গভীর এক শূন্যতা যেন গ্রাস করছে ক্রমশঃ চারপাশ,
নেবে আসছে খাঁ খাঁ দুপুরের শশ্মান নিস্তব্ধতা!
অনেক দূর থেকে হাঁড়িচাচা পাখির কণ্ঠস্বর
নিস্তব্ধতা ভেঙে খানখান ক'রে ভেসে এলো
নিস্তব্ধতাকে আরও জমাট ক'রে দেবে বলে।
মনে হ'লো যেন ভাঙ্গা বুকের ভেতর থেকে
হাফ ধরা একাকিত্বের এক কণ্ঠস্বর
নিস্তব্ধতার বুকে ভেসে উঠে বলছে,
বন্ধু! তুমি ভালো আছো? আমি ভালো নেই।
তবু্ও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে
গভীর নিঃসঙ্গতাকে সাথী ক'রে
কে যেন ব'লে উঠলোঃ সবাই আজ একা, নিঃসঙ্গ।
সবার খোঁজ নাও।
তাই তোমায় এই খাঁ খাঁ করা নিস্তব্ধ শশ্মান দুপুরে
ডেকে উঠে বলি, বন্ধু! তুমি ভালো আছো?
আমিও আজ একাকী, তুমিও তাই।
কিন্তু একাকী হ'লেও আমার সাথে আছে দয়াল!
তাই এই একাকিত্ব মাঝেও মনে হয় কে যেন আছে সাথে, পাশে!
এই নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধ দীর্ঘ রাস্তা হেটে চলেছি একা
শুধু মাঝে মাঝে মনে হয়, কে যেন ব'লে ওঠেঃ
ডর কিস বাত কি? ম্যায় হু না।
আকেলা কৌন বোলা? হাম হ্যায় না।
একবুক দীর্ঘ শ্বাস টেনে নিয়ে আবার হেঁটে চলি
নিঃসঙ্গ আমি নিস্তব্ধ দুপুরে একেলা।
কিন্তু বন্ধু তুমি? তুমি ভালো আছো তো বন্ধু?
ভালো থেকো, সুখে-আনন্দে থেকো বন্ধু।
শুধু মাঝে মাঝে বিষাদে ভরা মন বলতে চায় তোমায়,
কি লাভ হ'লো বন্ধু সব ভেঙ্গে দিয়ে!? কি পেলে বন্ধু!?
দিন শেষে ভোরের সকালে পড়ন্ত বিকেলের
সেই বিষন্নতা, সেই একাকিত্ব ছাড়া!?
মনে পড়ে সেইসব পুরোনো দিনের কথা বন্ধু!?
সেই দল বেধে ইষ্ট ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠায় বেড়িয়ে পড়া?
মাঠঘাট পেরিয়ে আড্ডা জমিয়ে সবাই মিলে ধরা করা?
'মানুষ আপন টাকা পর' তত্ত্বে হ'য়ে মশগুল শুধু ছুটে চলা?
শুধু যেদিকে যাই, যেদিকেই তাকায় শুধু জীবনের হাতছানি!
আর আজ আবার 'টাকা আপন মানুষ পর' সেই চিরাচরি^
পুরোনো হাঁফধরা দমবন্ধকরা তত্ত্বের পথ ধরা, করা, বলা!
আর পরিশেষে দিনশেষে সেই একাকিত্ব,
বন্ধু সেই নিঃসঙ্গতা!!!! নিঃসঙ্গ মৃত্যুর হাতছানি!
No comments:
Post a Comment