কথা হচ্ছিল 'আসছে একটা নতুন যুগ, নতুন সময়! মহাপ্রলয়ে ভেসে যাবে সব, হবে সমূহ ক্ষতি, হবে মহাক্ষয়!! আস্তিক পাবে না ছাড়, নাস্তিকের নেই ভয়!!!'------কথাটা নিয়ে।
এখন প্রশ্ন এলো ভেসে, ''আস্তিক পাবে না ছাড়, তাহ'লে কি সব নাস্তিকের জয় হবে?"
উত্তর কি এখন? উত্তর মনে হয় আস্তিকরাই ভালো দিতে পারবে। তাই, আস্তিক নিজেকে প্রশ্ন করুক সে আস্তিক কিনা। নাস্তিকের ভয় কিসের? সে জানে সে নাস্তিক। ঈশ্বর জানে ঈশ্বরের সঙ্গে বেইমানী করেছে ও করছে কে বা কারা।
প্রশ্ন আসে ভেসে আবারঃ "নাস্তিক সাময়িক শক্তিধর হতে পারে, কিন্তুু আস্তিক মহাশক্তির অধিকারী"
উত্তরে বলতে হয়, খুবই সত্যি কথা। একশোভাগ সহমত। কিন্তু কোন আস্তিক?
কথায় আছে, "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।" যে গরু দুধ দেয় অথচ গোয়ালঘর অশান্ত ক'রে রাখে সে গরু যতই দুধ দিক না কেন সে থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। কারণ একজন ব্যাটসম্যান যতই রাণ তুলুক না কেন তার হাত দিয়ে যদি ফিল্ডিং-এর সময় বলের পর বল গলায় আর দল তার খেসারথ স্বরূপ হেরে যায় তখন সেই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যায়। আর যে ব্যাটসম্যান রাণে ব্যর্থ হয় কিন্তু দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে, মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে, সকলকে আগলে রাখতে পারদর্শী, সহযোগী এককথায় ভালো ফিল্ডসম্যান, স্বাভাবিকভাবেই দলে তার গ্রহণযোগ্যতার গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে; খেলায় চান্স না পেলেও টীম মেম্বার হিসাবে সে মধ্যমণি হ'য়ে ওঠে। ঠিক তেমনি যে গরু দুধ দেয় না অথচ খুবই শান্ত, মায়াবী তাকে তার প্রভু বুক দিয়ে আগলে রাখে, তাকে ভালোবাসে, আদর ক'রে। আর যে গরু দুধ দেয় না অথচ দুষ্ট, বদমাশ, মালিকের ক্ষতি করে, খায় আর জাবর কাটে তার ক্ষেত্রে কি করণীয় তা' সহজেই অনুমেয়। যে গরু দুধ দেয় অথচ বদমাশ তার ক্ষেত্রে কি করণীয় ব'লে মনে হয়? তাকে শাসনের বেড়াজালে রাখে তার মালিক। তাকে ভালোবাসা দিয়ে দিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করে, শান্ত রাখার জন্য সচেষ্ট হয়, তার প্রতি মানবিক হ'য়ে ওঠে। তার সুবিধা অসুবিধার দিকে নজর রেখে চলে, বোঝার চেষ্টা করে কেন, কি জন্যে এমন করছে সে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে মালিকের চার চোখো দৃষ্টি ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের মুন্সীয়ানাই মুখ্য হ'য়ে ওঠে কাউকে সংশোধনের ক্ষেত্রে। কিন্তু দুধ দেয় অথচ যখন বদমাইশি, দুষ্টমি সীমা লঙ্ঘন করে, হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হ'য়ে পড়ে তখন স্বাভাবিকভাবেই মালিককে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করে।
তাই বলি, সব দুষ্টমি, বদমাইশি কিন্তু দুষ্টমি, বদমাইশি নয় ঠিক তেমনি সব ভালো প্রকৃতপক্ষে ভালো বা মঙ্গল নয়, মুখোশ মাত্র; যা আল্টিমেট স্থায়ী আসন লাভ করে না এবং তা' চিহ্নিত করার প্রয়োজন আছে।
ঠিক তেমনি, বর্তমান চলতি উপরি অর্থানুযায়ী সব আস্তিক আস্তিক যেমন নয় তেমনি সব নাস্তিক নাস্তিক নয়। উপরে মনে হচ্ছে আস্তিক কিন্তু সে আস্তিক নয়, উপরে মনে হচ্ছে সে নাস্তিক কিন্তু সে নাস্তক নয়। তাই আস্তিক হ'লেই সে মহাশক্তিধর নয় বন্ধু আর নাস্তিক হ'লেই সে শক্তিহীন নয় !!!!
এছাড়া, আস্তিক আর নাস্তিক শব্দের গভীর অর্থ ভিন্নরুপ। সে বিষয়ে পরে আলোচনা করা যেতেই পারে।
No comments:
Post a Comment