সিরিয়াস কিছু থাকলেও তা কম ও অনালোচিত ও অনালোকিত অবস্থায় পড়ে থাকে। তার কোনও পাঠক থাকে না। লাইক, লাভ ইত্যাদি সাইন আর কমেন্টের সংখ্যা তার প্রমাণ। এছাড়া একে অপরের বিরুদ্ধে সমালোচনা, গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, অপপ্রচার, অপমান, অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অপবাদ ইত্যাদির বান ডাকে ফেসবুক। আর চটজলদি হালকা বিষয়, সুড়সুড়ি দেওয়া বিষয়, উস্কানিমূলক লেখা, ছবি, ভিডিওর মজবুত প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে ফেসবুক।
এই ফেসবুকের মধ্যে দিয়েও ঠাকুরের বিরুদ্ধে আমরা অশ্লীল বাক্যবাণের প্রমাণ পেয়েছি। আর, আমরা সৎসঙ্গীরা এরকম কেক কাটার মত নোতুন কিছু বিষয় সামনে দেখতে পেলেই রে রে ক'রে ছুটে এসেছি সৎসঙ্গীর বিরুদ্ধে আর ঝাঁপিয়ে পড়েছি দলবদ্ধভাবে। আজ কোচবিহারের মন্দিরে বিশাল সৎসঙ্গী সমাবেশে কেক কাঁটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসার ফলে এটা চোখে পড়েছে। এরকম শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মদিনে, শ্রীশ্রীআচার্যদেবের জন্মদিনে এবং আমার গুরুভাইদের জন্মদিন উপলক্ষে সৎসঙ্গ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কেক কাটা অনুষ্ঠান করার জন্য তীব্র সমালোচিত, অপমানিত হয়েছি আমার ইষ্টপ্রাণ গুরুভাইবোনেদের কাছে। যেন বিরাট অন্যায় ও পাপ কাজ হ'য়ে গেছে জন্মদিনে কেক কাটা ও শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে সমবেতভাবে গুরুভাইদের জন্মদিন পালন করার জন্য। গুরুভাইবোনেদের কাছে কেক কাটা বিষয় নিয়ে বিতর্কের মতো এরকম কয়েকটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আমি পরবর্তী ভিডিওতে আপনাদের সামনে আসবো আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে। জয়গুরু।
( লেখা ২১শে সেপ্টেম্বর' ২৪)
No comments:
Post a Comment