প্রশ্নকর্তারা আমাকে আমার স্তাবক বৃত্তি নিয়ে কথা তুলেছেন আর লিখেছেন আমি ঠাকুর বাড়ির স্তাবকতা করছি! আর কারা বলছেন!? যারা বলছেন তারা নাকি ঠাকুরের দীক্ষিত ও অবিকৃত পথের অনুসারী! তাদের নাকি কারও কোনোরকম স্তাবকবৃত্তির ইচ্ছে নেই তারা তাদের পথপ্রদর্শক শ্রদ্ধেয় কাজলদা, শ্রদ্ধেয় বিবেকদা ও তাঁদের শ্রদ্ধেয় দাদাদের পক্ষে কোনও স্তাবক বৃত্তি পোষণ করেন না ও পছন্দ করেন না। তাদের কারও স্তাবক বৃত্তি আছে কি নেই সেই প্রসঙ্গে তার সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে যিনি বা যারা আমার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবেন তাদের সঙ্গে কিন্তু যাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হচ্ছে না, আলোচনা করিনি, করছি না বা করতে চাই না তাদের সঙ্গে স্তাবক বৃত্তি নিয়ে আলোচনায় আমি রাজি নই।
আমার প্রশ্নকর্তাদের কাছে আমি বলতে চাই, অন্যের হ'য়ে স্তাবক বৃত্তি, অন্যের কুৎসা, সমালোচনা আপনাদের থাকতে পারে আমার সেই রুচি নেই। অন্যের কাজের প্রশংসা করতে পারি, আলোচনা করতে পারি কিন্তু স্তাবক বৃত্তি পালন-পোষণ নয়; অবশ্য প্রশংসা আর স্তাবক বৃত্তিকে আপনি ও আপনারা এক চোখে দেখেন কারণ প্রশংসা আপনাদের কালচারে ও রক্তে নেই, থাকলে অন্ততঃ ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে কুৎসার দামামা বাজাতেন না! মুখ, জিভ সহ সমস্ত শরীর আপনাদের পাপে নীল হ'য়ে গ্যাছে আর সেই ভয়ে মুখ দেখাতে পারেন না, নাম প্রকাশে আপনারা ভীত, সন্ত্রস্ত!
আমার প্রশ্নকর্তাদের কাছে আমি বলতে চাই, অন্যের হ'য়ে স্তাবক বৃত্তি, অন্যের কুৎসা, সমালোচনা আপনাদের থাকতে পারে আমার সেই রুচি নেই। অন্যের কাজের প্রশংসা করতে পারি, আলোচনা করতে পারি কিন্তু স্তাবক বৃত্তি পালন-পোষণ নয়; অবশ্য প্রশংসা আর স্তাবক বৃত্তিকে আপনি ও আপনারা এক চোখে দেখেন কারণ প্রশংসা আপনাদের কালচারে ও রক্তে নেই, থাকলে অন্ততঃ ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে কুৎসার দামামা বাজাতেন না! মুখ, জিভ সহ সমস্ত শরীর আপনাদের পাপে নীল হ'য়ে গ্যাছে আর সেই ভয়ে মুখ দেখাতে পারেন না, নাম প্রকাশে আপনারা ভীত, সন্ত্রস্ত!
আর স্তাবক বৃত্তি?
তা আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন, আপনারা যারা শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরোধিতা করছেন ৫০বছর ধ'রে কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি, অপমান, অশ্রদ্ধা, সমালোচনাকে হাতিয়ার ক'রে আর যাদের হ'য়ে করছেন সেটা তাদের হ'য়ে স্তাবকতা নয়!?
আপনারা আমার লেখনীর উপর কটাক্ষ করেছেন। লিখেছেন, আমার লেখনী শক্তি দিয়ে আপনাদের প্রভাবিত করতে পারবো না। আমি বলি, এই একটা কথা একদম ঠিক বলেছেন, খাঁটি বলেছেন! কারণ যাদের স্বয়ং ঠাকুর পারেননি তাঁর লেখনী শক্তি দিয়ে প্রভাবিত করতে, তাঁর অসীম অনন্ত মনোমুগ্ধকর প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি দিয়ে তাদের প্রভাবিত করতে যে আমি পারবো না এই কথাটা সমস্ত সৎসঙ্গী সমাজ এককথায় মেনে নেবে। কারণ রামায়ণ, মহাভারতের যুগেও স্বয়ং রাম, কৃষ্ণও পারেননি রাবণ, রাবণের বংশধর, অনুগামী এবং কৌরব ও কৌরবপক্ষদের শেষদিন পর্যন্ত বোঝাতে, যেমন পারেননি আপনাদের পূর্বসূরিদের এই ঘোর কলিযুগে স্বয়ং শ্রীশ্রীঠাকুর! যে পাপের বোঝা ব'য়ে চলেছেন আপনারা উত্তরসূরীরা!!!!!
আপনারা প্রশ্নকর্তারা এও লিখেছেন আপনারাও লেখনী শক্তিতে ও কথনে প্রবল দক্ষ! এই কথাটাও ঠিক লিখেছেন। তার প্রমাণ গোটা বাঙালি সমাজ ও যারা বাংলা পড়তে ও বুঝতে পারে সেই সমাজ পাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে ফেসবুক নামক মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে; যে মহান সুযোগ পায়নি আপনাদের পূর্বসূরীরা। কিন্তু ভুলে যাবেন না আপনাদের থেকেও প্রবল পরাক্রমশালী লেখক ও বক্তা ছিলেন সেই ঠাকুরের সময়ে! জানেন তো তাদের নাম? ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে সেই বিখ্যাতদের নাম! আপনারা জানেন তবুও নামগুলো বলি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হ'লেন স্বনামধন্য কেষ্ট দাস ও শনিবারের চিঠির শক্তিশালী কলমচি সজনীকান্ত দাস! তাঁরা কি পেরেছিলেন তাঁদের প্রবল লেখনী শক্তি ও কথনে ঠাকুরের জয়রথ ঠেকাতে!? তাঁদের পিছনে যে প্রবলপরাক্রম শক্তি মদদ দিয়েছিল তারা কি পেরেছিল শ্রীশ্রীঠাকুরকে কলঙ্কিত করতে? সেসময়ের অনেক অনেক বড় বড় জ্ঞানী পন্ডিত বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব ছিলেন যারা সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ঠাকুর আত্মজ, ঠাকুরের প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা শ্রীশ্রীবড়দাকে !!!! কি হয়েছিল তার পরিণতি? আপনারা ব্যক্তিস্বার্থে, ক্ষমতার দখল নিতে, কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের নিজের হাতে তৈরি 'সৎসঙ্গ'-এর পাল্টা সংগঠন তৈরি ক'রে যে মরণ পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন আজ থেকে ৫০ বছর আগে আপনারা ঠাকুরের সেই পরমভক্তকুল ও তাদের উত্তরসূরীরা শ্রীশ্রীবড়দাকে শ্রীশ্রীঠাকুরের মত কলঙ্কিত ক'রে তাঁর বিজয়রথকে থামাতে পারেন কিনা সেই চেষ্টা ক'রে দেখতে পারেন।
ক্রমশঃ।
পরবর্তী প্রশ্ন এর পরে।
( লেখা ২৩শে সেপ্টেম্বর'২০১৯)
No comments:
Post a Comment